Description
বাসার তাসাউফকে ‘স্বতন্ত্র কথাশিল্পী’ বলে বিশেষায়িত করা হয়। তিনি মূলত গ্রামীণ পটভূমিতে লিখে থাকেন। বিস্তৃত ফসলের মাঠ থেকে ভেসে আসা শিয়ালের ডাক, নারিকেল গাছের চিরল পাতার ফাঁকে জেগে থাকা পূর্ণিমার চাঁদের অবারিত আলোর উন্মাদনা, অরণ্য আঁধারে জোনাকীর সিম্ফনি, টিনের চারচালা ঘরের কোণে চড়ুইয়ের বাসা, মাদার গাছের মগডালে দোয়েলের শিস, নারকেল পাতায় বাতাস লেগে দোল খায় আর সেখানে চাঁদের আলো পড়ে চকচক করা জোছনা রাত, ঝিঁঝিঁপোকার কোরাস, লবণ ও কেরোসিন তেল নিয়ে প্রাক-সন্ধ্যায় হাট থেকে বাড়ি ফেরা কিষানের নাকের ডগায় লেগে থাকা ঘামের ফোঁটা, কিষানীর কপালে গোধূলিবেলায় অস্তমান সূর্যের মতো লাল টিপ, পাঠশালায় যাওয়া বালিকার মাথার কলাবেণী চুল- এসব ‘সিম্বলিক’ বিষয়আশয় পাওয়া যায় তার লেখায়।
‘সূর্যঘড়ি’ (২০১৫) উপন্যাসের মধ্য দিয়েই তিনি এ ধারা শুরু করেছিলেন আর ‘সব মেঘে বৃষ্টি হয় না’য় (২০২১) তা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আত্মজীবনীমূলক এ উপন্যাসে ৯০ দশকের বাঙালির লোকাচার থেকে শুরু করে জীবন-যাপনের চালচিত্র যেন স্থিরচিত্র হয়ে ফুটে উঠেছে। এ দুটো উপন্যাস লেখার কারণে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন লেখক হয়ে উঠেছেন।
উপন্যাস ছাড়াও তিনি ছোটগল্প ও থ্রিলার লিখে থাকেন। দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন।
প্রকাশিত বই : ১৫টি।
উল্লেখযোগ্য বই : কার কাছে যাবো, সব মেঘে বৃষ্টি হয় না, সূর্যঘড়ি, স্বরচিত নির্বাসন, স্বর্গগ্রামের মানুষ, নাকাল, ছুঁয়ে দিলাম তোমাকে, চন্দ্রাহত পুরুষ, রাফিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, স্কুল থেকে পালিয়ে, পিতৃশোক ও দীর্ঘশ্বাসের গল্প, ম্যাট্টিক পাস বউ, মা সেজে পরি এসেছিল।
সম্মাননা : অনুপ্রাণন লেখক সম্মাননা ২০২৩
There are no reviews yet.