চোখ যায় যদ্দুর – রীতা রায় মিঠু – দ্বিতীয় মুদ্রণ

Chokh Zay Joddur - চোখ যায় যদ্দুর (একাত্তরের বালক বালিকা) - দ্বিতীয় মুদ্রণ

Author: রীতা রায় মিঠু
Cover By: আইয়ুব আল আমিন
ISBN: First Publish - 978-984-94478-0-1; Second Printing- 978-984-97843-0-2
Publish Date: First Publish: 02-02-2020; Second Print - September- 2023

$ 4.24

25% Off
In Stock
Highlights:

প্রাক কথা

বাঙালির ইতিহাসে, বাঙালির জীবনে গর্ব করার মত যত অধ্যায় আছে, তার মধ্যে সবচে বড় অধ্যায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির অহঙ্কার, মাথা উঁচু করে চলার দৃপ্ত অঙ্গীকার। সৌভাগ্যক্রমে আমার জন্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ছয় বছর পূর্বে, তাই ছয় বছর বয়সে আমিও হতে পেরেছিলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন অংশীদার।
আমার অনেকদিনের ইচ্ছে, আমাদের শৈশব কৈশোরের দিনলিপি নিয়ে ‘চোখ যায় যদ্দুর’ নামে তিন পর্বে বই লিখবো। তিন পর্বে থাকবে মুক্তিযুদ্ধ পূর্বকাল, মুক্তিযুদ্ধকাল ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকাল।
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৭১ সালে, ঊনপঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বাঙালির অহঙ্কারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম খুব বেশি কিছু জানে না। আজও তারা বিভ্রান্ত হয় মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার শব্দ দুটো নিয়ে। কারণ কে মুক্তিযোদ্ধা কে রাজাকার, সেই তালিকা আজও নির্ণিত হয়নি।
বর্তমান প্রজন্ম জানে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ছিল, পাকবাহিনী ছিল, রাজাকার ছিল, মিত্রবাহিনী ছিল।
বর্তমান প্রজন্ম জানে না, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার ছাড়াও রিফিউজি নামে আরেকটি শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছিল। রিফিউজিদের কথা কেউ আলাদা করে বলেনি, রিফিউজিদের কথা কেউ আলাদা করে লিখে না। তাই বর্তমান প্রজন্ম রিফিউজি শ্রেণির সাথে পরিচিত নয়।
রিফিউজি কারা ছিল, কেন তারা রিফিউজি হয়েছিল! কেমন ছিল রিফিউজিদের জীবন! রিফিউজি হওয়া কি স্বস্তির নাকি বেদনার! ভয়াবহ যুদ্ধ চলাকালে রাজাকারের চোখ এড়িয়ে, পাকসেনাদের গুলি বাঁচিয়ে বন বাদাড়, মাঠঘাট, নদী নালা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পৌঁছে নিজেকে রিফিউজি ঘোষণা করা যে কী নিদারুণ কষ্টের আত্মসমর্পণ, অন্যের দয়ায় দিনাতিপাত করা কতখানি গ্লানিকর তা অতীত বর্তমান কোনো প্রজন্মই অনুধাবন করতে পারবে না।
অতীত এবং বর্তমান প্রজন্ম রিফিউজি সম্পর্কে জানে না, কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম জানুক রিফিউজিদের কথা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ছয় বছর, বড়দা ছিল কিশোর, মেজদা বালক, ছোট ভাই চার বছর বয়সের শিশু।
না, আমরা কেউ বন্দুক হাতে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। চারটে ছেলেমেয়ে যুবতী স্ত্রী বৃদ্ধা মাকে পাকবাহিনীর গোলার মুখে ফেলে বন্দুক হাতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মত দুঃসাহস আমাদের বাবার ছিল না। বাবা তাই সবাইকে নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পৌঁছে রিফিউজি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কেউ সাধ করে আশ্রিতের জীবন বেছে নেয় না।
এক দিনে আমরা ভারতে পৌঁছাইনি, দীর্ঘ পনের দিন লেগেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগরতলা হয়ে কলিকাতা পৌঁছাতে। সেই যাত্রাপথ কেমন ছিল, কি কি ঘটেছিল, অথবা কি কি ঘটতে পারতো, কলিকাতা পৌঁছে আমরা কেমন ছিলাম, কলিকাতাবাসী আমাদের প্রতি কতখানি আন্তরিক ছিল, এসব সত্য যদি লিপিবদ্ধ না থাকে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না।
ইতিহাস সৃষ্টি হয় সত্যের ওপর ভর দিয়ে, ইতিহাস দাঁড়ায় সত্যের ভিত্তির ওপর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ মিছে নয়, মুক্তিযুদ্ধ বানানো কাহিনি নয়, মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নয়, সেখানে রিফিউজি নামে মুক্তিযুদ্ধের যে নীরব সাক্ষী আছে, সেই রিফিউজিরাও মুক্তিযুদ্ধের অংশ, তারাও মুক্তিযোদ্ধা।
শিশুরা মিথ্যা বলে না, শিশুরা মিথ্যা দেখে না। শিশুরা ছল চাতুরী জানে না, আদালতে শিশুরা মিথ্যে সাক্ষ্য দেয় না। মাঝে মাঝে শিশুরাই হতে পারে ন্যায় বিচারক।
একাত্তরে আমরা ছিলাম শিশু বালক বালিকা, আমরাই হয়েছিলাম রিফিউজি, আমরাই ছিলাম মুক্তিযুদ্ধের সত্যদর্শী সাক্ষী। রিফিউজিদের কথা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে, সেই দায় মাথায় নিয়ে আমাদের বাল্যকালের সত্যনিষ্ঠ স্মৃতিভান্ডার থেকে কুড়িয়ে যতটুকু সত্য আহরণ করতে পেরেছি, সেটুকুই ‘চোখ যায় যদ্দুর’র মুক্তিযুদ্ধকাল পর্ব ‘একাত্তরের বালক বালিকা’ খণ্ডে লিপিবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছি। একাত্তরের বালক বালিকা পর্বটি সত্যদর্শী বালক বালিকার সত্য বয়ানের লিপিবদ্ধ রূপ।

Description

Description

রীতা রায় মিঠু
জন্মঃ
২১শে সেপ্টেম্বার, ১৯৬৪, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
পিতাঃ শ্রী সুনীল কুমার দাস
মাতাঃ স্বর্গীয়া শঙ্করী দাস
স্বামীঃ ড: জীবেন রায়
তিন কন্যাঃ ঋত্বিকা, ঋজয়া, ঋষিজা
আদি নিবাসঃ নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
বর্তমান নিবাসঃ মিসিসিপি, আমেরিকা
শিক্ষাঃ বিএসসি অনার্স মাস্টার্স ( কেমিস্ট্রি, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়), বিএড ( ঢাকা বেসরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ)
পেশাঃ অবসরপ্রাপ্ত অয়্যারলেস এসোসিয়েট, ওয়ালমার্ট সুপার সেন্টার
ভালো লাগেঃ  প্রকৃতি, লোকালয়, মানুষ, ফেসবুক, আড্ডা, লেখালেখি
ভালোবাসিঃ অতিথি, বাগান করা, রান্না বান্না, ভ্রমণ, বন্ধুত্ব,
ধ্যানঃ জীবনের শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতাগুলো ছাপার অক্ষরে সাজিয়ে বইয়ের মোড়কে বাঁধিয়ে রেখে যাওয়া।
প্রকাশিত বইঃ ঠাকুরবাড়ির আঁতুড়ঘরে, মুহূর্তে দেখা মানুষ, তুমি বন্ধু তুমি সখা, সাগর ডাকে আয়, পারমিতার চিঠি, চোখ যায় যদ্দুর ।

পুরস্কারঃ অনুপ্রাণন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘চোখ যায় যদ্দুর’ ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা আয়োজিত অষ্টম ‘সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরস্কার ২০২৩’-এর  শ্রেষ্ঠ উপন্যাস নির্বাচিত হয়েছে।

প্রত্যাশাঃ   লিখতে লিখতেই কোনো একদিন লেখক হয়ে ওঠা

 

Additional information

Additional information

Weight 0.365 kg
Published Year

Reviews (0)
0 ★
0 Ratings
5 ★
0
4 ★
0
3 ★
0
2 ★
0
1 ★
0

There are no reviews yet.

Be the first to review “চোখ যায় যদ্দুর – রীতা রায় মিঠু – দ্বিতীয় মুদ্রণ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping