পিয়ার আলীর ঘুম আসে না – আবুল কালাম আজাদ

Piyar Alir Ghum Asena by Abul Kalam Azad

Author: আবুল কালাম আজাদ
Cover By: আইয়ুব আল আমিন
ISBN: ৯৭৮-৯৮৪-৯৫১৪৫-৯-৬
Publish Date: জুলাই ২০২৪

$ 3.09

25% Off
In Stock
Highlights:

মানুষ আনন্দ চায়। মানুষ হাসতে চায়। সব সময় গভীর চিন্তায় ডুবে থাকা, কাজে ডুবে থাকা মানুষের জন্য অসম্ভব, তেমনি অসম্ভব সব সময় গুরু-গম্ভিব কিছু পাঠ করা। আনন্দের জন্য মানুষ নাটক, সিনেমা উপভোগ করে, গান শোনে। পাঠের ভেতর আনন্দ পাবার জন্য পাঠকরা রম্যসাহিত্য পড়তে চায়।
বাংলা সাহিত্যে খ্যাতিমান রম্যলেখদের স্মরণ করতে গেলেই প্রথমে মনে আসে সৈয়দ মুজতবা আলীর নাম। শৈশব থেকেই আমরা তাঁকে পড়ছি। তাঁর লেখা পড়তে গেলে মনে হয় পৃথিবীতে দুঃখ, হতাশা বলে কিছু নেই। সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে শুধু আনন্দ, হাসি। দুঃখে-বিষাদের মধ্য থেকেও তিনি রস টেনে বের করেছেন। আমরা মনে করতে পারি ‘পন্ডিত মশাই’ গল্পটার কথা। গল্পটায় কিন্তু তৎকালীন সমাজের খুবই মর্মান্তিক, অমানবিক দিক ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু রসে টইটম্বর। আনন্দের কোনো কমতি নেই। তাঁর চাচা কাহিনী, টুনিমেম,ময়ূরকন্ঠী এবং ভ্রমণ কাহিনীগুলোতে আমরা অপার রস আস্বাদন করেছি।
এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সাগরময় ঘোষ, আবুল মনসুর আহমেদ, নুরুল মোমেন, কাজী দীন মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, কালীপ্রসন্ন সিংহ, আতাউর রহমান এঁরা বাংলা ভাষার রম্য সাহিত্যের ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন। বর্তমানেও বাংলাসাহিত্যে বিশেষ করে বাংলাদেশে অনেকেই ভাল রম্যগল্প লিখছেন। বিশ্বসাহিত্যে জেরোম কে জোরোম এবং সমারসেট মম আমাদেরকে অনেক আনন্দ দিয়েছেন।
যাহোক, তারপরও বলবো বাংলা সাহিত্যে বতর্মানে রম্যসাহিত্য যতটা হবার ততটা হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে রম্যসাহিত্য কিছুটা অবহেলা পাচ্ছে প্রকাশকদের কাছ থেকে। রম্য লেখকগণ যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। এরূপ প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা কেউ কেউ রম্যসাহিত্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। লেখার মাধ্যমে মানুষকে হাসানো, মানুষকে আনন্দ দেয়া যে কতটা কঠিন কাজ যা যিনি করেন তিনিই শুধু বোঝেন। তবে রম্যসাহিত্য বলতে আমরা যদি শুধু হাসি-আনন্দ-কৌতুক বুঝে থাকি তাহলে আমাদের বোঝার মধ্যে বড় ভুল থেকে যাবে। কৌতুকের ভেতর দিয়ে, সমাজের, রাষ্ট্রের নানাবিধ অসঙ্গতি, মানুষের চরিত্রের, আচরণের নানা ভুলক্রুটি তুলে ধরা হয়। হাস্যরসের ভেতর দিয়ে ধর্মান্ধ, প্রতিক্রিয়াশীল, নেতা, রাষ্ট্রপরিচালক অনেকের বুকের ভেতরই হুল ফুটিয়ে দেয়া হয়।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রম্যবিভাগ গুলোতে আমি দীর্ঘদিন ধরে রম্যগল্প লিখছি। ২০২৩ সাথে আমার প্রথম রম্যগল্পের বই ‘ঘুমই সফলতার চাবিকাঠি’ প্রকাশ হয় প্রিয় বাংলা প্রকাশনা থেকে। বইটি উৎসর্গ করেছিলাম বর্তমান সময়ের খুবই পরিচিত রম্য লেখক শফিক হাসানকে। মূলত তাঁরই অনুপ্রেরণায় আমার রম্যগল্প লেখা শুরু। আমার প্রথম রম্যগল্পের বইটি যথেষ্ট পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পেয়েছি। সেই সূত্র ধরেই আমি আরেকটি রম্যগল্পের পাণ্ডুলিপি প্রস্তত করতে সাহস করি। আমার বর্তমান পাণ্ডুলিপিতে ১৮টি রম্যগল্প আছে। গল্পগুলোর সবই দেশের প্রথম শ্রেণির পত্রিকার রম্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে। আমি আশা রাখি, আমার বর্তমান বইটিও পাঠকদের হাসাতে পারবে, আনন্দ দিতে পারবে, সেই সাথে যথাস্থানে হুল ফোটাতে পারবে। এই দুঃখভরা কর্মময় পৃথিবীতে কেউ যদি আমার লেখার কোনো একটা লাইন পড়ে ফিক করে হেসে ফেলে এর চেয়ে সার্থকতা আর কিছু নেই একজন লেখকের জন্য।

Description

Description

আবুল কালাম আজাদের শৈশব কেটেছে গ্রামে। ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন কৌড়ী গ্রামে। পল্লী প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য তার মধ্যে সাহিত্যের বীজ বুনে দেয়। শৈশব থেকেই গল্প, কবিতা, উপন্যাস পাঠে আগ্রহী ওয়ে ওঠেন। লেখালেখির শুরুও তখন থেকেই। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে বাবার চাকরি সূত্রে ঢাকায় উঠে আসা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশ হতে থাকে। দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।
তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য লেখার পাশাপাশি বড়দের জন্যও লেখেন। চারবার ইউনিসেফ বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তি। ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ সালে। দৈনিক কালের কন্ঠের সাহিত্য সাময়িকী শিলালিপি আয়োজিত হাসির গল্প প্রতিযোগীতা ২০১১ বিজয়ী। বাবুই পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতা ২০১৮ বিজয়ী।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত মীনা কার্টুনের গল্প লেখা, এবং রুম টু রিড আয়োজিত নন-ফ্যান্টাসি গল্প লেখার কর্মশালায় অংশ গ্রহণ। মার্চ (২-১৫)/২০১৯ সংখ্যায় কোলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকায় ‘বিরহী’ নামে একটি গল্প প্রকাশ। এবং ওপার বাংলার নমস্য নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রোবর্তীর নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় গল্পটি নাটক তৈরী। থিয়েটার প্রাঙ্গণের ৬ষ্ঠ বর্ষ পদাপর্ণ উপলক্ষে আয়োজিত “গল্প আপনার, নির্মাণ আমাদের/২০২১” প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তার ‘আশা ভঙ্গের চিহ্ন তার মুখে’ গল্পটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়।
গল্পগ্রন্থ: নক্ষত্রের পানে-২০১২। গল্পগ্রন্থ: ভেলু মামার কঙ্কাল পাঠ-২০১৪। গল্পগ্রন্থ: মনের মত বন্ধু-২০১৬। গল্পগ্রন্থ: বল্টু মামা ও একটি শালিক পাখি -২০১৬। সায়েন্স ফিকশান ও ভৌতিক গল্প: সেকেন্ড মিশন সাকসেসফুল-২০১৭। কিশোর উপন্যাস: পরশু মাহাবুব ভাইয়ের বিয়ে-২০১৮। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় কিশোর উপন্যাস: সোনাডাঙা স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ-২০১৮। সায়েন্স ফিকশন কিশোর উপন্যাস: নভেম্বর রেইন-২০১৯। কিশোর উপন্যাস: জোছনা রাতে জাগে আমার প্রাণ-২০২০। শিশুতোষ গল্পগন্থ: বিলুর প্রথম স্কুল-২০২৩। রম্য গল্পগ্রন্থ: ঘুমই সফলতার চাবিকাঠি-২০২৩। কিশোর উপন্যাস: বল্টুমামার উপহার-২০২৪।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি চাকুরিতে নিয়োজিত আছেন।
লেখালেখির পাশাপাশি তিনি আবৃত্তি ও ছবি আঁকার চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।

Additional information

Additional information

Weight0.263 kg
Published Year

Reviews (0)
0 ★
0 Ratings
5 ★
0
4 ★
0
3 ★
0
2 ★
0
1 ★
0

There are no reviews yet.

Be the first to review “পিয়ার আলীর ঘুম আসে না – আবুল কালাম আজাদ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sale
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping