Product Tag: স্মৃতিকথা

স্মৃতিকথা

Showing all 7 results

Show:
Filter

মৃত্যু পেরিয়ে জীবন – জিম ম্যাকিনলি – অনুবাদ : নাহার তৃণা

Highlights:

১৯৫৮ সালে জিম ম্যাকিনলি নামের এক আমেরিকান মিশনারি কার্যক্রম চালানোর উদ্দেশ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সপরিবারে ফেনী অবস্থানকালে  পাক বাহিনীর অতর্কিত বিমান হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল তাঁর পরিবার। সুযোগ পেয়েও তিনি পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ ত্যাগ করতে রাজি হননি। নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের ফসল ৮ মাসের দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত ‘ডেথ টু লাইফ’। নাহার তৃণার বাংলা রূপান্তর ‘মৃত্যু পেরিয়ে জীবন’। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও সেদেশের অসংখ্য হৃদয়বান মানুষ নিজ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাঙালিদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন উদারতা ও মমত্বের দুয়ার। ম্যাকিনলি রচিত এই স্মৃতিকথা তারই এক অনন্য উদাহরণ।

Mrittu Periye Jibon By JIm Mckinley, Translated By Nahar Trina - এক আমেরিকান মিশনারির একাত্তরের স্মৃতি

হান্ড্রেড ফেসেস অফ উইমেন

Highlights:
ভূমিকা – দ্বিতীয় মুদ্রণ
একটি বছর পার হতে না হতেই আমার মতো দল-মত-সংঘ-সংগঠনের বাইরে একা দাঁড়িয়ে ঘরের কোণে ধ্যানে বসা একজন লেখকের লেখার প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে যাবে, দ্বিতীয় মুদ্রণে যেতে হবে প্রকাশককে, এই ঘটনাটা যেন আমার জন্য অভাবিত। তবু সুন্দর। উৎসাহ দেবার মত ঘটনা।
আত্মজৈবনিক লেখার জন্য নাকি যথেষ্ট বয়স লাগে। আর ঝুলিতে থাকা লাগে দেশ-পৃথিবীজুড়ে থাকা কিছু সফলতার গল্প! কিন্ত আমার তো তা নাই। আমার বয়স জীবনের হিসাবে যতই হোক আমার সঞ্চয়ে আছে কিছু ব্যর্থতা, আছে অপমান, আছে অন্যায়ের নিচে পদদলিত হবার গল্প। আমি জীবন জীবন প্রেমের তাপসী। সাধ্বী নারীর মতই বন্দনা করেছি প্রেমের দেবতাকে। মাত্রার বাইরে গিয়ে তার জন্য কিছু করার দায়িত্ব ও তাগিদ অনুভব করেছি বার বার। তাই এই দায়ের ভিতরে পড়েছে প্রেমিক, পড়েছে ভাই, পড়েছে বোন, পড়েছে অন্য কোনো নারী। কিন্তু আসলে এই সমাজে পরিবারে পৃথিবীতে যার যতটুকু কাজ তাকে ততটুকুই করতে দিতে হবে বা করিয়ে নিতে হবে। তাই করতে দেইনি বা করিয়ে নিতে পারিনি বলে তারই দায়ভার নিজেকেই বহন করতে হয়েছে। তাই সব পাপ ও অন্যায়ের ফলাফল হয়ে উঠেছে আমার জীবন। একটা সময় দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। পারগেশন বলে একটা বিষয় আছে, হয়তো এ লেখা তাই, অথবা নিজের সন্তানের কাছে একটা কৈফিয়ত। এই সামাজ ও রাষ্ট্রের কাছে একজন নারীর চলার পথে মাথা উঁচু করবার জন্য চরম মূল্য দেবার বয়ান। হারানোর ব্যথা। আর অন্যসব নারী ও পুরুষের সামনে রেখে যাওয়া এক দলিল। এত যে ব্যথার কথা তারই মাঝে অপরূপ সুন্দর বলতে ছিল আমার লালমাই পাহাড়ের কোলের কাছে পড়ে থাকা একটা শৈশব, ছিলেন একজন মহীয়সী মা। ছিলেন একজন সন্তানবৎসল বাবা। একই সাথে একজন নারী হিসাবে এই সমাজে বেড়ে উঠার গহীন গুঢ় বেদনা ও অপার আনন্দ। এই দুই সম্বল করে লেখা এই আত্মজৈবনিক জার্নাল ‘হান্ড্রেড ফেসেস অফ উইমেন’।
লিখতে বসেছিলাম যখন সংসারে দম আটকে মরতে বসেছিলাম দুই অবুঝ শিশুসন্তান নিয়ে। যখন লেখার বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্ত। চরম বিপরীত প্রতিবেশ। বেঁচে থাকা দুঃসহ। সময় দুরন্ত। তখন বেঁচে থাকা মানে লেখা। একমাত্র লেখা ছাড়া আর অন্য কোনো পথ নেই বাঁচবার। আর এই বই লিখতে লিখতেই বের হয়ে এলাম স্বামী সংসার ছেড়ে। বছর দুই অনলাইন পোর্টাল চিন্তাসূত্রে প্রকাশিত হল ‘নারী’ নামে। কলকাতা থেকে এক প্রকাশক এলেন এই ধারাবাহিকটি পড়তে পড়তে। বললেন, ‘নারী পড়তে পড়তে মনে হল বাংলাদেশ থেকে এই লেখকের একটি লেখা আমাকে প্রকাশ করতে হবে’। তখনও ভাবিনি কোনোদিন বই হবে এই অপাংক্তেয় লেখাটাই।
কলকাতা থেকে চিত্রকর মুক্তিরাম মাইতি বিনিময়হীন শর্ত দিয়ে প্রচ্ছদ এঁকে দিলেন সেও প্রায় বছর তিন আগে। কয়েকজন প্রকাশক প্রশ্ন করলেন কেন তিনি এই বই টাকা ছাড়া প্রকাশ করবেন? আমি সেদিন তার উত্তর দিতে পারি নি। আজ যখন পাঠক বন্ধু পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ বইটি পড়ে ভেতর বাহির নিয়ে কথা বলেন তখন আমিও বিস্মিত হই।
পরাজয়ের গল্প এতটা ভালোবাসবে কেন মানুষ! হয়তো এমন কোনো সত্য এখানে আছে যা পাঠক পড়বার সাথে সাথেই উপলব্ধি করতে পারে। শব্দে শব্দে বাক্যে বাক্যে মিথ্যা, লুকানো, শাসকের ভয়ে থাকা কোনো নারীর আড়াল ভেঙে বের হয়ে আসার এই সত্য বলবার অসম সাহসই হয়তো গোপনে কেউ লালন করে। সামনে আসতে বা আনতে পারে না। তখন অন্য কোনো নারীর মধ্যে আবিস্কার করে নিজেরই কোনো গোপন সত্য। তাই হয়তো আজ পাঠকের কাছে এর এতটা আদর।
আমি জানি এই দলবাজ সাহিত্যের উঠানে আমার কোনো পালনকর্তা নাই। আর আমিই বা তা মানবো কেন? আমি তো নারী থেকে স্বাধীন মানুষ হয়েছি। তাই আমার যা অর্জন তা আমাকেই করতে হবে, একা। আর তাতেই আমার অহংকার। তাতেই আমার প্রতিষ্ঠা। এই আমার জগৎ মাঝে একমাত্র পাওয়া। তাই কোন প্রচার মাধ্যম আমার আমার লেখা নিয়ে নিশ্চুপ তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই কোনো। কোনো বুদ্ধিজীবী-কামেল আমার লেখা নিয়ে কিছু বললেন কি না তাতে আমার কোনো আগ্রহ নাই। আমার ঈশ্বর পাঠক। আমি জানি পাঠক নাই তো ওইসব কামেল-বিদ্বান-সাহিত্যবোদ্ধারা কে কি বলল তাতে কিই বা এসে যায়।
লেখক থাকেন পাঠকের মনে। যদি সেই হাজার হাজার মনকে ছুঁতে পেরেছি আজ এবং পারি আগামীর কালগুলাতে এই হবে আমার জয়। পাঠকের এই ভালোবাসাকে পাথেও করেই লিখে যেতে চাই আমরণ। অন্তত আরও তিনটি খন্ডের দলিলে রেখে যেতে চাই আমার যাবতীয় কাজ যা এই সমাজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে আজও।
বইটি আদরে যত্ন করে প্রকাশ করার দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রাণন প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী আবু এম ইউসুফ ভাই কৃতজ্ঞতায় বাঁধলেন। চিত্রকর মুক্তিরাম মাইতির কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। ‘চিন্তাসূত্র’ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই যিনি প্রথমবারের মতো ধারাবাহিক ভাবে লেখাটি প্রকাশ করেছিলেন বছর দুয়েক ধরে। অস্ট্রেলিয়ার ‘প্রশান্তিকা’ বইঘরের স্বত্ত্বাধিকারী আতিকুর রহমান ভাইকেও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রথমবারের মতো এই বইটিকে বাংলাদেশের বাইরের পাঠকের কাছে নিয়ে যাবার জন্য।
আর, দুই বাংলা জুড়ে আমার যত পাঠক। সারা পৃথিবী জুড়ে যারা বইটি পড়েছেন ও পড়ছেন তাদের প্রতি রইল ভালোবাসা।
শাপলা সপর্যিতা
১১ মার্চ, ২০২২
ধানমন্ডি/ঢাকা

Hundred Faces Of Women

অতলান্ত পিতৃস্মৃতি

Highlights:

প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্মৃতি থাকে। স্মৃতি মানেই ঘটনা। অমøমধুর, বেদনাবিধুর যতো ঘটনা ঘটে মানুষের জীবনে সে-সবই স্মৃতি।

স্মৃতি- স্মৃতিকাতর করে অর্থাৎ নস্টালজিক করে তোলে মানুষকে। স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকে মানুষের। তারা নানা মুখাবয়বের, নানা পেশার এবং নানা চরিত্রের। আবার তাদেরকে ঘিরে আরও অনেক মানুষের সম্পর্ক জড়িত থাকে। আর এই নিয়েই মানবজীবন।

আমার জীবননৌকোও অগণন স্মৃতিসম্ভারে ভরপুর, সজ্জিত। বিশেষ করে, আমার শৈশব থেকে যৌবনের উত্থানকালের ২৪-২৫টি বছরের অসংখ্য স্মৃতি আছে, যেগুলো নিয়েই এই আত্মজৈবনিক উপন্যাস “অতলান্ত পিতৃস্মৃতি” গ্রন্থটি। আমার এই সময়টাকে আমি যাঁর চোখ দিয়ে ফিরে দেখতে চেয়েছি তিনি আমার জন্মদাতা পরম শ্রদ্ধেয় পিতা। যা কিছু ঘটেছে, যা আজকে স্মৃতি- সবকিছুরই সাক্ষী আমার বাবা। আর সেখানেই পিতা-পুত্রের সম্পর্কটা সৃষ্টি হয়েছে। কী সেই সম্পর্ক? সেই সম্পর্ক যা সহজে লেখা যায় না। না পড়লে তা জানাও যাবে না।

পড়ার পর হয়তো অনেকেই মিলিয়ে দেখবেন তাঁদের জীবনের সঙ্গে, কেউ কেউ বিষণœও হতে পারেন। কেউ কেউ পড়ে বিস্মিত হবেন! আবার কেউবা ক্ষোভ প্রকাশ করবেন, ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু যা সত্য, তাই তুলে ধরতে গিয়ে আদৌ কার্পণ্য করিনি। কাউকে ছোটও করিনি, কাউকে বড়ও করিনি। মানুষ হিসেবে এখানেই আমার সীমাবদ্ধতা, পরিপূর্ণতা এবং তৃপ্তি বলে মনে করি।

অতলান্ত পিতৃস্মৃতি

জীবনস্মৃতির গল্প: সম্পর্ক

Highlights:

লেখকের কথা

প্রতিটি মানুষের জীবনেই রয়েছে অজস্র গল্প। গল্প ছাড়া মানুষের জীবন হতেই পারে না! আর সেইসব গল্প বাস্তবতার- আদৌ কল্পনার নয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের নানা রকম সম্পর্ক গড়ে ওঠে শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। গল্পগুলো সেই সম্পর্কজাত। যা জীবদ্দশায় ভুলে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। যারা লিখতে পারেন তারা চেষ্টা করেন সেইসব জীবনস্মৃতির গল্পগুলোকে জনসম্মুখে তুলে ধরতে লেখনীর মাধ্যমে। আর যারা লেখায় অভ্যস্ত নন, তারা নিভৃতে মনের ভেতরে সেসব লালন করেন এবং সময়-সুযোগ পেলে অন্যকে বলেন। অনেক লেখক আছেন যারা বিভিন্ন সময় নানা চরিত্রের মানুষের কাছ থেকে তাদের জীবনে অর্জিত অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতার গল্প, দুঃখ-বেদনার গল্প, হাসি-খুশির ঘটনা, বিয়োগান্তক কাহিনী ইত্যাদি শুনে উপন্যাস বা গল্পে রূপ দেন।

সাধারণ মানুষ বলি আর বিশিষ্টজন বলি; লেখক বলি আর শিল্পী বলি- তাদের জীবনের গল্পগুলো সাধারণ গল্প নয় বলেই গণমাধ্যমে বা পাঠ্যপুস্তকে সেগুলো প্রকাশিত হয়ে থাকে। শিক্ষামূলক গল্পের যেমন শেষ নেই তেমনি প্রেম-ভালোবাসা, ব্যর্থতা, আশা-নিরাশা, বিচ্ছেদ, লড়াইমুখর গল্পেরও সীমা-পরিসীমা নেই। সেসব জীবনস্মৃতির গল্প পড়ে আমরা বিচিত্র চরিত্র, চিন্তা ও মন মানসিকতার মানুষকে চিনতে, জানতে পারি। এর মধ্যে অনেক গল্পই আছে সাহিত্যরসে টইটুম্বুর- রোমান্টিক, ভাবনার উদ্রেককারী এবং শিক্ষামূলক।

গল্প সাধারণত দুধরনের বলা যায়, এক হচ্ছে, বানানো গল্প বা কল্পলোকের গল্প। দুই হচ্ছে, জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বাস্তব গল্প। বানানো গল্পগুলোর চেয়ে জীবনস্মৃতির গল্পগুলো বেশি নাড়া দেয় মানুষ তথা পাঠককে। কারণ সেইসব গল্প অনেক মানুষের জীবনের গল্প। বানানো গল্প যেভাবে সুন্দর ভাষা ও অলঙ্কারে আদর্শ চিত্রকলার মতো করে প্রকাশ করা হয়, জীবনস্মৃতির বাস্তব গল্পগুলো সেই রঙে আঁকা সম্ভব হয় না। এতে করে গল্পের প্রাণ হারিয়ে যায়, সংবেদনশীলতা শীতল হয়ে পড়ে। হারিয়ে যায় আকর্ষণও। বানানো গল্প মনে থাকে না, যদি না তাতে বাস্তবতার নোনাজলের ধারা প্রবাহবান থাকে।

মানুষ হিসেবে আমিও ব্যতিক্রম নই। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমার এই ষাট ছুঁইছুঁই বয়সে বহু ঘটনার সঙ্গে বেড়ে উঠেছি, অর্জিত হয়েছে বিস্তর অভিজ্ঞতা। কত চরিত্রের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটেছে তার হিসেব নেই। সেইসব ঘটনা অমূল্য স্মৃতি এবং অকাট্য সম্পর্ক। এই সম্পর্ক এতই অম্ল-মধুর যে, পড়ন্ত বেলায় এসে যতই ভাবি ততই নিজেকে ফিরে ফিরে দেখার সাধ জাগে, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে যুগপৎ আনন্দিত এবং বিষণ হই। জীবনস্মৃতির সেইসব অজানা গল্পগুলোই পড়ে অনেকে নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেন। যুগ যুগ ধরে এটাই সাহিত্যে চলে আসছে। এভাবে কালজয়ী, রসোত্তীর্ণ গল্পও আমরা অনেক পেয়েছি। ভবিষ্যতেও পাব।

জীবনস্মৃতির এই গল্পগুলো ‘সম্পর্ক’ শিরোনামে একটি গল্পসংকলনে পত্রস্থ করে স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন’ ঢাকা প্রকাশ করে আমাকে চিরঋণী করেছেন। আশা করি গল্পগুলো পাঠককে গভীরভাবে নাড়া দেবে।

‘অনুপ্রাণন’কে জানাই অন্তঃস্থল থেকে অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

 

প্রবীর বিকাশ সরকার, টোকিও.জাপান,  ৭, অক্টোবর, ২০১৭

জীবনস্মৃতির গল্প সম্পর্ক

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Filters
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping