Description
হাফিজ রশিদ খান (জ. ১৯৬১) ‘জোসনা কেমন ফুটেছে’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে আত্মপ্রকাশ করেন। সদ্যকৈশোর উত্তীর্ণের উত্তাল হৃদয়সংবেদিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার উত্তাপ নিয়ে সময়প্রবাহের সঙ্গে কখনো সংযুক্তি, কখনো-বা বিযুক্তি রচিত হয়েছে তার কবিতামালায়। সংযুক্তি-জীবনের অপার, বিস্তৃত সম্ভাবনার দিকে। আর বিযুক্তি-জীবনকে কুণ্ঠিত, বিবিক্ত ও বিভাজিত করবার রাজনৈতিক দুঃশীলতার বিপক্ষে। সাহিত্যকেন্দ্রিক তত্ত্বতালাশের নানামুখী আওয়াজ ও দলাদলির মহলায় তার অবস্থান প্রাতিস্বিক। নিজস্ব মন্ময় ধ্যান ও তন্ময় কথকতার ঝালরে বরাবরই ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন তার বঙ্গীয় মৃত্তিকাজাত সহজিয়া সত্তার গান। কুড়ি শতকের আশির দশকে বাংলা কবিতাভূমে আবির্ভূত হাফিজ রশিদ খান নব্বই দশকের গোড়া থেকে যুগপৎ কাব্য ও প্রবন্ধে পার্বত্য আদিবাসী মানুষের তৃণমূলীয় জীবনধারা ও সংস্কৃতিকে তার জনলগ্ন সহবতের সৌরভে উপস্থাপন করছেন।
১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘আদিবাসী কাব্য’ তাকে পরিচিতি দিয়েছে আদিবাসী জীবনের প্রথম
কাব্যকাররূপে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত ৩৮টি গদ্যপদ্যগ্রন্থের নিলয়ে হাফিজ রশিদ খান বাইরে থেকে দৃষ্টিপাতের আয়েশি ভূমিকায় না-থেকে স্বদেশের একজন হয়ে ওঠার স্বাক্ষর বহন করেন।
সম্পাদনা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোটোকাগজ সম্মাননাপ্রাপ্ত (২০২৩) ‘পুষ্পকরথ’ এবং কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত (২০০৩) পার্বত্য বান্দরবান জেলা থেকে প্রকাশিত আদিবাসী সংস্কৃতিকেন্দ্রিক ‘সমুজ্জ্বল সুবাতাস’।
পূর্ববর্তী প্রকাশিত কবিতার বইঃ
জোসনা কেমন ফুটেছে ১৯৮২ :: চোরাগোপ্তা ডুবোপাহাড় ১৯৮৮; লোহিত ম্যান্ডোলিন ১৯৯১ :: স্বপ্নখণ্ডের রোকেয়া বেগম রুকু ১৯৯৫; আদিবাসী কাব্য ১৯৯৭/ ২০০৭) :: টোটেমের রাতে হত্যাকাণ্ড ২০০২ :: জুমপাহাড়ের ওম ২০০২; এই সুন্দর আমাঙ হারাবো না ২০০৬ [আমাঙ : খুমি আদিবাসী শব্দ, অর্থ : স্বপ্ন]; ঘূর্ণির গোয়েন্দা ঘেরা ২০১২ :: পড়শিওয়ালা জাগো ২০১৩ :: রোদের পোস্টার ২০১৪; লর্ড ক্লাইভের পথিকেরা ২০১৫ :: ডিঙা ভাসে দক্ষিণ সমুদ্রে ২০১৭ :: প্রত্নজীবনের রত্ন ২০১৭; শ্রেষ্ঠকবিতা ২০১৯ :: রাতে আমার পেখম মেলে ২০২০ :: নির্বাচিত কবিতা : আদিবাসীপর্ব ২০২২; না দেখিলে পরান পোড়ে ২০২৩ :: মোহের তিমিরে ২০২৪।


























There are no reviews yet.