আবু জাফর জব্বার

মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বার

পিতা: মৃত মোঃ নুর ইসলাম মৃধা,
মাতা: মৃত ফুলমেহের বেগম,
জন্ম: ৩১-১২-১৯৫৩ইং,
মুক্তিবার্তা লাল বই: ০৪০৩০৭০৪৫৪,
গেজেট নং: ১৩৬৬,
গ্রাম: রাজৈর, ডাকঘর: রায়েন্দা, উপজেলা: শরণখোলা, জেলা: বাগেরহাট, মোবাইল নং: ০১৭৩২-৮৯৮৭২৩, জীবনের শ্রেষ্ঠ অধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য, শ্রেষ্ঠ অর্জন সম্মুখ লড়াই করে প্রিয় মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত করে চূড়ান্ত বিজয়, শ্রেষ্ঠ সন্নিধ্য মহান মুক্তিযুদ্ধের সুন্দরবন সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়া উদ্দিনের স্নেহ- ভালোবাসা। শ্রেষ্ঠ নির্দেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়কণ্ঠে বজ্র আহ্বান বিজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলো শক্ত হাতে শত্রুমুক্ত করো স্বদেশ ভূমি। শ্রেষ্ঠ সহপাঠী বন্ধু ছাত্রনেতা শহীদ মনিরুজ্জামান বাদল।

মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অবস্থান ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক, আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ। প্রিয় সাংবাদিক কলামিস্ট স্বদেশ রায়, শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিক কলামিস্ট আঃ গাফফার চৌধুরী। সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সাপ্তাহিক বনাঞ্চল যুদ্ধ করে স্বাধীনতা সংকলনের লেখক ও প্রকাশক। লেখক গবেষক ও নিবন্ধকার তথ্যকর্মী।

আবু জাফর জব্বার

Showing the single result

Show:
Filter

একাত্তরের সুন্দরবন

Highlights:

ভূমিকা

১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে সক্রিয় প্রচার-কর্মী, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন ছিল বাঙালি জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লড়াইয়ের প্রস্তুতি পর্ব। বাংলার গণমানুষের মুক্তির অগ্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর বাসভবন ৩২ নম্বর ধানমন্ডিই হয়ে ওঠে বাঙালি জাতির মূল ঠিকানা। অধীর আগ্রহে জাতি, দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় যেমন বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ৭০-এ নৌকায় আমাকে ও আওয়ামী লীগকে ভোট দাও, আমি তোমাদের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিব। তাই জাতির বিজয়ের স্বাদের অপেক্ষায় ’৭১-এর অগ্নিঝরা মার্চ-বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির উদ্দেশে নির্দেশনা দেন। শহর-বন্দর, গ্রামগঞ্জে সর্বত্র শত্রুর বিরুদ্ধে প্রস্তুত হওয়ার জন্যÑ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক এবং এলাকায় এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন। আমি আমাদের এলাকায় শরণখোলা থানা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের কর্মী। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাÑ মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত করতে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে সুন্দরবনে মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সংগঠিত হয়। অতঃপর সুন্দরবনে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা ঘাঁটি গড়ে ওঠে। বিশাল মুক্তিবাহিনীর দল, মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে অস্ত্র চালানো যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে যা সুন্দরবন সাবসেক্টর হেডকোয়ার্টার হিসেবে পরিচিত। আমি সুন্দরবন সাবসেক্টর অঞ্চল সুন্দরবন মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেই। বগী মুক্তিবাহিনীর রিক্রুটিং সেন্টারে রিক্রুট হই নিয়মিত যোদ্ধা হিসেবে। এখানে পহেলা অক্টোবরে পাঞ্জাবীর গানবোট প্রতিরোধ সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হাবিলদার আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করি। এরপরে সুন্দরবন মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হয়লাতলা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। তখন ওই ক্যাম্প ইনচার্জ কমান্ডার ছিলেন এম. আফজাল হুসাইন, আমাদের প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন বীরপ্রতীক আলী আহমে¥দ খান। অতঃপর হানাদার শত্রুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেই। বিশেষ করে সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনের নির্দেশে শেখ শামসুর রহমানের কমান্ডে সুন্দরবন নারকেলবাড়িয়া অ্যান্টি স্মাগলিং স্কোয়াডে যোগ দেই। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার অংশগ্রহণ ও ভূমিকা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ গর্ব ও সৌভাগ্যের বিষয়।

একাত্তরের সুন্দরবন

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping