কবির মুকুল প্রদীপ

জন্ম ১৯৮৬ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পাকুরিতা নামের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। রূপসী বাংলার অপার সৌন্দর্যে মোড়া প্রকৃতির মাঝে শৈশব পেরোতে না পেরোতেই নানান জটিলতার কারণে পরিবারসহ পাড়ি দিতে হয় ওপার বাংলায়। দেশত্যাগ ও উদ্বাস্তু জীবন, কৈশোরে মনের গভীরে গোপনে বাসা বাঁধলেও এক সময় নিজেকে মানিয়ে নিয়েই শুরু করেন থিতু হওয়ার সংগ্রাম।
এত কিছুর মাঝেও উপলব্ধি করেন, ভেতরে বইছে একটি ভিন্ন সত্তা। অথচ সঠিক পরিচর্যার অভাবে এই সত্তাকে পূর্ণরূপে আবিষ্কার করতে একটু সময় লেগে যায়। শুধুমাত্র পড়াশোনায় তৃপ্ত থাকতে না পেরে অবশেষে যোগ দেন নাটকে, এবং তার সাথে শুরু করেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালিম। প্রথমে কত্থক, পরে ভরত নাট্যম তারও পরে শেখেন ওয়েস্টার্ন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কনটেম্পোরারী, সালসা, জ্যাজ।
একটি প্রফেশনাল ড্যান্স গ্রুপের সাথে শুরু হয় কর্মজীবন। কর্মসূত্রে ভ্রমণ করেন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ যেমন আসাম, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, চষে বেড়ান পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। কয়েকটি জনপ্রিয় ড্যান্স রিয়েলিটি শো-এ কোরিওগ্রাফার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ২০০৪ এ সারাবাংলা সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার নৃত্য বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ও গোবরডাঙার জনপ্রিয় থিয়েটার দল স্বপ্নচরের নাটক হাঁড়ি কুঁড়ি ডটকম এবং মা-নিষাদে অভিনয় করে আলোচিত হন।
খেয়ালের বশে কবিতা লিখলেও, কবিতাকে মনে করেন অন্তরের অন্তঃস্থলের রক্তক্ষরণ। ২০১৪ সালে শেকড়ের অদম্য টানে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বর্তমানে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তানসহ সুখে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছেন।

কবির মুকুল প্রদীপ

Showing all 2 results

Show:
Filter

মৃত্যুই যেখানে শেষ নয় – কবির মুকুল প্রদীপ

Highlights:

যতবার নিজেকে প্রশ্ন করি। মানুষের কোন ভবিষ্যৎ আছে?
উত্তর একটাই, মানুষ স্মৃতি ছেনে বাঁচে। ভবিষ্যৎ এক মিছে সম্ভাবনা।
আমার এই কাব্যও তাই, স্মৃতির ভেতর থেকে তুলে আনা দানা
যা খেয়ে খেয়ে একটা জীবন–পাড়ি দিচ্ছে মৃত্যুর রহস্যময় মৃত্যুর ধাঁ ধাঁ।

মৃত্যুই যেখানে শেষ নয় - Mrityui Zekhane Shesh Noy

অলীক জোছনা

Highlights:

কবি কবির মুকুল প্রদীপ, এক তরুণ কবির নাম
কবির মুকুল প্রদীপে’র প্রথম কাব্য প্রকাশকালে সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, তাঁকে পাঠকবৃন্দের কাছে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ্য কতকটা অতিরিক্ত প্রয়াস, কারণ কবি কবির মুকুল প্রদীপ তার নিজগুণে ও ধ্যানে ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে নিজেকে গ্রহণীয় করে তুলতে পেরেছেন এবং নতুন এক রুচিধারা প্রবতর্নের চেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন। আমি ফ্লাপে যে মন্তব্য লিখছি তা একজন অগ্রজের মুগ্ধতারই অভিব্যক্তি এবং সংশামুখরতা। তার কবিতা সমাজলগ্ন এবং সুস্থ সমাজচেতনা গড়ায় প্রত্যয়ী। আর তাই তিনি অনায়াশে বলেন ‘স্বৈরাচারী চেয়ার নিয়ে আবারও কয়েকযুগ নিশ্চিন্ত হয়।’ এই নিশ্চিন্ত হওয়ার পেছনের কারিগর হচ্ছে অশ্লীল রাজনীতি, যা জনগণকে ক্রমাগত চেতনাহীন নির্জীব প্রাণীকুলে পরিণত করে রেখেছে। আর তারা দেখে সমুদ্রের জলে পা দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সমুদ্রে মিলিয়ে যাওয়া, দেখে সামান্য বিষয় নিয়ে মানুষগুলোর ‘অমানুষ’ আচরণে ডুবে যাওয়া এবং এসব ঘটে বাস্তবজীবনের অঙ্কগুলো সঠিক চেতনায় জারিত করে উপলব্ধি হীনতার কারণে।
কবির মুকুল প্রদীপ প্রথাকে ভাঙতে চান নতুন সমৃদ্ধি আনার জন্য, এবং পুরানো প্রথাবদ্ধতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নির্মাণচেষ্ট কবিতার নতুন শরীর। কিন্তু প্রথাকে তিনি উপলব্ধি না করে ছুঁড়ে দিতে চান না। তার ক্রিয়া নতুন প্রথা নির্মাণের মধ্যদিয়ে কবিতাকে নতুন সময়ের উপযোগী করা। যাতে পরিবর্তিত সময়ের অভ্যেস রুচি ও চেতনা কাঠামোর নবরূপায়ন সম্ভব হয়। কবির মুকুল প্রদীপ বলেন ‘মৃত্যু-মুহূর্ত পর্যন্ত যে ঘুণে খাওয়া চৌকিটিতে বাবা শুয়ে থাকতেন/আজ ভাঙতে গিয়ে—-পায়া-তক্তার মতো দেখি/ আমিও ঝুরঝুর করে খুলেÑ বর্জের স্তুপে পরিণত হয়ে যাচ্ছি’ মুকুল এ ভাবেই পুরানোকে ভাঙতে গিয়ে তার প্রতি যে মোহ তাকে উসকে দিয়ে নিজ কর্তব্যকে নির্ধারণ করেন ভাঙার প্রত্যয়ে। তিনি নানাভাবে কবিতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার একটা মানসিকতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলছেন যা আমরা গত কতকটা সময় ধরে দেখছি। তিনি লিখছেন ভাষার নতুন অর্থযোজনার প্রয়াস নিয়ে।
যেমন তিনি বলেন ‘কোথা থেকে এক বিমূর্ত করুণ সুর ভেসে আসেÑ মনে হয়/ইটের নিচে চাপা পড়ে গোঙ্াচ্ছে বাদামি ঘাস/সর্বভূক কংক্রিট-ড্রাগন আর ধর্মের শৃগাল গিলে খাচ্ছে বনবাঁদাড়, খাল-বিল-মেধা’ তখন তো স্পষ্টই হয় কবি তার বিষয়কে কীভাবে নির্বাচিত করেন, কেন নির্বাচন করেন, কেন তিনি তাঁর আঁকুতিকে নিছক কল্পনা বিলাসে ভাসিয়ে না দিয়ে গড়ে নিচ্ছেন চেতনার শব্দবলীর মেলবন্ধন; আর শিল্পীর সামাজিক দায়িত্বকে কীভাবে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে সক্রিয় হয়েছেন বর্তমানের কবিতায়।
মুকুলের এটা প্রস্তুতি পর্ব, তার উত্থান পর্বে আমরা আরো সংহত শক্তপোক্ত কবিতা পাবো, পাবো নতুন ভাষা নির্মাণের পঙক্তিমালা, যা দৃশ্যমান অর্থ থেকে নানা অর্থকে দ্যোতিত করবে, কাব্যসুন্দরকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করবে। আমি খুবই আশাবাদী এই তরুণ কবির কাব্যক্ষমতার বর্তমান প্রকাশে। তার জয় হোক।

-মতিন বৈরাগী

অলীক জোছনা

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping