জিয়াউল হক

জিয়াউল হক
জন্ম: ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। কৃষক পিতা– মোঃ নাছির উদ্দীন এবং গৃহিণী মাতা– মোছাঃ জাহানারা বেগম-এর চতুর্থ সন্তান।
জিয়াউল হক-এর লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনী রচনার মধ্য দিয়ে শুরু হলেও পরে নাটক লিখতে আর ভাল লাগেনি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে। এরপর ছন্দ-মাত্রা না শিখেই স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা করেছেন বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রায় বছরখানেক গাইবান্ধা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আড় চোখে দেখা’ শিরোনামে ব্যঙ্গাত্মক ছড়া লিখেছেন নিয়মিত। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ইতোমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় তার জীবন থেকে। তারপর কী করে একদিন হঠাৎ-ই গল্প লিখতে শুরু করেন। শুরুতেই কিছু ছোট গল্প লিখলেও এর মধ্যে দু’টি উপন্যাসও লিখেছেন। কিন্তু প্রথম দিকে লেখায় খুব উৎসাহ থাকলেও প্রকাশের মাধ্যম না পেয়ে লেখায় ভাটা পড়েছিল দীর্ঘদিন। পরে বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যম পেয়ে আবার লেখা শুরু করেন। ২০১৪ সালে শব্দনীড় ব্লগ ‘সৃজনশীল লেখা প্রতিযোগিতা-২০১৪ এর আয়োজন করলে সেখানে তার ছোট গল্প ‘হাজতী’ দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। এর মধ্যে জলছবি বাতায়ন তার ‘বর্ষপুর্তি ও একুশে বইমেলা’২০১৪’ ছাপা সংস্করণে ‘সত্যপীরের গান’ ও বাংলা ‘নববর্ষ -১৪২০’ সংখ্যায় ‘হাজতী’ গল্পটি প্রকাশ করেছে। বর্তমানে তিনি অনুপ্রাণন প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘শিল্প সাহিত্যের ত্রৈমাসিক’-এ নিয়মিতভাবে গল্প লিখে চলেছেন।
তার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘অন্তর্দাহ’। প্রকাশকাল– জাতীয় গ্রন্থমেলা ২০১৭। প্রকাশ করেন ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন।

জিয়াউল হক

Showing all 2 results

Show:
Filter

ধু-ধু বালুচর

Highlights:

ভূমিকা

লেখালেখি আমার কোনো পেশা নয়, এমন কি নেশাও নয়। তাহলে লিখি কেন? আসলে এখনও পর্যন্ত আমি একজন জীবিত মানুষ। এই সমাজ-সংসারের আরও দশ জন মানুষের একজন। তাদের মতো আমারও ক্ষুধা-তৃষ্ণা আছে। সুখ-দুঃখ আছে। হাসি-কান্না আছে। তাদের মতো আমারও কিছু বলার আছে। তাই কিছু বলতে চাই আমি। যেহেতু আমার অদৃষ্ট আমাকে নির্ধারণ করে দিয়েছে যে, আমি একজন গল্প লিখিয়েই হবো, তাই আমার বলতে চাওয়া কথাগুলো হবে কিছুটা গল্পের মতো। কিন্তু এই গল্প কাকে বলবো? নিশ্চয়ই আমার চার পাশের আর দশ জনকেই বলতে হবে কথাগুলো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি কোনো নেতা নই, কোনো বক্তা নই। শব্দ যন্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে গেলে আমার কথা কেউ শুনবে না। কারণ, আমি নিতান্তই নিরীহদের একজন। তাই কাগজ-কলমই আমার সম্বল। সুতরাং কোনো শব্দযন্ত্র ছাড়াই বলতে হবে নীরবে। কিন্তু তবু আমাকে বলতে হবে, যা আমি বলতে চাই। বলতে না পরলে হয়তো দম বন্ধ হয়ে আমি মারা যাবো। হয়তো কান দিয়ে শুনতে পাবেন না কথাগুলো, তবে চোখের আলোয় পড়তে পারবেন কাগজে মুদ্রিত কালো অক্ষরে।

জিয়াউল হক
গাইবান্ধা।

ধু-ধু বালুচর

অন্তর্দাহ

Highlights:

মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।

অন্তর্দাহ

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping