জ্যোতির্ময় মানিক

জ্যোতির্ময় সরকার। জ্যোতির্ময় মানিক নামে লেখালেখি।
জন্মঃ- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ডাকখলা গ্রামে- এক মধ্যবিত্ত হিন্দু পরিবারে দোসরা জুন ১৯৬৭ সালে।
পিতাঃঅতুল চন্দ্র সরকার মাতাঃমিনতি রানী সরকার।পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে- তৃতীয় পান্ডব।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বরকোটা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা।আর সেই বিদ্যালয় থেকেই ১৯৮২ সালে এস,এস,সিপ্ল।পরে হাসান পুর শহীদ নজরুল কলেজ থেকে এইচ,এস,সি(১৯৮৪)।
তারপর উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে নারায়ণগঞ্জ আগমন। দু’ একটা টিউশনি ও লজিং করে এগিয়ে যাওয়া!বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ঘুরে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ১৯৮৮ সালে অংকে অনার্স ভর্তি।কিছু দিন পর লেখাপড়া স্থগিত।পরে ১৯৯৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি,এ(পাশ) ডিগ্রি লাভ।
মাস্টার ডিগ্রি ও এল,এল,বি ভর্তি ও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা!কিন্তু ব্যর্থ!
জীবন ও জীবিকাঃপ্রাইভেট টিউশনি আর লজিং করে-নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস।পরে মেস জীবন।মাঝে পাইনিয়ার ফার্মাসিটিক্যাসে চাকুরী নিয়ে- বরিশালের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিচরণ!
কিন্তু যৌবনের সবটুকু সোনালী রোদ্দুরটাই গায়ে মেখেছি, এই শহরে।প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য জোটে- আব্দুল রহমান ভাইয়ের সাথে পরিচয়।সেই সাহিত্য সভায় যাঁদের সেদিন পেয়েছিলাম- ফয়েজ ভাই,চঞ্চল মেহামুদ কাশেম,জালাল উদ্দিন নলূয়া,আমজাদ ভাই আরো অনেকে।সেই সভার সূত্রে ধরেই অকসাৎ পরিচয় কবি দীপক ভৌমিকের সাথে।যে আমার জীবনে ইন্দ্রনাথের ভূমিকাই অবতীর্ণ হয়েছিলো। হয়তো সেই জন্যেই নিজের কথা ভুলে গিয়ে-পৃথিবীর কথা ভাবতে শিখলাম।পেলাম- নারায়ণ গঞ্জের মণি মুক্তোদের।যাঁরা সুন্দর নিয়ে খেলা করে! ফুল ফুটায়!
নেতা- নেত্রী, কবি সাহিত্যিক,ডাক্তার সাংবাদিক,শিল্পপতি- সকলের সাথে গড়ে উঠেছিলো- আত্মিক আত্মীয়তা! যাঁরা আজো বর্তমান।১৯৮৪-২০০২ এই দীর্ঘকাল ব্যাপি আমার হৃদয় জুড়ে ছিলো! এই শহর ও তার সন্তানেরা!আজো তাঁরা আছে বর্তমান!সেই পথ চলতে গিয়েই- অঙ্গিকার,উন্মেষ এবং প্রগতি সাহিত্য পরিষদ গঠন।সেখানে পরিচয়- সাংবাদিক,লেখক ও কবি- নাফিজ আশরাফের সাথে।আর তাঁর উৎসাহ ও প্রেরণায়- প্রথম গল্প- “লাশ ঘরে” যা লিটল ম্যাগে তিনিই বের করেছিলেন।এমনি করেই দেখলাম একদিন- এই শহরটা ও মানুষগুলো আমার হয়ে গেলো।আর আমাদের সকলেরই কফি হাউজ হয়ে গেলো”বোস কেবিন”।যেখানে সকালে- সন্ধ্যায় ছুটে আসে- এই শহরেরই প্রাণভোমরাগণ!আর এরই মধ্যদিয়ে চলে- জীবন সংগ্রাম আর বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ,মঞ্চাভিনয়, নির্দেশনা,কোরাস আর মানুষ গড়ার কাজ।চলে- লেখা- লেখি ও জীবন সংগ্রাম।আর-সুন্দরের সাহচর্যে থেকে সুস্থ সমাজ গঠনের লড়াই!

প্রকাশিত বইঃ
তোমাকে দেখার চোখ(বইমেলা’৯৮) এ মন তোমায় খুঁজে, (বইমেলা-২০০০)
বর্তমানে কলকাতা- বারাসাতে বসবাস।

জ্যোতির্ময় মানিক

Showing the single result

Show:
Filter

৭১ এর এক সন্ধ্যায়

Highlights:

ভূমিকা-

১৯৭১সাল। তখন আমি খুবই ছোট।চারিদিকে অবিরাম গুলাগুলির শব্দ।নারকেল গাছের মাথা ছুঁয়ে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধ বিমান।বড়দের কাছে শুনেছি- শেখসাবকে বন্ধি করে পাকিস্তান নিয়ে গেছে।শান্তি প্রিয় বাঙ্গালিরা সেদিন- যতটাই না হয়েছিলো আতঙ্কিত!ততবেশিই হয়েছিলো ক্ষুব্ধ এবং অপ্রতিরোধ্য। চাপা ক্ষোভে ছিলো দাবানলের তীব্রতা।

মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসছে- অগ্নি সংযোগ,ধর্ষণ লুন্ঠন  আর বিবর্ষ অত্যাচারের গন্ধ।আর রক্তহিম করা মানুষের করুণ  চিৎকার! । চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়- অসহায় মানুষের অসহায় হাহাকার! শক্ত মনেও ধরেছিলো,মাঘের কাঁপুনি। মানসিকভাবে অনেকেরই ভেঙে পড়েছিলো সেদিন।মান আর প্রাণ বাঁচাতে  লক্ষ লক্ষ মানুষ,বাধ্য হয়েছিলো,দেশ ছাড়তে।কারণ সেদিন দেশের কিছু সংখ্যক  মানুষ, দেশের সাথে এবং দেশের মানুষের সাথে বেইমানি করেছিলো।তারা বিশেষ এক সম্প্রদায়কে টার্গেট করে,চালাছিলো-তাদের অপারেশন ব্লু-প্রিন্ট।

সেদিনের আতঙ্কগ্রস্থ দিনগুলোর ঘটানারই একটা সরল চিত্র, এই লেখার উপকরণ। যা আমারই চোখের সামনে ঘটেছে।সেদিন যেমনটা দেখেছিলাম- তেমনটাই বলার চেষ্টাই-এই লেখার প্রেক্ষাপট।বিবেকের তাড়নাই- আমাকে এই লেখা লিখতে প্উৎসাহ যোগিয়েছে।

আজ যাদের অনুপ্রেরণা আর আত্মিক প্রচেষ্টায় এই লেখাটা আলোর মুখ দেখতে প্রয়াস পেয়েছে! তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।আর তারা হলেন- আমারই অতি প্রিয় বোন লিনা ফেরদৌস।আরো আছেন- মনির ভাই।যাঁরা আমাকে উৎসাহ ও সাহস যোগিয়ে এগিয়ে আসতে অনুপ্রানিত করেছেন।পরিচয় করিয়েছেন-অনুপ্রাননের কর্ণধার  আবু,ম ইউনুস ভাইয়ের সাথে।তাঁর  কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।আজ তাঁর আত্মিক উৎসাহেই আমার লেখা জীবন পেলো।

আরো অনেকের কাছেই আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।যারা সর্বদা আমার পাশে থেকেছেন,সাহস যোগিছেন।ভরসা দিয়েছেন।তারা যে আমার কতটা আত্মীয়! এবং আপনার আর আপন জন! প্রকাশের ভাষা নেই।সকলকেই আমি কৃতজ্ঞ  চিত্তে স্বরণ করছি।এই লেখা কারো মনে একটুও দাগ ফেলতে পারলেই- মনে করবো,আমার লেখা কিছুটা হলেও সার্থক  হয়েছে।পরিশেষে সকল পাঠকদের প্রতি থাকলো- আমার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা।

— লেখক

৭১ এর এক সন্ধ্যায়

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping