ড. আবেদা আফরোজা

ড. আবেদা আফরোজা ১৯৫৮ সালের ১২ই নভেম্বর পাবনা জেলার খয়েরসুতি নামক গ্রামে তার নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. ইয়ার আলী সেখ এবং মা মোসা. রিজিয়া খাতুন। তার শৈশবকাল কেটেছে এই গ্রামেরই নির্জন পরিবেশে–একদিকে আম, জাম. কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, বরই আর তাল-তমালের ছায়ায়, অন্যদিকে নানী-খালা আর মামা-মামীর স্নেহচ্ছায়ায়। তখন তার প্রতি দিবসের শৈশবের অবিচ্ছেদ্য রুটিন ছিল গাছে-চড়া, মাছ-ধরা, পাখির বাসা খোঁজা, কুতকুত-গোল্লাছুট- দাঁড়িয়াবান্ধা-রুমালচোর খেলা আর একাকি বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো। খয়েরসুতি জুনিয়র হাইস্কুলে তার আনুষ্ঠানিক পড়ালেখার সূচনা। সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করেন পাবনা জেলার উপকণ্ঠে অবস্থিত চকপৈলানপুর (নয়নামতি) নামক গ্রামে, তার দাদাবাড়িতে। অতঃপর পাবনা আদর্শ গার্লস হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি (১৯৭২), পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড মহাবিদ্যালয় থেকে এইচ.এস.সি (১৯৭৪) ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স (১৯৭৭) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এম.ফিল (১৯৮৮) এবং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আই.বি.এস), থেকে পি.এইচ.ডি (১৯৯৫) ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি পাবনার আতাইকুলা-মাধপুর আমেনা খাতুন মহাবিদ্যালয, পাবনা ক্যাডেট কলেজ (খণ্ডকালীন) ও বেরুয়ান মহিলা কলেজে অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা-যোগাযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগে সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ইতঃপূর্বে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মহিলা-রচিত উপন্যাসে বিষয়-বৈচিত্র্য ও জীবন-চিন্তা: ১৯৪৭-৮৭ নামক পি-এইচ.ডি গবেষণা– অভিসন্দর্ভটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েেেছ। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের পত্র-পত্রিকায় তাঁর অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

ড. আবেদা আফরোজা

Showing the single result

Show:
Filter

রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী

Highlights:

রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী বিষয়ক গ্রন্থটি একটি এম.ফিল গবেষণা-অভিসন্দর্ভ। ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে যার ডিগ্রি অর্জিত হয়। অর্থাৎ প্রায় একত্রিশ বছর আগে এর রচনাকাল। এটা অবিসংবাদিত যে, রবীন্দ্রনাথই বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার। তাঁর পঁচানব্বইটি গল্প-সংকলনের নাম গল্পগুচ্ছ। সমগ্র গল্পগুচ্ছ এক বিশাল চরিত্রশালার অন্তঃরাজ্য। গল্পগুলো তাঁর অন্যান্য রচনাবলি থেকে ব্যতিক্রম এজন্যে যে, এখানে আছে ‘মাটির কাছাকাছি’ মানুষের জীবন-যাপন। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত Ñ এসব সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যা, সামাজিক সমস্যা, রাষ্ট্রীয় সংঘাত, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, রক্ষণশীলতার সঙ্গে প্রগতিশীলতার সংঘর্ষ, এমনকি সমাজের পতিত নারীর জীবন-চিত্রণও এখানে বাদ যায় নি। ‘শাস্তি’-র দুখি-ছিদাম-রাধা-চন্দরা বা ‘সমাপ্তি’-র মৃন্ময়ী, ‘দিদি’ গল্পের দিদি অথবা ‘বিচারক’-এর রক্ষিতা ক্ষিরোদাকে রবীন্দ্র-সাহিত্যের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। তবে এটা ঠিক যে, গল্পগুচ্ছে আছে নারী-চরিত্রের প্রাধান্য। পুরুষ-চরিত্রের চেয়ে নারীচরিত্রগুলো অনেক বেশি উজ্জ্বল, অনেক বেশি শক্তিশালী ও জীবনঘনিষ্ঠ। ক্ষেত্র-বিশেষে নারীচরিত্রগুলো উপন্যাসের নারীচরিত্রের চেয়েও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ ও ব্যঞ্জনাময়। ‘হৈমন্তী’ গল্পের হৈমন্তী, ‘স্ত্রীর পত্র’-এর মৃণাল, ‘নষ্টনীড়’-এর চারুলতা, ‘পয়লা নম্বর’-এর অনিলা, ‘রবিবার’-এর বিভা এবং ‘ল্যাবরেটরি’-র সোহিনী একেকটি যুগের একেকটি স্মারক। অভিসন্দর্ভটিতে সমকালীন জীবন ও সমাজকে যেমন বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তেমনি চরিত্রগুলোকেও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করা যায়, পাঠক এবং গবেষক উভয়েই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping