পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার পিতৃভূমি চরণদ্বীপ গ্রাম, বোয়ালখালী উপজেলা, জেলা-চট্টগ্রাম। বাবা সুরেশ চন্দ্র বড়ুয়া, মা পাখি রানি বড়ুয়া। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ছোটবেলা হতেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। খেলাঘরের সাহিত্য বাসরে ছড়া দিয়ে সূচনা। বজকাল তিনি দুহাতে লিখছেন ছড়া,কবিতা,প্রবন্ধ, ছোটগল্প।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে প্রজ্ঞা-প্রসূন, সৃজনশস্যে বঙ্গবন্ধু, চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধু, কল্পকুসুম, ১০০ কবিতা, জনকের অমৃত জীবন, ঘুমের মধ্যে লীলা আসে উল্লেখযোগ্য।
তিনি লেখালেখির জন্যে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি ২০০৯ সালে সেলিব্রেটিং লাইফ প্রতিযোগিতায় বাংলা গীতিকবিতায় অন্যতম বিজয়ী। চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিং প্রকাশনার তিনি গ্রন্থিত ছড়াকার ও অন্যতম সম্পাদক।

পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

Showing all 2 results

Show:
Filter

শেকড়ের রবীন্দ্রনাথ ও বিবিধ – পীযুষ কান্তি বড়ুয়া

Highlights:

সময়ের চেয়ে বড় ও অনপেক্ষ সমালোচক পৃথিবীতে বিরল। যে কোন ব্যক্তি বা ঘটনাকে বর্তমানে বসে অবলোকনের চেয়ে কালান্তরে পর্যালোচনার প্রয়াসই উত্তম ও নির্মোহ। ঊনবিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া রবীন্দ্রনাথকে একবিংশ শতাব্দীতে এসে পর্যালোচনা করলে যে নিরপেক্ষ নির্যাস পাওয়া যায় তাই-ই হলো সত্যিকারের রবীন্দ্্রনাথ। এর মাঝেই নিহিত আছে রবীন্দ্র-মাধুর্যের প্রকৃত পরিচয়। বাঙালির বাতিঘর রবীন্দ্রনাথের বড় পরিচয় কবি হিসেবে নয়, বরং দার্শনিক হিসেবে। রবীন্দ্রবাক্য সহজ বটে তবু অতল গভীর। রবীন্দ্রনাথের চর্মচক্ষুর চেয়ে অন্তর্চক্ষুর দার্শনিক ব্যাপ্তি অনেক বেশি। ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ কালের আলোয় আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ একজন কালের শিক্ষক। তাঁর সমবায় কৃষি এবং কৃষিব্যাংকের ভাবনা এনে দিয়েছে ব্রাত্যজনের মাঝে প্রগতির প্রবাহ। হাজারো বিরুদ্ধ-স্রোত ঠেলে রবীন্দ্রনাথ মনুষ্যত্বের জয়গান গেয়ে গেছেন জীবনের পথে। ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির সুকর্মকে প্রাধান্য দিয়েই রবীন্দ্রনাথ ‘সোনার তরী’র স্বপ্ন দেখেছেন। কর্মের ফসলেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন মানবজীবনের সার্থকতা।

SHEKARER RABINDRANATH O BIBIDHO - Pijush Kanti Barua

মননশস্যে নজরুল- পীযুষ কান্তি বড়ুয়া

Highlights:

নজরুল চির বিরহী, চির বিস্ময়। অভিমানভরে চিরতরে দূরে যাওয়া নজরুল আবির্ভাবে ধূমকেতু কিন্তু আচরণে ঝঞ্ঝা। কখনো মুয়াজ্জিন, কখনো মক্তবের শিক্ষক। কখনো লেটোর ব্যাঙাচি, কখনো ওয়াহেদ বক্সের দোকানে রুটির কারিগর। নজরুল যেন এক অতৃপ্ত পরিযায়ী প্রাণ । কখনো বুলবুলশোকে সিক্ত, কখনো ফজিলাতুননেসায় রিক্ত।
অজয় পাড়ের নজর আলী গোমতীর তীরে বাজায় বাঁশি, নার্গিসকে বঞ্চিত করে আশালতায় আনে হাসি। তবুও সে যেন বাঁধনহারা, বুক ভরা তার রিক্তের বেদন, ঝর্ণার খরধারা। রানুর কণ্ঠে ঢালে সুর; নিজে নিরন্তর নিপাত করে অসুর। সে বাজায় অগ্নিবীণা, আগুন জ্বালে আগুন বিনা। সে গায় ভাঙার গান, অর্ঘ্য তার ব্যথার দান।
মানুষ নজরুল সংবেদী, কবি নজরুল সংহারী। জাহেদা মায়ের নজরুল অবুঝ, দেশ মায়ের নজরুল চির সবুজ। প্রেমিক নজরুল দুর্মর আর আড্ডার নজরুল উদ্দাম। নজরুল যেমন যোদ্ধা, নজরুল তেমনি বোদ্ধাও বটে। রণক্ষেত্রে নজরুল হাবিলদার, কলাক্ষেত্রে সে সুন্দরের অপ্রতিম দ্বার। নজরুল কীটস্-রবীন্দ্রনাথে মজে থাকলেও মজিয়ে তুলেছেন স্বয়ং বঙ্গবন্ধু ও বাঙালিকে তাঁর ‘জয় বাংলা’ দিয়ে। নজরুল শোষিতের যীশু, যাকে মহান করে দারিদ্র্য; নজরুল চির শিশু যার সারল্য নিñিদ্র।
‘অগ্নিবীণা’র শতবর্ষে এসে নজরুল আজও আরাধ্য, আজও আস্বাদ্য। নজরুল-তপস্যায় মগ্ন থেকে নজরুলের মননশস্য হতে অমৃত-নির্যাসের আকাক্সক্ষায় নিরন্তর হোক আমাদের নজরুল চর্চা। চিরজীবী নজরুলে অনিরুদ্ধ হয়ে উঠুক সুন্দরের আরাধনা।

Mononshosye Nazrul By Pijush Kanti Barua

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping