ফারহানা আকতার

লেখক পরিচিতি: ‘ফারহানা আকতার খাঁন (বীথি)’-এর জন্ম ১১ এপ্রিল, ১৯৭৭। শিশুকাল কেটেছে তাঁর নিজগ্রামের নানাবাড়িতে। তাঁর নানাবাড়ি (চেয়ারম্যান বাড়ি) ছিল বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার নাগেরপাড়া গ্রামে। বাবা সরকারি চাকুরীজীবী হওয়ার কারণে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ক্যান্টনমেন্টে।

শিক্ষা: স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ে তিনি একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি উভয় পর্যায়ে বোর্ড স্কলারশিপসহ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং স্কুলজীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পর্যন্ত সরকারি স্কলারশিপসহ ফুল-ফ্রি স্টুডেন্টশিপে পড়াশোনা করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মার্কেটিং স্টাডিজ ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস’Ñবিষয়ে বিবিএ (অনার্স) এবং একই বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।

পেশা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ (অনার্স) ও এমবিএ ডিগ্রি লাভের পর ২০০৬ সাল থেকে আজ ১২ বছর যাবত তিনি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত রয়েছেন। ‘ফারহানা আকতার’ বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ও আর্মি ইন্সিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্টেশন (এআইবিএ)-এ ‘সহকারী অধ্যাপক এবং রেগুলার পরীক্ষক’ হিসেবে শিক্ষকতা করছেন এবং এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি’ হিসেবেও কাজ করছেন। এর পূর্বে তিনি অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি ও গণবিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন লিডিং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতা করেছেন। ‘প্রোগ্রাম অ্যাংকরিং অ্যান্ড নিউজ প্রেজেনটেশন’ কোর্সের ওপরNational Institute of Mass Communication (NIMCO) থেকে ও তিনি সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তিনি Chittagong University Batch-31st Club Ltd., University Grants Commission (UGC)-Library, Bangla Academy-এর Life-time Member. গবেষণার কাজে তিনি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। International Business, Business Policy & Strategy, Corporate Governance Management System, Bicameral Legislature Parliamentary System and Re-formation the Higher Education System in Bangladesh-ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর গবেষণার আগ্রহ রয়েছে। অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের বিজনেস স্টাডিজের স্টুডেন্ট ও অ্যাক্সিকিউটিভদের (e.g.BBA, MBA, BBS, MBS, CA, ICMA Students) জন্য তাঁর নিজের লিখা যে টেক্সট বুকগুলো সম্পাদনা ও প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-1. Human Resource Management (An Introductory Discussion), 2. International Business Management, 3. Brand Management & 4. Introduction To Finance. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিজেকে একজন দক্ষ ও যোগ্য একাডেমিসিয়ান হিসেবেও তাঁর ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে অ্যাকটিভ মেম্বার ও চেয়ারপারসন, বিভাগীয় একাডেমিক জার্নালের সহকারী এডিটর, বিভাগীয় প্রধান এবং অ্যাকটিং ডিনের দায়িত্ব পালনসহ তাঁর পঠিত বিষয়ের ওপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেমিনার পেপার প্রজেন্টেশন করেছেন এবং করছেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর পঠিত বিষয়ের ওপর একক লেখক হিসেবে তাঁর বেশ কয়েকটি পাবলিকেশনস্ রয়েছে।

ফারহানা আকতার

Showing all 2 results

Show:
Filter

সুপ্রিয় দিনলিপি ( দ্বিতীয় খণ্ড)

Highlights:

ভূমিকা

মূলত: ‘সুপ্রিয় দিনলিপি’ শিরোনামে আমার এই লেখাগুলো যে শুধুমাত্র দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, লেখাগুলো যে আসলেই মান-সম্পন্ন, পরিশীলিত এবং এতে যে সামগ্রিকভাবে একটি স্পষ্ট বক্তব্য বা ম্যাসেজ বিদ্যমান থাকে এবং তা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতেও প্রকাশিতও হচ্ছে- এই সামগ্রিক ব্যাপারটি আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি বহু বছর পরে, ১৯৯৮ সালের দিকে যখন ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’ এ আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। তখন আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর বিবিএ (অনার্স) এর শিক্ষার্থী। এরপর জীবনের বিভিন্ন সময়ে সাহিত্য, ছোট-গল্প, বিভিন্ন ন্যাশনাল ইস্যু, উপন্যাসের সমালোচনা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয়াবলীর ওপর আমার আর্টিক্যাল ও কলামগুলো একে একে দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক আজাদী ইত্যাদি জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হতে থাকে। দ্যাট মীনস্ সিরিয়াসলি কাউন্ট করলে আমার লেখালেখির বয়স হচ্ছে বিশ (২০) বছর। কিন্তু যেহেতু আমি প্রফেশনাল রাইটার নই, তাই আমার লেখাগুলো প্রকাশিত হয় অনিয়মিতভাবে এবং সংখ্যায় খুবই কম। ‘সুপ্রিয় দিনলিপি’ শিরোনামে এখনো আমি ক্লান্তিহীনভাবে লিখে যাচ্ছি। এই পর্যন্ত আমার সেইসব লেখা সর্বমোট ১৯টি ডায়রীতে এসে দাঁড়িয়েছে। সেখান থেকে বাছাইকৃত কিছু লেখার ‘পরিবর্ধন -পরিমার্জিত’ রূপ নিয়েই রচিত ‘সুপ্রিয় দিনলিপি (দ্বিতীয় খণ্ড)’ পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করার নিমিত্তে। গ্রন্থটিকে রূপক অর্থে মূলতঃ ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ’ও বলা যায়। এই গ্রন্থটিতে প্রধানত যে সময়কালের ঘটনাবলী বিশ্লেষনাত্মকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেই সময়কাল হচ্ছে- ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল। অদূর ভবিষ্যতে ক্রমান্বয়ে ‘সুপ্রিয় দিনলিপি’ এর- তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম খণ্ডে পরবর্তী সময়কালের ঘটনাবলী বিশ্লেষণাত্মকভাবে তুলে ধরা হবে এবং একটা পর্যায়ে এর ইংলিশ ভার্সনও বের করা হবে- এইরকম একটি প্লান আমার রয়েছে।

আমি মনে করি,
“সময়ের সাথে সাথে নিজের মন ও মেধাকে আপডেটেড রেখে ধর্মীয় কুসংস্কার, বিজাতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য ও দৌরাত্ম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পারস্পারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মেধার অবমূল্যায়ন, শিক্ষা-ব্যবস্থার ভগ্নদশা, শিক্ষকদের অবমূল্যায়নসহ সামাজিক আরও নানা অসঙ্গতি, দুর্নীতি পরিহার করে বাংলাদেশের যে নিজস্ব একটি আদর্শ, ঐতিহ্য, ইতিহাস, কৃষ্টি-কালচার, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, রাজনৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে- সামগ্রিকভাবে তার অনুশীলন করা- বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ১৯৭১ সালে সবাই সময়ের প্রয়োজনে যুদ্ধ করেছিল, তখন যুদ্ধ করে দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ‘স্বাধীন’ করাই ছিলো তখনকার সময়ের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। আর এখন আকাশ-সংস্কৃতির এই আগ্রাসনের যুগে অর্থাৎ এই সময়ের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন হচ্ছেÑ ‘আলোকিত এবং একই সঙ্গে মানবিক, দেশপ্রেমিক, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন , অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, আধুনিক মানুষ ও চাই, যাতে করে একটি উন্নত ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যেÑ আমরা বাংলাদেশের সকল মানুষ একসঙ্গে কাজ করতে পারি ঠিক সেই মুক্তিযুদ্ধের মতো।
অর্থাৎ বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি আত্মনির্ভরশীল, সংস্কারমুক্ত, স্বশিক্ষিত, মেধাবী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে হলে- আমাদের সকলকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং যেখানে আমাদের মূল অস্ত্র হবেÑ আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও অন্যান্য সকল জাতীয় অর্জন এবং একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ! ‘আলোকিত মানুষ চাই এবং একই সঙ্গে মানবিক, দেশপ্রেমিক, নৈতিকমূল্যবোধসম্পন্ন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, আধুনিক মানুষও চাই’- মূলত এটাই হওয়া উচিত আধুনিক বাংলাদেশ এর শ্লোগান’।
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর উপকার করতে চাইলেও করা যায় না, তার চেয়ে বরং আমরা যা করতে পারি তাই যদি করি তাহলে আপনা-আপনি পৃথিবীর উপকার হয়ে যায়’।
মূলত: পাঠকের ভালো লাগা এবং ভালোবাসাই হচ্ছে লেখকের প্রত্যাশা পূরণ। আশা করি, আপনারা কখনো আমাকে এবং আমার লেখাকে সেই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করবেন না। আমি মূলত প্রফেশনাল রাইটার নই। আমার মূল পেশা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা’ আর নেশাÑ ‘লেখালেখি করা’। ‘পেশা’য় জড়িত না থাকলে আমার এ পৃথিবীতে জীবন-ধারণ ও অস্তিত্ব রক্ষাই দুরূহ হয়ে উঠবে কিন্তু ‘নেশা’টা আমার মাঝে-মধ্যে করলেও চলবে। ‘শিক্ষকতা’ পেশায় ব্যস্ত থাকার কারণে, এই গ্রন্থটির প্রতি হয়তবা পরিপূর্ণ মনোনিবেশ ঘটাতে পারিনি। ‘সুপ্রিয় দিনলিপি (প্রথম খণ্ড) অথবা সুপ্রিয় দিনলিপি (দ্বিতীয় খণ্ড)’ এর কোথাও যদি পাঠকেরা অতৃপ্তি কিংবা অসম্পূর্ণ ফিল করেন, তাহলে তাদের কাছে অনুরোধ- ‘আপনারা রেগুলারলি ‘সুপ্রিয় দিনলিপি’-এর পরবর্তী খণ্ডগুলো সংগ্রহ করবেন’। আশা করি, তাহলে আর কোনো অতৃপ্তিবোধ থাকবে না। উল্লেখ্য, সুপ্রিয় দিনলিপি (দ্বিতীয় খণ্ড) -এর পাঠকগণ ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন’ থেকেই ‘সুপ্রিয় দিনলিপি (প্রথম খণ্ড)’-বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
‘সুপ্রিয় দিনলিপি’ গ্রন্থটি প্রকাশের ব্যাপারে আমাকে বাংলাদেশের যে দু’জন স্বনামধন্য সাংবাদিক সবসময় সহযোগীতা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন, তারা হচ্ছেনÑ ১. সাংবাদিক ‘সালিম সামাদ’ (বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক) যিনি ‘দি ডেইলী আওয়ার টাইমস্’ সহ আরও বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে এ কাজ করছেন এবং তিনি ২০০৫ সালে প্রেসটিজিয়াস ঐবষষসধহ-ঐধসসবঃঃ অধিৎফ অর্জন করেন এবং একসময় ‘ইন্ডিয়া টু ডে’, ‘বাংলাদেশ অবজাভার’, ‘বিবিসি’সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ঈড়ৎৎবংঢ়ড়হফবহঃ ধহফ জবঢ়ড়ৎঃবৎ হিসেবে কাজ করেছেন এবং ২. সাংবাদিক ‘রাশেদ রউফ’ যিনি বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় দৈনিক ‘দৈনিক আজাদী’র সহযোগী-সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য শিশু-সাহিত্যিক এবং কবি। তিনি ২০১৬ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন।
এ গ্রন্থটির প্রচ্ছদ নির্বাচন করেছেনÑ সাংবাদিক, কবি ও শিশু সাহিত্যিক ‘রাশেদ রউফ’ এবং গ্রন্থটি প্রকাশনা করেছেন ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন’। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে সাংবাদিক ‘সালিম সামাদ’, ‘রাশেদ রউফ’ এবং ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন’ এর কর্ণধারসহ সকল কলাকুশলীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ফারহানা আকতার
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
১৫ জানুয়ারি ২০২০

Suprio Dinlipi, Part-2

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping