মামুন মুস্তাফা

মামুন মুস্তাফা, জন্ম ৩ জুলাই, ১৯৭১, বাগেরহাট।

অধ্যাপক পিতা মুহম্মদ গোলাম রসূল ও মা হামিদা রসূলের দুই সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ মামুন মুস্তাফার পৈতৃক নিবাস মাগুরা জেলায়। তাঁর পিতৃ-প্রদত্ত নাম মুস্তাফা কালিমুল্লাহ আল মামুন। নব্বই দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি ও গদ্য লেখক হিশেবে মামুন মুস্তাফা ছোট কাগজ ও দৈনিকের সাহিত্যপাতায় কবিতা ও গদ্য নিয়মিতভাবে লিখে চলেছেন। অন্তর্মুখীন বিরলপ্রজ এই কবি বৃহদার্থে রোমান্টিক ও সংবেদনশীল। প্রকৃতি, প্রণয় ও আবেগের সাথে অবিভাজ্য কালবোধ ও নস্টালজিয়া প্রধান হয়ে উঠেছে তাঁর কবিতায়। অন্যদিকে কবিতাবিষয়ক গদ্য রচনায় সিদ্ধি অর্জনের পথে মামুন মুস্তাফা কবিতার পরতকথাকে চিকিৎসার নতুন আলোয় তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রয়াসী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিএসএস (অনার্স)সহ স্নাতকোত্তর। স্ত্রী ও দুই সন্তানের জনক মামুন মুস্তাফা বর্তমানে একটি দৈনিকের সহকারি সম্পাদক হিশেবে কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থ:
কবিতা: সাবিত্রীর জানালা খোলা (১৯৯৮), কুহকের প্রত্নলিপি (২০০১ ও ২০০৯), আদর্শলিপি: পুনর্লিখন (২০০৭), এ আলোআঁধার আমার (২০০৮ ও ২০১৪, কলকাতা সংস্করণ), পিপাসার জলসত্র (২০১০), শিখাসীমন্তিনী (২০১২), একাত্তরের এলিজি (২০১৩), শনিবার ও হাওয়া ঘুড়ি (২০১৫), ব্যক্তিগত মেঘ ও স্মৃতির জলসত্র (কলকাতা, ২০১৭), কফিনকাব্য (২০১৮), নির্বাচিত কবিতার সংকলন দশ দশমী (২০২০) এবং শায়কচিহ্ন (২০২১, অনুকাব্য)।

প্রবন্ধ: এই বদ্বীপের কবিতাকৃতি (২০০৯), মননের লেখমালা (২০১২), অন্য আলোর রেখা (২০১৬) এবং বাংলা কবিতা : আধুনিকতার অনুসৃতি (২০২২)।

সম্মাননা: চিহ্নসম্মাননা এবং শেরপুর সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক কবিতায় সাহিত্য সম্মাননা ।

ই-মেইলঃ mmustafa72@gmail.com

মামুন মুস্তাফা

Showing the single result

Show:
Filter

আবুবকর সিদ্দিক- সমগ্রতার চিরন্তনী- মামুন মুস্তাফা

Highlights:

’৫০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা ‘সমকাল’ কবিতা পত্রিকাকে কেন্দ্র করে বাংলা কবিতার ক্ষেত্র নির্মাণে যে গুটিকয়েক মননশীল কবি সফল হয়েছিলেন তাঁদেরই অন্যতম কবি আবুবকর সিদ্দিক (জ. ১৯৩৪)। এই ’৫০-এর দশকে ছাত্রাবস্থায় আবুবকর সিদ্দিক যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রথমত কবিতা ও ছোটগল্পের ভেতর দিয়ে। প্রায় সত্তুর বছরেরও অধিক সময় ধরে সাহিত্য সাধনায় নিয়োজিত আবুবকর সিদ্দিক প্রধানত কবি, তারপরে কথাসাহিত্যিক; লিখেছেন মননশীল প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা। অন্যদিকে গণসঙ্গীত তাঁর স্বাতন্ত্রিক পরিচয়ের এক ব্যতিক্রম মাধ্যম। সুতরাং বিচিত্র ধারায় তাঁর লেখনীশক্তি আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ।
ব্যক্তিগত ভাবে এই মানুষটিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি ছেলেবেলা থেকে। প্রথম জীবনে বর্তমান বাগেরহাটের সরকারি প্রফুল্লচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিশেবে যোগ দেন। কিন্তু জন্মসূত্রে তিনি বাগেরহাটের মানুষ। গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের বৈটপুরে। ফলে যখনই বাগেরহাটে আসতেন, প্রায়ই সময় আমাদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতেন। সেই থেকে বুঝেছি তিনি আমাদের পারিবারিক বন্ধু।
আবুবকর সিদ্দিক বহুপ্রজ নন, বিরলপ্রজ। যা লিখেছেন, তাই এপিক। কী কবিতা, কী কথাসাহিত্য! তারই নিদর্শন হিশেবে আমার দেখতে পাই, সেই ষাটের দশকে তিরিশের পঞ্চপা-ব হিশেবে খ্যাত কবি বিষ্ণু দে তাঁর সংবাদ মূলত কাব্য কবিতাগ্রন্থটি আবুবকর সিদ্দিককে উৎসর্গ করলেন, সঙ্গে শামসুর রাহমান। আমাদের কাব্যযাত্রার এ এক অনন্য অধ্যায় বললে অত্যুক্তি হবে না।
আবুবকর সিদ্দিক, আপাদমস্তক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটির সাহিত্যকৃতির বোধ ও বোধিকে ছুঁয়ে দেখার সক্ষমতা তৈরি হয়নি এই পাঠককুলের। আবার তিনি নিজেকে বাজারচলতি করেননি কখনো। সে স্পর্ধাও নেই আজকের মিডিয়াবাজদের। আর তাই কাছ থেকে দেখা এই অনন্য কবি ও কথাকার আবুবকর সিদ্দিককে আজকের পাঠকের কাছে তুলে ধরতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। বিভিন্ন সময়ে আবুবকর সিদ্দিকের কবিতা, কথাসাহিত্য ও গদ্য প্রসঙ্গে আমার যে যৎকিঞ্চিৎ প্রচেষ্টা ছিল, তারই সারবত্তা এই গ্রন্থ ‘আবুবকর সিদ্দিক সমগ্রতার চিরন্তনী’। এর মাধ্যমে আগামীর পাঠক নতুন ভাবে কবি ও কথাকার আবুবকর সিদ্দিককে আবিষ্কার করবেন বলে আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে গণসঙ্গীতেরও তিনি যে দিকপাল, তা পাঠক নতুন করে জানবেন এবং বুঝবেন।
বলা আবশ্যক, এই ক্ষণজন্মা যশস্বী কবি ও লেখক সম্পর্কে আমি লিখতে গিয়ে তাঁর রচিত গল্প-উপন্যাস-কবিতাগ্রন্থসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত আবুবকর সিদ্দিকের রচনাসমূহের সাহায্য গ্রহণ করেছি। উপরন্তু তাঁকে নিয়ে অন্যান্য বিভিন্ন লেখকদের লেখাগুলোও আমাকে সহায়তা করেছে। এছাড়াও আবুবকর সিদ্দিকের গুণগ্রাহী ছাত্ররা এবং তাঁর কাছের লেখকদের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতাও আমার এসব লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে। সুতরাং এ গ্রন্থ শেষে আলাদাভাবে তথ্য নির্দেশিকা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি। যদি এ আমার সীমাবদ্ধতা হয়ে থাকে, তার জন্যে আমি পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
যখন বলা হচ্ছে, পাঠকের অপ্রতুলতার কথা; বলা হচ্ছে, জাতি হিশেবে আমরা আজ বইবিমুখ; ঠিক তখন একটি নিরেট গদ্যবিষয়ক বই প্রকাশের দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রাণন প্রকাশনের কর্ণধার আবু এম ইউসুফ আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। পরিশেষে বন্ধুবর প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক শহীদ ইকবালের ঋণ স্বীকার করতেই হয়, এ গ্রন্থের নামকরণের ক্ষেত্রে সহযোগিতাদানের জন্য। একইসঙ্গে আরও ধন্যবাদ জানাই অনুজপ্রতিম কবি ও গবেষক বঙ্গ রাখালকে। তাঁর উৎসাহ ও নিরন্তর তাগাদা ছাড়া বইটি প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না।

মামুন মুস্তাফা
মিরপুর, ঢাকা।

আবুবকর সিদ্দিক- সমগ্রতার চিরন্তনী

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping