রুকসানা রহমান

রুকসানা চৌধুরী, জন্ম: ১৯ ফেব্রুয়ারি, নারায়ণগঞ্জ।
লেখক নাম- রুকসানা রহমান
সমাজের প্রচলিত অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত জীবনকে বহুমুখী প্রতিভার বিচ্ছুরণে আলোকিত করার ঘটনা বিরল। সংসার সামলে বহুবিচিত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে অসম্ভব সাহসিকতায় জীবনকে সামনের সারিতে আনাও নারীর জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। আলো নিভে আসা এ সমাজে একা প্রদীপ হাতে এগিয়ে চলা এমনই বহুমুখিনতাই প্রতিভার অসীম সাহসী নারী কবি রুকসানা রহমান। সংসারের ঝড়ে স্বপ্ন হারিয়ে যাওয়ার বেদনা প্রমিত করতে আজও লড়াই করছেন। নারীর ব্রাকেটবন্দী স্বাধীনতার মধ্য থেকে সে লড়াইটা মাঝে মাঝেই তাকে রক্তাক্ত করে, তবে দমে যায়নি এক মূহুর্তের জন্য। শৈশবে তার ভিতরে এ উদ্যমের বীজ বপন করে দিয়ে গেছেন বাবা। যিনি ছিলেন আদমজী জুট মিলে কর্মকর্তা। মা ছিলেন মহিলা ক্লাবের সন্মানিত সদস্য। সাংস্কৃতিক বলয়ে বেড়ে ওঠা রুকসানা রহমান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার প্রথম লেখা প্রকাশ হয় স্কুলের ম্যাগাজিনে। ছড়া-কবিতা লেখার পাশাপাশি কথক নাচ শেখা শান্ত মেয়েটির উপস্থিতি ছিলো স্কুলের সব অনুষ্ঠানেই। গার্লস গাইড ছাড়া ও রাইফেল সুটিং শিখতেন। বাবার কিনে দেওয়া বইপড়া ছাড়াও অবসর পেলে ছুটে যেতো লাইব্রেরিতে। লেখালেখির পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতে থাকেন সেনাবাহিনির ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু সবই ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়- অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার পর মেধাবী বালিকাটিকে বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংসারের অদৃশ্য শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে হয়। কিন্তু প্রতিভা তো দাবানলের মতো। সামনের সব বাঁধাই পুড়িয়ে দিয়ে যায়।
থমকে যাওয়া সময়কে ধমক দিয়ে উঠে দাঁড়ান বালি কাটি। পাস করেন এসএসসি। এরপর সংসারে স্বর্ণগর্ভা জননীর মতোই তিনি তিন ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও একমাত্র মেয়ে হয়ে ওঠেন মানুষ গড়ার কারিগর। সন্তানদের মানুষ করার পর্ব শেষ করে কবি রুকসানা রহমান নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেমে পড়েন। দেশে জাপানিজ ও বিভিন্ন যায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হয়ে উঠলেন বিউটি এক্সপার্ট। হেয়ার এন্ড স্কিন এর উপর। দেশে কারিগরি সহায়তা সিলেবাস প্রনয়ন করেন। ব্যাংগালোর আর্ট অফ লিভিং থেকে ইয়োগার ট্রেনিং নিয়ে প্রশিক্ষক হন। এর মাঝেই রুকসানা চৌধুরী নামে অনন্যা ম্যাগাজিন রুপচর্চা বিষয়ে লেখেন ও দেখে এলাম হিরোশিমা নামে ভ্রমণ কাহিনি ও আনন্দ ভূবণ, দৈনিক মানবজমিনে, ফ্যাশান অ্যান্ড গ্রামার ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তার রুপ চর্চা বিষয়ক লেখা প্রকাশ হতে থাকে। পাশাপাশি কবিতা গল্প, উপন্যাসও। তার প্রথম কবিতা এককভাবে প্রকাশিত স্বপ্ন পুরুষ ও বাবার কাছে ঠিকানা বিহীন পত্র উপন্যাস তোমাকে প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। আজ সন্তানরা যখন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত, তখন বাবা মায়ের শৈশব দেখানো স্বপ্ন পূরণে চরম উদ্যোমী এই কবি। ‘শব্দকুঠি’ লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও ‘ম্যাজিক লন্ঠন’-এর সহ সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছেন থেকে। কবি রুকসানা রহমান নামে তিনি কাব্য জগতে প্রবেশ করেন। কবি মনে করেন, কোনো পুরুষের পায়ে ভর না করে সবার আগে দরকার নারীর পায়ের তলার ভিতটা শক্ত করা। তবেই সম্মান আর মর্যাদা নিশ্চিত হবে নারীর।

অন্যগ্রন্থÑ বাংলাদেশ কবি ও কবিতা (যৌথ সংকলন-২০০৬) শত বছরের কবিতা (যৌথ সংকলন-২০০৬) স্বপ্ন পুরুষ (কবিতা-২০০৭) মৃপ্রদীপ (কবিতা-২০০৮) আমলকী জল (কবিতা-২০১০) ডাকশুনেছি (কবিতা-২০১১) রাত্রির কিনারে জ্যোৎস্নার মিছিল (কবিতা-২০১৩) অসম্ভবের স্বপ্ন বুনি (কবিতা-২০১৫) একা নদী কাঁদে (কবিতা-২০১৭) মগ্নতা স্পর্শ করি (কবিতা-২০১৯) An Anthology of Bangla poems- 1947-2015 Golden renal poetry Bangladesh-1916 তোমাকে (উপন্যাস-২০০৭) জ্যোৎস্না ডোবে (উপন্যাস-২০০৭) নক্ষত্রের দিনরাত্রি (উপন্যাস ২০১৪) দুই প্রজন্মের গল্প (গল্প-২০০৮) ভাসাবো সেই ভেলায় (গল্প)

রুকসানা রহমান

Showing the single result

Show:
Filter

ভালো থেকো ভালোবাসা

Highlights:

ভূমিকা

রামিশা বিয়ের পরই মাহীকে কেবল ভালোবাসেনি মাহীও রামিশাকে ভালোবেসে ছিলো। ডাক্তার মাহী বছর দুয়েক পর হঠাৎ স্কলারশিপ পেয়ে রাশিয়ায় পি.এইচ.ডি. করার জন্য চলে যায়। তখন রামিশা দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতিদিনই কথা হতো ইন্টারনেটে, কথা না হলে যেনো দু’জনার কারো ঘুম হতো না। হঠাৎ করেই দু’বছর যেতে না যেতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। মানুষের জীবনের বিশ্বাসী ভালোবাসার গল্পগুলো কখনো কখনো বড় অদ্ভুত। গতবাঁধা জীবনে কষ্টের ভিন্নতার গল্প কখনো মনে হয় একই রকম। কখন যে হারিয়ে যায় জীবনে সুখের গানগুলো তা কেই-বা বলতে পারে। প্রেম ভালোবাসা যেনো নিত্য নিকানো উঠানে ঘিরে থাকা স্মৃতি। বদলে যায় প্রণয়ের রীতিনীতি। অথচ রামিশার মনজগত ছিলো এতোটাই প্রখর আর স্বচ্ছ সে পারেনি সর্ম্পক ছিন্ন করে সুহাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে। সন্তানের পিতৃ পরিচয় আর এক দিকে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ীকে একা ফেলে স্বার্থপরের মতো চলে যেতে পারেনি। তাছাড়া মাহীতো ডিভোর্স দেইনি। তাই জীবনে নতুন কোনো ভোরের প্রত্যাশা করেনি। এই চিঠি লেখার ভিতর বাস্তবতার ছোঁয়া অজান্তে থেকে গেলেও যেতে পারে। তবুও একতরফা ভালোবাসার ত্যাগ, সন্তানের পরিচয় তাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য, সন্তান যেনো জানে তার বাবা আছেন। তাই সব কিছুই গোপন করে রামিশা। লড়াই ছিলো তার একার তাই সব সময় একতরফা ভালোবাসায় মাহীকে চিঠি লিখে যেতো। এতো ভালোবাসার সম্পর্কের ভিতর একটি নারীর একাকীত্বের সাথী ছিলো এই চিঠি, আর কল্পনায় ঘেরা তার আর্তনাদের ভিতর স্বপ্ন সে বুনে যেতো অবিরাম…

ভালো থেকো ভালোবাসা

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping