ইকবাল রাশেদীন

ইকবাল রাশেদীন (তরুন)

জন্ম ৮ জুলাই ১৯৭২, ফরিদপুর। বাবা- সাইদুল ইসলাম, মা- রাশিদা ইসলাম।
স্ত্রী- ফারিহা তাজিন, পুত্র- ঈশান ইকবাল।

ব্যবস্থাপনায় এম কম এবং ফাইন্যান্সে এমবিএ, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্সি পড়াশুনা করেছেন। চার্টার্ড একাউন্ট্যান্সি ছাত্র সংগঠন- বাংলাদেশ সিএ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে নির্বাচিত যুগ্মসম্পাদক, ভিপি এবং সভাপতি ছিলেন। ছিলেন রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদেও।

৮০ ও ৯০ এর দশকে যথাক্রমে ‘অধিকার’ ও ‘প্রাচী’ লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিল্প-সাহিত্যের পত্রিকা ‘পূর্বপশ্চিম’ এর নির্বাহী সম্পাদক।

সম্মাননা: বাংলাদেশ সিএ ছাত্র পরিষদ সম্মাননা ২০১৪, ত্রিলোক সম্মাননা ২০১৪, তেজগাঁও কলেজ সম্মাননা ২০১৬।

গ্রন্থ: ৪টি কবিতার বই, ১টি ভ্রমণ কাহিনি, ২টি বিষয়ভিত্তিক কবিতার যৌথ বই।
নাটক: ১টি মঞ্চ নাটক, ১টি পথ নাটক।
সম্পাদনা গ্রন্থ: কবিতা সংকলন- ২টি, মুক্তিযুদ্ধ গদ্য- ১টি।

বর্তমানে ঢাকায় একটি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি একজন আয়কর আইনজীবী।

ইকবাল রাশেদীন

Showing the single result

Show:
Filter

ঈশান রাজকুমার

Highlights:

প্রাক-কথন

 

একটি সফল নাটক উচ্চারণ করে সময়ের সত্য, মানুষের অন্তর্গতে শায়িত থাকা সম্পর্কের সুস্পষ্ট স্বর।

নিজের শরীরে ধারণ করে জীবনের বহুমাত্রিক রং, যাপনের বর্ণমালা।

নাটক ‘ঈশান রাজকুমার’ এমনতর বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।

 

ইতিহাস-নির্ভর রচনার ক্ষেত্রে লেখকের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। ঐতিহাসিক ঘটনা গুলির জন্য তাঁকে প্রাচীন পুঁথি, নথি এবং মানুষের মুখে মুখে ফেরা কথা ও কাহিনি থেকে নিজের লেখার উপাদান সংগ্রহ করতে হয়।

এবং এক্ষেত্রে লেখক হয়ে ওঠেন ভ্রামণিক। সময়ের সম্মুখে নয়, তিনি যাত্রা করেন অতীত সময়েরদিকে। পৌঁছাতে হয় পার-হয়ে-আসা-সময়ের হলুদ বৃত্তান্তগুলির কাছে। যে-লেখক তাঁর পুরোনো জন্মকালের মুহূর্তগুলিকে যত নিবিড় করে ছুঁতে পারেন, তিনিই তত সফলভাবে ঐতিহাসিক সত্যকে অধিগত করতে পারেন। সত্যের সেই বৃত্তান্তকে হাজির করতে পারেন তাঁর পাঠকের কাছে।

 

ইকবাল রাশেদীন শক্তিশালী কবি। কবির মননজাতবোধ এবং সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি দিয়ে তিনি ছুঁয়েছেন দু’শো পঞ্চাশ বছর আগের পৃথিবীকে। নিজের পরিশ্রমী গবেষণা দিয়ে তুলে এনেছেন ইতিহাসের বুকে ধুসর হয়ে যাওয়া ঘটনাক্রমকে। কবি থেকে নাট্যকার হয়ে ওঠা খুব সহজ কাজ নয়, সেই অসহজ কাজটিই ইকবাল করে দেখিয়েছেন তাঁর ‘ঈশান রাজপুত্র’নাটকে।

 

আমার মনে হয়েছে, নাটকের জাহাজটি একটি দেশ এবং ঈশান রাজকুমার সেই দেশের যোগ্য নেতৃত্ব। এবং সেইসাথে নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ঈশান আসলে ডানামেলা এক পাখি। যার দেশ নেই, সীমান্তনেই। আছে কেবল পৃথিবীময় একজগত বাড়ি। সেই বাড়ির বাসিন্দা হয়ে অন্তরমহল আর অন্দরমহলের কথাই সে উচ্চারণ করেছে আত্ম মগ্নস্বরে।

 

ইকবাল রাশেদীন কবি বলেই হয়তো এই আত্মমগ্নস্বরের নির্মাণে তিনি অনায়াস। এবং নাট্যকার হিসাবে তাঁর কৃতিত্ব এখানেই যে, এই আত্মমগ্ন স্বর শুধু তাঁর ‘আত্মমগ্নস্বর’ হয়েই থাকেনি,  পাঠক/দর্শক ও খুঁজে পাবেন তার নিজের মতো করে নিজের ‘আত্মমগ্নস্বর’।

 

রেহান কৌশিক

পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ঈশান রাজকুমার

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping