সৈয়দ আবদুস সাদিক

সৈয়দ আবদুস সাদিক ১৯৪৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, দরগাহবাড়ী, সেরকান্দি, কুমারখালী, কুষ্টিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ঃ সৈয়দ আবু বকর এবং মাতাঃ কাজী আছিয়া বেগম। তিনি ১৯৬৫ সালে সুলতানা বেগম দুলারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যার জনক। বর্তমানে তিনি দুর্গাপুরে ‘তবুও বসবাস’ নিজ বাসভবনে স্থায়ীভাবে সপরিবারে বসবাস করছেন।
প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:
রুবাইয়াত (১৯৭৯), ঘনীভূত শব্দের বসতি (১৯৮৪), তবুও বসবাস (১৯৮৭), আনুগত্য সর্বস্বত্ব (১৯৮৯), নিরন্তর এইসব (১৯৯০), এবং স্বীকারোক্তি (১৯৯১), জলশ্যাওলার ফুল (১৯৯২), সৈয়দ আবদুস সাদিকের নির্বাচিত কবিতা (১৯৯৩), অপ্রত্যাশিত সন্ধি (১৯৯৪), কালোচুলে কৃষ্ণচূড়া (১৯৯৮), কৃষ্ণপক্ষে ঘোড়দৌড় (২০০৬), না গৃহে না সমাজে (২০১২, কবিতা সমগ্রে অন্তর্ভূক্ত), খুলনার নির্বাচিত কবি ও কবিতা (১৯৯১, সম্পাদিত), সৈয়দ আবদুস সাদিকের কবিতা সমগ্র (২০১২), গ্রহণ-পূণিমার ছায়াচারী (২০১৬) ও তুমি শ্রমণ, আমি ভিক্ষু (২০১৮)।
জীবনীগ্রন্থ: দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ (১৯৯৬)।
পুরস্কার ও সম্মাননা :
কবি সৈয়দ আবদুস সাদিক কাব্যাঙ্গনে বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতার স্বীকৃতি স্বরূপ খুলনা সাহিত্য মজলিস পদক-১৯৮৬, উপকূল সাহিত্য সম্মেলন সম্মাননা ১৩৯৫ বঙ্গাব্দ, কুষ্টিয়া থেকে সেকাল সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মাননা-১৯৮৫, বাংলাদেশ লেখক আইনজীবী সংসদ, ঢাকা থেকে গুণিজন সংবর্ধনা পদক-১৯৯৯, কুমারখালী সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা-২০০০, কবি জসিম উদ্দীন পুরস্কার (ঢাকা) ১৪০৪, কবি জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার, (ঢাকা) ২০০১, খুলনা রাইটার্স ক্লাব পদক-২০০২, ঢাকাস্থ কবি সুকান্ত সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার-২০০২, জেলা প্রশাসন, সাতক্ষীরা থেকে জীবনানন্দ দাশ উৎসব শুভেচ্ছা :স্মারক-২০১২, বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০১৪ এবং সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা-২০১৫ সহ বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন অর্থ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঢাকাস্থ কবি সুকান্ত সাহিত্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য । তিনি একাধারে কবি ও সাহিত্য সংগঠক।

সৈয়দ আবদুস সাদিক

Showing the single result

Show:
Filter

তুমি শ্রমণ আমি ভিক্ষু

Highlights:

সত্তর দশকের কবি সৈয়দ আবদুস সাদিক। এক প্রত্যাশিত সন্ধিক্ষণে বাংলা কবিতার মঞ্চে হাজির হয়েছেন গ্রহণ পূর্ণিমার ছায়াচারী হিসেবে। তাঁর কবিতার শরীর শব্দ সম্পদে ভরপুর। উপমা, শিল্প-সৌন্দর্যবোধ ও মিথ মিলে কাব্যমাঠ যেমন উর্বর, গড়ন-কৌশলেও ভাষা হয়ে ওঠেছে তেমনি অনন্যমাত্রার। তাঁর কবিতায় মন-ময়ূখজুড়ে সমাজ ও স্বদেশ প্রেমের ক্যানভাস আবার বিষয়বস্তুর নিরীখটা জুড়ে যেনো প্রেমই প্রধান। প্রেমই প্রকৃতি এই আকুতি, এই উচ্চারণ সর্বোপরি রসমগ্নতাও গভীরভাবে বিম্বিত। কোথাও বিশুদ্ধ নৈয়ায়িক দুর্বোদ্ধতা থাকলেও, পাঠস্বাদে তা প্রতীকী কাব্যানুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তিনি এ কাব্য’র এ মাঠে রোপন করেছেন বিভিন্ন স্বাদের ফ্রয়েডীয়, পরাবাস্তব কবিতা সহ সনেট, রুবাই এবং গজল। তবে, নিশ্চয় পাঠক কবির এই কারিশমায় দ্রবীভূত হলেও দ্রোহ আর প্রেমের নানান সমাসবদ্ধ শব্দের উতরোলে, বিরহের ব্যঞ্জনধ্বনিতে, এইসব কবিতার বাহারি রূপ, রস, গন্ধ কবিতাঞ্চলকে করে তুলেছে মন্ময় ও তন্ময়। “তুমি শ্রমণ, আমি ভিক্ষু’ গ্রন্থের ভিন্ন স্বাদ, বিভিন্ন বোধ ও বিচিত্রতা তাকে দিয়েছে বিশিষ্টতা। পাঠ করা গেলে সহজেই সে আবহাওয়া অনুধাবন করা যায়। গ্রন্থটির ‘অনাথ অন্ধকার’ কবিতায় কবি শব্দ, স্বর ও ধ্বনিকে ভিন্ন মাত্রার সুরে প্রকাশ করেছেন এভাবে :
‘এতোকাল কুহকের ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে
জেনে গেলাম গন্ধ-বর্ণময় সময়ের ভেতর
অনাথ অন্ধকার খেলা করে;’…

লিটন আব্বাস

তুমি শ্রমণ আমি ভিক্ষু

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping