কামরুল ইসলাম

কামরুল ইসলাম
জন্ম: কুষ্টিয়ার ফিলিপ নগর গ্রামের গোলাবাড়ি পাড়ায়। পেশা: অধ্যাপনা (ইংরেজির অধ্যাপক)। বর্তমানে এইচএসটিটিআই, রাজশাহীতে পরিচালক পদে (প্রেষণে) কর্মরত আছেন। নব্বইয়ের দশকে চূড়ান্তভাবে কবিতার জগতে প্রবেশ। তিনি একজন দ্বি-ভাষিক কবি। শালুক, একবিংশ, কবিতাপত্র, উলুখাগড়া, চিহ্ন, কালি ও কলম, অনুপ্রাণনসহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন। এছাড়াও বাক, শব্দকুঞ্জ, শিল্পচিন্তা, ঐহিক, তীরন্দাজসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক ওয়েব ম্যাগাজিনেও তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
তার ইংরেজিতে লেখা কবিতা পৃথিবীর নানা দেশের ওয়েব ম্যাগাজিন ও অ্যান্থলজিতে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ভারত ভিশন, অতুনিস পোয়েট্রি, ওয়ার্ল্ড পোয়েট্রি ম্যাগাজিন, পোয়েটস আনলিমিটেড, টাইফাস, কালচারাল রেভারেন্স, স্টার কাউন্টার ম্যাগাজিনসহ অনেক আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। স্প্যানিশ, ফরাসি, ইতালীয় ও রোমানীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার অনেক কবিতা।

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
দ্বিধাান্বিত সুখে আছি যমজ পিরিতে (১৯৯৯), ঘাসবেলাকার কথা (২০০১), যৌথ খামারের গালগল্প (২০০৬ )
সেইসব ঝড়ের মন্দিরা (২০০৮), চারদিকে শব্দের লীলা (২০১০) অবগাহনের নতুন কৌশল (২০১১),
মন্ত্রপড়া সুতোর দিকে হাওয়া (২০১৪) দীর্ঘশ্বাসের সারগাম (২০১৬) বিহঙ্গখচিত লণ্ঠন (২০১৭)
নির্বাচিত কবিতা (২০১৯) কিছুটা ভোর, বাতাসের গদ্যসহ (২০২০, কোলকাতা)
ছোটগল্প
বিনির্মিত ভাসান, জল থেকে জলে (২০২০)
প্রবন্ধগ্রন্থ
কবিতার বিনির্মাণ ও অন্যান্য (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ : বিচিত্রের দূত (২০১৩) কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব (২০১৫)
কবি ও কবিতা : কবিতার আলো ও আঁধার (২০১৮)
ঊফরঃবফ নড়ড়শ
এৎববহ ঋড়মং : অ ঈড়ষষবপঃরড়হ ড়ভ ঈড়হঃবসঢ়ড়ৎধৎু ইধহমষধ চড়বঃৎু (২০১৭)
বিশ্বকবিতায় অবদানের জন্য সম্মাননা-
*ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস গ্লোবাল সম্মাননা-২০২০ (স্টেট গভর্নমেন্ট পরিচালিত গুজরাট সাহিত্য অ্যাকাডেমি ও মোটিভেশনাল স্ট্রিপস গ্লোবাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত) *নাইজেরিয়ার ৬০তম স্বাধীনতা দিবস সম্মাননা-২০২০ (ইঙ্কড উইথ ম্যাজিক ও জিটিওয়াইপি কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত)
*ডব্লিউএলএফপিএইচ কর্তৃক ‘প্রাউয়েস ইন লিটারেচার’ সম্মাননা-২০২০ (ভুটান) *হ্যাভেন ফর দ্য ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কর্তৃক সম্মাননা-২০২০ (নাইজেরিয়া) *বিশেষ সম্মাননা-২০২০ (প্যাশন অব পোয়েট্রি, ইউএসএ) *ইউনিভার্সাল গোল্ড স্টার-২০২০ (ডেল গ্রুপ, কলোম্বিয়া) *বিশেষ সম্মাননা-২০২০ (অ্যাডিক্টোস আ লাস লেট্রাস, মেক্সিকো)। এ ছাড়াও তিনি পৃথিবীর অনেক অনলাইন পোয়েটিক প্লাটফর্ম ও অর্গানাইজেশন থেকে কবিতার জন্য ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’ পেয়েছেন।

কামরুল ইসলামের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
দ্বিধাান্বিত সুখে আছি যমজ পিরিতে (১৯৯৯)
ঘাসবেলাকার কথা (২০০১)
যৌথ খামারের গালগল্প (২০০৬)
সেইসব ঝড়ের মন্দিরা (২০০৮)
চারদিকে শব্দের লীলা (২০১০)
অবগাহনের নতুন কৌশল (২০১১)
মন্ত্রপড়া সুতোর দিকে হাওয়া (২০১৪)
দীর্ঘশ্বাসের সারগাম (২০১৬)
বিহঙ্গখচিত লণ্ঠন (২০১৭)
নির্বাচিত কবিতা (২০১৯)
কিছুটা ভোর, বাতাসের গদ্যসহ (২০২০, কোলকাতা)

ছোটগল্প
বিনির্মিত ভাসান, জল থেকে জলে (২০২০)

প্রবন্ধগ্রন্থ
কবিতার বিনির্মাণ ও অন্যান্য (২০০৯)
রবীন্দ্রনাথ: বিচিত্রের দূত (২০১৩)
কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব (২০১৫)
কবি ও কবিতা: কবিতার আলো ও আঁধার (২০১৮)

Edited book– Green Fogs: A Collection of Contemporary Bangla Poetry (2017)

বিশ্বকবিতায় অবদানের জন্য সম্মাননা–
*ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস গ্লোবাল সম্মাননা-২০২০ (স্টেট গভর্নমেন্ট পরিচালিত গুজরাট সাহিত্য অ্যাকাডেমি ও মোটিভেশনাল স্ট্রিপস গ্লোবাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত) *নাইজেরিয়ার ৬০তম স্বাধীনতা দিবস সম্মাননা-২০২০ (ইঙ্কড উইথ ম্যাজিক ও জিটিওয়াইপি কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত)
*ডব্লিউএলএফপিএইচ কর্তৃক ‘প্রাউয়েস ইন লিটারেচার’ সম্মাননা-২০২০ (ভুটান) *হ্যাভেন ফর দ্য ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কর্তৃক সম্মাননা-২০২০ (নাইজেরিয়া) *বিশেষ সম্মাননা-২০২০ (প্যাশন অব পোয়েট্রি, ইউএসএ) *ইউনিভার্সাল গোল্ড স্টার-২০২০ (ডেল গ্রুপ, কলোম্বিয়া) *বিশেষ সম্মাননা-২০২০ (অ্যাডিক্টোস আ লাস লেট্রাস, মেক্সিকো)। এ ছাড়াও তিনি পৃথিবীর অনেক অনলাইন পোয়েটিক প্লাটফর্ম ও অর্গানাইজেশন থেকে কবিতার জন্য ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’ পেয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন অব পোয়েটস ফর পিস অ্যান্ড ফ্রিডম (হেড অফিস ইতালি) কর্তৃক ২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশে অনারারি কালচারাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। স্প্যানিশ রাইটার্স ইউনিয়ন, ইউএইচ ই কর্তৃক সাাহিত্যে “সিজার ভ্যালেজো-২০২০” পুরস্কার অর্জন ।

কামরুল ইসলাম
Show:
Filter
New25% Off

শ্রেষ্ঠ কবিতা – কামরুল ইসলাম

Highlights:

বলে রাখা ভালো, শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি নিতান্তই আপেক্ষিক এবং কোনো ব্যক্তি তার নিজস্ব বৃত্তপরিধির আলোয় যাকে শ্রেষ্ঠ বলছেন, অন্য ব্যক্তির কাছে তা হয়তো খুবই সাধারণ। এমনকি যিনি বাছাই করেছেন, তিনিও পরে তার বাছাইকৃত শ্রেষ্ঠ কবিতা নিয়ে সংশয়ে থাকেন। তাহলে কেন এই ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র সংকলন? তিরিশের দশক থেকে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র সংকলন প্রকাশ করা একটি ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের বাংলা ভাষাভাষী কবিদের কাছে। বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, জীবনানন্দ দাশ এবং পরে আরো অনেকেই এবং আমার দশকের ( নব্বইয়ের ) অনেক কবিই এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন, ভবিষ্যতের কবিরাও তা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
অনেকের মতো আমিও মনে করি, Time is the best critic. কবিতার বাঁচা-মরা নিয়ে কোনো কবিরই উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। কবিতা লেখা একটি পবিত্র সাধনা এবং একইসাথে রক্তাক্ত সংগ্রামও বটে। সেই সাধনা ও সংগ্রামের পথে, নিরন্তর এই যাত্রায়, ক্লান্ত রক্তাক্ত আমি সিসিফাসের মতোই লেগে আছি অসীম ধৈর্যে। কতটুকু কী করতে পেরেছি, আমি নিজেও জানি না। ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে গিয়ে দেখলাম- এ বড়ো দুরূহ কাজ। কাকে বাদ দিয়ে কাকে রাখি, যাকে আমি কম গুরুত্বের কবিতা ভাবছি, পরক্ষণে সেই কবিতাটিই অন্যরকম গুরুত্ব নিয়ে সমুখে এসে দাঁড়াচ্ছে। তবুও কিছুটা নির্মম হয়েই বাদ দিতে হয়েছে অনেক কবিতা। এই নির্বাচন যেহেতু লেখকের নিজের, তাই কবুল করতে হচ্ছে যে, আমি এখানে অনেকটাই দ্বিধান্বিত থেকেছি এবং এ-ও সত্যি যে, যে-সব কবিতা বাদ পড়ে গেছে সে-গুলোর শিল্পমূল্য হয়তো অনেক নির্বাচিতের চেয়ে কম ছিল না। তবু এই সত্যকে মেনে নিতে হচ্ছে। এই নির্বাচনই মৌলিক।
কবিতা মূলত একাকিত্বের সংসার। এই সংসারে কবিই একমাত্র সদস্য যে তার আনন্দ-বেদনার উপান্তে দাঁড়িয়ে জীবন ও জগৎকে যে ভাবে দেখেন, পাঠক হয়তো সেভাবে দেখবেন না। পাঠক তাঁর নিজের মতো করে কবির এই সংসারের আলো-অন্ধকারে ঢুকে পড়েন, তাঁর নিজের মতো করে দ্যাখেন এর রূপ-লাবণ্য, ভাবেন এ জগতের বিস্ময় ও ব্যাপকতা। কবিতা নামের এইসব শব্দ-সংসারের অদূরে দাঁড়িয়ে আমার প্রায়শ মনে হয়- একি কোনো অর্থহীন নীরবতার সরব তৃষ্ণা, নাকি শব্দের বিবিধ লীলা!
Nature abhors superlative- এ কথা মনে রেখে, আমার এই হিমসন্ধ্যার গানগুলো দুহাত দিয়ে উড়িয়ে দিলাম প্রকৃতির গোপন অরণ্যে- এগুলো আর আমার রইল না। প্রকৃতির এই সামান্য উপহার প্রকৃতির কাছেই ফিরিয়ে দিলাম। প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ; জগতে শ্রেষ্ঠ বলে আর কোনোকিছু নেই। এখন আমি নির্ভার। এখন ঘুমিয়ে পড়ার আগে নিঃশঙ্ক চিত্তে গিয়ে দাঁড়াবো সেই পাকুড়গাছ তলে, যেখানে কৃষ্ণপক্ষের ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের আলোয় একদা ঈশ্বর আমার অনাথ মস্তকে হাত রেখেছিলেন।
আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি নিয়ে, শুধু কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে, অনুপ্রাণন প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ম. ইউসুফ ভাই গ্রন্থটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। তাঁকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কামরুল ইসলাম
৪/১ ফ্রেন্ডস ক্যাসেল, পশ্চিম তেরখাদিয়া
রাজশাহী

Shreshtho Kabita by Kamrul Islam

$ 3.97
25% Off

রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

Highlights:

ভূমিকা
সেই দূর শৈশবেই বজ্রকণ্ঠ’র প্রেমে পড়ে যাই। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান কিংবা ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ তোমার আমার ঠিকানা’ ; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর ‘বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার নেতা, আমার নেতা- শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ এসব শুনতে শুনতেই যুদ্ধের ডাক এেেলা। সেই মহানায়কের নির্দেশেই ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে’ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো এদেশের সর্বস্তরের মানুষ। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হলো। আমরা সগৌরবে গেয়ে উঠলাম ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে বইটি এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতি আমার ভালোবাসারই অভিজ্ঞান । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রস্তুতিপর্বে সারা পৃথিবীর মানুষ এক মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায়। কোভিড-১৯ অতি দ্রুত ছড়াতে থাকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। যখন ক্রমশ আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং গোটা পৃথিবী এই অণুজীবের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে, ঠিক সেসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী কর্মসূচিকে উৎসবমূখর পরিবেশে না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবই সীমিত পরিসরে পালনের নির্দেশ দেন, যাতে কর্মসূচির কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি না পায়।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে ভাবা যায় না। ’৪৭-এর পরপরই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের কথা ভাবতে শুরু করেন। আরেকজন বাঙালি, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ^দরবারে পরিচিত করিয়েছেন, যার কবিতা গান গল্প উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ-নিরন্ধ এমনকি চিঠিপত্র আমাদের চেতনাকে সবসময় উজ্জীবিত রাখে, ভরসা যোগায়, জীবনকে আলাদাভাবে চিনতে শেখায়, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যার লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু ভেবে রেখেছিলেন ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় রচিত রবীন্দ্রনাথের ‘ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেবেন। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুযারি মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকেই এই গানটির প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
পূর্ববঙ্গে এসে রবীন্দ্রনাথ যে পূর্ণাঙ্গ রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের নদী-মাঠ-ঘাট-মানুষ-মাটি এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে, ১৩২৯ সালের ২ বৈশাখ ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লিখলেন ‘শিলাইদহ ঘুরে এলুম- পদ্মা তাকে পরিত্যাগ করেচে’ তাই মনে হলো বীণা আছে, তা’র তার নেই। তার না থাকুক, তবু অনেক কালের অনেক গানের স্মৃতি আছে । ভালো লাগল সেই সঙ্গে মনটা কেমন উদাস হলো।’ সাজাদপুর থেকে চলে যাবার পর বহুদিন বাদে কবি আর এক বার অনেকটা প্রাণের টানেই এখানে এসেছিলেন। ১৩০৪ সালের ৮ আশ্বিন সাজাদপুর ঘাটে বোটের ওপরে বসে লিখেছিলেন ‘যাচনা’ (কল্পনা) । ‘ ভালোবেসে সখী, নিভৃতে যতনে / আমার নামটি লিখিও তোমার / মনের মন্দিরে।’ পূর্ববঙ্গের প্রতি রবীন্দ্রনাথের অকুণ্ঠ ভালোবাসার বিষয়টি তাঁর নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়, এমনকি তার রবীন্দ্রবাউল হয়ে ওঠা এই পূর্ববঙ্গে এসেই। বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে পূর্ববঙ্গ বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।

রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

$ 3.04
25% Off

আগাছার ইন্দ্রজাল

$ 1.41
40% Off

কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব

Highlights:

কামরুল ইসলাম

জন্ম: কুষ্টিয়ার ফিলিপ নগর গ্রামের গোলাবাড়ি পাড়ায়। পেশা: অধ্যাপনা (ইংরেজির অধ্যাপক)। বর্তমানে এইচ এস টি টি আই, রাজশাহীতে পরিচালক পদে ( প্রেষণে) কর্মরত আছেন। নব্বইয়ের দশকে চ‚ড়ান্তভাবে কবিতার জগতে প্রবেশ। তিনি একজন দ্বি-ভাষিক কবি। শালুক, একবিংশ, কবিতাপত্র, উলুখাগড়া, চিহ্ন, কালি ও কলম, অনুপ্রাণনসহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন। এছাড়াও বাক, শব্দকুঞ্জ, শিল্পচিন্তা, ঐহিক, তীরন্দাজসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক ওয়েব ম্যাগাজিনেও তার লেখা  প্রকাশিত হয়েছে।

তার ইংরেজিতে লেখা কবিতা পৃথিবীর নানা দেশের ওয়েব ম্যাগাজিন ও অ্যান্থলজিতে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ভারত ভিশন, অতুনিস পোয়েট্রি, ওয়ার্ল্ডপোয়েট্রি ম্যাগাজিন, পোয়েটস আনলিমিটেড, টাইফাস, কালচারাল রেভারেন্স, স্টার কাউন্টার ম্যাগাজিনসহ অনেক আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। স্প্যানিশ, ফরাসি, ইতালীয় ও রোমানীয় ভাষায় অন‚দিত হয়েছে তার অনেক কবিতা ।

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ-

দ্বিধাান্বিত সুখে আছি যমজ পিরিতে (১৯৯৯), ঘাসবেলাকার কথা (২০০১), যৌথ খামারের গালগল্প (২০০৬)

সেইসব ঝড়ের মন্দিরা (২০০৮), চারদিকে শব্দের লীলা (২০১০)‌ অবগাহনের নতুন কৌশল (২০১১),

মন্ত্রপড়া সুতোর দিকে হাওয়া, (২০১৪)।

প্রবন্ধগ্রন্থ-

কবিতার বিনির্মাণ ও অন্যান্য (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ: বিচিত্রের দ‚ত (২০১৩)

 

কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব

$ 1.73
Scroll To Top
Close
Close
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping