Collections (গল্পগ্রন্থ, মুক্তগদ্য, অণুগল্প)

Collections (গল্পগ্রন্থ, মুক্তগদ্য, অণুগল্প)

(Showing 13 – 24 products of 92 products)

Show:
Filter

একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস

Highlights:

জীবন গল্পের মতো? নাকি গল্পটাই জীবন?- কারো কারো ক্ষেত্রে হয়ত দুটোই ঠিক। গল্পেই জীবন খুঁজে ফেরেন কিনা অহনা নাসরিন, তা নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত হওয়ার দরকারও নেই। কারণ নানা নাটকীয়তায় ভরা জীবন তো গল্পের মতোই। জীবনের কোন বাঁকে কী দাঁড়িয়ে আছে কে জানে!

অহনা নাসরিন, কবি ও কথাসাহিত্যিক। টিভি নাটকও লেখেন। তবে সবকটি মাধ্যমেই তিনি চরিত্রকে বাস্তবের মাঝে খুঁজে ফেরেন বক্তব্যকে তুলে ধরবার প্রত্যয়ে। বিশেষত খুঁজে ফেরেন নারীর ভেতরের আসল মানুষটাকে। যে কিনা সমাজ কর্তৃক তৈরি করা শৃঙ্খলে আবদ্ধ নয়। চিরচেনা বাস্তবতা তার লেখায় মাত্রিকতা পায়। তার লেখায় প্রতিবাদ আসে, কখনও জোরেশোরে, কখনও রয়ে সয়ে। এই যেমন চাবুকের ইতিহাস বলতে গিয়ে নিজেই যেন চাবুক তুলে নেন সমাজের স্টেরিওটাইপ ভাবনার বিপরীতে। বেগম রোকেয়ার সুলতানার স্বপ্নের সুলতানা যেন অহনা নাসরিনের গল্পেও উপস্থিত হয় সমাজের অসঙ্গতিকে তুলে ধরে নারীর মনোজগতের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলতে।

একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস- অহনা নাসরীনের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, কিন্তু ভাব এবং ভাবনার বিস্ফোরণে তিনি বেশ পরিণত। এক ডজন গল্পের এ বইয়ের সংকলনের গল্পগুলোর ভাষাশৈলীতে যতটা না চাতুরতা বক্তব্যকে প্রকাশের আকাঙ্খা যেন তারচে বেশি। এ বইয়ের গল্পগুলো হলো- রোবট, চাবুকের ইতিহাস, একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস, আদালতের একটি রায়, অতঃপর.., ফুগোর সুইসাইড, ঢেউয়ের পর ঢেউ, ঘ্রাণ, জবানবন্দি,বেলাশেষে ফিরে এলে, ভেজা শ্রাবণে জোসনা হাসে, এক রাতের গল্প এবং একটি ভ্রুণ হত্যার নেপথ্যে। গল্পের নামগুলোও বেশ চমকপ্রদ।

শত-শত এক ঘেয়েমি বইয়ের ভিড়ে যেসব পাঠক ভিন্ন স্বাদের এবং প্রথাগত ধারা ভঙ্গকারী বই পড়তে আগ্রহী তারা নির্দ্বিধায় এ বই পড়ে আনন্দ পাবে।

একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস

জাতিস্মর

Highlights:

রাজনৈতিক রণনীতি ও রণকৌশলে হয়তো ভুল ছিলো, কিন্তু সমতার স্বপ্ন দেখায় তাদের ভুল ছিলো কি? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন বটে! একদা সারা বাংলায় বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমতটে সমতার স্বপ্ন দেখার বেপথু স্বপ্নবাজ তরুণেরা পথে নেমেছিলো পথ হারিয়ে, তাদের নিষিদ্ধ সুবাসের মতো জীবনের চালচিত্রকে উপজীব্য করে সাহিত্য রচনা হয়েছে কমই। লেখকদের নাম উল্লেখ না করেও বলা যায়, এমন লেখার গুরুত্ব আছে বৈ-কি! বিশেষ করে রাজনৈতিক মতাদর্শের সংকট যখন বিশ্বজুড়ে, তখন সংকটাবর্তে জর্জরিত মানবিক অলিগলিতে এসব অমানবিক অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর তার অভিঘাতে লালসন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি, এনকাউন্টার, ক্রসফায়াস শব্দসমূহ আমাদের কাছে অন্যরূপে ধরা দেয় কখনো কখনো। লেখক গল্পচ্ছলে কথোপকথনের ভঙ্গিতে তার রচনায় এসব খুঁটিনাটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন নির্মোহভাবে। এ কাজটিও সহজ নয় এ কারণে যে, তাতে সাহসের প্রয়োজন; সর্বোপরি তা অনাকাক্সিক্ষত বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। তবুও তর্কাতীতভাবে লেখক সাহসের সাথে সে কাজটিই করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাসের নানা ঘটনাবলিতে আশ্রয় করে তার বিভিন্ন লেখায়। সেসব লেখাকে মলাটবন্দি করেছেন, যেন-বা পুনর্জন্মের আদলে সেসব নিষিদ্ধ (!) দিনযাপনে, আমাদের মানস-ভ্রমণের কালযাপনে। অনুভূতির সততায় সত্যের দোরগোড়ায় এসব লেখায় পাঠক খুঁজে পাবেন অন্যরকম গল্পের রসাস্বাদ Ñ এমন প্রত্যাশা থাকবেই।

কাজল মাহমুদ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ
চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা।

জাতিস্মর

নিঃশব্দ হাহাকার

Highlights:

হাহাকার হৃদয়কে পোড়ায়। অন্তরে রক্তক্ষরণ হয়! এই জগৎ-সংসারে হাহাকার নেই, এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না! কেউ হয়তো হাহাকার এর প্রকাশ করে, কেউ তা নিঃশব্দে বহন করে, তফাত এখানেই। জীবনের দৈনন্দিন কাজে মগ্ন থেকে মানুষ হাহাকারের তীব্রতা অনুভব করে। এমন আটটি গল্পের সমন্বয়ে হুমায়ুন কবিরের গল্পগ্রন্হ ‘নিঃশব্দ হাহাকার’। এর প্রতিটি গল্প পাঠককে ভাবনার জগতে নিয়ে যাবে। পাঠক নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবে। পাঠকের ভাবনার আকাশে গল্পগুলো কিছুটা হলেও তরঙ্গ সৃষ্টি করবে। এই গল্পগুলো পড়তে গিয়ে পাঠক নিজেকে খুঁজে পাবেন বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে। সূক্ষ্ম অনুভবের সহজ-সাবলীল বর্ণনা পাঠককে আপ্লুত করবে । পাঠকের অনুভূতিহীন অন্তরকেও নাড়া দেবে।

নিঃশব্দ হাহাকার

বিখ্যাত হবার টোট্‌কা

Highlights:

সন্তোষ কুমার শীল ১৯৭৩ সালের ১৫ অক্টোবর (সার্টিফিকেট অনুসারে) পিরোজপুর জেলার বাটনাতলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পড়াশুনা শেষে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করেন এবং একই পেশায় বর্তমান আছেন। রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ ভক্ত এই গল্পকার মূলতঃ একজন সর্বগ্রাসী পাঠক। বই পড়া, গান শোনা এবং সাহিত্য সাধনায় সময় যাপন তার একান্ত প্রিয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ এবং রম্য রচনার চর্চা করেন। এ পর্যন্ত তার ছয়টি গল্পগ্রন্থ এবং দু’টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। “বিখ্যাত হবার টোট্কা” তার প্রথম রম্যগল্প সঙ্কলন।

বিখ্যাত হবার টোট্‌কা

অলৌকিক যাত্রা

Highlights:

গল্পের জীবন নাকি জীবনের গল্প—সমাজমনস্ক গল্পকারের বিবেচনায় কোনটি মুখ্য প্রণিধানযোগ্য, সেই কূটতর্কের জালে না জড়িয়ে কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ মানবজমিনের সবুজ শ্যামল চত্বরে পরিব্রাজকের মতো পা ফেলে ফেলে জীবনের অম্লমধুর নির্যাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে গল্প রচনা করেন। আর সেই নির্যাসমথিত উপাদানের শৈল্পিক বুননে গড়ে ওঠে জীবনের গল্প, জীবনজয়ী গল্প।
অলৌকিক যাত্রা নামের এই গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্পই নতুন এবং আলাদা। এ স্বাতন্ত্র্য যতটা না গল্পের বিষয় উপজীব্যে, তারও অধিক বহিরঙ্গের প্রকরণে এবং উপস্থাপনের অভিনবত্বে। এইখানে এসে প্রতিটি গল্পই অতিক্রমপ্রয়াসী পূর্ববর্তী গল্পের। এভাবেই ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়া,
সম্মুখের পাথর সরিয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে পা ফেলা।
বিচিত্র সব পাত্রপাত্রী এসে জীবনপাত্র মেলে ধরেছে এ গ্রন্থের পাতায় পাতায়। তারা গল্পকারের হাতের ক্রীড়নক নয়, বরং ক্ষেত্র বিশেষে এই চরিত্রগুলোই নিজেদের স্বাভাবিক বিকাশের স্বার্থে গল্পকারের ভাবনার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেছে, আবার নতুন মাত্রায় পথও দেখিয়েছে। এ কারণেই এখানে প্রতিটি পাত্রপাত্রী স্বতন্ত্র আলোকপ্রভায় উদ্ভাসিত এবং জীবন্ত। আর এদের প্রাণসম্পদের জোরেই এ বইয়ের গল্পগুলো হয়ে উঠেছে প্রখর গতিময় এবং জীবনমুখী।
সাম্প্রতিক অতীতে দৃশ্যাতীত এক অচেনা ঘাতক মানব সভ্যতার শেকড় ধরে যে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে, এ গ্রন্থের নামগল্পে সেই ছবি আঁকতে গিয়ে পাঠককে এক অলৌকিক যাত্রার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন গল্পকার, যেখানে এসে জাতপাতের সীমারেখা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং পাঠক খুঁজে পায় স্বস্তির ঠিকানা।
গল্পের জীবন নাকি জীবনের গল্প—সমাজমনস্ক গল্পকারের বিবেচনায় কোনটি মুখ্য প্রণিধানযোগ্য, সেই কূটতর্কের জালে না জড়িয়ে কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ মানবজমিনের সবুজ শ্যামল চত্বরে পরিব্রাজকের মতো পা ফেলে ফেলে জীবনের অম্লমধুর নির্যাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে গল্প রচনা করেন। আর সেই নির্যাসমথিত উপাদানের শৈল্পিক বুননে গড়ে ওঠে জীবনের গল্প, জীবনজয়ী গল্প।
অলৌকিক যাত্রা নামের এই গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্পই নতুন এবং আলাদা। এ স্বাতন্ত্র্য যতটা না গল্পের বিষয় উপজীব্যে, তারও অধিক বহিরঙ্গের প্রকরণে এবং উপস্থাপনের অভিনবত্বে। এইখানে এসে প্রতিটি গল্পই অতিক্রমপ্রয়াসী পূর্ববর্তী গল্পের। এভাবেই ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়া,
সম্মুখের পাথর সরিয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে পা ফেলা।
বিচিত্র সব পাত্রপাত্রী এসে জীবনপাত্র মেলে ধরেছে এ গ্রন্থের পাতায় পাতায়। তারা গল্পকারের হাতের ক্রীড়নক নয়, বরং ক্ষেত্র বিশেষে এই চরিত্রগুলোই নিজেদের স্বাভাবিক বিকাশের স্বার্থে গল্পকারের ভাবনার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেছে, আবার নতুন মাত্রায় পথও দেখিয়েছে। এ কারণেই এখানে প্রতিটি পাত্রপাত্রী স্বতন্ত্র আলোকপ্রভায় উদ্ভাসিত এবং জীবন্ত। আর এদের প্রাণসম্পদের জোরেই এ বইয়ের গল্পগুলো হয়ে উঠেছে প্রখর গতিময় এবং জীবনমুখী।
সাম্প্রতিক অতীতে দৃশ্যাতীত এক অচেনা ঘাতক মানব সভ্যতার শেকড় ধরে যে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে, এ গ্রন্থের নামগল্পে সেই ছবি আঁকতে গিয়ে পাঠককে এক অলৌকিক যাত্রার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন গল্পকার, যেখানে এসে জাতপাতের সীমারেখা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং পাঠক খুঁজে পায় স্বস্তির ঠিকানা।

অলৌকিক যাত্রা

অন্যজীবন

Highlights:

ভূমিকা-

ঘুরে বেড়ানোর স্বভাবটা ছোটবেলা থেকেই ছিলো। এ অভ্যাসটা বাবা‘ই করিয়েছেন। মায়েরও মনে হয় প্রছন্ন প্রশ্রয় ছিলো। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছি ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি। এরপর পেশাটাও বেছে নিয়েছি ঘুরে বেড়ানোর। এ ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে নানাভাবে জানার সুযোগ হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে দুরে বসে মানুষ দেখতে আমার বেশ লাগে। প্রতিদিনের নতুন অভিজ্ঞতা থেকে আজো প্রকৃতি, পরিবেশ, সমাজ, সংসার থেকে জানার চেষ্টা করছি। মানুষের মনসতত্ত্ব আমাকে বেশ ভাবায়। একজন মানুষের বহুরকম ভাবনা। সে থেকে যদি কিছু অর্জন করে থাকি তা কলমের ভাষায় বলবার এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

অন্যজীবন

বাতাসে বনতুলসীর গন্ধ

Highlights:

ছোটগল্প নিয়ে বিশ্বসাহিত্যে ভিন্ন-ভিন্ন মতভেদ রয়েছে, তারপরও সাহিত্যে ছোটগল্প টিকে আছে, কারণ ছোটগল্প যে জীবনের দর্পণ। জীবন থেকে মহৎ বাঁকগুলোকে তুলে ধরাকেই সাহিত্য বলে, আজ সাহিত্যের দিগন্ত বহুদূর অবধি বিস্তৃত, চোখে দেখা না গেলেও বলতেই হয় জীবনই সাহিত্য অথবা সাহিত্যই জীবন, সেই সাহিত্যের একটা প্রধান শাখা গল্প। গল্পসাহিত্যকে সমৃদ্ধ এবং ঋদ্ধ করেছেন বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে আজ অবধি গাল্পিকগণ, তাদের প্রদর্শিত মসৃণ সেতু পেরিয়ে কালে-কালোন্তরে অনেক নক্ষত্র প্রতিভাবান এসেছেন, কারো অবদানই ছোট মনে করার কারণ নেই, বাংলা গল্প সাহিত্যকে ভরিয়ে তুলেছেন রূপ-লাবণ্যে, কাজী নজরুল ইসলামকেও গাল্পিক হিসেবে তুলে ধরা যেতে পারে, কিন্তু কবি প্রতিভার অন্তরালে ঢাকা পড়ে গেছে, তারপরও তাঁর গল্পে নতুনত্বের সাধ বিদ্যামান, ছোটগল্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ নেই, বর্তমান গ্রন্থে আমার যে গল্পগুলো স্থান পেয়েছে তার নির্যাস পাঠক আশ্বাদন করবে, বৃহত্তর জগতের ভেতরে নিজেকে কল্পনা করবে, জীবনের নানান অনুসঙ্গ নানান চড়াই-উৎরাই যেমন আছে, তেমনি আছে তার সাফল্য, চলমান জীবনের অভিপ্রায়টুকু নিয়ে রঙের প্রলেপে সজ্জিত করে তোলা হয়েছে গল্পভূবন।

বাতাসে বনতুলসীর গন্ধ

ঝড়-জলের জীবন ও অন্যান্য গল্প

4 ★
4 ★
1 Rating
5 ★
0
4 ★
1
3 ★
0
2 ★
0
1 ★
0
(1)
Highlights:

স্বপ্নগুলো জলের, ঝড়ের, সীমাহীন প্রবঞ্চনা ও অস্বাভাবিকতার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। মানুষের ভেতর অন্য মানুষের উপস্থিতি দেখতে দেখতে তারা মানুষের অংশ হয়ে যায়। মানুষগুলোকে করে তোলে স্বপ্নভূক। এই স্বপ্নভূকেরা চারপাশেই আছে।

যেদিন বোকা হাবা ঘেঁটু জীবনে প্রথম একশো টাকা পায় সেদিন তার জীবনে একটা উল্লম্ফণ ঘটে। নিজ এলাকা থেকে কখনো বেশি দূরে যায় নি যে দরিদ্র যুবা, সংসারের জন্য কিছু জিনিস কিনতে সে পা দেয় পথে। সে হয়তো পথ থেকে নিজের কুটিরেই ফিরে যেতো যদি না আরেক স্বপ্নভূকের সাথে তার দেখা হতো। যদি না তাকে তার মানবিকতা দেখাতে হতো। যদি না প্রবঞ্চকের হাতে পড়ে ফাঁকা পকেটে হেঁটেই রাজধানীতে যাওয়ার ইচ্ছা তার প্রবল হয়ে উঠতো। যদি না রাজধানীতে গিয়ে দৈনিক কতো টাকা আয় করে সে বউকে খুশী করে দিতে পারে  তার এ হিসেব অবিরাম তালগোল পাকিয়ে না যেতো।

এগারোটি গল্পের স্বপ্নভূক মানুষদের চালচিত্র এই ঝড়-জলের জীবন ও অন্যান্য গল্প।

ঝড়-জলের জীবন ও অন্যান্য গল্প

উজানের মানুষ

Highlights:

সোলায়মান সুমনের গল্পের মানুষগুলো আমাদের খুবই চেনা। তাদের জীবনবোধও খুবই সাধারণ। আর সেই সাধারণ মানুষ ও তাদের সাধারণ বোধগুলো অসাধারণ হয়ে ওঠে লেখকের নিজস্ব চিন্তাবোধ যুক্ত হয়ে। ফলে পাঠক এক ভাবনার ঘোরে নিমজ্জিত হন। সোলায়মান সুমন রূপক, প্রতীক, উপমার স্বতন্ত্র বিন্যাসে তাঁর গল্পকে দিয়েছেন আলাদা পরিচয়। আসুন তাঁর গল্পে নিমজ্জিত হই।

উজানের মানুষ

হান্ড্রেড ফেসেস অফ উইমেন

Highlights:
ভূমিকা – দ্বিতীয় মুদ্রণ
একটি বছর পার হতে না হতেই আমার মতো দল-মত-সংঘ-সংগঠনের বাইরে একা দাঁড়িয়ে ঘরের কোণে ধ্যানে বসা একজন লেখকের লেখার প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে যাবে, দ্বিতীয় মুদ্রণে যেতে হবে প্রকাশককে, এই ঘটনাটা যেন আমার জন্য অভাবিত। তবু সুন্দর। উৎসাহ দেবার মত ঘটনা।
আত্মজৈবনিক লেখার জন্য নাকি যথেষ্ট বয়স লাগে। আর ঝুলিতে থাকা লাগে দেশ-পৃথিবীজুড়ে থাকা কিছু সফলতার গল্প! কিন্ত আমার তো তা নাই। আমার বয়স জীবনের হিসাবে যতই হোক আমার সঞ্চয়ে আছে কিছু ব্যর্থতা, আছে অপমান, আছে অন্যায়ের নিচে পদদলিত হবার গল্প। আমি জীবন জীবন প্রেমের তাপসী। সাধ্বী নারীর মতই বন্দনা করেছি প্রেমের দেবতাকে। মাত্রার বাইরে গিয়ে তার জন্য কিছু করার দায়িত্ব ও তাগিদ অনুভব করেছি বার বার। তাই এই দায়ের ভিতরে পড়েছে প্রেমিক, পড়েছে ভাই, পড়েছে বোন, পড়েছে অন্য কোনো নারী। কিন্তু আসলে এই সমাজে পরিবারে পৃথিবীতে যার যতটুকু কাজ তাকে ততটুকুই করতে দিতে হবে বা করিয়ে নিতে হবে। তাই করতে দেইনি বা করিয়ে নিতে পারিনি বলে তারই দায়ভার নিজেকেই বহন করতে হয়েছে। তাই সব পাপ ও অন্যায়ের ফলাফল হয়ে উঠেছে আমার জীবন। একটা সময় দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। পারগেশন বলে একটা বিষয় আছে, হয়তো এ লেখা তাই, অথবা নিজের সন্তানের কাছে একটা কৈফিয়ত। এই সামাজ ও রাষ্ট্রের কাছে একজন নারীর চলার পথে মাথা উঁচু করবার জন্য চরম মূল্য দেবার বয়ান। হারানোর ব্যথা। আর অন্যসব নারী ও পুরুষের সামনে রেখে যাওয়া এক দলিল। এত যে ব্যথার কথা তারই মাঝে অপরূপ সুন্দর বলতে ছিল আমার লালমাই পাহাড়ের কোলের কাছে পড়ে থাকা একটা শৈশব, ছিলেন একজন মহীয়সী মা। ছিলেন একজন সন্তানবৎসল বাবা। একই সাথে একজন নারী হিসাবে এই সমাজে বেড়ে উঠার গহীন গুঢ় বেদনা ও অপার আনন্দ। এই দুই সম্বল করে লেখা এই আত্মজৈবনিক জার্নাল ‘হান্ড্রেড ফেসেস অফ উইমেন’।
লিখতে বসেছিলাম যখন সংসারে দম আটকে মরতে বসেছিলাম দুই অবুঝ শিশুসন্তান নিয়ে। যখন লেখার বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্ত। চরম বিপরীত প্রতিবেশ। বেঁচে থাকা দুঃসহ। সময় দুরন্ত। তখন বেঁচে থাকা মানে লেখা। একমাত্র লেখা ছাড়া আর অন্য কোনো পথ নেই বাঁচবার। আর এই বই লিখতে লিখতেই বের হয়ে এলাম স্বামী সংসার ছেড়ে। বছর দুই অনলাইন পোর্টাল চিন্তাসূত্রে প্রকাশিত হল ‘নারী’ নামে। কলকাতা থেকে এক প্রকাশক এলেন এই ধারাবাহিকটি পড়তে পড়তে। বললেন, ‘নারী পড়তে পড়তে মনে হল বাংলাদেশ থেকে এই লেখকের একটি লেখা আমাকে প্রকাশ করতে হবে’। তখনও ভাবিনি কোনোদিন বই হবে এই অপাংক্তেয় লেখাটাই।
কলকাতা থেকে চিত্রকর মুক্তিরাম মাইতি বিনিময়হীন শর্ত দিয়ে প্রচ্ছদ এঁকে দিলেন সেও প্রায় বছর তিন আগে। কয়েকজন প্রকাশক প্রশ্ন করলেন কেন তিনি এই বই টাকা ছাড়া প্রকাশ করবেন? আমি সেদিন তার উত্তর দিতে পারি নি। আজ যখন পাঠক বন্ধু পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ বইটি পড়ে ভেতর বাহির নিয়ে কথা বলেন তখন আমিও বিস্মিত হই।
পরাজয়ের গল্প এতটা ভালোবাসবে কেন মানুষ! হয়তো এমন কোনো সত্য এখানে আছে যা পাঠক পড়বার সাথে সাথেই উপলব্ধি করতে পারে। শব্দে শব্দে বাক্যে বাক্যে মিথ্যা, লুকানো, শাসকের ভয়ে থাকা কোনো নারীর আড়াল ভেঙে বের হয়ে আসার এই সত্য বলবার অসম সাহসই হয়তো গোপনে কেউ লালন করে। সামনে আসতে বা আনতে পারে না। তখন অন্য কোনো নারীর মধ্যে আবিস্কার করে নিজেরই কোনো গোপন সত্য। তাই হয়তো আজ পাঠকের কাছে এর এতটা আদর।
আমি জানি এই দলবাজ সাহিত্যের উঠানে আমার কোনো পালনকর্তা নাই। আর আমিই বা তা মানবো কেন? আমি তো নারী থেকে স্বাধীন মানুষ হয়েছি। তাই আমার যা অর্জন তা আমাকেই করতে হবে, একা। আর তাতেই আমার অহংকার। তাতেই আমার প্রতিষ্ঠা। এই আমার জগৎ মাঝে একমাত্র পাওয়া। তাই কোন প্রচার মাধ্যম আমার আমার লেখা নিয়ে নিশ্চুপ তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই কোনো। কোনো বুদ্ধিজীবী-কামেল আমার লেখা নিয়ে কিছু বললেন কি না তাতে আমার কোনো আগ্রহ নাই। আমার ঈশ্বর পাঠক। আমি জানি পাঠক নাই তো ওইসব কামেল-বিদ্বান-সাহিত্যবোদ্ধারা কে কি বলল তাতে কিই বা এসে যায়।
লেখক থাকেন পাঠকের মনে। যদি সেই হাজার হাজার মনকে ছুঁতে পেরেছি আজ এবং পারি আগামীর কালগুলাতে এই হবে আমার জয়। পাঠকের এই ভালোবাসাকে পাথেও করেই লিখে যেতে চাই আমরণ। অন্তত আরও তিনটি খন্ডের দলিলে রেখে যেতে চাই আমার যাবতীয় কাজ যা এই সমাজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে আজও।
বইটি আদরে যত্ন করে প্রকাশ করার দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রাণন প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী আবু এম ইউসুফ ভাই কৃতজ্ঞতায় বাঁধলেন। চিত্রকর মুক্তিরাম মাইতির কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। ‘চিন্তাসূত্র’ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই যিনি প্রথমবারের মতো ধারাবাহিক ভাবে লেখাটি প্রকাশ করেছিলেন বছর দুয়েক ধরে। অস্ট্রেলিয়ার ‘প্রশান্তিকা’ বইঘরের স্বত্ত্বাধিকারী আতিকুর রহমান ভাইকেও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রথমবারের মতো এই বইটিকে বাংলাদেশের বাইরের পাঠকের কাছে নিয়ে যাবার জন্য।
আর, দুই বাংলা জুড়ে আমার যত পাঠক। সারা পৃথিবী জুড়ে যারা বইটি পড়েছেন ও পড়ছেন তাদের প্রতি রইল ভালোবাসা।
শাপলা সপর্যিতা
১১ মার্চ, ২০২২
ধানমন্ডি/ঢাকা

Hundred Faces Of Women

পাপ

Highlights:

সাতটি গল্প দিয়ে সাজানো গল্পগ্রন্থ ‘পাপ’। চারপাশের
মানষের মুখ, মুখোশ আর বয়ে চলা জীবনের কথকতা ‘পাপ’।
ভালোবাসা, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, ঈর্ষা, অপরাধ আর বহমান
জীবনের গল্প।
কখনো নারীর চিরাচরিত বন্দী-জীবন এবং বন্ধনহীনতার গল্প।
কখনো প্রতিবাদী, কখনো নিয়তির কাছে পরাজিত আমাদের
খব চেনা চরিত্রগুলো জীবন ছেনে যত্নে তুলে আনা হয়েছে
‘পাপ’ গল্পগ্রন্থে। পাঠকের ভাবনায় খব ছোট্ট করে হলেও
আলোড়ন তলবে ‘পাপ’।

পাপ

1 2 3 4 7 8
Scroll To Top
Close
Close
Shop
Filters
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping