Short Story (ছোটগল্প)
Showing 1–12 Products of 153 ProductsSorted by latest
মধ্যরাতের নির্বাচন – সোলায়মান সুমন
গল্পকার সোলায়মান সুমনের বেশ কিছু গল্প উৎকৃষ্ট ব্যঙ্গ-রসাাত্মক গল্পের উদাহরণ হিসেবে বাংলাসাহিত্যে স্থান পেতে পারে। ভাষা নির্মাণে লেখকের একটা নিজস্ব শৈলী রয়েছে। সুমনের ভাষা অত্যন্ত কমিউনিকেটিভ। গল্পে তাঁর প্রতীকের ব্যবহার চমকপ্রদ যা পাঠকের চিন্তনে একটা দীর্ঘ চিহ্ন রেখে যায়। লেখকের বেশ কিছু গল্পে ইন্টারটেক্সচুয়ালিটি লক্ষ করা যায়। যেখানে পুরনো প্রচলিত গল্পকে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে পুণনির্মাণের অনুষঙ্গটি চলে আসে। এ বিষয়ে লেখক অত্যন্ত সিদ্ধহস্ত।
Madhyorater Nirbachon by Sulaiman Sumon
আধ্যাত্মিক – আরিফুল আলম
দিনের বৃষ্টির চেয়ে রাতের বৃষ্টি অনেক বেশি আবেদন নিয়ে মানুষের কাছে ধরা দেয়। ঝড়ের রাতে মেঘের ডাক মানুষের মনে অজানা এক রহস্যের আভাস দেয়। শিক্ষা সফরে রাঙামাটি গিয়ে এমনই এক ঝড়ের রাতে অতিপ্রাকৃত সব গল্পের আসর জমে ওঠে। গল্পের মধ্যমণি বিশ্ববিদ্যালয়ের ষাটোর্ধ্ব বয়সের একজন অধ্যাপক। মেঝেতে থাকা অর্ধগলিত মোমের আলোর সাথে বৃদ্ধ এই শিক্ষকের তীক্ষ্ণ চোখ আর ভারী গলা পরিবেশকে আরো গম্ভীর করে তোলে। গ্রাম বাংলার প্রচলিত নানান ভৌতিক গল্পের বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা তিনি ছাত্রদের মাঝে উপস্থাপন করেন। এক সময় যখন মনে হতে থাকে অতিপ্রাকৃত বলে কিছু হয় না, সকল কিছুই বিজ্ঞান। ঠিক তখন এই অধ্যাপকের কণ্ঠ হতে ভেসে আসে ভিন্ন সুর। এবার তিনি বলতে আরম্ভ করেন তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া বিচিত্র আর অদ্ভূত সব গল্প । অবারিত এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সকল ঘটনা ব্যাখার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। শেষ বেলায় এসেও কোথায় যেন একটা ‘কিন্তু’ থেকেই যায়…
রাত যত গভীর হতে থাকে আধ্যাত্মিকতা সবাইকে তত আচ্ছন্ন করতে থাকে।
Adhyattik by Ariful Alam
সেদিন বর্ষাকাল – আহাদ আদনান
‘সেদিন বর্ষাকাল’ বইয়ের গল্পগুলো দেশের, মাটির কথা বলে। জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সময়ের অভিজ্ঞতার বয়ান জানান দেয়। বায়ান্ন, একাত্তর হয়ে এই বর্তমান সময়ের অনুভূতির উচ্চারণ করে। প্রাপ্তি বা অর্জনের পাশাপাশি হতাশা, আক্ষেপ, সংশয়ের উপলব্ধিতে নাড়া দেয়।
গল্পগুলো যতটা না ঘটনার বর্ণনা করে, তার চেয়ে বেশি চরিত্রের অনুভূতি, মানসিক দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া নিয়ে এগিয়ে চলে। ব্যক্তি বা জাতীয় জীবনের বিমূর্ত আবহের অবতারণা করে। তাই দৃশ্যগুলো মনে হয় ম্রিয়মাণ, অব্যক্ত, মিহি, কিন্তু এর রেশ থেকে যায় মনের কোনো এক গহিনে।
আমাদের জাতীয় জীবনের যাপিত এই ঘটনাগুলোর আবেদন অমূল্য, চিরস্থায়ী। নিজেদের খুঁজতে আমরা বারবার ফিরে যাই এই স্মরণীয় অতীতের কাছে। এই গল্পগুলো তাই কখনো পুরনো, সেকেলে মনে হওয়ার নয়। বরং নিজেকে এর সাথে যুক্ত মনে হবে প্রতিটি শব্দে।
Shedin Borshakal by Ahad Adnan
প্রজা কাহিনি – নিবেদিতা আইচ
নিলীয়মান পৃথিবীর শরীর থেকে রাতের আঁচল খসে গেলে তার জন্ম মুহূর্তের শুরু। সেই সাথে শুরু অনন্তদিনের গোলকধাঁধাময় যাত্রা। যাত্রাপথের অলিগলি ঘুরে শেষ অবধি ঘরের চৌকাঠে পৌঁছাতে পারা তাই সহজ কিছু নয়। ফেরার পথে কতো অগুনতি গল্পের হাওয়া মনের শরীর ছুঁয়ে যায়! সেই হাওয়াগুলো কখনো হয় কেবল পকেট বন্দি, আবার কখনো তারা বেমালুম ফসকে যায়। তাদের ফিরিয়ে আনার মতো দু:সাধ্য কিছু নেই। যদিও বা ফেরে, তখন হয়ত বদলে যায় তাদের অবয়ব। কখনো স্বেচ্ছায় মুঠোবন্দি হলে তাদের নাম দেয়া যায় ‘প্রজা কাহিনি’।
Proja Kahini by Nibedita Aich
সে শুধু আড়ালে থাকে – ফরিদুল ইসলাম নির্জন
মানবজনম যেনো গল্পের মোড়কে আবদ্ধ। প্রতিটি জীবনে কিছু গল্প থাকে। কিছু গল্প প্রকাশ করা যায়, আবার কিছু গল্প হৃদয়ের গহীনে অপ্রকাশিত হয়ে জমা থাকে। যা বলা যায় না। জীবনপাঠে এই অধ্যায়ের বলা বা না বলা গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘সে শুধু আড়ালে থাকে’। প্রতিটি গল্প জীবনের সাথে মিলে যাবে। মনে হবে এতো আমার জীবনের গল্প, আমার হৃদয়ের আড়ালে থাকা অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। গল্পগুলো অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। প্রিয়জনকে পাবার অপেক্ষা, না পাবার বেদনা, বিচ্ছেদের সারসংক্ষেপ, বেঁচে থাকার আকুতি, জীবনপাঠে বাস্তবতার মুখোমুখি, আবেগ আর অনুভূতির সংমিশ্রন, নিঃসঙ্গতার সাথে বনিবনা, সুখের বেড়াজাল, বেদনায় কাতরতা অসংখ্য বিষয়বস্তুকে নিয়ে সাজানো হয়েছে গল্পগুলো। বারোটি গল্প, ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে।
Se Shudhu Arale Thake by Foridul Islam Nirzon
ঈশ্বরকে বল দুখী ডাকছে – জয়শ্রী সরকার
পিয়াইনে রাত্রি নেমে এলে মারিয়া আসে, কিন্তু মেনজপ কেন মারিয়াকে ছুঁতে পারে না? শুধু যাত্রাশিল্পী হওয়ায় ফিরোজা সুন্দরীর সাথে সুখুর মিলন হয় না। তবু ফিরোজা রঙেই কেন সুখু আটকে থাকে? কেন হঠাৎ মেলা বন্ধ হয়ে যায়? অনেক চেষ্টার পর যখন পারুলী বহুদিন আগে লুকিয়ে রাখা আতপ চাল খুঁজে পায়। আলুর দম মাংসের মতো খেতে যেন হয় ভেবে দারুচিনি চেয়ে আনে। পুতুল চেটেপুটে খেতে খেতে আরও ঝোল চায়, তখন পারুলীর সব উল্টে কেন আসতে চায়! একটা টোনা মাছের ভাজি কেন ঝিল্লিকে বস্তি থেকে বঙ্গোপসাগরের বালুকায় টেনে নিয়ে যায়! হরহরের বউয়ের বাচ্চা কেন ধূপের গন্ধে কাঁদে! এক টুকরা মাছ কেন বিধবার লুকিয়ে খেতে হবে! উঠান জুড়ে পুতুলের মতো ছোট্ট মেয়েটির পরনে হিরামনের মতোই বেনারশী। অথচ সেই শাড়িটি পরিমলের বোনা নয়! আষাঢ়ের পয়লা বৃষ্টিতে আনন্দীর অমন কান্না পায় কেন? পয়ত্রিশ বছর পর মহব্বত ফাতিমাকে কি বলতে চায়? শিউলিফোটা রাতে শ্রী দাস লেনে ভুবন চিনু কী নিয়ে এত কথা বলে? জীবনানন্দ চলে যাওয়ার আগেই কেন দুখী ছাই নিয়ে গলিতে আসে না! গাজায় রক্তমাখা শিশুরা ঈদে কী করল, কী করল না- তা নিয়ে রাইসু কেন কাঁদে? চারদিকে এত খিদে, এত কান্না- তার মধ্যেও ঈশ্বরের ভাতঘুম কেন ভাঙে না! এমন সব অমীমাংসিত জিজ্ঞাসা নিয়ে গল্পকার জয়শ্রী সরকার লিখেছেন ‘ঈশ^রকে বল দুখী ডাকছে’।
Ishwarke Bol Dukhi Dakche
স্বপ্নছোঁয়ার পদযাত্রা – রাহমান ওয়াহিদ
লেখকের প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ-
কবিতা : নীলজল সমুদ্দুরে যাবো (কবিতাগ্রন্থ, ২০০৯), অর্ধেক তুমি বাকিটা অন্য কেউ (কবিতাগ্রন্থ, ২০১০), শেকড়ে বকুলের গন্ধ (কবিতাগ্রন্থ, ২০১১), ভেঙে ভেঙে জেগে থাকে নদীর হৃদয় (কবিতাগ্রন্থ, ২০১২), ধুলো অক্ষরের চিঠি (কবিতাগ্রন্থ, ২০১৩), কেউ কখনও বাড়ি ফেরে না (কবিতাগ্রন্থ, ২০১৪),
মৃত নক্ষত্রের শহরে (কবিতাগ্রন্থ, ২০১৫), ভালোবাসাও ভ্রমণে যায় (কবিতাগ্রন্থ, ২০২১)।
শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ : পাগলা রাজার টেনশন (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১২), পিকু ও পাখি (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১২), ভ‚তকন্যা (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১৩), নীল ঝরনার দেশে (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১৩), পিংকি ও একটি লাল গোলাপ (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), হঠাৎ দুরন্ত মুক্তিসেনা (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), গল্পগুলো ছোটদের (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), খেজুর গাছে ভ‚তের পা (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ, ২০২৩)
গল্পগ্রন্থ : বন্দুকে ফুটো (গল্পগ্রন্থ, ২০২০)
উপন্যাস : মুক্তিযুদ্ধের ভিন্ন এক রণাঙ্গনে (উপন্যাস, ২০১৬), মুখোমুখি মোহনায় (উপন্যাস, ২০১৭), আতোর-আদুরি উপাখ্যান (বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা উপন্যাস, ২০১৯), বিহঙ্গ সময়ের অ্যালবাম (আত্মজৈবনিক গ্রন্থ, ২০২২).
Swapnachhoar Padajatra by Raahman Wahid
গণতন্ত্রে পুরুষতন্ত্র – নুরুন্নাহার মুন্নি
লেখক নুরুন্নাহার মুন্নিকে মূলত আমি কবি হিসেবেই জানতাম। কিন্তু তার ভাণ্ডারে যে শক্তিশালী গল্পের প্লট রয়েছে তা জানলাম তার ‘গণতন্ত্রে পুরুষতন্ত্র’ শীর্ষক ছোটগল্পের পাণ্ডুলিপি পড়ে। এই গল্পগ্রন্থে ছয়টি গল্প স্থান পেয়েছে। প্রতিটি গল্পে লেখক অকৃপণ হাতে শব্দের যাদুতে বাংলার প্রাকৃতিক চিত্র এঁকেছেন। সামাজিক প্রেক্ষাপট ও দ্বন্দ্ব তাঁর গল্পের উপজীব্য বিষয়। আছে মানবপ্রেম ও দার্শনিক উপলব্ধি। তার প্রথম গল্পের বই হিসেবে পাঠককে বলবো অন্য কিছুর আলাপে না গিয়ে শুধু গল্পগুলোর রস গ্রহণ করুন। আমি নিশ্চিত অদূর ভবিষ্যতে এই গল্পকার তার সুবিন্যস্ত লেখার যাদু দেখাবেন।
ইলিয়াস ফারুকী
কবি ও কথাসাহিত্যিক
Gonotontre Purushtontro by Nurunnahar Munni
ক্যানপিতে রোদের মায়া – সঙ্গীতা ইয়াসমিন
জীবনের প্রতিচ্ছবি-প্রতিবিম্বই তো গল্প অর্থাৎ জীবন ও সমাজই গল্পের আকর। গল্পকারের অন্তর্দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা ও গভীরতা দিয়ে জীবন ও সমাজকে ব্যবচ্ছেদ করে কল্পনাশক্তির বিচিত্র বর্ণে এবং শব্দের ব্যঞ্জনায় তিনি চিত্রিত করেন চরিত্র। সৃষ্টি হয় গল্প, উপন্যাস, নাটক। সাহিত্য মানেই শব্দের ছবি, শব্দের শিল্প।
পনেরোটি গল্পের বিন্যাসে ‘ক্যানপিতে রোদের মায়া’ গল্পগ্রন্থটি মলাটবন্দি হয়েছে। সঙ্গীতা ইয়াসমিন অত্যন্ত দরদ ও যত্ন সহকারে গল্পগুলো নির্মাণ করেছেন। তাঁর নির্মাণশৈলীতে রয়েছে নৈপুণ্য ও বৈদগ্ধের ছাপ।
সবগুলো গল্পের ভরকেন্দ্রে রয়েছে নারী চরিত্র। এই চরিত্রগুলো আমাদের চারপাশের, চেনা মুখ, পরিচিত যারা পর্দার আড়ালে থেকে আজীবন ধর্ষকামী ও নিষ্ঠুর পুরুষের যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার অব্যক্ত যন্ত্রণার দগদগে ক্ষত আজীবন বয়ে চলে। এ-রকম অব্যক্ত যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি নিপুণভাবে চিত্রিত করেছেন কথাশিল্পী ও কবি সঙ্গীতা ইয়াসমিন। গল্পের ন্যারেশন ডিটেইল এবং পাঠের শুরুতেই গল্পের গভীরে টেনে নেওয়ার মতো চুম্বকীয় আকর্ষণ গল্পগুলোতে সৃষ্টি করতে গল্পকার সফল হয়েছেন। তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পেরেছেন সমাজের মানুষের চরিত্র। গ্রন্থটি পাঠশেষে পাঠকের মনে নারী জীবনের প্রেম-বিরহ-নির্যাতনের ধ্বনি করোটিতে অনুরণিত হয় দীর্ঘ সময়।
মোজাম্মেল হক নিয়োগী
কথাসাহিত্যিক
—————————————————-
লাইটার, পার্সেল, আয়না, আফিম, বেলফুল ও একটি মৃত্যু এরকম বেশ কয়েকটি হার্দ্য গল্পের ঝাপি মেলে ধরেছেন সম্পূূর্ণ নতুন ভাবনার আলোকে বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় সঙ্গীতা ইয়াসমিন তার প্রথম গ্রন্থ ‘ক্যানোপিতে রোদের মায়া’ গল্পগ্রন্থে। মনকাড়া প্রচ্ছদসহ সুদৃশ্য মলাটের এ গ্রন্থটি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার মতো।
সর্বমোট ১৫টি গল্পের এই সংকলনে গল্পের প্রেক্ষাপট কখনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তো আবার কখনো বিদেশের চরাচর। আবার মনে হবে দুই ভুবনেরই যেন মিশেল। চরিত্রগুলো আমাদের চারপাশের, অতি চেনা ছকের। পাঠকের মনে হতে পারে, এ যেন আমারই জীবনকথা।
লেখক সঙ্গীতা ইয়াসমিন প্রায় দেড় দশক কানাডায় বসবাসরত। সেকারণে বিদেশের প্রেক্ষাপট আর সেখানকার ছায়াচিত্রও রয়েছে ঘটনাক্রমে কিছু গল্পের উঠোনে।
মানুষ হিসেবে তো বটেই, নারী যে একটা পরিপূর্ণ জীবনের অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গও- তা তিনি সুনিপুণ দক্ষতায় তুলে এনেছেন জীবন্ত গল্পের পরতে পরতে।
বাবলু রহমান
প্রাবন্ধিক ও গবেষক
Canopyte Roder Maya by Sangeeta Yeasmin
আফসারের চোখে জল – সাইয়িদ রফিকুল হক
প্রকাশিত গল্পগ্রন্থে সর্বমোট নয়টি গল্প রয়েছে। প্রতিটি গল্পে রয়েছে ভিন্নস্বাদ ও ভিন্নমাত্রা। এসব জীবনের গল্প। আমাদের জীবনে রয়েছে দুঃখ-যন্ত্রণা, ব্যথা-বেদনা, কষ্ট-বঞ্চনা-লাঞ্ছনা আর চাওয়া-পাওয়ার তীব্র গড়মিল। এরই মধ্যে রয়েছে আবার টুকরো-টুকরো হাসি-কান্না, সুখ-শান্তি, প্রশান্তি আর সর্বোপরি প্রেম-ভালোবাসা। সবকিছু মিলিয়েই আমাদের এই অমূল্য জীবন। আর এসবকিছু নিয়েই রচিত হয় আমাদের জীবনের অফুরন্ত গল্প।
এই গল্পগুলোতে রয়েছে সমাজের একেবারে বাস্তবচিত্র আর সমকালীন জীবনের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। গল্পগুলো একবার পড়লেই ভালো লেগে যাবে। ভালোলাগার মতো গল্পগুলো পাঠকের সামনে হাজির হয়েছে সুবিন্যস্তভাবে। ‘আফসারের চোখে জল’, ‘অন্ধজনে আলো দাও’, ‘আত্মহত্যার আগে’, ‘জীবনের প্রশ্নোত্তর মেলে না’, ‘সৌরভের হাতে ফুল ছিল’, ‘কবি সাহেবের প্রেম’ ইত্যাদি চিত্তাকর্ষক নামের গল্পগুলোতে পাঠক সাহিত্যরসে ডুবে পরিতৃপ্ত হতে পারবেন।
এগুলো শুধু গল্প নয়। মানবজীবনের নিখাদ ঘটনাপ্রবাহ। আর এগুলো আশাহত ও বেদনাবিধুর জীবনের জীবন্ত কথামালা ও উজ্জ্বলতম ছবি।
Afsarer Chokhe Jol by Sayeed Rafiqul Haque
Muktijuddher Nirbachita Golpo by Shahab Uddin Hizol
পিতার কঙ্কাল – আফরোজা পারভীন
‘পিতার কঙ্কাল’ গল্পগ্রন্থের গল্পগুলি আমার চেনা, নিজ চোখে দেখা। আমাদের জীবনেরই প্রতিফলন। গল্প জীবন থেকে আসে। গল্পের জন্য ঘুরতে হয় না, খুঁজতে হয় না, হাতড়াতে হয় না চারপাশ! গল্পরা নিজে এসে ধরা দেয়। এ গল্পগুলিও সহজে ধরা দিয়েছে।
যিনি জীবনের ওপারে পাড়ি জমান তিনি চলে যান না চিরতরে! থেকে যান স্মৃতিতে, হৃদয়ে, লৌকিকতায় কিংবা জাদুবাস্তবতায়। ফিরে ফিরে আসেন নানান ভাবে। নাগরিক জীবনের যন্ত্রণা, গ্রামীণ জীবনের অমৃত এবং গরল, মানবিকতা ও পাশবিকতা খুঁজে পাবেন গল্পগুলিতে। আছে মাতৃত্বের মহত্ব, বন্ধুত্বের উদারতা, মুখোশধারীর পশুত্ব। এইসব নিয়েই মানব-জীবন। ভাল-মন্দ, আনন্দ-বেদনা, জয়-পরাজয়, অধীনতা-স্বাধীনতা নিয়ে এগিয়ে চলে জীবন। থামে না, জীবন থামার জন্য নয়। চলাই জীবনের নিয়ম। ‘পিতার কঙ্কাল’ গল্পগ্রন্থটিতে বলা হয়েছে জীবনের এই বহমানতার কথা।
Pitar Konkal by Afroza Parveen