তানযানিয়ার হৃদয় হতে – ফাতিমা জাহান
আফ্রিকা মহাদেশ নামটি শুনলেই অনেকের মনে আসে রঙিন পোশাক আর ভারী ভারী গয়না পরিহিত আদিবাসী মানুষ, ভয়ংকর জঙ্গল বা মরুভূমি। কারো মনে আসে রঙিন হস্তশিল্পের বিশাল ভাণ্ডার, কেউ কেউ মনে করেন সেখানে গেলে তাল তাল হীরের সন্ধান পাওয়া যাবে। কেউ-বা মনে করেন বিস্তীর্ণ ভূমিতে বিভিন্ন পশুপাখির আবাসস্থল। কেউ আবার মনে করেন বঞ্চিত, শোষিত, অবদমিত, বিভাজিত এক মানবসমাজ।
আসলে আফ্রিকার প্রকৃতি, জনসাধারণের জীবনযাপন কেমন তা নিরীক্ষা করতেই লেখক ভ্রমণ করেছেন আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ। বাইরে থেকে ঝলমলে মনে হলেও সাধারণ মানুষের জীবনযাপন, তাদের বেদনা-বঞ্চনা লেখক তুলে ধরেছেন এই ভ্রমণকাহিনিতে।
আফ্রিকা বিখ্যাত নিজস্ব বনভূমিতে পশুপাখির অভয়ারণ্য বানিয়ে সংরক্ষণের জন্য। তানযানিয়ার মতো বৈচিত্র্যময় দেশে তাই লেখকের পদচারণা থেমে থাকেনি সেইসব শ্বাপদসংকুল জঙ্গলেও। সেখানকার আদিবাসী মানুষ কিংবা আধুনিক শহরের মানুষের জীবনযাত্রার ছবি উঠে এসেছে লেখকের কলমে।
তানযানিয়ার গুপ্তধন কোনো হীরে বা দামি খনিজের খনিতে লুকিয়ে নেই, লুকিয়ে আছে এর শান্ত ও অসামান্য সুন্দর বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জের মাঝে। পান্না সবুজ জল আর জলের অদ্ভুত-অজানা জগতে লেখকের হাত ধরে অনেক অজানা দুয়ার খুলে গিয়েছে।
তানযানিয়া আফ্রিকার গড়পড়তার একটি দেশ নয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ, রঙিন পোশাকে আবৃত অতিথিপরায়ণ মানুষের হাসিমুখ, পশুপাখির নির্ভয় আবাসস্থল, সমুদ্রসৈকতের ঐশ্বর্য, নিখাদ আনন্দে মুখর নৃত্যগীত, হস্তশিল্পের অবারিত সম্ভারের সাথে লেখক নিজ দায়িত্বে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
Tanzaniar Hridoy Hotey by Fatima Jahan
মওলানা জালাল উদ্দিন রুমির খোঁজে তুরস্কে