Description
একজন জাদুকরকে বলা হলো,আপনি ছবি আঁকুন। পরাবাস্তবের মধ্য অল্প একটু রিয়েলিটির ছাঁট দেবেন। দেখে যেনো বোঝা যায় এটি ঐশ্বরিক কিছু, এর ভেতরে প্লাটফর্ম কিংবা ট্রেন ছেড়ে যাবার তাড়া যেনো না থাকে । হ্যাঁ, বিদায়ের ঘন্টাটি আপনি আঁকতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, সবুজ শাড়ি পরা মেয়েটির চোখ। কিছুতেই যেনো জলরাঙা ক্যানভাসে দীর্ঘশ্বাসের ছাপটুকু না পড়ে যায়। এরচেয়ে আপনি বরং একটি তারা আঁকুন। তারার ধারে হাঁটতে বের হওয়া একটা গ্রাম আর বাঁশঝাড় অথবা নিভে থাকা ছিয়াশিটি-মৃত জোনাক আঁকুন। না,সেখানে জীবন কিংবা নদীর মত ভুল কোন স্রোত দেওয়া চলবে না। যা দিতে হবে, একটা নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে পৃথিবীর সবচেয়ে বিরহের সংগীতটিকে ব্লেন্ড করে দিন। মনে রাখতে হবে, আপনি যা ভাবছেন সেটি দূর সমুদ্রে থেকে ভেসে আসা কেমন জানি ছেড়ে যাওয়ার ডাক! এতে আপনার মন খারাপ হতে পারে। আপনাকে অসীম সময় দেওয়া হলো ,তবে কল্পনার সূতোয় একটি চাঁপাফুল বাঁধা আছে, সেটি মনে রাখবেন। আপনি আঁকতে থাকুন। বিশ্রাম নেওয়ারর ফাঁকে যে রাস্তাটি ফিরে গেছে দেয়াল ঘেঁষে, সেখানেও একবার তাকাবেন। হাল ছেড়ে দেওয়া কিছু ইচ্ছে ওখানে আটকে আছে। পারলে শব্দ ছাড়াই ওদের বিদেহী করুন। আমরা পৃথিবীর শেষ ফুলটির ছবি আঁকবো। শেষ প্রজাপতি, শেষ সূর্যাস্ত আর শেষ ব্যথাটিকে সমাহিত করতেই শিল্পীর অভিনয় করা।
সব শুনে জাদুকর বললেন, বেরিয়ে এসো। দেখে যাও একটি শূলের বুকে তিনটি পাখিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিচেই খুলে রাখা পাত্র। ফোটা ফোটা জমা হচ্ছে রক্ত । তোমার বুকেই আঁকা হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে যন্ত্রনাময় সুখটি।
কামরুজ্জামান কাজল
২৮/০৮/২০১৯
There are no reviews yet.