Description
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার কনিষ্ঠ লগ্নে জন্মগ্রহণ করার দরুন মুক্তিযুদ্ধ দেখা বা অংশগ্রহণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হই তথাপিও শিশুকাল থেকে কৈশোর, তারুণ্য থেকে যৌবনাবধি বাবা এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের যতোটুকুনই দৃশ্যপট শুনেছি কিংবা সিনেমা ও টিভি নাটকে যতোটুকু দেখেছি তখন দেশের জন্যে একটা অদৃশ্য নাড়ীর টান অনুভব করি, শরীরের রক্ত যেনো গুলির মতন ছুটে যায় মাতৃভূমির অসীম সেই মায়াময় বন্ধনে আর তারই অনুপ্রেরণা আমাকে ঋদ্ধ করে দেশের প্রতি।
আবার আমাদের বহুল আলোচিত সমালোচিত সমাজে নারীর অধিকার, ত্যাগ-তিতিক্ষা, অবদান বা মর্যাদার লড়াইয়ের কথা আমরা বলি কিন্তু সহমর্মিতার সেই কাতারে সকলেই শামিল হতে পারি না। বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায় সেই কোন সুদূরে পাড়ি জমিয়েছে এই সব নীতিবাক্যের পাঠশালা। সমাজের বিভিন্ন স্তরে বাস্তবতাকে যোগ্যতার মানদণ্ডে সঠিকভাবে প্রমাণ করে দেখানোর দৃঢ় মনোবল বা সাহস থাকা স্বত্ত্বেও সেইসব বুদ্ধিদ্বীপ্ত মানবীদেরকে নিকষ আঁধারে নিক্ষেপের কিছু বাস্তব চিত্ররূপ ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা থেকে আমার আজকের এই লেখনির অভিপ্রায়। যদি কখনো সমাজের কঠিন বাস্তবতাটাকে এতোটুকু ছুঁতে পারে তবে নিজেকে ধন্য বলে মনে করবো।
কাঁচা হাতে কিছু রাজনৈতিক টক-ঝাল-মিষ্টি লেখার সমন্বয়ের কাছে আমি ঋদ্ধ, বাড়াবাড়ি মতোন হলে মার্জনীয়, শিক্ষাক্ষেত্রে শহরে বা গ্রামীণ জীবনের ক্ষেত্রে সামান্য তুলির আঁচর কেটেছে লেখনির ঝর্ণাধারা মাত্র। ভবিষ্যতে আরো পরিশীলিত এবং সাবলীলভাবে লেখার জন্যে সমাজের পরতে পরতের বাস্তব এবং পরাবাস্তবের দায়বদ্ধতার প্রত্যয় নিজের কাঁধে নিতে আগ্রহী যদি সেখানে বিন্দুর সমপরিমাণ পরিবর্তন ঘটাতে এই পারি প্রত্যাশা আমার। সমাজের বহুমাত্রিকতাকে লেখনির মাধ্যমে ধারণ করে পাঠক সমাজের দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর জন্যে আমার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। যে কোন ধরনের ত্রুটি মার্জনীয়, ধন্যবাদ।
There are no reviews yet.