অম্লমধুর – তফিল উদ্দিন মণ্ডল
সুখানন্দের চেয়ে জীবনের বড়ো প্রাপ্তি আর কিছু থাকতে পারে না। সুখের বহিঃপ্রকাশ ঘটে হাসিতে। হাসি প্রাণশক্তি বৃদ্ধির এক প্রকার নির্ভেজাল নিয়ামক, যা সবার ভাগ্যে জোটে না। ঊষর নির্বিকার ও নিরানন্দ জীবনকে সুন্দর ও রসময় করে তোলার জন্য হাসির বিকল্প আর কিছু আছে বলে আমার জানা নেই। আর এই হাসি ও আনন্দের যোগানদুয়ার খুলতে পারে রম্য লেখা। রম্য লেখকদের দাপটে সাহিত্যের একটি শাখাই হয়ে গেল রম্য বলে।
রম্যগল্পকারদের নাম করতে গেলে প্রথমেই বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়) ও সৈয়দ মুজতবা আলির কথা মনে পড়লেও বাংলা সাহিত্যে আরও অনেক রম্যলেখক রয়েছেন যাঁদের সাহিত্যে রয়েছে হাসির ত‚ণে সমাজের নানা রকম অসঙ্গতি ও নিগূঢ় সত্যকে তীর্যক বাণে বিদ্ধ করার কৌশল। তফিলুদ্দিন মÐলের রম্য গল্পের বাতাবরণেও হাসির আড়ালে সমাজের অনেক অসঙ্গতি ও কুসংস্কারের বিষকাঁটা লক্ষ করা যায়। ইতোমধ্যে তাঁর ‘সেই সব মজার মানুষ’ ও ‘বাহিরে যার হাসির ছটা’ গল্পগ্রন্থ দুটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তফিলু উদ্দিন মণ্ডলের তৃতীয় গল্পগ্রন্থে মোট ২৯টি রম্য গল্প মলাটবন্দি হয়েছে। এই বইয়ের গল্পগুলো ক্লান্তিহীনভাবে পড়ে শেষ করা যায় গল্পের বুনন ও ন্যারেশনের কারণে। কোনো কোনো গল্প সাধু ভাষায় রচিত হওয়াতে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে এবং মনে হয়েছে সাধু ভাষার জন্যই গল্পের বুনন মজবুত হয়েছে। কল্পনা ও বাস্তবতার মিশেল, বাক্যগঠনে বিভিন্ন মাত্রা, ভাষার মাধুর্য ও সাবলীলতা এবং বিচিত্র শব্দ চয়নে গল্প নির্মাণে লেখকের অকৃত্রিম আন্তরিকতা ও দরদ লক্ষ করা যায়। সুখপাঠ্য বইটি পাঠনন্দিত হোক এই প্রত্যাশা করি।
মোজাম্মেল হক নিয়োগী
কথাসাহিত্যিক।
AMLOMODHUR by Tafil Uddin Mondol
অন্তমিলের কবিতাটি ভালো লাগলো।...
রেজিস্ট্রার করে আপনার লেখা পোস্ট করুন।...
লেখক...