Additional information
Weight | 0.205 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.32 $ 1.76
ভূমিকা
কবিতার ভেতর ঘুমিয়ে থাকে এক অদ্ভুত জীবন কিংবা জীবনের গভীরে লুকিয়ে থাকে এক অদ্ভুত কবিতা। সে গভীর আর অদ্ভুতের উপলব্ধিই আমার তপস্যা। সে তপস্যা জড়িয়ে ধরে আষ্টেপৃষ্ঠে কোনো কোনো মুহূর্তে যখন প্রাত্যহিক জীবনের আর সব কাজ ঘর গেরস্থালি তুচ্ছ হয়ে পড়ে। এ আমার বহুকালের যাপন। কিন্তু তা নিয়ে লিখবো কখনও এমন সাহস ছিল না। দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকীর সম্পাদক কবি ওবায়েদ আকাশের প্ররোচনায় প্রথমবারের মতো সৈয়দ শামসুল হকের পরানের গহীন ভিতর, আবুল হাসান ও নির্মলেন্দু গুণের কবিতাগুলো নিয়ে লেখা গড়গড় করে বেরিয়ে যায় আমার কলম ধরে যা সংবাদ সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪/২০১৫ সালে। পরবর্তীতে কবি ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ নূরুল হকের আস্কারায় রফিক আজাদের কবিতা, রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মৃত্যু চেতনা ও নিজেরই আগ্রহে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের যে কবিতাগুলো স্টেজে উপস্থাপিত হয়েছিল সেগুলো নিয়ে লিখে ফেলি অনায়াসে। তাই এ গ্রন্থের সকল লেখা আমার কাছে অনুভবের সহজ বর্ণনার গদ্য হিসেবে স্বীকৃত যা উপরে উল্লেখ করা দুজনের কারণে না হলে হয়তো কোনোদিন লিখিত হতোই না। এই লেখাগুলো সংকলিত করে গ্রন্থ হিসেবে সাদরে প্রকাশের দায়িত্ব নিয়ে অগ্রজ লেখক ও প্রকাশক আবু এম ইউসুফ ভাই কৃতজ্ঞতার চেয়ে মায়ার বাঁধনে বেঁধে নিলেন।
Weight | 0.205 kg |
---|---|
Published Year |
বিশিষ্ট ছড়াকার, উপন্যাসিক, গবেষক, সম্পাদক প্রবীর বিকাশ সরকার এর জন্ম ১৯৫৯ সালে, বাংলাদেশের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে। ১৯৭৬ সালে চাঁদের হাট সংগঠনের সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালীন সাহিত্যচর্চার সূচনা। ১৯৮৪ সালে জাপান গমন। তার আরো ১১টি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
জানা অজানা জাপান (তৃতীয় খণ্ড)
’৫০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা ‘সমকাল’ কবিতা পত্রিকাকে কেন্দ্র করে বাংলা কবিতার ক্ষেত্র নির্মাণে যে গুটিকয়েক মননশীল কবি সফল হয়েছিলেন তাঁদেরই অন্যতম কবি আবুবকর সিদ্দিক (জ. ১৯৩৪)। এই ’৫০-এর দশকে ছাত্রাবস্থায় আবুবকর সিদ্দিক যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রথমত কবিতা ও ছোটগল্পের ভেতর দিয়ে। প্রায় সত্তুর বছরেরও অধিক সময় ধরে সাহিত্য সাধনায় নিয়োজিত আবুবকর সিদ্দিক প্রধানত কবি, তারপরে কথাসাহিত্যিক; লিখেছেন মননশীল প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা। অন্যদিকে গণসঙ্গীত তাঁর স্বাতন্ত্রিক পরিচয়ের এক ব্যতিক্রম মাধ্যম। সুতরাং বিচিত্র ধারায় তাঁর লেখনীশক্তি আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ।
ব্যক্তিগত ভাবে এই মানুষটিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি ছেলেবেলা থেকে। প্রথম জীবনে বর্তমান বাগেরহাটের সরকারি প্রফুল্লচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিশেবে যোগ দেন। কিন্তু জন্মসূত্রে তিনি বাগেরহাটের মানুষ। গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের বৈটপুরে। ফলে যখনই বাগেরহাটে আসতেন, প্রায়ই সময় আমাদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতেন। সেই থেকে বুঝেছি তিনি আমাদের পারিবারিক বন্ধু।
আবুবকর সিদ্দিক বহুপ্রজ নন, বিরলপ্রজ। যা লিখেছেন, তাই এপিক। কী কবিতা, কী কথাসাহিত্য! তারই নিদর্শন হিশেবে আমার দেখতে পাই, সেই ষাটের দশকে তিরিশের পঞ্চপা-ব হিশেবে খ্যাত কবি বিষ্ণু দে তাঁর সংবাদ মূলত কাব্য কবিতাগ্রন্থটি আবুবকর সিদ্দিককে উৎসর্গ করলেন, সঙ্গে শামসুর রাহমান। আমাদের কাব্যযাত্রার এ এক অনন্য অধ্যায় বললে অত্যুক্তি হবে না।
আবুবকর সিদ্দিক, আপাদমস্তক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটির সাহিত্যকৃতির বোধ ও বোধিকে ছুঁয়ে দেখার সক্ষমতা তৈরি হয়নি এই পাঠককুলের। আবার তিনি নিজেকে বাজারচলতি করেননি কখনো। সে স্পর্ধাও নেই আজকের মিডিয়াবাজদের। আর তাই কাছ থেকে দেখা এই অনন্য কবি ও কথাকার আবুবকর সিদ্দিককে আজকের পাঠকের কাছে তুলে ধরতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। বিভিন্ন সময়ে আবুবকর সিদ্দিকের কবিতা, কথাসাহিত্য ও গদ্য প্রসঙ্গে আমার যে যৎকিঞ্চিৎ প্রচেষ্টা ছিল, তারই সারবত্তা এই গ্রন্থ ‘আবুবকর সিদ্দিক সমগ্রতার চিরন্তনী’। এর মাধ্যমে আগামীর পাঠক নতুন ভাবে কবি ও কথাকার আবুবকর সিদ্দিককে আবিষ্কার করবেন বলে আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে গণসঙ্গীতেরও তিনি যে দিকপাল, তা পাঠক নতুন করে জানবেন এবং বুঝবেন।
বলা আবশ্যক, এই ক্ষণজন্মা যশস্বী কবি ও লেখক সম্পর্কে আমি লিখতে গিয়ে তাঁর রচিত গল্প-উপন্যাস-কবিতাগ্রন্থসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত আবুবকর সিদ্দিকের রচনাসমূহের সাহায্য গ্রহণ করেছি। উপরন্তু তাঁকে নিয়ে অন্যান্য বিভিন্ন লেখকদের লেখাগুলোও আমাকে সহায়তা করেছে। এছাড়াও আবুবকর সিদ্দিকের গুণগ্রাহী ছাত্ররা এবং তাঁর কাছের লেখকদের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতাও আমার এসব লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে। সুতরাং এ গ্রন্থ শেষে আলাদাভাবে তথ্য নির্দেশিকা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি। যদি এ আমার সীমাবদ্ধতা হয়ে থাকে, তার জন্যে আমি পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
যখন বলা হচ্ছে, পাঠকের অপ্রতুলতার কথা; বলা হচ্ছে, জাতি হিশেবে আমরা আজ বইবিমুখ; ঠিক তখন একটি নিরেট গদ্যবিষয়ক বই প্রকাশের দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রাণন প্রকাশনের কর্ণধার আবু এম ইউসুফ আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। পরিশেষে বন্ধুবর প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক শহীদ ইকবালের ঋণ স্বীকার করতেই হয়, এ গ্রন্থের নামকরণের ক্ষেত্রে সহযোগিতাদানের জন্য। একইসঙ্গে আরও ধন্যবাদ জানাই অনুজপ্রতিম কবি ও গবেষক বঙ্গ রাখালকে। তাঁর উৎসাহ ও নিরন্তর তাগাদা ছাড়া বইটি প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না।
মামুন মুস্তাফা
মিরপুর, ঢাকা।
আবুবকর সিদ্দিক- সমগ্রতার চিরন্তনী
চন্দন আনোয়ার। গল্পকার, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক। জন্ম: ৮ই জানুয়ারি, ১৯৭৮, নাটোর। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে নিযুক্ত আছেন। লেখকের ‘শাপিত পুরুষ’ ‘ইচ্ছা মুত্যু’ ‘বাংলা ছোট গল্প’ ও ‘তিন গোত্রজ গল্পকার, মানিক-হাসান-ইলিয়াস’ সহ আরো অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
এই সময়ের কথাসাহিত্য-২
সাহিত্য নিয়ে আমি ভাবি।এরমাঝে,কবিতা আমার আরাধ্য বিষয়।কবিতার বিশ্বমাঠে
আমি বিচরণ করতে ভালোবাসি। এই যে বিচরণ,তা থেকে অনেক পুষ্প,অনেক পাতা
আমি ঘরে তুলি। সেগুলো বার বার ফিরে দেখি।
এই যে চয়নপর্ব- তা থেকে আকর নিয়ে আমি লিখি আমার মতো করে।
বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য,কবিতার মাঝে আমি বাঙালি কবিদের প্রাধান্য এজন্যে দিই-
কারণ আমিও এই ভাষারই একজন লেখক।এই গ্রন্থে তেমনই কিছু প্রিয় লেখক,তাঁদের
লেখা, শিল্প-সংস্কৃতি-কবিতার বিভিন্ন জ্যোতিরেখা নিয়ে আমি লিখেছি।
‘যতিকল্পের প্রতিপৃষ্ঠা’-নামটি এক আধ্যাত্মিক আদেশে পাওয়া। কারণ এই বইয়ের নাম আমি চার বার বদলিয়েছি মনে মনে। যা সাধারণত আমি করি না। আমার বইয়ের নাম এক ভাবনায়ই ঠিক হয়ে যায়। এই বইটির নাম,একটি ঝলকের মাধ্যমে একটি শক্তি আমাকে পৌঁছে দিয়েছে। সে এক মহান অভিজ্ঞতা। এর বেশি এখানে শেয়ার করা সঙ্গত হবে না।
বইয়ে ৩৩টি প্রবন্ধ আছে। পাঠকসমাজ, পড়ে নিজের মত মিলিয়ে দেখতে পারেন। এই বইটি খুব যত্নের সাথে প্রকাশ করেছে- অনুপ্রাণন প্রকাশন,ঢাকা।
এর স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় আবু এম ইউসুফ ও তাঁর টিমের কাছে বিনীত কৃতজ্ঞতা।
সাহিত্য মানুষকে ভাবায়। আর সেই ভাবনার উদ্রেক করতে যারা কাজ করেন তারা সত্যিই মহান। আমাদের সকলের মহানুভবতা,সাহিত্যকে মানুষের আরও
কাছাকাছি নিয়ে আসুক।
সুপ্রিয় পাঠক-পাঠিকা, এই গ্রন্থ থেকে অন্তত কিছু লেখা আপনাদের ভালো লাগলেই
আমার সার্থকতা ।
অনেক প্রীতি সবাইকে।
ফকির ইলিয়াস
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
নিউইয়র্ক
যতিকল্পের প্রতিপৃষ্ঠা
জন্ম ১৯৮৬, মেহেরপুর। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশায় সাংবাদিক। ‘অরনি ছোটগল্প’ পুরস্কার ২০১২ ও ‘বৈশাখি টেলিভিশন তোমার গল্পে সবার ঈদ’ পুরস্কার ২০১৩ পেয়েছেন। দ্বিধা, আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটির বিগ্রহ সহ আরো প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
বিশ্বগল্পের বহুমাত্রিক পাঠ
স্বকৃত নোমান। কথাসাহিত্যিক। জন্ম ১৯৮০ সালের ৮ই নভেম্বর, ফেনির পরশুরাম উপজেলার বেলোনিয়ায়। শৈশবে ঊর্দু, আরবি ও পারসি সাহিত্যে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে সেলিম আল দীনের কাছ থেকে পাশ্চাত্য ও বাংলা সাহিত্যের গভীর পাঠ গ্রহণ করেন। বর্তমানে ঢাকায় সাপ্তাহিক সংবাদ ম্যাগাজিন এই সময় এর সহযোগী সম্পাদক হিসাবে কর্মরত। ২০১২ সালে এইচএসবিসি কালি কলম সাহিত্য পুরস্কার পান। ‘বেগানা’ ‘হীরকডানা’ ও ‘নিশিররঙ্গিলা’ উপন্যাসসহ মোট প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা
কথাসাহিত্যের অলিগলি
জন্ম : ০২ জানুয়ারি, ১৯৮৩-তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বেড়ে ওঠা পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে। লেখাজোখার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই।
প্রথম লেখা ছাপা হয় মাসিক রহস্যপত্রিকায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি লেখালেখিতে সচেতনভাবে মনোযোগী হন। তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকসহ অজস্র পত্রপত্রিকায়। সমানতালে লিখেছেন লিটল ম্যাগাজিনেও। দীর্ঘদিন যাবত সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’। গল্প লিখতে এবং গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য ধাঁচের রচনায়ও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। মাসিক উন্মাদ অতঃপর দৈনিক প্রথম আলোর তুমুল জনপ্রিয় ফান ম্যাগাজিন আলপিন-এর মাধ্যমে রম্যচর্চার হাতেখড়ি। এরপর থেকে লিখেছেন দৈনিক পত্রিকার ক্রোড়পত্র হিসেবে প্রকাশিত বিভিন্ন রম্য-বিদ্রƒপ সাময়িকীতে।
পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন পা-ুলিপি সম্পাদনা, লেখালেখি এবং সাংবাদিকতাকে। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত।
প্রকাশ (নির্বাচিত গল্প বিষয়ক প্রবন্ধ)
ভূমিকা
সেই দূর শৈশবেই বজ্রকণ্ঠ’র প্রেমে পড়ে যাই। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান কিংবা ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ তোমার আমার ঠিকানা’ ; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর ‘বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার নেতা, আমার নেতা- শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ এসব শুনতে শুনতেই যুদ্ধের ডাক এেেলা। সেই মহানায়কের নির্দেশেই ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে’ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো এদেশের সর্বস্তরের মানুষ। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হলো। আমরা সগৌরবে গেয়ে উঠলাম ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে বইটি এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতি আমার ভালোবাসারই অভিজ্ঞান । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রস্তুতিপর্বে সারা পৃথিবীর মানুষ এক মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায়। কোভিড-১৯ অতি দ্রুত ছড়াতে থাকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। যখন ক্রমশ আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং গোটা পৃথিবী এই অণুজীবের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে, ঠিক সেসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী কর্মসূচিকে উৎসবমূখর পরিবেশে না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবই সীমিত পরিসরে পালনের নির্দেশ দেন, যাতে কর্মসূচির কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি না পায়।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে ভাবা যায় না। ’৪৭-এর পরপরই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের কথা ভাবতে শুরু করেন। আরেকজন বাঙালি, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ^দরবারে পরিচিত করিয়েছেন, যার কবিতা গান গল্প উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ-নিরন্ধ এমনকি চিঠিপত্র আমাদের চেতনাকে সবসময় উজ্জীবিত রাখে, ভরসা যোগায়, জীবনকে আলাদাভাবে চিনতে শেখায়, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যার লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু ভেবে রেখেছিলেন ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় রচিত রবীন্দ্রনাথের ‘ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেবেন। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুযারি মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকেই এই গানটির প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
পূর্ববঙ্গে এসে রবীন্দ্রনাথ যে পূর্ণাঙ্গ রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের নদী-মাঠ-ঘাট-মানুষ-মাটি এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে, ১৩২৯ সালের ২ বৈশাখ ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লিখলেন ‘শিলাইদহ ঘুরে এলুম- পদ্মা তাকে পরিত্যাগ করেচে’ তাই মনে হলো বীণা আছে, তা’র তার নেই। তার না থাকুক, তবু অনেক কালের অনেক গানের স্মৃতি আছে । ভালো লাগল সেই সঙ্গে মনটা কেমন উদাস হলো।’ সাজাদপুর থেকে চলে যাবার পর বহুদিন বাদে কবি আর এক বার অনেকটা প্রাণের টানেই এখানে এসেছিলেন। ১৩০৪ সালের ৮ আশ্বিন সাজাদপুর ঘাটে বোটের ওপরে বসে লিখেছিলেন ‘যাচনা’ (কল্পনা) । ‘ ভালোবেসে সখী, নিভৃতে যতনে / আমার নামটি লিখিও তোমার / মনের মন্দিরে।’ পূর্ববঙ্গের প্রতি রবীন্দ্রনাথের অকুণ্ঠ ভালোবাসার বিষয়টি তাঁর নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়, এমনকি তার রবীন্দ্রবাউল হয়ে ওঠা এই পূর্ববঙ্গে এসেই। বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে পূর্ববঙ্গ বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
এইসব গদ্যের জন্ম পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে। যেখানে পূবের বাতাস উড়ে যেতে যেতে পারি দেয় দু দুটি মাহাসাগর- আটলান্টিক ও প্যাসিফিক। সেখানে বসে ফেরদৌস নাহার কবিতার পাশাপাশি লিখছেন গদ্য। সেসব থেকে নির্বাচিত আটটি লেখা নিয়ে পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য । গদ্যগুলো তিনটি পর্বে: চিত্রকলায়, চলচ্চিত্রে, কবিতায়।
পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য
জন্ম ২৬ মার্চ ১৯৭৮, ভুরুলিয়া, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। একাডেমিক লেখাপড়াÑ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশাÑ শিক্ষকতা। এছাড়াও তার আরো ৭টি গ্রন্থ রয়েছে।
বাংলা কবিতার ঐতিহ্য ও অন্যান্য অনুষঙ্গ
ফকির ইলিয়াস৷ মূলত: কবি৷ এছাড়া অবাধ যাতায়াত আছে প্রবন্ধ ও গ্রন্থসমালোনায়৷ সাংবাদিক হিসাবেও ব্যাপক পরিচিতি আছে৷ প্রবাসে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-লালন ও চর্চায় তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন৷ এযাবত্ প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তেরটি৷ বিভিন্ন দেশের সাহিত্য পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখা ছাপা হচ্ছে৷ ‘ঠিকানা শ্রেষ্ট গ্রন্থ পুরস্কার’ ‘ফোবানা সাহিত্য পুরস্কার’সহ আরও অকে পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন দেশে ও বিদেশে৷ বর্তমানে স্বপরিবারে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন৷
সাহিত্যের শিল্পঋণ
রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী বিষয়ক গ্রন্থটি একটি এম.ফিল গবেষণা-অভিসন্দর্ভ। ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে যার ডিগ্রি অর্জিত হয়। অর্থাৎ প্রায় একত্রিশ বছর আগে এর রচনাকাল। এটা অবিসংবাদিত যে, রবীন্দ্রনাথই বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার। তাঁর পঁচানব্বইটি গল্প-সংকলনের নাম গল্পগুচ্ছ। সমগ্র গল্পগুচ্ছ এক বিশাল চরিত্রশালার অন্তঃরাজ্য। গল্পগুলো তাঁর অন্যান্য রচনাবলি থেকে ব্যতিক্রম এজন্যে যে, এখানে আছে ‘মাটির কাছাকাছি’ মানুষের জীবন-যাপন। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত Ñ এসব সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যা, সামাজিক সমস্যা, রাষ্ট্রীয় সংঘাত, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, রক্ষণশীলতার সঙ্গে প্রগতিশীলতার সংঘর্ষ, এমনকি সমাজের পতিত নারীর জীবন-চিত্রণও এখানে বাদ যায় নি। ‘শাস্তি’-র দুখি-ছিদাম-রাধা-চন্দরা বা ‘সমাপ্তি’-র মৃন্ময়ী, ‘দিদি’ গল্পের দিদি অথবা ‘বিচারক’-এর রক্ষিতা ক্ষিরোদাকে রবীন্দ্র-সাহিত্যের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। তবে এটা ঠিক যে, গল্পগুচ্ছে আছে নারী-চরিত্রের প্রাধান্য। পুরুষ-চরিত্রের চেয়ে নারীচরিত্রগুলো অনেক বেশি উজ্জ্বল, অনেক বেশি শক্তিশালী ও জীবনঘনিষ্ঠ। ক্ষেত্র-বিশেষে নারীচরিত্রগুলো উপন্যাসের নারীচরিত্রের চেয়েও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ ও ব্যঞ্জনাময়। ‘হৈমন্তী’ গল্পের হৈমন্তী, ‘স্ত্রীর পত্র’-এর মৃণাল, ‘নষ্টনীড়’-এর চারুলতা, ‘পয়লা নম্বর’-এর অনিলা, ‘রবিবার’-এর বিভা এবং ‘ল্যাবরেটরি’-র সোহিনী একেকটি যুগের একেকটি স্মারক। অভিসন্দর্ভটিতে সমকালীন জীবন ও সমাজকে যেমন বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তেমনি চরিত্রগুলোকেও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করা যায়, পাঠক এবং গবেষক উভয়েই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।
রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.