Additional information
Weight | 0.245 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.76 $ 2.35
রামিশা বিয়ের পরই মাহীকে কেবল ভালোবাসেনি মাহীও রামিশাকে ভালোবেসে ছিলো। ডাক্তার মাহী বছর দুয়েক পর হঠাৎ স্কলারশিপ পেয়ে রাশিয়ায় পি.এইচ.ডি. করার জন্য চলে যায়। তখন রামিশা দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতিদিনই কথা হতো ইন্টারনেটে, কথা না হলে যেনো দু’জনার কারো ঘুম হতো না। হঠাৎ করেই দু’বছর যেতে না যেতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। মানুষের জীবনের বিশ্বাসী ভালোবাসার গল্পগুলো কখনো কখনো বড় অদ্ভুত। গতবাঁধা জীবনে কষ্টের ভিন্নতার গল্প কখনো মনে হয় একই রকম। কখন যে হারিয়ে যায় জীবনে সুখের গানগুলো তা কেই-বা বলতে পারে। প্রেম ভালোবাসা যেনো নিত্য নিকানো উঠানে ঘিরে থাকা স্মৃতি। বদলে যায় প্রণয়ের রীতিনীতি। অথচ রামিশার মনজগত ছিলো এতোটাই প্রখর আর স্বচ্ছ সে পারেনি সর্ম্পক ছিন্ন করে সুহাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে। সন্তানের পিতৃ পরিচয় আর এক দিকে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ীকে একা ফেলে স্বার্থপরের মতো চলে যেতে পারেনি। তাছাড়া মাহীতো ডিভোর্স দেইনি। তাই জীবনে নতুন কোনো ভোরের প্রত্যাশা করেনি। এই চিঠি লেখার ভিতর বাস্তবতার ছোঁয়া অজান্তে থেকে গেলেও যেতে পারে। তবুও একতরফা ভালোবাসার ত্যাগ, সন্তানের পরিচয় তাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য, সন্তান যেনো জানে তার বাবা আছেন। তাই সব কিছুই গোপন করে রামিশা। লড়াই ছিলো তার একার তাই সব সময় একতরফা ভালোবাসায় মাহীকে চিঠি লিখে যেতো। এতো ভালোবাসার সম্পর্কের ভিতর একটি নারীর একাকীত্বের সাথী ছিলো এই চিঠি, আর কল্পনায় ঘেরা তার আর্তনাদের ভিতর স্বপ্ন সে বুনে যেতো অবিরাম…
Weight | 0.245 kg |
---|---|
Published Year |
ভূমিকা
লোকমান তাজ রচিত লাশপুরীর লাশের গল্প কিশোর উপযোগী রহস্যময় উপন্যাস। সমকালীন অনেক লেখক এ জাতীয় রচনা সৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সাইন্স ফিকশন, রম্য কথা, ভৌতিক থ্রিলিং ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রচুর লেখালেখি অব্যাহত রয়েছে। কারো কারো বেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লক্ষণীয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব লেখা অনির্দেশ্য বায়বীয় ভাব ভাবনায় সমর্পিত।
সঠিক কোনো জীবনবোধ বা আদর্শ অন্বেষার বালাই নেই। দিকভ্রান্ত কাহিনী চরিত্রের মোহমুগ্ধ ঘনঘটা একটা আবেশ ছাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থায় লোকমান তাজ এর লাশপুরীর লাশের গল্প নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গাছতলা গ্রামের সবিস্তার কাহিনী সাব্বির, মাহি ও মেহেক চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু শাখা কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। যেখানে মীরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীনিবাসের এক মর্মান্তিক কাহিনী এখানে বর্ণিত হয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র সাব্বিরই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
লাশপুরীর লাশের গল্পে সত্যিকার অর্থেই গল্পের একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে অপরিসীম আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সম্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এর কাহিনী চরিত্রে বরাবরই একটা আদর্শবোধ ব্যাপ্ত আছে। এ সুবাদে সেখানে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন মীরা কেন্দ্রিক সারিনা জামান এর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মেয়েটির আত্মহত্যা ও এর আনুপূর্বিক ঘটনা যে কাউকে ছুঁয়ে যেতে সক্ষম। সংসারের অভাব-অনটন, বন্ধুবান্ধবীদের নিগ্রহ-নিপীড়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবজ্ঞা, অবহেলা-সবমিলিয়ে মেয়েটির জীবন বিষিয়ে তোলে। এছাড়া সাব্বিরের দাদিবাড়ি গাছতলা গ্রামের নানাবিধ ঘটনা এ গল্পের আড়ম্বরের সাথে বনিত হয়েছে। যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব। আমি লাশপুরীর লাশের গল্প ও এর লেখক লোকমান তাজ এর পর্যায়ক্রমিক সমুন্নতি কামনা করছি।
-ড. মুহাম্মদ জমির হোসেন
লাশপুরীর লাশের গল্প
জহিরুল হক বাপি। জন্ম ১৯৭৯ সালে নোয়াখালির এক মফস্বলী ঝড়ো সন্ধ্যায়।
চলচ্চিত্র শিক্ষায় স্নাতক। ব্লগার ও গণজাগরণ কর্মী।
লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য বই:
ঈস্রাফীলের শিঙ্গা বাজছে (উপন্যাস)
শোকগাথা’৭১ (উপন্যাস)
আমি আমাকে খেয়ে বেঁচে আছি (কবিতা)
মাটির বাকসো লড়োচড়ো
লেখকের কথা:
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী “রু” আমার প্রথম প্রকাশিত বই হলেও আমার লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল এই “প্রজেক্ট পাই”, যেটা আমি লিখেছিলাম দুই হাজার পনেরো সালে, অর্থাৎ আজ থেকেও আরো প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু নানা কারণে এই উপন্যাসটা আর প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি। তবে কোথাও প্রকাশ না করলেও উপন্যাসটার কথা আমার মাথায় সবসময়ই ছিল। এ-কারণে প্রায়ই “প্রজেক্ট পাই”-এর ফাইলটা বের করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ বুলাতাম। এ-রকম করতে করতেই একদিন হঠাৎ মাথায় চলে এলো “রু”-এর প্লট। লেখা শুরুও করে দিলাম আমার দ্বিতীয় উপন্যাস “রু”। মাঝখানে অনিবার্য কারণবশত নেয়া একটা লম্বা বিরতিসহ প্রায় দুই বছরের মতো সময় লাগলো “রু” লিখে শেষ করতে। লেখা শেষ হবার বেশ কয়েক মাস পর আমার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাসটি অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো আমার প্রথম বই হিসেবে। বইটি অনুপ্রাণনের সে বছরের বেস্টসেলারও হলো। “রু”-এর পর এবার আমার মাথায় এলো আমার প্রথম সন্তান, অর্থাৎ আমার লেখা প্রথম উপন্যাস “প্রজেক্ট পাই”-এর কথা, যে কিনা গত চার বছর ধরে ঘরবন্দী হয়ে আছে। ভাবলাম, এবারে যে তাকেও মুক্তি দিতে হয়!
অবশেষে “প্রজেক্ট পাই”ও মুক্তি পেলো। প্রজেক্ট পাই সম্পর্কে আমি আমার পাঠকদের আগে থেকে তেমন কিছুই বলব না। শুধু এটুকুই বলব, “রু” যেমন আমার এবং আমাদের গল্প ছিল, “প্রজেক্ট পাই”ও ঠিক তেমনি আমার এবং আমাদের গল্প। এখান থেকে আমাকে এবং আমাদেরকে খুঁজে নেয়া এবং আমাদের মাঝখানে নিজেদেরকেও খুঁজে নেয়ার দায়িত্ব আমি আমার পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
Ñতানভীর আহমেদ সৃজন
আগস্ট ২০১৯
প্রজেক্ট পাই
পিনু মামা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখছিলেন। দেখছিলেন বললে মনে হয় ভুল হবে- বৃষ্টির গান শুনছিলেন। কারণ সাঁঝের ঘোলা আলোয় বাহিরটা তেমন দেখা যাচ্ছিল না। আর কী যেন ভাবছিলেন। হয়ত তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কোন গল্পটা আমাদের শোনাবেন তাই ভাবছিলেন। আমরা অধীর হয়ে বসে আছি। পিনু মামা কখন গলা ঝেড়ে কথা বলা শুরু করবেন তার জন্য। আমরা মানে- আমি আর আমার বন্ধুরা। পিনু মামা কানাডায় থাকেন এখন। এর আগে তিনি ছিলেন আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে। তারও আগে ছিলেন আমাজানের গহীন বনে…। গোটা বিশ্ব মামার আবাস ভূমি। কী বিচিত্র অভিজ্ঞতাই না আছে তাঁর ঝুলিতে! মামার গল্প আমি আমার বন্ধুদের কাছে প্রায়ই করতাম। তাই সবার মাঝে মামা ভীষণ জনপ্রিয়। মামা দেশে এসেছেন এবং এখন আমাদের বাসায়- এই কথা শুনে আজ বন্ধুরা আমাদের বাসায় ভিড় করেছে, মামার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে গল্প শুনবে বলে। স্কুলে চলছে গ্রীষ্মের ছুটি তাই পড়াশোনার চাপটাও এখন কম।
পিনু মামার অ্যাডভেঞ্চার
দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী রমণীদের বসবাস এখানে। ওই সুন্দরীদের রূপের সাথে পাল্লা দেয় যৌবন আর যৌবনের সাথে পাল্লা দেয় রূপ কিন্তু সেটা এক রক্ত নহর বহা একনগরী… স্ত্রীর জন্য ৭ পুরের (গ্রামের) জল ও মাটি সংগ্রহ করে পুব্যা এক যুবক। তবে শর্ত ছিল পথিমধ্যে কারো সাথে কথা-টথা বলতে পারবে না সে। যুবকটি কেন বলছে, হায় নারী! হায় স্ত্রী আমার! তুমি আমার অর্ধেক নও, তুমি আমার পুরো পৃথিবী… এরকম অসংখ্য মজাদার কথামালায় রচিত এই দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা উপন্যাসটি। শরীফ শামিলের লেখনী শক্তি ও কল্পনা শক্তি প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর প্রথম উপন্যাস দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা এর ব্যাপারে লিখেছিলাম, ওটি বাংলা উপন্যাসে এক নতুন সংযোজন। আর এ ‘দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা’ উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসে আরেক (সম্পূর্ণ) নতুন সংযোজন।
আবু এম ইউসুফ
প্রকাশক
দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা
হামিম কামাল। জন্ম ১৯৮৭ সালের ৯ অগাস্ট, ঢাকায়। আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক।প্রকাশিত গ্রন্থ- জঠর (২০১৬), কারখানার বাঁশি (২০১৮)।
জঠর
ভূমিকা
বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ার হোসেন বাদল চিকিৎসার জন্যে কিছুদিন আগে দক্ষিণ ভারতের ভেলোর শহরে গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন তার আজীবন সহযাত্রী, সহযোদ্ধা আমাদের প্রিয় সুলতানা ভাবী। বাদল ভাই ভাবীর সাথে নানান জায়গার ছবি তুলছেন আর তাৎক্ষণিক অভিজ্ঞতা লিখে পোস্ট দিচ্ছেন। আমিও মজা করে কমেন্ট করে যাচ্ছি সেইসব পোস্টে। প্রথমদিকে সাদামাটা পোস্ট ভেবেই গভীরে তেমন ঢোকার চেষ্টা করিনি। কিন্তু সময় যতোই যেতে থাকে পোস্টগুলো আমাকে চুম্বকের মতো টানতে থাকে। একসময়ে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে বাদল ভাইয়ের ভ্রমণবৃত্তান্তের অপেক্ষায় থাকি, কখন তিনি পোস্ট দিবেন, কখন সেই আখ্যানগুলো পড়বো। অবস্থা যখন এমন পর্যায়ে একদিন বলেই ফেললাম যে লেখাগুলোকে মলাটবদ্ধ করলে একটি ভালো বই হতে পারে। উপযাচক হয়ে এটাও বললাম যে যদি কখনো লেখাগুলো মলাটবদ্ধ হয় আমিই লিখবো এর মুখবন্ধ।
বলেতো দিয়েছি কিন্তু তখন কি আর জানতাম যে এই গুরুদায়িত্ব আমার ঘাড়েই চাপবে! সেদিন হঠাৎই বাদল ভাইয়ের ফোন, ‘কমরেড, ভারতে কয়েকদিন নামের বইটি আসছে আগামী বইমেলায়। ভূমিকা কিন্তু আপনাকেই লিখতে হবে।’ আমিতো সপ্তম আসমান থেকে পড়লাম একেবারে জমিতে।
যাইহোক, সচরাচর ভ্রমণকাহিনী বলতে আমরা যা বুঝি আনোয়ার হোসেন বাদল এর ‘ভারতে কয়েকদিন’ সে অর্থে কিন্তু কোনো ভ্রমণকাহিনী নয়। বরং এটি হচ্ছে সাদা চোখে দেখা সাদামাটা অভিজ্ঞতার এক নির্মোহ বিবরণ, কিছু জানা কথা, কিছু অজানা তথ্যের প্রকাশ।
বইটি এমন সহজ-সরল ভাষায় লিখিত যে—পড়ার সময় মনে হতে পারে পাঠক বই পড়ছেন না বরং লেখকের সাথে সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতের নানান শহর। নিজের চোখেই পাঠক দেখছেন ভারতের ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্থাপনা আর বিচিত্র প্রকৃতি।
আলোচ্য বইটিতে পাঠকের পরিচয় ঘটবে ভারতের ঐতিহাসিক শহর কোলকাতা, তৃতীয় বৃহত্তম শহর দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই আর ভেলোরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্পসংস্কৃতি ও স্থাপত্যকর্মের সাথে।
বইটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অমরকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
কবি হানিফ মোহাম্মদ
তালেপুর, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
ভারতে কয়েকদিন
একটি মেয়ে, জন্ম থেকে বোধ করি আলাদা ব্যতিক্রমী ভাবনায় গড়ে উঠেছে। দেশভাগের পর, নানান টানা-পোড়েনে বেড়ে ওঠা তাদের পরিবার। এক একটা ঘটনা হয়তো তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ। সেই সময় তার কাছে বিশাল বিস্ময় হয়ে উঠেছিল। এক একটা আঘাত প্রতিনিয়ত তাকে সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে। জীবনের মধ্যপ্রান্তে ক্লান্ত ‘বিকেলের আলোয়’ সে সবকিছুই দেখতে পায়। সেই সব হারানো না ফিরে পাওয়া দিনগুলো। সেই সব দিনগুলো আজো খুঁজে বেড়ায়। আজো বেলিফুলের তীব্র ঘ্রাণ নাকে আসে বাতাসের সাথে। শেষ প্রহরের সিনেমা ভাঙা গান আজো বাজে। ট্রেনের হুইসেলের শব্দে আজো যেনো ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ভালো লাগবে আশা করি প্রিয় পাঠকের।
বিকেলের আলোয়
বুদ্ধদেব বলেছেন- জীবন দুঃখময়। কথাটা সর্বাংশে সত্য কিনা সংশয় রয়েছে মনে। তবে এটা সত্যি যে, বারে বারে দুঃখ আসে জীবনে। আসে বলতে মানুষ জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতে তার কামনা-বাসনার দ্বারা দুঃখকে ডেকে আনে। যদিও দুঃখকে কেউ চায় না। কিন্তু না চাইতেই মহাসমারোহে হানা দেয় জীবনে। কারণ, আলো-আঁধারের মত সুখ-দুঃখও হাত ধরাধরি করে চলে। তাই কোনমতেই দুঃখকে বাদ দিয়ে শুধু সুখ লাভ সম্ভব হয় না। কিন্তু মানুষ চায় সুখের বন্দরে নোঙ্গর গেড়ে জীবনটা কাটাতে। সেখানে পৌঁছতে গেলে দুঃখের পথ অতিক্রম করেই যেতে হয়। জীবনে দুঃখকে জয় করার মধ্যেই আছে পৌরুষ, আছে বীর্যবত্তা। তাই তাকে শক্তিধারণ করতে হয় দুঃখ জয় করার। “দুঃখ জয়ের গান” পাঠকের অন্তরে সেই প্রেরণা জোগাবে যাতে সে কর্ম-সাধনার মধ্য দিয়ে জীবনটাকে সঙ্গীতমুখর করে তুলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
পরিশেষে, বইটির পান্ডুলিপি পাঠ করে মূল্যবান মতামত দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের প্রভাষক নির্জন মজুমদার, কবি দেবী চিত্রলেখা মন্ডল, সাহিত্যিক অমল হালদার, কবি ড. অশোক মিস্ত্রী। তাদের সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। সুস্মিতা ও শ্রেষ্ঠা আমার দুই মেয়ে নিরন্তর স্বপ্ন দেখে চলে কবে বাবার লেখা নতুন বই প্রকাশিত হবে। ওদের প্রেরণা আমার সব সময়ের পাথেয়। প্রথম উপন্যাস প্রকাশ-লগ্নে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। মুদ্রণজনিত ভুল-ত্রুটি পরিহারের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তারপরও অজ্ঞাতসারে কিছু প্রমাদ থেকেই যেতে পারে। সেজন্যে পাঠকের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
সন্তোষ কুমার শীল
শ্রীরামকাঠী, পিরোজপুর।
দুঃখ জয়ের গান
একাত্তরের কথকতা
গল্পের জীবন নাকি জীবনের গল্প—সমাজমনস্ক গল্পকারের বিবেচনায় কোনটি মুখ্য প্রণিধানযোগ্য, সেই কূটতর্কের জালে না জড়িয়ে কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ মানবজমিনের সবুজ শ্যামল চত্বরে পরিব্রাজকের মতো পা ফেলে ফেলে জীবনের অম্লমধুর নির্যাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে গল্প রচনা করেন। আর সেই নির্যাসমথিত উপাদানের শৈল্পিক বুননে গড়ে ওঠে জীবনের গল্প, জীবনজয়ী গল্প।
অলৌকিক যাত্রা নামের এই গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্পই নতুন এবং আলাদা। এ স্বাতন্ত্র্য যতটা না গল্পের বিষয় উপজীব্যে, তারও অধিক বহিরঙ্গের প্রকরণে এবং উপস্থাপনের অভিনবত্বে। এইখানে এসে প্রতিটি গল্পই অতিক্রমপ্রয়াসী পূর্ববর্তী গল্পের। এভাবেই ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়া,
সম্মুখের পাথর সরিয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে পা ফেলা।
বিচিত্র সব পাত্রপাত্রী এসে জীবনপাত্র মেলে ধরেছে এ গ্রন্থের পাতায় পাতায়। তারা গল্পকারের হাতের ক্রীড়নক নয়, বরং ক্ষেত্র বিশেষে এই চরিত্রগুলোই নিজেদের স্বাভাবিক বিকাশের স্বার্থে গল্পকারের ভাবনার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেছে, আবার নতুন মাত্রায় পথও দেখিয়েছে। এ কারণেই এখানে প্রতিটি পাত্রপাত্রী স্বতন্ত্র আলোকপ্রভায় উদ্ভাসিত এবং জীবন্ত। আর এদের প্রাণসম্পদের জোরেই এ বইয়ের গল্পগুলো হয়ে উঠেছে প্রখর গতিময় এবং জীবনমুখী।
সাম্প্রতিক অতীতে দৃশ্যাতীত এক অচেনা ঘাতক মানব সভ্যতার শেকড় ধরে যে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে, এ গ্রন্থের নামগল্পে সেই ছবি আঁকতে গিয়ে পাঠককে এক অলৌকিক যাত্রার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন গল্পকার, যেখানে এসে জাতপাতের সীমারেখা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং পাঠক খুঁজে পায় স্বস্তির ঠিকানা।
গল্পের জীবন নাকি জীবনের গল্প—সমাজমনস্ক গল্পকারের বিবেচনায় কোনটি মুখ্য প্রণিধানযোগ্য, সেই কূটতর্কের জালে না জড়িয়ে কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ মানবজমিনের সবুজ শ্যামল চত্বরে পরিব্রাজকের মতো পা ফেলে ফেলে জীবনের অম্লমধুর নির্যাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে গল্প রচনা করেন। আর সেই নির্যাসমথিত উপাদানের শৈল্পিক বুননে গড়ে ওঠে জীবনের গল্প, জীবনজয়ী গল্প।
অলৌকিক যাত্রা নামের এই গল্পগ্রন্থের প্রতিটি গল্পই নতুন এবং আলাদা। এ স্বাতন্ত্র্য যতটা না গল্পের বিষয় উপজীব্যে, তারও অধিক বহিরঙ্গের প্রকরণে এবং উপস্থাপনের অভিনবত্বে। এইখানে এসে প্রতিটি গল্পই অতিক্রমপ্রয়াসী পূর্ববর্তী গল্পের। এভাবেই ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়া,
সম্মুখের পাথর সরিয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে পা ফেলা।
বিচিত্র সব পাত্রপাত্রী এসে জীবনপাত্র মেলে ধরেছে এ গ্রন্থের পাতায় পাতায়। তারা গল্পকারের হাতের ক্রীড়নক নয়, বরং ক্ষেত্র বিশেষে এই চরিত্রগুলোই নিজেদের স্বাভাবিক বিকাশের স্বার্থে গল্পকারের ভাবনার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করেছে, আবার নতুন মাত্রায় পথও দেখিয়েছে। এ কারণেই এখানে প্রতিটি পাত্রপাত্রী স্বতন্ত্র আলোকপ্রভায় উদ্ভাসিত এবং জীবন্ত। আর এদের প্রাণসম্পদের জোরেই এ বইয়ের গল্পগুলো হয়ে উঠেছে প্রখর গতিময় এবং জীবনমুখী।
সাম্প্রতিক অতীতে দৃশ্যাতীত এক অচেনা ঘাতক মানব সভ্যতার শেকড় ধরে যে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে, এ গ্রন্থের নামগল্পে সেই ছবি আঁকতে গিয়ে পাঠককে এক অলৌকিক যাত্রার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন গল্পকার, যেখানে এসে জাতপাতের সীমারেখা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং পাঠক খুঁজে পায় স্বস্তির ঠিকানা।
অলৌকিক যাত্রা
বঙ্গ রাখাল
জন্ম : ১২ জুন, ঝিনাইদহ।
শিক্ষা : ঝিনাইদহের বসন্তপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রী কলেজ (ঝিনাইদহ) থেকে এইচ.এস.সি। সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা স্কুল অফ ইকনোমিকস থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইকোনমিকস ডিগ্রী। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে গণহত্যার উপর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য।
কর্মজীবন : লক্ষীপুর, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বাংলার প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও বর্তমানে তিনি সমাজসেবামূলক একটা বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থ :
১. সংস্কৃতির দিকে ফেরা (প্রবন্ধ, ২০১৫)
২. লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ (গবেষণা, ২০১৬)
৩. মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ (প্রবন্ধ, ২০১৭)
৪. হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন (কবিতা, ২০১৮)
৫. মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য (প্রবন্ধ, ২০১৮)
৬. অগ্রন্থিত রফিক আজাদ (সম্পাদনা, ২০১৯)
৭. পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত্ব দর্শন (সম্পাদনা, ২০১৯)
৮. লণ্ঠনের গ্রাম (কবিতা-২০১৯)
৯. ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ)
সম্পাদিত ছোট কাগজ : নিহারণ, বঙ্গস্বর, শঙ্খধ্বনি, শব্দকুঠি ।
ই-মেইল : bangorakhal.bd@gmail.com
কবিতার করতলে
আমলা-যন্ত্র
নেতা মনে করতেই পারেন,
জনগণ হলো ভোঁদাই,
দক্ষ মঞ্চায়নে ধরতেই পারবে না,
অভিনয়শিল্পীরা কী-করে চালিয়ে যাচ্ছে বোকাদের!
অথচ দেখুন; পানির লাইনে ঢুকে গেলে সুয়ারেজ লাইন,
রিহার্সেল জানা আছে বলে-
আমরা কিন্তু বুঝি ওয়াসার পরবর্তী নাটক।
রামায়ণে– নারী অধিকার জানতে হলে;
সীতার পাতাল প্রবেশের ঘটনাই যথেষ্ট।
জুলাই [] ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ
অলক্ষে মুদ্রিত কাচঘর - Alokkhe Mudrito Kachghor
ভূমিকা
অনেকগুলি গল্প কবিতা ও দু’একটি উপন্যাস লিখে ফেলার পর হঠাৎ মনে হলোÑ ছোটদের জন্য তো কিছু লেখা হয়নি! তখন মনে পড়লো আমার ছোটবেলায় গ্রামীণ আবহে শোনা গল্পগুলির কথা। যার ফলশ্রুতিতে এ বইটির সৃষ্টি। ‘সোনার নাও পবনের বৈঠা’ বইখানি যদি ছোটদের একটু আনন্দ দিতে পারে তবে নিজেও আনন্দিত হবো। এ গ্রন্থ সৃষ্টি হওয়ার মূলে যে গল্পগুলি তার জন্য যাঁদের কাছে আমি ঋণী তাঁদের নাম করতে গেলে প্রথমেই আমার মেজো’পা (মিলা’পা), কাজিন সেতন আপা ও বিন্দুবাসিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক বীথি আপার নাম করতে হয়। তাদের কাছে শোনা গল্পগুলি আমার মনন গঠনে সাহায্য করেছে।
এ বইয়ের পা-ুলিপি তৈরীতে যিনি সর্বোতভাবে সাহায্য করেছেন তিনি আমার প্রেরণাগুরু প্রয়াত সাংবাদিক জনাব ফরহাদ খাঁ। তাঁর ইচ্ছা ছিল পা-ুলিপিখানির সর্বশেষ ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন, পরিমার্জন ও সম্পাদনা করবেন। কিন্তু ঘাতকের নিষ্ঠুরতায় তাঁকে অসময়ে চলে যেতে হলো বলে সে আশা পূর্ণ হলো না। তাই শেষ কাজটুকু আমার ছোট ছেলে অর্ণব হাসনাতকে দিয়ে করাতে হলো। আমার এ বইটি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার বড় ছেলে সুবর্ণ আহসান আমাকে সর্বপ্রকারে উদ্দীপনা জুগিয়েছে এবং সাহায্য সহযোগিতা করেছে। সাংবাদিক ফরহাদ খাঁর পর যে দুই ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করতে হয় তার একজন হলেন চাকরিক্ষেত্রে আমার একসময়ের বস জনাব শামসূয জাহান নূর ও অন্যজন সাংবাদিক ভাই ও বন্ধু কাজী সালাহ উদ্দীন আহমেদ। এ ছাড়া আমার লেখকবন্ধু মহিউদ্দীন আকবর এ বইয়ের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছেপে ও বিভিন্নভাবে আমাকে উৎসাহ উদ্দীপনা জুগিয়েছেন।
উপরোল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। গল্পগ্রন্থটির ভুলত্রুটি ও ভালমন্দ পাঠক সুধীজন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে মন্তব্য জানালে বাধিত হবো।
লেখক।
সোনার নাও পবনের বৈঠা
অপুষ্পক বারুদ
গ্রামের পাশে যে বিশাল বাদাম ক্ষেত আর ক্ষেতের পাশে যে ছোট নদী, সে নদীতে মাঝারি সব ঢেউ ওপার থেকে এপাড়ে আসে খড়কুটো মুখে নিয়ে। আর কত কিছু ভেসে আসে আর চলেও যায়—সারা দিনভর ছোটনেরা সেইসব দেখে পাড়ে বসে বসে।
ছোটনেরা মানে হলো—হাবিবুল, রতন, মোবারক, শেফালি বকুল এরা। কালিয়াখোল গ্রামের ছোটরা। তারা প্রতিদিন নদীতে আসে আর কাঁচা বাদাম খেতে খেতে লক্ষ করে নদীটাকে। নদীর ভেতরে কত কিছু। কাদাখোঁচা একটি দুটি। বালিয়া হাঁসের সাদা পাখনা উড়তে থাকে। আর ওপারের মেঘ যখন উড়তে উড়তে এপারে আসে তখন জলিল কাকার সময় হয় জোয়ালের গাই দুটাকে গোসল দেয়ার। গাই দুটার গোসল দেখতে দেখতে আর বাদাম খেতে খেতে দলের মধ্যে মোবারক নামে যে আছে, সে একটা প্রস্তাব দিল। প্রস্তাব দেয়ার আগে বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব নিয়ে কয়েকটা জানাশোনা তথ্যও দিল। যেমন—এই নদীতে কিছুই ডোবে না।
বাকিরা মাথা নাড়ে—হুম।
গরু ডোবে না, খড় ডোবে না। নাও-লঞ্চ কিছুই ডোবে না। ভেলা ডোবে না।
সবাই মাথা নাড়ে। কাঁচা বাদাম খায়।
—চল আজকে একটা খেলা খেলি। মিনুরে ডুবাই দেই। দেখি ডোবে কি না?
ছোটনরা একজন আরেকজনের দিকে তাকায়। প্রস্তাবে জোর সমর্থন দেয় নুরু। প্রস্তাব সমর্থন নিয়ে নুরু কারো দিকে তাকায় না। নদীর পেটে জলের প্রবাহ দেখতে দেখতে তারা স্কুলঘর দেখে। দূরের আকাশছোঁয়া মিনার মসজিদ দেখে।
—মিনুও ডুবত না। এই নদীতে কিছুই ডোবে না–বলে সাহস দেয় নুরু। ততক্ষণে মিনুকে নিয়ে এসেছে মোবারক।
মিনু জল দেখে ভয় পায়। বলে—মিঁউ!
বিশাল নদী। বিশাল চর। মিনু ভয় পায়। ডাকাডাকি শুরু করে দেয়—মিঁউ মিঁউ।
মিনুকে কোলে নেয় হাবিবুল। হাবিবুল থেকে নেয় রতন। রতন থেকে নেয় শেফালি। শেফালি থেকে নেয় রাজন। রাজন থেকে নেয়া নুরু। নুরু থেকে কেউ নেয় না। কারণ নুরু কাউকে দেয় না। সে মিনুকে ছুড়ে দেয় নদীতে।
সবাই হাসে। মিনু সাঁতার কাটে। ঠিকমতো পারে না। নদীতে ঢেউ। তলিয়ে যায়। ছোট্ট মাথা। ডোবে ভাসে। সবাই হাসে–খুশিতে হাততালি দেয়।
দুই ঢেউয়ের চাপে পড়ে মিনু ডাকে—মিঁউ মিঁউ।
প্রাণপণ চেষ্টা করে মিনু কচি পা দিয়ে পাড়ে আসতে পারে না। দূরে সরে যায়। আবার আসে। পাড়ের কাছে আসেও। কিন্তু নুরুরা ঢিল ছোড়ে। হি হি করে হাসে। হাত তালি দেয়।
মিঁউ মিঁউ করতে করতে নদীর ভেতরে চলে যায় মিনু। ঢেউয়ের ভাঁজের ভেতরে চলে যায়। ডুবে যায়। পাড়ে বসে রাজন শিস দেয়।
…………
রাতের বেলায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে পুরো ব্যাপারটা আবার দেখে ছোটন। মিনু ডুবে যাচ্ছে। ভেসে উঠছে। চিৎকার করে ওঠে ছোটন। ঘামে নেয়ে ওঠে সে। কিন্তু তার ঘুম ভাঙে না। ঘুমের মধ্যেই ছোটন বোঝে ঘুম না ভাঙলে সে নদী থেকে আর মিনুকে উঠাতে পারবে না।
সকালবেলা তাড়াতাড়ি মিনু যে কাজটি করে তা হলো ছোটনের বাবা-মাকে নিয়ে নদীর পাড় চলে এলো। তারা দেখল—নদীর ভেতরে একটা লাল জামা ভাসছে ছোটনের।
২৪১৯
কালিয়াখোল গ্রামের ছোটরা
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
জন্ম ১৯৮৬, মেহেরপুর। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য স্নাতকোওর। পেশায় সাংবাদিক। “অরনি ছোটগল্প” পুরুস্কার ২০১২ ও বৈশাখী টেলিভিশন “তোমার গল্পে সবার ঈদ পুরুস্কার” ২০১৩ পেয়েছেন। দ্বিধা, আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটি বিগ্রহ সহ আরও প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
আলোচনা সমালোচনা : প্রসঙ্গ কথা সাহিত্য
জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৪।
জন্মস্থান- মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজারচর কাজিকান্দি গ্রামে।
প্রকাশিত বই-
১. কাব্যগ্রন্থ- বিরুপা’র শূঁড়িবাড়ি(২০১৪)
২. অণুগল্প সংকলন- পঞ্চাশ(২০১৫)
৩. মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প(২০১৬)
৪. কাব্যগ্রন্থ- একজ্বলাপঙক্তি(২০১৬)
অণুগল্পের অস্তিত্ব আছে
ঢাকা-শহর থেকে কিছুটা দূরে ধামরাইয়ে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে খুন হলেন একজন প্রবীণ ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক। শুরুতেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এজন্য তারা অধ্যাপকসাহেবের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে তাঁর আপন-ভাগ্নে আজাদ কালামকে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারে না আজাদ কালামের আপন ছোটভাই আজাদ রায়হান। সে ভাইকে বাঁচাতে ই-মেইলে অনুরোধবার্তা পাঠায় তুখোড় গোয়েন্দা লালভাইয়ের কাছে। আজাদ রায়হানের অনুরোধক্রমে কেসটা হাতে নেন গোয়েন্দা লালভাই।
শুরুতেই লালভাই কেসটার মূলঘটনা-অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন। তিনি এই খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলেন। কিন্তু এতে প্রবলভাবে বাদ সাধে স্থানীয় থানার ওসি গোলাম মওলা। সে লালভাই ও তার সহকারীদের একরাতের মধ্যে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকিধমকি দিয়ে কেসটার তদন্ত-কাজ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিতে চায়! শেষ পর্যন্ত কি লালভাই পারবেন এই কেসটার মূলরহস্য-উদ্ধার করতে?…আর মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে লালভাই কেসটার এমন একটি সত্যউদ্ধার করলেন যাতে আরও বেশি হিং¯্র হয়ে উঠলো ওসি গোলাম মওলা! শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল—জানতে হলে পড়–ন ‘গোয়েন্দা লালভাই’ সিরিজের অনবদ্য প্রথম বই।
গোয়েন্দা লালভাই
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
জন্ম বিক্রমপুরের দিঘলী গ্রামে। ছোটবেলা থেকে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে জড়িত। বর্তমানে বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের কার্যকরী সদস্য। দৈনিক আমাদের সময়ের প্রাক্তন সাব-এডিটর।
গন্তব্যহীন দুঃখবিলাস
ভূমিকা
সেই দূর শৈশবেই বজ্রকণ্ঠ’র প্রেমে পড়ে যাই। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান কিংবা ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ তোমার আমার ঠিকানা’ ; ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর ‘বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার নেতা, আমার নেতা- শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ এসব শুনতে শুনতেই যুদ্ধের ডাক এেেলা। সেই মহানায়কের নির্দেশেই ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে’ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো এদেশের সর্বস্তরের মানুষ। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হলো। আমরা সগৌরবে গেয়ে উঠলাম ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে বইটি এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতি আমার ভালোবাসারই অভিজ্ঞান । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রস্তুতিপর্বে সারা পৃথিবীর মানুষ এক মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায়। কোভিড-১৯ অতি দ্রুত ছড়াতে থাকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। যখন ক্রমশ আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং গোটা পৃথিবী এই অণুজীবের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে, ঠিক সেসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী কর্মসূচিকে উৎসবমূখর পরিবেশে না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবই সীমিত পরিসরে পালনের নির্দেশ দেন, যাতে কর্মসূচির কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি না পায়।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে ভাবা যায় না। ’৪৭-এর পরপরই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের কথা ভাবতে শুরু করেন। আরেকজন বাঙালি, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ^দরবারে পরিচিত করিয়েছেন, যার কবিতা গান গল্প উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ-নিরন্ধ এমনকি চিঠিপত্র আমাদের চেতনাকে সবসময় উজ্জীবিত রাখে, ভরসা যোগায়, জীবনকে আলাদাভাবে চিনতে শেখায়, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যার লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু ভেবে রেখেছিলেন ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় রচিত রবীন্দ্রনাথের ‘ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেবেন। ১৯৭২ সালের ১৩ জানুযারি মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকেই এই গানটির প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
পূর্ববঙ্গে এসে রবীন্দ্রনাথ যে পূর্ণাঙ্গ রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের নদী-মাঠ-ঘাট-মানুষ-মাটি এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে, ১৩২৯ সালের ২ বৈশাখ ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে লিখলেন ‘শিলাইদহ ঘুরে এলুম- পদ্মা তাকে পরিত্যাগ করেচে’ তাই মনে হলো বীণা আছে, তা’র তার নেই। তার না থাকুক, তবু অনেক কালের অনেক গানের স্মৃতি আছে । ভালো লাগল সেই সঙ্গে মনটা কেমন উদাস হলো।’ সাজাদপুর থেকে চলে যাবার পর বহুদিন বাদে কবি আর এক বার অনেকটা প্রাণের টানেই এখানে এসেছিলেন। ১৩০৪ সালের ৮ আশ্বিন সাজাদপুর ঘাটে বোটের ওপরে বসে লিখেছিলেন ‘যাচনা’ (কল্পনা) । ‘ ভালোবেসে সখী, নিভৃতে যতনে / আমার নামটি লিখিও তোমার / মনের মন্দিরে।’ পূর্ববঙ্গের প্রতি রবীন্দ্রনাথের অকুণ্ঠ ভালোবাসার বিষয়টি তাঁর নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়, এমনকি তার রবীন্দ্রবাউল হয়ে ওঠা এই পূর্ববঙ্গে এসেই। বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে পূর্ববঙ্গ বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ
’৫০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা ‘সমকাল’ কবিতা পত্রিকাকে কেন্দ্র করে বাংলা কবিতার ক্ষেত্র নির্মাণে যে গুটিকয়েক মননশীল কবি সফল হয়েছিলেন তাঁদেরই অন্যতম কবি আবুবকর সিদ্দিক (জ. ১৯৩৪)। এই ’৫০-এর দশকে ছাত্রাবস্থায় আবুবকর সিদ্দিক যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রথমত কবিতা ও ছোটগল্পের ভেতর দিয়ে। প্রায় সত্তুর বছরেরও অধিক সময় ধরে সাহিত্য সাধনায় নিয়োজিত আবুবকর সিদ্দিক প্রধানত কবি, তারপরে কথাসাহিত্যিক; লিখেছেন মননশীল প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা। অন্যদিকে গণসঙ্গীত তাঁর স্বাতন্ত্রিক পরিচয়ের এক ব্যতিক্রম মাধ্যম। সুতরাং বিচিত্র ধারায় তাঁর লেখনীশক্তি আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ।
ব্যক্তিগত ভাবে এই মানুষটিকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি ছেলেবেলা থেকে। প্রথম জীবনে বর্তমান বাগেরহাটের সরকারি প্রফুল্লচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে আমার পিতার সহকর্মী ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিশেবে যোগ দেন। কিন্তু জন্মসূত্রে তিনি বাগেরহাটের মানুষ। গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের বৈটপুরে। ফলে যখনই বাগেরহাটে আসতেন, প্রায়ই সময় আমাদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতেন। সেই থেকে বুঝেছি তিনি আমাদের পারিবারিক বন্ধু।
আবুবকর সিদ্দিক বহুপ্রজ নন, বিরলপ্রজ। যা লিখেছেন, তাই এপিক। কী কবিতা, কী কথাসাহিত্য! তারই নিদর্শন হিশেবে আমার দেখতে পাই, সেই ষাটের দশকে তিরিশের পঞ্চপা-ব হিশেবে খ্যাত কবি বিষ্ণু দে তাঁর সংবাদ মূলত কাব্য কবিতাগ্রন্থটি আবুবকর সিদ্দিককে উৎসর্গ করলেন, সঙ্গে শামসুর রাহমান। আমাদের কাব্যযাত্রার এ এক অনন্য অধ্যায় বললে অত্যুক্তি হবে না।
আবুবকর সিদ্দিক, আপাদমস্তক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটির সাহিত্যকৃতির বোধ ও বোধিকে ছুঁয়ে দেখার সক্ষমতা তৈরি হয়নি এই পাঠককুলের। আবার তিনি নিজেকে বাজারচলতি করেননি কখনো। সে স্পর্ধাও নেই আজকের মিডিয়াবাজদের। আর তাই কাছ থেকে দেখা এই অনন্য কবি ও কথাকার আবুবকর সিদ্দিককে আজকের পাঠকের কাছে তুলে ধরতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। বিভিন্ন সময়ে আবুবকর সিদ্দিকের কবিতা, কথাসাহিত্য ও গদ্য প্রসঙ্গে আমার যে যৎকিঞ্চিৎ প্রচেষ্টা ছিল, তারই সারবত্তা এই গ্রন্থ ‘আবুবকর সিদ্দিক সমগ্রতার চিরন্তনী’। এর মাধ্যমে আগামীর পাঠক নতুন ভাবে কবি ও কথাকার আবুবকর সিদ্দিককে আবিষ্কার করবেন বলে আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে গণসঙ্গীতেরও তিনি যে দিকপাল, তা পাঠক নতুন করে জানবেন এবং বুঝবেন।
বলা আবশ্যক, এই ক্ষণজন্মা যশস্বী কবি ও লেখক সম্পর্কে আমি লিখতে গিয়ে তাঁর রচিত গল্প-উপন্যাস-কবিতাগ্রন্থসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত আবুবকর সিদ্দিকের রচনাসমূহের সাহায্য গ্রহণ করেছি। উপরন্তু তাঁকে নিয়ে অন্যান্য বিভিন্ন লেখকদের লেখাগুলোও আমাকে সহায়তা করেছে। এছাড়াও আবুবকর সিদ্দিকের গুণগ্রাহী ছাত্ররা এবং তাঁর কাছের লেখকদের সঙ্গে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতাও আমার এসব লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে। সুতরাং এ গ্রন্থ শেষে আলাদাভাবে তথ্য নির্দেশিকা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি। যদি এ আমার সীমাবদ্ধতা হয়ে থাকে, তার জন্যে আমি পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
যখন বলা হচ্ছে, পাঠকের অপ্রতুলতার কথা; বলা হচ্ছে, জাতি হিশেবে আমরা আজ বইবিমুখ; ঠিক তখন একটি নিরেট গদ্যবিষয়ক বই প্রকাশের দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রাণন প্রকাশনের কর্ণধার আবু এম ইউসুফ আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। পরিশেষে বন্ধুবর প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক শহীদ ইকবালের ঋণ স্বীকার করতেই হয়, এ গ্রন্থের নামকরণের ক্ষেত্রে সহযোগিতাদানের জন্য। একইসঙ্গে আরও ধন্যবাদ জানাই অনুজপ্রতিম কবি ও গবেষক বঙ্গ রাখালকে। তাঁর উৎসাহ ও নিরন্তর তাগাদা ছাড়া বইটি প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না।
মামুন মুস্তাফা
মিরপুর, ঢাকা।
আবুবকর সিদ্দিক- সমগ্রতার চিরন্তনী
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.