Description
কবির কবিতা চৈতী হাওয়ায় ভেসে যাওয়া কোনো সামান্য ফুল নয়; সে ফোটে বিরল আষাঢ়ে, উপোষী ফাল্গুনে আর ঝলসে ওঠে অমলধবল দারুণ আগুনে।
$ 1.06 $ 1.76
কবির কবিতা চৈতী হাওয়ায় ভেসে যাওয়া কোনো সামান্য ফুল নয়; সে ফোটে বিরল আষাঢ়ে, উপোষী ফাল্গুনে আর ঝলসে ওঠে অমলধবল দারুণ আগুনে।
কবির কবিতা চৈতী হাওয়ায় ভেসে যাওয়া কোনো সামান্য ফুল নয়; সে ফোটে বিরল আষাঢ়ে, উপোষী ফাল্গুনে আর ঝলসে ওঠে অমলধবল দারুণ আগুনে।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
লেখক পরিচিতি :
নিখিল নওশাদ। জন্মসন: ১৯৮৯ইং। বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ। ‘বিরোধ, ‘নিওর’ ও ‘নীড়’ পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এছাড়া ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
এটি একটি চিৎকার
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
লেখক পরিচিতি :
সুলতানা শাহরিয়া পিউ। জন্ম: ২রা অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সঙ্গীতচর্চা তার শখ। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদ এর সদস্য, বর্তমানে দীপ্ত টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘মেঘের সাথে কথা’। অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ: ‘নিমগ্ন জলধারা’। স্ক্রিপ্ট সঙ্কলন: ‘আমরা করব জয়’। গীতিকবিতার অনুবাদ: ‘অচিন’। গল্প সংকলন: ‘মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প’।
আমার দিনগুলো রইলো অসম্পূর্ণ
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
ভূমিকা
বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ার হোসেন বাদল চিকিৎসার জন্যে কিছুদিন আগে দক্ষিণ ভারতের ভেলোর শহরে গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন তার আজীবন সহযাত্রী, সহযোদ্ধা আমাদের প্রিয় সুলতানা ভাবী। বাদল ভাই ভাবীর সাথে নানান জায়গার ছবি তুলছেন আর তাৎক্ষণিক অভিজ্ঞতা লিখে পোস্ট দিচ্ছেন। আমিও মজা করে কমেন্ট করে যাচ্ছি সেইসব পোস্টে। প্রথমদিকে সাদামাটা পোস্ট ভেবেই গভীরে তেমন ঢোকার চেষ্টা করিনি। কিন্তু সময় যতোই যেতে থাকে পোস্টগুলো আমাকে চুম্বকের মতো টানতে থাকে। একসময়ে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে বাদল ভাইয়ের ভ্রমণবৃত্তান্তের অপেক্ষায় থাকি, কখন তিনি পোস্ট দিবেন, কখন সেই আখ্যানগুলো পড়বো। অবস্থা যখন এমন পর্যায়ে একদিন বলেই ফেললাম যে লেখাগুলোকে মলাটবদ্ধ করলে একটি ভালো বই হতে পারে। উপযাচক হয়ে এটাও বললাম যে যদি কখনো লেখাগুলো মলাটবদ্ধ হয় আমিই লিখবো এর মুখবন্ধ।
বলেতো দিয়েছি কিন্তু তখন কি আর জানতাম যে এই গুরুদায়িত্ব আমার ঘাড়েই চাপবে! সেদিন হঠাৎই বাদল ভাইয়ের ফোন, ‘কমরেড, ভারতে কয়েকদিন নামের বইটি আসছে আগামী বইমেলায়। ভূমিকা কিন্তু আপনাকেই লিখতে হবে।’ আমিতো সপ্তম আসমান থেকে পড়লাম একেবারে জমিতে।
যাইহোক, সচরাচর ভ্রমণকাহিনী বলতে আমরা যা বুঝি আনোয়ার হোসেন বাদল এর ‘ভারতে কয়েকদিন’ সে অর্থে কিন্তু কোনো ভ্রমণকাহিনী নয়। বরং এটি হচ্ছে সাদা চোখে দেখা সাদামাটা অভিজ্ঞতার এক নির্মোহ বিবরণ, কিছু জানা কথা, কিছু অজানা তথ্যের প্রকাশ।
বইটি এমন সহজ-সরল ভাষায় লিখিত যে—পড়ার সময় মনে হতে পারে পাঠক বই পড়ছেন না বরং লেখকের সাথে সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতের নানান শহর। নিজের চোখেই পাঠক দেখছেন ভারতের ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্থাপনা আর বিচিত্র প্রকৃতি।
আলোচ্য বইটিতে পাঠকের পরিচয় ঘটবে ভারতের ঐতিহাসিক শহর কোলকাতা, তৃতীয় বৃহত্তম শহর দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই আর ভেলোরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্পসংস্কৃতি ও স্থাপত্যকর্মের সাথে।
বইটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অমরকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
কবি হানিফ মোহাম্মদ
তালেপুর, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
ভারতে কয়েকদিন
সুজন হাজারী-
জন্ম :- ১৫ মে, ১৯৫৩
জন্মস্থান :- উজল, হিলি দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম বাংলা, ইন্ডিয়া; মাতুলালয়।
শিক্ষা :- ব্যচলার অফ আর্টস।
বৈবাহিক তথ্য :- বিবাহিত।
স্ত্রীর নাম :- মোসাম্মৎ নাসরিন আখতার।
সন্তানদের নাম :- সুবর্ণ সম্ভার, সুদিপ্ত সম্ভার, সুহিত সম্ভার।
ভাইবোন :- চার ভাই, এক বোন।
সিদাম পাহান
‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং স্বাধীন দেশ দেখে গেলেন ইমনের মা। কিন্তু স্বাধীন দেশে নিজের বাসায় আর জীবিতাবস্থায় ফিরতে পারলেন না। শেষ নিশ্বাস ত্যাগের পর মায়ের মরদেহটা ইমন সেই কম্বলটি দিয়ে ঢেকে দেয়, যে কম্বলটি সে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছিল। এছাড়া কি-ই বা ছিল তার?
মাকে নেয়া হয় শ্মশানে। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ক’দিনের ব্যবধানে মাকে হারালো ইমন!
এ পর্যায়ে এসে ইমন চৌধুরী বলে, মায়ের কথা এখনো খুব মনে পড়ে। মা! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ, সুন্দর এবং পবিত্র একটি শব্দ। যা কিনা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং এই দেশ মাতৃকার মতই যথাক্রমে বিশাল, মহান এবং সুন্দর। একাত্তরে মাকে হারিয়েছি সত্য, তবে পেয়েছি স্বাধীনতা এবং মানচিত্র।
আমার মায়ের স্মৃতির সাথে জড়িয়ে যায় এদেশের জন্মকথাও। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং এদেশটাই এখন আমার মা।’
ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অবলম্বনে রচিত কিশোর উপন্যাসটি নিছক কোনো ডকু-ফিকশন নয়। আশার করা যায়, এটি এমন একটি ফিকশন হয়ে উঠেছে, যা কিশোর উপযোগী পাঠকসহ সব শ্রেণীর পাঠকের উপন্যাস পাঠের আনন্দ দেবে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা দেবে।
স্বাধীনতার জন্য
ইলিয়াস ফারুকী একজন ভিন্নস্বাদের লেখক। যেমন অদ্ভুত তার প্রেমের ধরণ, তেমনি অদ্ভুত তার প্রতিবাদের ধরণ। বইটির নাম গল্পে প্রেমকে তিনি চিত্রিত করেন এভাবে “নিজস্ব অদ্ভুত এই দোলাচলের চিন্তা আমাকে অস্থীর করে তুললো। আমি গভিরভাবে অনুভব করতে পারছি যে আমার জীবনে পিতা, মাতা, ভাই বোনের ভালোবাসা ছাড়াও
আরো একটা ভালোবাসার প্রয়োজন রয়েছে, যেটা নিয়ম পঞ্জির মধ্যে পড়বে না। সেখানে আরো কিছু বেশি থাকবে। সেখানে আদিমতা থাকবে, কাম থাকবে, দেহজ দান-দক্ষিনা থাকবে। যারা পূর্বে আমাকে ত্যাগ করেছে হয়ত তাদের ভেতরে আরো আকাঙ্ক্ষা ছিল, যা আমি পূরন করতে পারি নাই।”
একটি প্রাক বিবাহ সাক্ষাৎকার গল্পে একজন পাত্র বিচিত্র ভাবে তার কনেকে নির্বাচন করে “বিবাহের সাক্ষাৎকারের সাথে এই বলধা গার্ডেনের কী সম্পর্ক জানো? তোমার সাথে দেখা করার আগে এই বলধা গার্ডেনে আমি নিয়মিত এসেছি। সাথে আমার উদ্ভিদ বিদ্যার এক বন্ধুকে নিয়ে। আজ আমি এই যে দুই ঘন্টারও অধিক সময় যে পাণ্ডিত্য দেখালাম তা আসলে ওই সাত দিনের ফলাফল। আমি ঠিক করে রেখেছিলাম যে মেয়ে আমার সাথে জীবন কাটাতে রাজি হবে তাকে আমি প্রথমেই কোন একটি বিষয় নিয়ে বিরক্ত করবো। যদি সে আমার এই বিরক্তি সহ্য করতে পারে তাহলেই আমার ঘর সংসার সম্ভব, তা নাহলে না।” জলরঙ ও টিয়া পাখি তার একটি দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদি গল্প। “অজিতের বন্ধুরা এবং আপনজনেরা যখন তার পাগলামি সহ্য করে নিয়েছে ঠিক তখনই এক সুন্দর সকালে শহরের লোকজন চমকে উঠল। শহরের গুরুত্বপূর্ন অফিস আদালতের প্রধান ফটকে দুটো করে টিয়া পাখি এবং কিছু জলরঙে বাংলার প্রাকৃতিক চিত্র আঁকা কাগজ সাঁটানো, নিচে লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’ পায়ে সুতলি দিয়ে বাঁধা টিয়া পাখি মানুষজন দেখলেই বলছে ‘ছি: ছি: করছোটা কী, ভালো হয়ে যাও’।
প্রেম অপ্রেম এবং বিভ্রম
স্বপ্নময় একজন চিত্রশিল্পী। তার নান্দনিক এবং শৈল্পিক ইচ্ছেগুলো রঙ-তুলিতে ফুটিয়ে তোলার স্বপ্নে সে বিভোর থাকে। কিন্তু বহতা জীবন নদীর নানা বন্দরে নোঙ্গর ফেলে স্বপ্নময় দেখেছে চারপাশের মানুষজন এমন কি আপনজনও কেউ তার দেখা স্বপ্নকে লালন করে না। সবাই ক্ষুদ্র লোভ-লালসা-স্বার্থ-বিদ্বেষ নিয়ে জৈবিক জীবন যাপন করে। এই মহার্ঘ্য জীবন নিয়ে কারোরই কোন শৈল্পিক ইচ্ছে নেই, মহাজীবনের আকাক্সক্ষা নেই। ফলে তারা পদে পদে অপমৃত্যু বরণ করে। দেখে দেখে স্বপ্নময় বিষাদাক্রান্ত হয়- অনুপম সুন্দর এই অনন্ত জীবন তুচ্ছতার লোভে নিম্নগামী হতে পারে না। বরং প্রতিদিন তাকে কঠোর সাধনার মধ্য দিয়ে মোহনার দিকে নিয়ে যেতে হয়। যেতে যেতে জীবন হয়ে ওঠে অপার সুন্দর, মধুময়, গভীর। তার তপঃক্লান্তি মুছিয়ে দিতে পাশে এসে দাঁড়ায় চৈতালী। অতঃপর তাদের যুগল চলা কি মোহনায় গিয়ে পৌঁছতে পারবে!
মোহনায় যেতে যেতে
এই গ্রন্থের কবি ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘকাল কবিতায় নিমগ্ন থেকেছেন- এখনো তিনি তাঁর সৃজনশীল স্পর্ধা নিয়ে অবিচল।
তিনি বহু ধরনের কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো বিভিন্ন নিরীক্ষাপ্রবণতায় সংশ্লিষ্ট। তাঁর কবিতায় জীবন আছে, সমাজ আছে, প্রকৃতি আছে, মানুষ আছে, দেশ-কাল আছে এবং আছে প্রতীকের ব্যঞ্জনাও, আছে রূপক, আছে ছন্দের বিভিন্নমুখী ব্যবহার, অনুপ্রাসের নতুনমাত্রা, মিলবিন্যাসের নীরিক্ষা ও অন্যান্য সূক্ষ্ম কারুকাজ। একেক কাব্যগ্রন্থ একেক বৈশিষ্ট্য নিয়ে উজ্জ্বল। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ১৭টি কাব্যগ্রন্থ। এইসব কবিতায় চৈতন্যের যে বহুতল ও স্তর কবি উন্মোচন করেছেন- পাঠককে নিয়ে যায়–সেই স্তরে ও তলের গভীরে।
একজন উৎপিপাসু কবিতার পাঠক, এই গ্রন্থের কবিতাগুলোতে বহু বর্ণিল ও বিভিন্ন ভূগোলের খোঁজ পেয়ে যাবেন, তা পাঠকের সংবেদন সৃষ্টি করে এক ধরনের ইন্দ্রিয়ানুভূতিও তৈরি করবে, যা ইন্দ্রিয়জ্ঞানে পরিণত হবে, সেইসাথে ভালো কবিতার শিল্প-সৌন্দর্য নিয়েÑস্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময় অনুভূতিরও জন্ম দেবে।
Manush Poshak Porleo ulongo Mone Hoy - মানুষ পোশাক পরলেও উলঙ্গ মনে হয়
জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ই এপ্রিল। টাঙ্গাইলের মীরের বেতুকা গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। করটিয়ার সা’দত কলেজ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। সহকারী সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও দৈনিক সংবাদ Ñএ। ১৯৭৮-৮০ সালে ছিলেন গণচীনের রেডিও পেইচিং এর ভাষা বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৪-২০০৪ সালে ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষসহ গ্রন্থের সংখ্যা ৭০ এর বেশি।
গল্প সংগ্রহ
উপন্যাস ত্রয়ীর চরিত্র, এলাকা, প্রেক্ষাপট, নিসর্গ—সবই কাল্পনিক। লেখকের তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টির শস্ত্রে ব্যবচ্ছেদ করা সমাজের নিগূঢ় সত্য বাস্তবতার ক্যানভাসে পরিস্ফুটিত হয়েছে। তিনটি উপন্যাস দখল করেছে তিন ধরনের উপচার। ফাঁদ উপন্যাসটির ব্যাপক সংস্করণ হয়েছে। পরিবর্তন, পরিমার্জন ছাড়াও কলেবরও বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রথম মুদ্রণের পর এই মলাটের উপন্যাসটি একই পাঠক পাঠ করলে হোঁচট খাবেন। ত্রয়ীর মলাটের বাকি দুটি উপন্যাসের সামান্য সংশোধন হয়েছে।
ফাঁদ
পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য নারীর শরীরই প্রধান মাধ্যম। যুগ যুগ ধরে পুরুষের মর্ষকামিতা, ভোগ-বিলাস ও নিষ্পেষণের শিকার নারীদেরকে খাঁচায় বন্দি করতে শুধু পুরুষই নয়, বরং স্খলিত ও হীন চরিত্রের নারীরাও সেই ক্ষেত্র তৈরি করায় ভূমিকা রাখে। এমনই এক নারী সাবরিনা তার বাসায় কিশোর বয়সী মেয়েদের ফাঁদে ফেলে পতিতাবৃত্তিতে লাগিয়ে বিত্তবৈভবের মালিক হয় সে। সাবরিনার মতো অনেক মাধুকরীর প্ররোচনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় শহরের অনেক বাসায় পতিতাবৃত্তির বিস্তার লাভ করে। শিকার হয় পুষ্পর মতো নিষ্পাপ কিশোরীরা। সাবরিনার যোগসাজশে আপন ভগ্নিপতি নওয়াব আলী পুষ্পকে দেহ-ব্যবসায় বাধ্য করায়। এক রাতের ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙেপড়া পুষ্প প্রতিশোধ স্পৃহায় নওয়াব আলীর ছোট বোন টুনিকে এই ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে আসে। টুনিকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসটি চূড়ান্ত পরিণতির দিকে গড়ায়। এই উপন্যাসের মূল কাহিনি থেকে একটি পূর্ণদৈর্ঘ চলচিত্র (প্রিয়াংকা) নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
শেষ কথাটি যাও বলে
একটি অভিজাত, নিপাট ও নিষ্কাম প্রেমের আখ্যান। শুরুর দিকে ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিত থাকলেও ঘটনাক্রমে প্রথম প্রেমিকার নিরাসক্তির কারণে দুজনের প্রেমই পরিণতির দিকে গড়ায়। বাংলাদেশের ছয়জন পেশাজীবীর কিছুদিনের প্রণোদনা প্রশিক্ষণের সময় দক্ষিণ ভারতে ভ্রমণের মধ্য দিয়ে উপন্যাসটি নির্মিত হয়। প্রেমের গভীর স্পন্দন অনুভূত হয় বাংলাদেশের নির্ঝর এবং দক্ষিণ ভারতের ট্যুরিস্ট গাইড অধরার বুকের গহিনে।
জলের লিখন
যুদ্ধকন্যা মারিয়াকে ঘিরে নির্মিত হয় জলের লিখন। কোনো এক অশুভ মুহূর্তে কলহপ্রিয় মাকে আতিকের বাবা তালাক দেওয়ার পর যখন হিল্লা বিয়ের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল তখন, এরূপ হিল্লা বিয়ের মতো ন্যক্কারজনক ও অপমানজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার কষ্ট থেকে নিষ্কৃতি পেতে মেধাবী কিশোর গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ঢাকায় এসে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে সংগ্রাম করে সার্টিফিকেটবিহীন ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে একটি এনজিওতে চাকরি পায় এবং যুদ্ধকন্যা মারিয়ার দোভাষীর কাজ করার সময় উভয়ের মধ্যে সরল প্রেম-রসায়নের সৃষ্টি হয়। অবৈধ সন্তানের মা পারভিনের সঙ্গে প্রেমের কলি ফুটলেও পাপড়ি মেলেনি। উপন্যাসটির বিস্তর ক্যানভাস জুড়ে খোদিত হয়েছে এনজিওর কুহনিকা।
জনপ্রিয় লেখক না হলে তিনটি উপন্যাসকে একটি মলাটে মুদ্রণ নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। ব্যবসায়িক দিক থেকে অসাফল্যের দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ শুনেও এত বড় ঝুঁকিপূর্ণ বোঝার কঠিন দায় নিয়ে অনুপ্রাণন প্রকাশনের পক্ষ থেকে আবু ইউসুফ ভাই বড় ঋণী করলেন। সীমাহীন আন্তরিকতা, অত্যন্ত যত্ন ও দায়িত্ব নিয়ে তিনি ‘উপন্যাস ত্রয়ী’ প্রকাশ করেছেন। তাঁর প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা।
উপন্যাস ত্রয়ী
বোধ বৃক্ষের জানালা
লেখক পরিচিতি :
হাসান মসফিক। পুরো নাম: সৈয়দ মাহবুব মসফিকুল হাসান। জন্ম: লোহাগড়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে দেশীয় ঔষধ কোম্পানীর বানিজ্যিক বিভাগে কর্মরত আছেন। ২০১১ সালের শেষের দিকে লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের জনপ্রিয় ওয়েবজিন বিভুঁই এর সম্পাদনা পরিষদের সাথে জড়িত।
মায়া ফড়িঙ
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
ফেরদৌস নাহার, কবিতা ও গদ্য শ্রমিক। জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কানাডায় বসবাস। কবিতার পাশাপাশি আঁকছেন ছবি, লিখছেন গদ্য ও গান। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘মাইলস’-এর সংগীত রচয়িতা। প্রিয় বিষয়Ñ মানুষ এবং প্রকৃতি। আকাশের ঠিকানা:
ferdousnahar@gmail.com
প্রকাশিত হয়েছে ১৩টি কবিতা ও ৩টি প্রবন্ধের বইÑ
কবিতা: ছিঁড়ে যাই বিংশতি বন্ধন (চর্যাপদ ১৯৮৬) সময় ভেঙ্গেছে সংশয় (নিখিল ১৯৮৭)
উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম (নসাস ১৯৮৮) দেহঘর রক্তপাখি (চর্যাপদ ১৯৯৩)
রূপান্তরের ঘোড়া
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.