Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
ঘরের খোঁজে নিখোঁজ বাড়ি
বারংবার মিনতি করার পরও
ওখানটাতে কেনো ছুঁও
খুব ব্যথা পাই তোমার ¯পর্শ লাগলে
কলিজা সমেত হৃদয়ের আগাগোড়া
টনটন করে, চিলকে চিলকে ওঠে
নাড়ি নক্ষত্র আকাশ বাতাস
পূর্ব প্রতীচী বসতির দেহাত;
আগলে রাখা আকুতির দ্বীপাঞ্চলে
শিউরে ওঠে সমুদ্রের নোনাজল
লেপটে যায় চোখের কাজল
ভাষার ব্যঞ্জনায় সব অর্থ ফুটিয়ে তোলা যায় না
অকাতর অশ্রুজলে যার মন ভিজে না
তার আবার কিসের নদী কিসের সাগর
বাষ্পাচ্ছাদিত শ্রাবণের ঝোড়ো বাতাসে
স্বর্ণাভ ঠোঁট রেখে উষ্ণতা কমানোর নামই কি শান্তি
হেঁটে যাওয়ায় যে আবেগ অনুভূতি কাজ করে
উড়ে যাওয়াতে কি তা করে?
দোহাই তুমি আর ছুঁইয়ো না ঐখানে
আমি এখন ঘরের খুঁজে ঘর বেচে
ঘর খুঁজি তার কাছে, যে দুই কূলেই ঘর রচে।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
রনক জামান। জন্ম:১৬ই ডেসেম্বর ১৯৯১, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায়। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই কবিতার প্রতি মুগ্ধতা থেকেই তার প্রতি ভালোবাসা। এটাই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে, যৌথ কবিতাগুচ্ছ ‘মায়ানগরীর বৃষ্টিকথন’, কবিতার ই-বুক ‘শরীর ছোঁয়া আঙুলগুলো’ এবং অনুবাদ উপন্যাস ‘ললিতা’।
ঘামগুলো সব শিশিরফোঁটা
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
সঞ্চয় সুমন। ঢাকাবাসী এক কবি। যে শুধু কল্পনার রঙে আঁকে শব্দ খেলার মাঠ। এই গ্রন্থটি কবির প্রথম কাব্যফসল।
গুপ্ত সমরে মুক্তির ঠিকানা
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
প্রেম শ্বাশত। একটি পবিত্র প্রেম একজন মানুষের জীবনে মহীরূহ স্বরূপ। যা তাকে সারাকাল সুখের আচ্ছাদনে সমৃদ্ধ করে। বুকের ভেতর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন তার অধিকার। আমাদের চলমান সমাজ ব্যবস্থায়, তৃতীয় ব্যক্তি নামে একটি পক্ষ আছে। এই তৃতীয় পক্ষ যখন, একটি মধুর সম্পর্কের মধ্যে ঢুকতে চেষ্টা করে? তখন কতো যে ব্যত্যয় ঘটে, তা কম বেশী সকলের জানা। সুখী সমৃদ্ধশালী জীবনটা তখন, নিমিষেই তাসের ঘরের মতোন হয়ে যায়। নিকষ আঁধারে ঢেকে যায় প্রেমের সূর্যতোরণ।
এ উপন্যাসে মুন আর মনন দম্পতির মধুর সম্পর্কের মধ্যে, এই তৃতীয় পক্ষের সক্রিয় আগমন ঘটার চেষ্টা বিদ্যমান। ওদের স্বাভাবিক জীবন বোধ টালমাটাল অবস্থায় পড়ার উপক্রম। মুন ও মননের সংসারে যেনো অথই সাগরে সুখের অবগাহন। তৃতীয় পক্ষের গাত্র দাহ! তো এখানেই? তাদের সন্তান মম কে পেয়ে ওরা বুঝি সত্যিকারভাবে “সুখ পাখি” টা কে হাতে পায়? আর এতেই হয়তো বা ওরা, সেই ব্যক্তির দুষ্টু নয়নের শ্যেন দৃষ্টির শিকার হতে চলেছে? ওদের সুখের সংসারে অশুভ ইঙ্গিতের হাতছানি, দেখা দেয়ার চেষ্টা চলছে ক্রমাগত। শেষ পর্যন্ত সফল কে হবে? ওরা দু’জন? না কি তৃতীয় কোন পক্ষ? সকলকে ধন্যবাদ।
-লেখিকা
তোমায় চেয়েছি বলে
শৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্রর মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে…
গুহা
অনুভবের রক্তাপ্লুত প্রতিটি নির্ণীত ফোটাই কবিতা। কবিতা রহস্যের অনুসন্ধানে নিয়োজিত থেকে অন্ধকারে আলোর কণায় সোনার প্রতিমা গড়ে। অথৈ জলের তোড়ে জ্বলে যে কৌণিক বিন্দু, কবিতা সেই বিন্দুর জ্যা।
কবিতার এইসব নিগুঢ় নিপুণ রহস্যে মহাবিশ্বের পথিক মিলি রায়। মিলি রায় কবিতার মগ্ন শরীরে আঁকেন জলডুবুরীর কুহক, বাজান প্রেমের খোল করতাল। জমে জমে কবিতার অশ্বত্থ ছায়া শরীর হয়ে ওঠে হাজার বছরের দুগ্ধ সংস্কৃতির ক্ষীর।
মিলি রায় কবিতার শরীরে অযথা বা অকারণ কাঠিন্য আরোপ করেন না। প্রতিদিনের পান সুপারী বাটার মতো সরল নিক্তিতে কবিতা বয়ন করেন কবিতার উষ্ণ চাদরে।
মিলি রায়ের কবিতার প্রেম আসে অনিবার্য তিথি ও করতলের পরম কামনার একান্ত ঐশ্বর্যে।
প্রত্নতাত্ত্বিক প্রেম কবিতার শেষ দুটি লাইন, প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসের পথ ধরে জানা গেছে
আলোকবর্ষ আগে প্রাণ ছিলো ভালোবাসার।
প্রেম যেমন সংহারী উল্টোপথে প্রেম কামনায় মাখা মধুর অমাবস্যাও। মিলি রায়ের কবিতা পাঠে প্রেম যমুনার জলে ঘুঙুরের ছলে ডুব সাঁতার খেলে।
তোমার প্রেমিকারা আমার একান্ত শহরে কাব্যনামের কবিতায় তিনি শব্দ আর হৃদ চেতনার অনুবাদে অনন্য এক সুন্দর সাজিয়েছেন, শূন্য উঠোনে।
মিলি রায় তোমার প্রেমিকারা আমার একান্ত শহরে কাব্যে প্রেমের পাশে প্রকৃতি, সমাজ ও ব্যক্তিমানুষের আশা ও হতাশার মানচিত্র এঁকেছেন নিজস্ব চৈতন্যর রসায়নে।
মিলি রায়ের কবিতার ঘর গেরস্থালীর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ুক বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের মধ্যে।
মনি হায়দার
কথাসাহিত্যিক
বাংলা একাডেমি, ঢাকা।
তোমার প্রেমিকারা একান্ত শহরে
স্বকৃত নোমান। কথাসাহিত্যিক। জন্ম ১৯৮০ সালের ৮ই নভেম্বর, ফেনির পরশুরাম উপজেলার বেলোনিয়ায়। শৈশবে ঊর্দু, আরবি ও পারসি সাহিত্যে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে সেলিম আল দীনের কাছ থেকে পাশ্চাত্য ও বাংলা সাহিত্যের গভীর পাঠ গ্রহণ করেন। বর্তমানে ঢাকায় সাপ্তাহিক সংবাদ ম্যাগাজিন এই সময় এর সহযোগী সম্পাদক হিসাবে কর্মরত। ২০১২ সালে এইচএসবিসি কালি কলম সাহিত্য পুরস্কার পান। ‘বেগানা’ ‘হীরকডানা’ ও ‘নিশিররঙ্গিলা’ উপন্যাসসহ মোট প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা
কথাসাহিত্যের অলিগলি
স্বপঞ্জয় চৌধুরী মূলত কবি হলেও কথাসাহিত্যে তার হাত বেশ পরিপক্ক। শুধু পরিপক্ক বললে ভুল হবে, আধুনিক ছোটগল্পের সকল বৈশিষ্ট্যই তার লেখায় বিদ্যমান। চিন্তাকে ভেঙেচুড়ে সে নতুন ফরম্যাট দাঁড় করতে সিদ্ধহস্ত। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলোর সাথে আমি বেশ পরিচিত। তার লেখায় রয়েছে মা, মাটি, প্রকৃতি, জাতীয় চেতনা ও নিম্নবর্গীয় মানুষের আর্তি। তিনি গল্প লেখেন জীবন ও বাস্তবতার অভিধায়। কল্পনার উচ্চস্তরে তিনি খুঁজে বেড়ান মানুষের না বলা নিগূঢ় কথার ধ্বনি। ‘মৃৎচক্রের দিনগুলি’ নাম ভূমিকার গল্পটি মূলত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা। আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্যকে তিনি এইগল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই গ্রন্থে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ষোলটি গল্প রয়েছে যা আমার মতো আপনাদেরও তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ^াস।
গৌতম তালুকদার
কবি ও গল্পকার
কোলকাতা, ভারত।
মৃতচক্রের দিনগুলো - Mritachakrer Dinguli
১০০ অণুগল্প
সত্যি কথা বলতে গেলে রূঢ় এবং অসঙ্গত শোনাবে। তারপরও সত্য কখনো মূল্য হারায়না, সেই বিশ্বাসেই বলছি- যে অনুর্বর সামাজিক বলয়ে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, সাহিত্য সৃষ্টির মত মহান ব্রত সেখানে স্বপ্নেরও অগোচর। তবু সেই স্বপ্ন আমায় দুঃসাহসী করে তুলল। সাধারণের উপহাস তুচ্ছ জ্ঞান করে দুঃস্বপ্নের হাতছানি ভরা পথে চলতে গিয়ে কখন যেন এই দুর্গম পথের পথিক হয়ে উঠি। পথ ভালবেসে চলায় ছন্দ আসে। অন্তরের গভীরে নিভৃত এক সংকল্প জাগে- “সৃষ্টিশীলতায় নিমগ্ন হয়ে থাকাই আমার সাধনা। এর মধ্যে দিয়েই আমি জগৎ, জীবন এবং পরমেশ্বরের আনন্দ উপলব্ধি করার চেষ্টা করব।’’ একনিষ্ঠা ধরে রাখতে পারিনি- হয়তো দৃঢ় মনোবলের অভাবে কিন্তু পথভ্রষ্ট হবার ভয়কে জয় করেছি। জীবনে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন কাজের সন্ধান জানা নেই। তাই সাহিত্য সাধনাই আমার একমাত্র সুন্দরের উপাসনা। তার ধারাবাহিকতায় “রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন’’ ষষ্ঠ গল্প সঙ্কলন হিসেবে গ্রন্থিত হয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। লেখক মাত্রই পাঠক প্রিয়তার প্রত্যাশা করেন। আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে শঙ্কিত এ দূরাশা রইলই আগামীকালের জন্য।
পরিশেষে একথাটুকু না বললে বোধকরি সত্যের অপলাপ হবে- এই বন্ধুর পথ একেবারেই সঙ্গীবিহীন ছিল না। বন্ধু হয়ে, প্রেরণা হয়ে কেউ কেউ এসেছে মনের কাছে। ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের ছোট করার স্পর্ধা আমার নেই। প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন শ্রদ্ধাষ্পদ ড. অশোক মিস্ত্রী। প্রকাশনার কাজে সহধর্মীনী শ্রীমতি জয়া বিশ্বাস-এর সহযোগিতা না থাকলে বই প্রকাশ দুরূহ হত। ভুল-ভ্রান্তি যথা সম্ভব পরিহারের চেষ্টা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি।
রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
Ekti Khuner Prostuti Boithok
জানালায় দেখা হলদে পরী - Janalay Dekha Holde Pari
শিমুল মাহমুদ তথাকথিত প-িতগণের একাডেমিক ট্র্যাশ থেকে ঘোষণা দিয়েই দূরে সরিয়ে রেখেছেন নিজেকে; সেইসাথে অস্বীকার করেছেন যাবতীয় লিয়াজোবাদি পুরস্কার ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক পিঠ-চাপড়ানো অসভ্যতা। কবিতার সাথে তাঁর সখ্য স্বৈরশাসনের দুঃসহকাল গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে। সমান্তরালে কথাসাহিত্যে রেখেছেন নির্মোহ ছাপ; সেইসাথে সক্ষম হয়েছেন নিজেকে একজন সিদ্ধহস্ত সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। সহজাত বৈশিষ্ট্যে শিমুল মাহমুদের গদ্যমাত্রই হয়ে ওঠে মুক্তকণ্ঠ ও মুক্তচিন্তার বাহন; যা অবশ্যই সিরিয়াস পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত।
শিমুল মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে পাঠ গ্রহণ শেষে ইউজিসি-র স্কলার হিসেবে পৌরাণিক বিষয়াদির ওপর গবেষণা করে অর্জন করেছেন ডক্টরেট ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, চেয়ারপারসন ও কলা অনুষদের ডিন-এর দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সম্পাদনা করেছেন সাহিত্যের কাগজ ‘কারুজ’। লেখকের জন্ম : ১৯৬৭ সালের ৩ মে
প্রকাশিত গ্রন্থ: ২৫টি
কাব্যকথা কাকবিদ্যা
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.