Description
শিমুল মাহমুদের কবিতার অন্যতম কৃৎ-কৌশল হলো প্রবণতা এবং আইডিয়া; এ দুটির সংমিশ্রণ; যা তাঁর ধ্বনি-কাঠামো, ভাষা-নির্ভরতা ও বোধ-শাখাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাঁর ভাষাগত বোধ-জগতের নির্মাণ কবিতার হাত ধরে আসে, প্রাথমিক শব্দগত অর্থকে নতুন ব্যাখ্যা হাজির করে; আর সহজাত কারণে মানুষের অন্যতম প্রবণতা ‘যৌনতা’ কবিকে শব্দ বিস্তারে সাহস জোগায়। ফলে প্রেমে কবি খুঁজে পান মানুষের পরিপূর্ণ ঠিকানা।
ক.গাছের আঁচলে বসে আছে নামহীন পাখি।
খ.কুমারী মেঘের স্তন থেকে ঝরে পড়ছে শিশির।
আমি, শিমুল; অর্থাৎ আশির দশকের কবিতা নির্মাণের ক্ষেত্রে শব্দ-শিল্পীরা একটু সাহসী ছিল। চল্লিশ-এ দেশে ফেরা, পঞ্চাশে দেশজাগরণে মন্ত্রমুগ্ধ হওয়া, ষাট-এ জাগরণ, অভ্যুত্থান আর সত্তরে এসে বাংলাদেশের কবিতা শ্লোগানে রূপান্তরিত হওয়া। এই সময়ের মধ্যে আমরা যারা আশির দশকে এলাম কবিতার ঝা-া নিয়ে তাদের কবিতা স্বভাবতই একটা নতুনের সাহস আর কবিতা হয়ে ওঠা গ্লোবাল কবিতার স্বরকে স্পর্শের চেষ্টা থাকলো। এরই সঙ্গে যুক্ত হলো লিটলম্যাগ মুভমেন্ট। ঢাকা থেকে সুব্রতরা করলো ‘প্যাঁচা’; শোয়েব শাদাব-রা করলো ‘অনিন্দ্য’ ‘সংবেদ’ ও ‘গা-িব’; আমরা করলাম ‘প্রতিশিল্প’ আর শিমুল মাহমুদ করলেন ‘কারুজ’।
ড. পাবলো শাহি
There are no reviews yet.