Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
নৃশংসতার উপত্যকায় হত্যার মানচিত্রে ফুঁপিয়ে ওঠে শব্দহীন রাতের ক্রন্দন, ইথার ও যান্ত্রিক ভায়োলেন্স মোহগ্রস্ত করে ফেলে সমগ্র সবুজ, তখন অবাধ্যতার দাঁড় বেয়ে শুদ্ধতার লক্ষ্যে ছুটে আসে এক স্বপ্নবাজ অশ্বারোহী, তার দু’চোখে আবিষ্ট থাকে উজ্জ্বল ছুরির মতো শাণিত শৈশব। তার সুহৃদালয় জুড়ে থাকে বিস্তৃত আলপথ, ডাংগুলি, লাটিমবেলার মায়ের প্রশ্রয়, আহ্লাদি ধানক্ষেত, রাখালিয়া প্রহরের ভাঁটফুল, বৈঁচি-শালুকঝিলের জলকেলি, গোধূলিবেলার ধুলোময় শরীরে মহিষের পিঠে চেপে নিরুদ্দেশ পদচারণা…
মাঞ্জা দেয়া সুতোর লাটাই আর দুরন্ত ঘুড়ির নিবিড় বন্ধন কিংবা পাখিদের সখ্যতায় তার ঋদ্ধ ডানা জন্মালে আমরা তাকে কবি ডাকি।
জ্যোৎস্না-প্লাবিত আলপথ ধরে একহাতে মেহরাজ, অন্যহাতে মুহূর্তমাকে নিয়ে একদিন তাই রূপকথার শহরে কবি প্রবেশ করেন…
এবং তার থাকে পিতৃব্যের ঋণশোধের তাগাদাপত্র, তার থাকে শ্যামল কিশোরীর উচ্ছ্বল ঠোঁটের লোভ, আরো থাকে তার স্রষ্টার প্রতি নুয়ে পড়া ভেজা ন্যাকড়ার মতন বিহ্বলতা…
কী অদ্ভুত সত্যপাঠে পাঠকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবার লাঙল, রাজপ্রাসাদ, বাঈজি, নাগরদোলাÑ মন্ত্রমুগ্ধ আবেশে নস্টালজিক হয়ে পড়ে মাটিগন্ধী প্রাণ…
আহা, প্রাণ আরাম পায়…
শাহীন খন্দকার।। সুমন সৈকত
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
রনক জামান। জন্ম:১৬ই ডেসেম্বর ১৯৯১, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায়। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই কবিতার প্রতি মুগ্ধতা থেকেই তার প্রতি ভালোবাসা। এটাই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে, যৌথ কবিতাগুচ্ছ ‘মায়ানগরীর বৃষ্টিকথন’, কবিতার ই-বুক ‘শরীর ছোঁয়া আঙুলগুলো’ এবং অনুবাদ উপন্যাস ‘ললিতা’।
ঘামগুলো সব শিশিরফোঁটা
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
লেখক পরিচিতি :
শঙ্করী দাস। জন্ম: ৮ই মে, ১৯৫৮ সনে নিজ জেলা জামালপুরে। কবি প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলোÑ গল্প: ‘প্রতিবিম্ব ও অন্যান্য গল্প’ ‘জলমাটির গল্প’ ও ‘রাহুর চন্দ্রগ্রাস’। কবিতাÑ ‘ঘাসবোনা গ্রাম তাঁতবোনা গ্রাম’। স্মৃতিচারণমূলকÑ ‘গণমানুষের স্মৃতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। গল্পের জন্যে পেয়েছেন পাক্ষিক ঐকতান (বর্ধমান) পত্রিকা পদক। শিশু কবি রকি সাহিত্য পুরস্কার ও নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার।
বিহান বেলার ঈশ্বর
লেখক পরিচিতি :
প্রজ্ঞা মৌসুমী। জন্ম: এক শরতে দাদুবাড়ি কুমিল্লায়, বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে। ঊনিশ বছর থেকে পড়াশুনার জন্যে প্রবাস জীবন। এক এসাইনমেন্টের জন্যে প্রথম ইংরেজি কবিতা লিখার শুরু। প্রথম জীবনের কবিতাগুলো ইংরেজিতেই লেখা, কিন্তু মন আঁকুপাঁকু করে বাংলায় লিখতে; তারই ফলশ্রুতিতে আজকের প্রথম কবিতা ফসল ‘পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ’। লেখক কবিতা ও গল্প লিখে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার তাই বাংলা সাহিত্যের অত্যুজ্জল আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করার স্বপ্ন দেখেন অহর্নিশ।
পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
ফরিদ আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। শিক্ষকতা করেছেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে টরেন্টোতে ।
ফরিদ আহমেদ
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
নৃশংসতার উপত্যকায় হত্যার মানচিত্রে ফুঁপিয়ে ওঠে শব্দহীন রাতের ক্রন্দন, ইথার ও যান্ত্রিক ভায়োলেন্স মোহগ্রস্ত করে ফেলে সমগ্র সবুজ, তখন অবাধ্যতার দাঁড় বেয়ে শুদ্ধতার লক্ষ্যে ছুটে আসে এক স্বপ্নবাজ অশ্বারোহী, তার দু’চোখে আবিষ্ট থাকে উজ্জ্বল ছুরির মতো শাণিত শৈশব। তার সুহৃদালয় জুড়ে থাকে বিস্তৃত আলপথ, ডাংগুলি, লাটিমবেলার মায়ের প্রশ্রয়, আহ্লাদি ধানক্ষেত, রাখালিয়া প্রহরের ভাঁটফুল, বৈঁচি-শালুকঝিলের জলকেলি, গোধূলিবেলার ধুলোময় শরীরে মহিষের পিঠে চেপে নিরুদ্দেশ পদচারণা…
মাঞ্জা দেয়া সুতোর লাটাই আর দুরন্ত ঘুড়ির নিবিড় বন্ধন কিংবা পাখিদের সখ্যতায় তার ঋদ্ধ ডানা জন্মালে আমরা তাকে কবি ডাকি।
জ্যোৎস্না-প্লাবিত আলপথ ধরে একহাতে মেহরাজ, অন্যহাতে মুহূর্তমাকে নিয়ে একদিন তাই রূপকথার শহরে কবি প্রবেশ করেন…
এবং তার থাকে পিতৃব্যের ঋণশোধের তাগাদাপত্র, তার থাকে শ্যামল কিশোরীর উচ্ছ্বল ঠোঁটের লোভ, আরো থাকে তার স্রষ্টার প্রতি নুয়ে পড়া ভেজা ন্যাকড়ার মতন বিহ্বলতা…
কী অদ্ভুত সত্যপাঠে পাঠকের চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবার লাঙল, রাজপ্রাসাদ, বাঈজি, নাগরদোলাÑ মন্ত্রমুগ্ধ আবেশে নস্টালজিক হয়ে পড়ে মাটিগন্ধী প্রাণ…
আহা, প্রাণ আরাম পায়…
শাহীন খন্দকার।। সুমন সৈকত
বাবা ও লাঙ্গল বৃত্তান্ত
সূচিপত্র
নীরা ৯
একজন সুখী মানুষ ১৫
ইনসমনিয়াক ১৮
একটি নিরীহ কবিতার খাতা ২১
নৈশভোজের টেবিলে একজন নারী, .
দুইজন পুরুষ এবং একটি ঝলসানো হরিণ ২৯
চশমা ৩৫
হঠাৎ তোমার সাথে ৩৮
বার্তাবাহক ৪৭
গিটারিস্ট ৫১
ছায়া ৫৫
হাতিরঝিলের বেঞ্চে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়া .
এক বৃদ্ধের গল্প ৫৯
দেশটা যে কারণে এমন হয়ে গেল ৬৩
হাতঘড়ি ৬৭
যাত্রা বিভ্রাট ৬৯
বিরিয়ানি ৭৪
দাবদাহ ও জোছনা ৭৭
দাবদাহ ও জোছনা
লেখক পরিচিতি :
আহমেদ মেহেদী হাসান নীল। জন্ম: ১১ই নভেম্বর, ১৯৯১ইং। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিলিতে। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম বই।
কষ্টের আধুনিক হিমাগার
চিত্রকল্প, উপমা, উৎপ্রেক্ষা সহযোগে রেজা রাজা’র কবিতায় চেতন ও অবচেতনের অদৃশ্য জগত মূর্ত হয়ে ওঠে। তাঁর কবিতা স্বপ্ন, কল্পনা, কামনা, বাসনার চিরন্তন প্রবৃত্তিকে অনন্য কাব্য ভাষায় প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতার ঐশ্বর্যে ঋদ্ধ এসব কবিতা। যেন ঘোরলাগা মধ্যাহ্নের মাতাল মিউজিক বেজে ওঠে তাঁর পংক্তির পর পংক্তিতে। জাগতিক যন্ত্রণা আর অযথা হট্টগোলে অসহায় কবি রচনা করেন অনন্য কবিতা। প্রেম, কামনা, বাসনা, নস্টালজিক আবেগ, অনুভূতি কবিতার পরতে পরতে আলো ছড়ায়। কবিতাগুলি বেশির ভাগই বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
মধ্যাহ্নের মাতাল মিউজিক
চৌদ্দটি গল্প নিয়ে ‘অথবা উষ্ণতায়’। মানবজীবনের, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত জীবনের প্রেম-অপ্রেম, দুঃখ, অপমান, নিরাশা, লোভ, স্বপ্ন কিংবা স্বপ্নভঙ্গের জ্বালা ছোট ছোট ক্যানভাসে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন গল্পকার রোকন রেজা। দু’একটি গল্প হয়তো বা তাঁর নিজের জীবনেরই খন্ডিত চিত্র। যেমন ‘জীবনের এইসব নিভৃত কুহক’ কিংবা ‘মন কাঁদে।’ এছাড়া অনান্য গল্পগুলোও আমাদেরই কারো না কারো জীবনকথা।
অথবা উষ্ণতায় - Othoba Ushnotay
চুরিবিদ্যা- শিল্পিত সুন্দর, যদি হয় বই চুরির দুপুর
বই চুরির দুপুর গড়িয়ে যে-রোদ পাক হতো বিকেল
তোমার জানালা তখন সুরতালে রোদেলা কত্থক
এই এক সম্ভাবনার কাছে বাঁশিটার আসতো জ্বর
হাতে থাকতো পাহাড়ি শরীর ছিঁড়ে আনা বুনোফুল
খেলতে গিয়ে মাঠের অনুমতি নিতে নেই
তাতে ঘাসের বয়স বেড়ে যায়
শিশিরের স্পর্শসুখ হতে বঞ্চিত করে শরীর
সব সম্ভাবনার কাছে অনুমতির প্রশ্ন এলেই, অবলীলায়
জানতে চাইতে- কিছু অসুখী ফুলের নাম
এক একটা গোটা-দুপুর কীভাবে হয় দুখি ফুল
সব আকাক্সক্ষার ফুলবাগানে বিকেল যেন মন্ত্রধাম
মন্ত্র জপি আমি বন্দনার বাগানে তৃষ্ণার্ত আঙুল
মন্ত্র নই তৃষার আঙুল
এক ফোঁটা নিশ্চুপ জলবিন্দু থেকে ওর পায়ের দূরত্ব ছিল অল্প একটু। ঐ অল্প একটু দূরত্ব যাতে ও একা একা অতিক্রম করে চলে না যায়, এজন্যে আমার ভীষণ উন্মত্ততা ছিল!
সেই উন্মত্ততা পাথরে পাথরে, সেই উন্মত্ততা স্মৃতিমিনারের শীর্ষতায়, সেই উন্মত্ততার তির্যক ছোঁয়া কিছুটা পেল এই কাচের পুতুল। কে এই কাচের পুতুল? এই প্রশ্নটা তুললেই…
অচেনা বাতাস বরাবরই শুনিয়ে যায়
‘মাঝেমাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাই না…!’
এভাবেই শুনে যেতে থাকবো?
ঠিক এভাবেই?
প্রিয়মুখের মতন এই সূর্যাস্ত
নিজেকে বিক্রি করতে পারা কিংবা বিক্রি করার চেষ্টা করা অথবা নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করিয়ে বিশ্লেষণ করা এই সময়ের মুখচ্ছবি। সেখানে বাস্তব কিংবা কাল্পনিক চরিত্ররা একেকটি বিস্ময়! অন্ধকার ফুটপাত থেকে উঁচু মুখের থাবায় চলে যায় অন্ধ রেলগাড়ি। আর অতিরিক্ত ঘ্রাণে জড়িয়ে যায় মুদি থেকে গোরস্তান। মৃত্যুস্রোত ও গহীনের আলো আনন্দকে ডুবিয়ে দেয় চেহারার ঘনত্ব। তারপরও রক্তভ্রম, আহত কি-বোর্ড, শীতবইয়ের শর্তসমূহ ঘেউমারা পড়শি চোখের যাদুতে জেগে থাকে দীর্ঘপথ। পাশাপাশি হাঁটতে থাকা ছায়াগুলো কানে-মুখে ঢুকে যায়। আবার বেরিয়েও যায় উচ্চতায়, নিজস্বতায় অথবা নানা পরিচ্ছেদে। গল্পের বয়ানে উহ্য আছে এমন অনেক গোপন সাঁকো। পথ জুড়ে শর্তের ভেতরের চোখকে আবিষ্কার করার চেষ্টায় চারপাশে তৈরি হয়েছে খণ্ড খণ্ড দৌড়। ‘লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর’ গল্পগ্রন্থটি এমনই দশটি গল্প কিংবা দশটি পরিচ্ছেদে দাঁড়িয়ে আছে।
লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর
লেখক পরিচিতিঃ
নিজেকে ঘটা করে পরিচয় করিয়ে কি লাভ । আমার এই উপন্যাস পছন্দ হলে এতেই আমার স্বার্থকতা। সবাই ভালবাসুক এই গল্পটা।সবাই ধারণ করুক এই বইটা।
এই পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ৯টি
১) আমার মা(ভোরের শিশির প্রকাশন
২) বার্লিনে বন্ধুত্ব(ভোরের শিশির প্রকাশন)
৩) ভুতের স্বর্নতাবিজ( বেহুলা বাংলা প্রকাশন)
৪) অল্প কথার গল্প (দ্যুপ্রকাশন)
৫) লাভার্স পয়েন্ট (বেহুলা বাংলা)
৬)তিন প্রজন্মের কাব্য (ছায়ানীড়)
৭) দার্জিলিং কনফেশন (ছোট গল্প) অনুপ্রাণন
৮) উইনিং সেলস এন্ড মার্কেটিং (বেহুলা বাংলা)
৯) পূর্বজদের গুহায় বুদ্ধের দর্শন।(অনুপ্রাণন)
পূর্বজদের গুহায় বুদ্ধের দর্শন
প্রেম শ্বাশত। একটি পবিত্র প্রেম একজন মানুষের জীবনে মহীরূহ স্বরূপ। যা তাকে সারাকাল সুখের আচ্ছাদনে সমৃদ্ধ করে। বুকের ভেতর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন তার অধিকার। আমাদের চলমান সমাজ ব্যবস্থায়, তৃতীয় ব্যক্তি নামে একটি পক্ষ আছে। এই তৃতীয় পক্ষ যখন, একটি মধুর সম্পর্কের মধ্যে ঢুকতে চেষ্টা করে? তখন কতো যে ব্যত্যয় ঘটে, তা কম বেশী সকলের জানা। সুখী সমৃদ্ধশালী জীবনটা তখন, নিমিষেই তাসের ঘরের মতোন হয়ে যায়। নিকষ আঁধারে ঢেকে যায় প্রেমের সূর্যতোরণ।
এ উপন্যাসে মুন আর মনন দম্পতির মধুর সম্পর্কের মধ্যে, এই তৃতীয় পক্ষের সক্রিয় আগমন ঘটার চেষ্টা বিদ্যমান। ওদের স্বাভাবিক জীবন বোধ টালমাটাল অবস্থায় পড়ার উপক্রম। মুন ও মননের সংসারে যেনো অথই সাগরে সুখের অবগাহন। তৃতীয় পক্ষের গাত্র দাহ! তো এখানেই? তাদের সন্তান মম কে পেয়ে ওরা বুঝি সত্যিকারভাবে “সুখ পাখি” টা কে হাতে পায়? আর এতেই হয়তো বা ওরা, সেই ব্যক্তির দুষ্টু নয়নের শ্যেন দৃষ্টির শিকার হতে চলেছে? ওদের সুখের সংসারে অশুভ ইঙ্গিতের হাতছানি, দেখা দেয়ার চেষ্টা চলছে ক্রমাগত। শেষ পর্যন্ত সফল কে হবে? ওরা দু’জন? না কি তৃতীয় কোন পক্ষ? সকলকে ধন্যবাদ।
-লেখিকা
তোমায় চেয়েছি বলে
কুমার দীপ। কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার। বড়দের জন্য লিখতে লিখতে শিশুদের জন্য কলম ধরেছেন। ‘পিয়ালের শিয়াল পোষার শখ’ নামে শিশুদের গল্পের বই প্রকাশের পর এবার বের হলো ছড়ার বই ‘বুকের ভেতর বাংলাদেশ’। চমৎকার কয়েকটি ছড়ার ভেতর দিয়ে আমাদের এই শ্যামল সোনার বাংলার ফুল, পাখি, নদী, ঋতু-বৈচিত্র্য; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সবই চিত্ররূপময় হয়ে উঠেছে। আনন্দময় পাঠের ভেতর দিয়েই একটি শিশু জেনে নেবে তার মাতৃভূমি-মাতৃভাষা-ইতিহাস-ঐতিহ্য-স্বাধীনতা আর অপরূপ প্রকৃতিকে।
বুকের ভেতর বাংলাদেশ - Buker Vetor Bangladesh
সৈয়দ রায়হান বিন ওয়ালী। লেখক নাম: সৈয়দ ওয়ালী। জন্ম: ১৭ই জানুয়ারি ১৯৬৭। জন্মস্থান: পুরাতন ঢাকা। পিতা: সৈয়দ ওয়ালী হোসেন সুলতান। মাতা: সোহেলি ফেরদৌসী। পৈত্রিক ভিটে: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম।
বেড়ে উঠা: সৈয়দ ওয়ালীর শৈশবের প্রথম কয়েক বছর কাটে পুরাতন ঢাকার বংশালে। তবে দেশ স্বাধীন হবার বছর খানেক পর পারিবারিক আর্থিক সংকটের কারণে পিতার নানী-বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর-জমিদার- বাড়ির গ্রামীণ পরিবেশে কাটে শৈশব ও কৈশোরের পরবর্তী কয়েক বছর। যার সুবাদে সে শহর ও গ্রামের দ্বৈত জীবনের অভিজ্ঞতায় বেড়ে উঠার সুযোগ পায়। যে দ্বৈত-জীবনের অভিজ্ঞতার বিবিধ বৈশিষ্ট তার বিভিন্ন কবিতায় গদিয়ান। শিশুকাল থেকে সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমের প্রতি তীব্র টান অনুভব করলেও মূলত যৌবনে এসেই সৈয়দ ওয়ালী ধীরে ধীরে কবিতা জগতের প্রতি মুগ্ধ হতে থাকে এবং নিজের কবিতা সৃজনের তৃষ্ণা নিজের ভেতর অনুভব করতে থাকে, যে তৃষ্ণা পরিশেষে তাকে কবিতা চর্চায় নিমগ্ন করে; সৃষ্টিশীলতা শুরুর বছর বিচারে যা ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৯৮৯/১৯৯০। সেই থেকেই সৈয়দ ওয়ালী কবিতার ভাব ভাষা ছন্দ ও শৈলী নিয়ে বিচিত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ও এইসব উপাদানের যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে সৃজন করে চলেছেন তার কবিতার নিজস্ব ও স্বতন্ত্র এক জগৎ, যা আজ অবধি চলমান।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ‘তুমি ও তোমাদের হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে’, ‘বিনত খসড়া’।
……………………………
জলজ স্বাক্ষর
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.