Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
বাবুল হোসেইন। জন্ম: তেঘরিয়া, সৈয়দপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
আত্মমুগ্ধ শিকল
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
প্রজ্ঞা প্রসঙ্গে :
বাক্-ফসলের মতো জন্ম হয় আমি ও অ্যান্টি-আমি’র। নিজেকে ঘিরে এই অপব্যয়িত ঘুরে দেখা, এরপর বহিরঙ্গে ঘূর্ণন, এই নিয়েই কবিতার কাজ। কখনও কখনও মনে হয়, জেনবাদের Abstruseness হলো, কবিতা।
ভেদ আছে, সংযোগ আছে; আছে Zero Thinking- প্রকৃতই যা না, তাই যদি কবিতা হতো, তবে ঈশ্বর এবং কবিতায় পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যেতো না। আমি সেই খুঁজে ফেরার দিকে এক খণ্ড গোলাপযান।
গোলাপ ও আফিমের প্রজ্ঞা
জন্ম : ০২ জানুয়ারি, ১৯৮৩-তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বেড়ে ওঠা পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে। লেখাজোখার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই।
প্রথম লেখা ছাপা হয় মাসিক রহস্যপত্রিকায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি লেখালেখিতে সচেতনভাবে মনোযোগী হন। তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকসহ অজস্র পত্রপত্রিকায়। সমানতালে লিখেছেন লিটল ম্যাগাজিনেও। দীর্ঘদিন যাবত সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’। গল্প লিখতে এবং গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য ধাঁচের রচনায়ও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। মাসিক উন্মাদ অতঃপর দৈনিক প্রথম আলোর তুমুল জনপ্রিয় ফান ম্যাগাজিন আলপিন-এর মাধ্যমে রম্যচর্চার হাতেখড়ি। এরপর থেকে লিখেছেন দৈনিক পত্রিকার ক্রোড়পত্র হিসেবে প্রকাশিত বিভিন্ন রম্য-বিদ্রƒপ সাময়িকীতে।
পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন পা-ুলিপি সম্পাদনা, লেখালেখি এবং সাংবাদিকতাকে। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত।
প্রকাশ (নির্বাচিত গল্প বিষয়ক প্রবন্ধ)
প্রেম শ্বাশত। একটি পবিত্র প্রেম একজন মানুষের জীবনে মহীরূহ স্বরূপ। যা তাকে সারাকাল সুখের আচ্ছাদনে সমৃদ্ধ করে। বুকের ভেতর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন তার অধিকার। আমাদের চলমান সমাজ ব্যবস্থায়, তৃতীয় ব্যক্তি নামে একটি পক্ষ আছে। এই তৃতীয় পক্ষ যখন, একটি মধুর সম্পর্কের মধ্যে ঢুকতে চেষ্টা করে? তখন কতো যে ব্যত্যয় ঘটে, তা কম বেশী সকলের জানা। সুখী সমৃদ্ধশালী জীবনটা তখন, নিমিষেই তাসের ঘরের মতোন হয়ে যায়। নিকষ আঁধারে ঢেকে যায় প্রেমের সূর্যতোরণ।
এ উপন্যাসে মুন আর মনন দম্পতির মধুর সম্পর্কের মধ্যে, এই তৃতীয় পক্ষের সক্রিয় আগমন ঘটার চেষ্টা বিদ্যমান। ওদের স্বাভাবিক জীবন বোধ টালমাটাল অবস্থায় পড়ার উপক্রম। মুন ও মননের সংসারে যেনো অথই সাগরে সুখের অবগাহন। তৃতীয় পক্ষের গাত্র দাহ! তো এখানেই? তাদের সন্তান মম কে পেয়ে ওরা বুঝি সত্যিকারভাবে “সুখ পাখি” টা কে হাতে পায়? আর এতেই হয়তো বা ওরা, সেই ব্যক্তির দুষ্টু নয়নের শ্যেন দৃষ্টির শিকার হতে চলেছে? ওদের সুখের সংসারে অশুভ ইঙ্গিতের হাতছানি, দেখা দেয়ার চেষ্টা চলছে ক্রমাগত। শেষ পর্যন্ত সফল কে হবে? ওরা দু’জন? না কি তৃতীয় কোন পক্ষ? সকলকে ধন্যবাদ।
-লেখিকা
তোমায় চেয়েছি বলে
প্রায় তিন দশক ধরে কাব্যচর্চায় আত্মনিবেদিত কবি হানিফ মোহাম্মদ এই প্রথম তাঁর কাব্য “পদাশ্রিত পাঞ্চজন্য” নিয়ে গ্রন্থ-প্রকাশনার জগতে পা রাখলেন। এ কাব্যটি দীর্ঘ সাধনায় অর্জিত তাঁর সাহিত্যিক ও কাব্যাদর্শিক চেতনার ফসল। জীবন ও সমাজের নানা ক্ষেত্রের ক্লেদ, দুর্গতি ও বঞ্চনা নিয়ে দুর্বিষহ সময় কবির দৃষ্টিতে যেভাবে ধরা পড়েছে, তার-ই কিছু ছবি ফুটে উঠেছে এ কাব্যের বিভিন্ন কবিতায়। কবি শুধু বৌদ্ধিক ও অন্তরঙ্গ ভাষিক-রেখায় সমাজের নানা স্কেচ এঁকেই ক্ষান্ত হননি, পরোক্ষ উচ্চারণে নিজের আদর্শভিত্তিক একটি আগামির স্বপ্ন ছড়িয়েছেন কবিতার পর কবিতায়। সর্বদাই তাঁর আবেগ থেকেছে নান্দনিক রসধারায় সিঞ্চিত এবং কাব্যবোধ প্রগতিশীল চেতনায় ঋদ্ধ। তিনিও, প্রত্যেক পূর্ণতাপ্রাপ্ত কবি যেমন, স্বতন্ত্র বিশ্বাস ও আদর্শ নিয়ে একটি আলাদা কাব্যভুবনের নির্মাতা। তাঁর মাঝে কোন ঘোরপ্যাঁচ নেই; সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাষায় অনেকটা প্রত্যক্ষ শৈল্পিক উপস্থাপন তাঁর। বঞ্চনা-পীড়িত জীবন ও সমাজের নানা চালচিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে তাঁর কাব্যবোধ ও শৈলী তিলমাত্র অপচিত হয়নি।
তাঁর কবিতার দৃশ্যমান, পরাবাস্তব ও বিমূর্ত চিত্রকল্পগুলো একাধারে পেলব, দৃষ্টিনন্দন, বোধ-উদ্দীপক ও হৃদয়স্পর্শী। তাঁর পংক্তিগুলো গণমানুষের চেতনার সাথে সমানুভূতিতে, প্রেমের পরাকাষ্ঠায় এবং নিসর্গ-সুষমার প্রদীপ্তছটায় অনাস্বাদিতপূর্ব প্রতিমাপুঞ্জ। শব্দচয়ন ও বাণীবন্ধ গঠনে তিনি যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। পুরো কাব্যটিতেই তাঁর পরিমিত বাকভঙ্গি ও পরিশীলিত মননের প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। সেইসাথে শব্দাবলীর যথাযথ বিন্যাস ও ছন্দময় প্রবহমানতা তাঁর কবিতার বাণীবন্ধকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
পরিশেষে, কবি হানিফ মোহাম্মদের বিশ্বাস এবং ব্যতিক্রমী চিন্তা-চেতনার সাথে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও আমি নির্দ্বিধায় বলবো যে, কাব্যটি শৈল্পিক মানদ-ে উন্নত এবং যথেষ্ট রস সমৃদ্ধ।
আবুল কাইয়ুম
প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক ও অনুবাদক
পদাশ্রিত পাঞ্চজন্য
-দাসী প্রথা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। সব দেশে সব জাতিতেই দাস-দাসীর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। হিন্দু সামাজিক আইনে ১৫ প্রকার দাস-দাসীর উল্লেখ আছে। মুসলিম সমাজে দাসীপুত্র, যুদ্ধবন্দী, পেটের দায়ে বিকিয়ে দেয়া শিশু, নারী-পুরুষ দাস অর্থাৎ ক্রীতদাস হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর আবির্ভাবে আরবীয় সমাজে দাসকে মুক্তি দেয়ার আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। তবুও দাসবৃত্তি পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যায়নি। যুদ্ধে পরাজিত শত্রুদের দাস হিসেবে বিদেশে বিক্রি করে দেয়ার নিয়ম ছিল। ইসলামের আদর্শে দাস-দাসীকে পারিবারিক সদস্যদের মতো সম্মান দেয়ার নির্দেশ রয়েছে।
ভারতীয় সমাজে দাস ব্যবসা প্রচলন ছিল। খোজা দাসদের মধ্যে কেউ কেউ দিল্লির সুলতান ও বাংলার সুলতানের সিংহাসন অধিকার করেছিলেন। বাংলার সুলতান আলী মর্দান ও সুবেদার মুর্শিদ কুলী খাঁ ক্রীতদাস জীবন থেকে রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমান এবং তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী হুররেম সুলতানের ক্রীতদাসী হয়েও পরে তাঁর প্রধান স্ত্রী বা সুলতানা হিসেবে সম্মানিত হন।
উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আফ্রিকার কৃষ্ণকায় মানুষগুলো দাস বৃত্তিতে নিয়োজিত ছিল। কাফ্রি মা-বাবা তাদের আর্থিক প্রয়োজনে শিশু-কিশোর বয়েসীদের বিক্রি করতো। মাদ্রাজ ও কলকাতার দাসবাজার থেকে সম্পদশালী লোকেরা তাদের ইচ্ছেমতো দাস ক্রয় করতেন। সুলতানি, মুঘল ও ইংরেজ শাসনামলে বিভিন্ন দাসবাজারে কাফ্রি দাস সহজে পাওয়া যেতো। কাফ্রিদের একই অংশকে খোজা তৈরি করা হতো। মুঘল সরকারের অনুমতি নিয়ে পর্তুগিজসহ বিভিন্ন জাতির লোকেরা ব্যবসায়ে সুবিধা পায়। পর্তুগিজ ও মগ দস্যুরা বাঙালি নর-নারীদের পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দাস-দাসী হিসেবে বিক্রি করেছে।
বাসাবাড়ির ভেতরে ঘর-গৃহস্থালি কাজের তদারকির জন্য দক্ষ একজন কাজের মানুষ বা গৃহভৃত্যের প্রয়োজন হয়। সব কাজের জন্য নিযুক্ত কাজের ঝি’রা কখনো সমাজের মানুষের চোখে হেয়প্রতিপন্ন হয়। গৃহকর্তা বা কর্ত্রীরা এদের অবজ্ঞার ছলে চাকর-চাকরানী বা গধরফ ঝবৎাধহঃ বলে থাকে। চাকর-বাকরদের খাবার দাবার কষ্ট, দৈহিক নির্যাতন ও অমানুষিক খাটুনি খাটতে হয়। অসুস্থ হলে ছুটি নেই। কোনো সময় ভালো না লাগলে বিদায় করে দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। টাকা দিয়ে কেনা ক্রীতদাসের মতোই ব্যবহার করছে মনিবরা। আবার অধিকাংশ মনিব গৃহভৃত্যদের আচরণে সন্তুষ্ট নয়। মনিব কর্তৃক গৃহভৃত্য নির্যাতনের খবর প্রায়ই ঘটে। পাশাপাশি মনিব নির্যাতনের খবরও চোখে পড়ে। বহির্মুখী মানুষগুলোর অবশ্য কাজের মানুষের প্রয়োজন হয়। এই জন্য যে তারা বাড়ি ফিরে খাবারটুকু নিশ্চিন্তে খেতে সক্ষম হয়। এসব ক্ষেত্রে কাজের মানুষ ছাড়া উপায় নেই। গৃহভৃত্য শ্রেণিকে যেভাবেই দেখা হোক না কেন একটা মানবীয় দৃষ্টিকোণ এদের বেলায় প্রযোজ্য। মনিব-ভৃত্যের সম্পর্ক অভিন্ন থাকা বাঞ্ছনীয়।
রবীন্দ্রনাথ ভৃত্যশাসিত তোষাখানার মধ্যে রুদ্ধ হয়ে ছোটবেলায় চাকর-বাকরদের কাছে হেলাফেলার মানুষ বলে খুব বেশিদিন সেবা-যতœ পাননি। তিনি যে সমাজে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে সমাজে সাধারণের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ স্থাপন একরূপ অসম্ভব ও অসাধ্য ছিল। পরবর্তীতে তিনি লক্ষ করেছেন ভৃত্যদের মধ্যে কেউ কেউ পেট খোরাকী, কেউ কেউ মাইনেভোগী। মাইনেভোগীদের মধ্যে যৎসামান্য মাইনের চাকর-বাকররা কী রূপ দিনাতিপাত করেছে—তাদের সংসারের কথা—তাদের জীবনের আবেগ-অনুভূতির খুঁটিনাটি বিষয় রবীন্দ্রনাথ জানতে সক্ষম হয়েছেন। এ গ্রন্থে চাকর-বাকরদের সাথে সংলাপপটু রবীন্দ্রনাথ কতটুকু অসাধারণ ছিলেন সে সম্পর্কে পাঠকবর্গ ধারণা লাভে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা করি।
বিনয়াবনত
এস.এম. আফজাল হোসেন
শিলাইদহ, কুষ্টিয়া
রবীন্দ্রনাথের চাকর-বাকর
রুদ্র সাহাদাৎ কবিতাপাড়ার পরিচিতস্বর, পরিচিত মুখ।নিরলস সাধনায় তার সহজ কবিমন সর্বক্ষণ যেন তাকিয়ে আছে পৃথিবীর প্রতিটি মুহূর্তের দিকে। বর্ণনা করা যায় না, এমন কিছু অপার্থিব সুন্দর তাকে চঞ্চল করে রাখে জীবনের পথে পথে। বেদনা ও কষ্টের মানবিকতা তাঁর সত্তাকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে পরিশুদ্ধির উত্তাপে। প্রেমপূর্ণ ও প্রকৃতিমগ্ন এই কবি অন্ধকার ও অন্ধতার সকল দুয়ার ভেঙে আলোয় ভুবন রাঙাতে বদ্ধপরিকর। তাঁর কবিতার শব্দচয়ন ও চলনের গতি সংবেদী পাঠককে সেই বার্তা দিচ্ছে বারবার। শ্রেণীবিন্যস্ত সমাজের সীমাবদ্ধতা ও কলুষতা তাকে পীড়িত ও ন্যুব্জ করে। কবিতার ব্রক্ষ্মাস্ত্রে তিনি তাই প্রতিবাদী। হতাশা ও পরিব্যাপ্ত অপাপ্তির ক্ষোভ তাকে প্রকৃত সংবেদনের কাছে নতজানু করেছে,যা কখনো বা নিয়তি বা ললাটলিখনের নামান্তর। পৃথিবীর বহু যুগন্ধর কবি শিল্পীই এই নিয়তির তটে তাদের চেতনার রুধিরাক্ত অর্ঘ্য অর্পন করে গেছেন সজল নয়নে। একালের মানুষও কি তা থেকে মুক্তি পেয়েছে খুব বেশি? কবির একটি উচ্চারণ সেদিক ইঙ্গিত করছে যেন বড় মর্মান্তিকভাবে — বারবার কেন যে জিততে জিততে হেরে যাই প্রভু সব জানে, সব দেখে – চার ছক্কার চক্করে মইহীন পা…… রুদ্র সাহাদাৎ সাচ্চা প্রেমিক ও ভৈরব। কবি ও কবিতা এই কুঞ্জ ও রুদ্রের অভিঘাতেই বেঁচে থাকে নিরন্তর।
হাফিজ রশিদ খান
কবি, প্রাবন্ধিক
চেতনায় একাত্তর হৃদয়ে বাংলাদেশ - Chetonay Ekattor Hridoye Bangladesh
Ekti Khuner Prostuti Boithok
আবু সাঈদ আহমেদের জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নের সময়েই জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সন্দ্বীপে প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে লেখক জীবনে প্রবেশ। কলেজ জীবন হতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু লেখাকে কখনোই গুরুত্বের সাথে নেন নাই। তিনিই বাংলা ব্লগের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার ‘হরবোলা’। অনলাইনে নির্মোহ রাজনৈতিক প্রবন্ধ, তীক্ষ্ম স্যাটায়ার, কবিতা আর অণুগল্প তাকে এনে দিয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। আমমানুষের পক্ষের একজন লেখক ও এক্টিভিস্ট হিসেবে একাধিকবার শারীরিক হামলার স্বীকার হয়েছেন, কিন্তু নীরব হন নাই।
লংকা কিন্তু জ্বলছে না
পূর্বপুরুষ কেউ একজন পাগল ছিল। নিলয় সবসময় সেই পাগলামিটা তার নিজের মধ্যে অনুভব করে। মাঝেমধ্যে অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখে, অদ্ভুত অদ্ভুত চিন্তা মাথায় চেপে বসে; অদ্ভুত কিছু কান্ড করেও বসে। একদিন রাতের বেলা কবরস্থানে গিয়ে একা বসে থাকে! কোরবানির ঈদে চারিদিকে যখন খুশির জোয়ার, তার কাছে সেই ঈদ হয়ে ওঠে বিষাদময়! শতবছর আগে মরে যাওয়া তার বড় দাদার ( দাদার দাদা) সাথে দেখা হয়! স্ত্রী তার সকল পাগলামি মেনে নিলেও সহকর্মীর সাথে সখ্যতা কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না। অভিমানে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়, সহকর্মীর সাথে প্রেমের ভাঙন ধরে। অফিসের অনিয়ম আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হতে হয়। তার নিজেকে একজন ব্যর্থ মানুষ মনে হয়! এই অবস্থায় তার কাছে এই শহর, শহরের মানুষ, অলি গলি রাজপথ সবকিছু খুব নোংরা মনে হয়। এই নষ্ট নরক ছেড়ে সে চলে যায় তার ছেলেবেলার সেই গ্রামে। কিন্তু ছেলেবেলার সেই গ্রামটি আগের মতো আর খুঁজে পায় না। পরিবর্তিত গ্রামটিকেও একসময় তার কাছে নষ্ট মনে হয়। গ্রাম ছেড়ে সে অজানার পথে বেরিয়ে পড়ে। এক বাউলের সাথে দেখা হলে সে বাউল হতে চায়। কিছুদিন পর বাউল জীবন ছেড়ে সে পথে পথে ঘুরতে থাকে। এক মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ বয়সের করুণ অবস্থা দেখে তার কষ্ট হয়। এক বিকেলে নীড়ে ফেরা পাখি দেখে সে তার পৈত্রিক ভিটায় গ্রামে ফিরে আসে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে শুরু করে। এ-সময়ও তার দাদার দাদা তাকে দেখা দেন। বড় দাদার সাথে কথা বলার জন্য সে ব্যাকুল হয়ে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাপন সে কিভাবে করবে? পুর্বপুরুষের সেই পাগলামি যে তার অস্তিত্বে মিশে আছে!
পাগলের জবানবন্দি - Pagoler Jobanbondi
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
স্বপঞ্জয় চৌধুরী মূলত কবি হলেও কথাসাহিত্যে তার হাত বেশ পরিপক্ক। শুধু পরিপক্ক বললে ভুল হবে, আধুনিক ছোটগল্পের সকল বৈশিষ্ট্যই তার লেখায় বিদ্যমান। চিন্তাকে ভেঙেচুড়ে সে নতুন ফরম্যাট দাঁড় করতে সিদ্ধহস্ত। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলোর সাথে আমি বেশ পরিচিত। তার লেখায় রয়েছে মা, মাটি, প্রকৃতি, জাতীয় চেতনা ও নিম্নবর্গীয় মানুষের আর্তি। তিনি গল্প লেখেন জীবন ও বাস্তবতার অভিধায়। কল্পনার উচ্চস্তরে তিনি খুঁজে বেড়ান মানুষের না বলা নিগূঢ় কথার ধ্বনি। ‘মৃৎচক্রের দিনগুলি’ নাম ভূমিকার গল্পটি মূলত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা। আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্যকে তিনি এইগল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই গ্রন্থে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ষোলটি গল্প রয়েছে যা আমার মতো আপনাদেরও তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ^াস।
গৌতম তালুকদার
কবি ও গল্পকার
কোলকাতা, ভারত।
মৃতচক্রের দিনগুলো - Mritachakrer Dinguli
নাম : সৈয়দ ইলিয়াস আখতার ফারুকী
লেখালেখি যে নামে : ইলিয়াস ফারুকী
জন্ম : ১৯/০১/১৯৫৯ইং
জেলার নাম : চাঁদপুর সদর
লেখালেখি শুরু : ১৯৭৬ইং সাল থেকে
লেখার ধরন : কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গান
প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা : সাতটি
আরশি (কবিতা) ২০১৬ইং
মঞ্জুরিত যতিপাত (কবিতা) ২০১৮ইং
ভালোবাসার জন্য (ছোটগল্প) ২০১৮ইং
ভালোবাসার নানান রঙ (ছোটগল্প) ২০১৯ইং
নীলপদ্ম (ছোটগল্প) ২০১৯ইং
রোদ বিকেলের ছায়া (ছোটগল্প) ২০২০ইং
শিমুলের যত রঙ (কবিতা) ২০২০ইং
ছয়টি গানের অডিও সিডি জিগীষা পরস্কারপ্রাপ্তি : ব্রিলিয়ান্ট সোসাইটি কর্তৃক ছোটগল্পের জন্য ‘নজরুল সম্মাননা’ ২০১৮ইং
সভাপতি, জিগীষা সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ। নয়াপল্টন (বালুর মাঠ), ঢাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এমএসসি (ভূগোল) ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়, এমবিএ (বিপণন) ‚
ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সংসার জীবন : মা, স্ত্রী ও দই পুত্র
বর্তমান ঠিকানা : ৩৯৭ পূর্ব গোড়ান,
খিঁলগাও,
ঢাকা।
পেশা : জাতীয় বিক্রয় ব্যবস্থাপক, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭১৫-১৪৮৫৯৯
অনেকগুলো মানুষ
জন্ম ১২ জুন, ঝিনাইদহ জেলাধীন শৈলকূপা উপজেলার গোলক নগর গ্রাম। লেখাপড়াÑ ভাষা-যোগাযোগ ও সংস্কৃতি, গণবিশ্ববিদ্যালয়। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত। আসল নাম আলীনূর রহমান হলেও লিখে চলেছেন কখনো বঙ্গরাখাল, কখনোবা শুভ্রনূর বাবু নামে।
লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ
বিবর্ণ পাণ্ডুলিপি
সুলতানা শাহরিয়া পিউ, জন্ম ২ অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সংগীত চর্চা করেন। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। শিক্ষকতা করেন। তার প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ- মেঘের সাথে কথা (কাব্যগ্রন্থ), ইংরেজী কাব্যগ্রন্থ ‘ট্রান্সকুইল সেরেনেইড এর অনুবাদ ‘নিমগ্র জলধারা’। বাংলা গীতিকবিতার অনুবাদ ‘অচিন’ দঁহশহড়হি’.
এ্যালবাম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্ত ংড়হম ড়ভভবৎরহমং থেকে আবৃত্তি ‘ভয়েজ টু দ্যা ইটারনাল হোম’ পঞ্চকবির গানের সমবেত কণ্ঠে ‘পঞ্চপ্রভা’।
মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.