Additional information
Weight | 0.245 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.48 $ 2.47
“আমি শুরু থেকেই জানতাম, এরা যেকোন মূল্যে টাইম মেশিনটা তৈরি করেই ছাড়বে!” ক্রিটন তার আর্মচেয়ারে গা এলিয়ে দিতে দিতে বলল, “যেদিন নিকি আমাকে খবর দিলো যে ওরা তথ্যকেন্দ্রে মন্টক প্রজেক্ট সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে, সেদিন থেকেই আমি ওদেরকে আর হালকাভাবে নিই নি। এরপর আমাদের গুপ্তচর রিগা যখন ক্যাপ্টেন নিমোর সাথে ওদের কথোপকথন শুনে আমাকে জানালো যে বিজ্ঞানী ছোকড়াটার মাথায় সময় পরিভ্রমণের চিন্তা খেলেছে পুরনো আমলের একটা চলচ্চিত্রের খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য দেখে, তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে এই ছোকড়ার দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। কেন জানো ক্লড?”
“কেন প্রভু ক্রিটন?”
ক্রিটন ক্লডের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল, “কারণ আমি এই ছোকড়ার মাঝে আমার স্রষ্টা ডক্টর লির ছায়া দেখতে পেয়েছিলাম। ডক্টর লিও এরকমই ছিলেন, অনেক তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ জিনিসের মাঝেও তিনি অসাধারণ কিছু খুঁজে পেতেন। তিনিও এক অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছিলেন আমাকে তৈরি করে। ডক্টর লির মত মানুষেরা যেমন আমাদের গড়তে পারে, ঠিক তেমনি শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের গুঁড়িয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে, সে আমরা যতই আধুনিক এবং শক্তিশালী হই না কেন। এধরনের মানুষ কোটিতে বড়জোর একজন হয়। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে মানবজাতি টিকে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এধরনের মানুষ জন্মাবার সম্ভাবনা থেকেই যাবে!”
Weight | 0.245 kg |
---|---|
Published Year |
পাথুরে মাটির কৃষাণ’ আনোয়ার হোসেন বাদলের সেই উপন্যাস যেখানে আছে টিকে
থাকার লড়াই, দুর্নীতির থাবা, মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ও প্রত্যাশার ফাটল, আছে কিছু
হৃদয়বান মানুষের আশ্রয় আর নদী ভাঙনের ছোবল। একটি ভালো উপন্যাসে আমরা
অবশ্যই চাইবো সমাজের ভালো-মন্দ আদলের সবটুকু রূপায়ন। ‘পাথুরে মাটির কৃষাণ’
সে ক্ষেত্রে এক অপূর্ব সংযোজন।
দক্ষিণাঞ্চল দ্রোহ আর প্রেমে বরাবরই উর্বর। একদিকে সবুজের সামিয়ানা অন্যদিকে
নদী ভাঙনের হাহাকার। একদিকে প্রতারণা, হয়রানী অন্যদিকে সর্বরিক্ত মানুষের হাত
ধরে বাঁচার সংগ্রামে কতিপয় হৃদয়বান মানুষ। আনোয়ার হোসেন বাদলের চারপাশে
থাকা এইসব মানুষই, ‘পাথুরে মাটির কৃষাণের’ চরিত্র হয়ে উঠেছে। সমাজের কালোসাদা, অন্ধকার-আলো আনোয়ার হোসেন বাদলের উপন্যাসকে এতটাই কাছের করে
তলেছে যে, মনে হচ্ছে একজন প্রক ু ৃত লেখকের কলম থেকে এই ধাক্কাটা দরকার
ছিলো। উপন্যাসের শুরুতে কলকাতা যাবার ভ্রমণযাত্রী হিসেবে যে জমিরুদ্দিনকে দেখা
যায় উপন্যাসের শেষে তাকেই দেখা যায় অনেক উত্তর মিলিয়ে দিচ্ছেন দায়িত্ব নিয়ে।
জমিরুদ্দিনই এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র, যে বিবেকের গান হয়ে পাহারাদার হয়ে
উঠেছেন। আত্মসমালোচনার চাবুক উপন্যাসের গতিকে দুর্বার করেছে। রয়েছে
মনস্তাত্ত্বিক গাঢ়তা।
মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বেঁচে থাকার ঐশ্বর্য। এখানেও রয়েছে সত্য, অসত্য কুহক।
কখনো কখনো সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় আড়ালেই থেকে যায়। একজন
শহিদ মুক্তিযোদ্ধার মা বানেছা বুড়ি তাই ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধের
কথা এলেই সেখানে থাকবে রাজাকার অরেছ শিকদারের মতো চরিত্র যাদের দেখলে
আজও ঘৃণার সমুদ্র জেগে ওঠে বানেছা বুড়ির শরীরে। চাঁন গাজী, লালু শরিফ,
প্রতিবাদী যুবক রুস্তম মোল্লা, জেলে জীবন, নদীর তীব্র ভাঙন খেলা, খেটে খাওয়া
মানুষের প্রতিদিনের সংগ্রাম আনোয়ার হোসেন বাদলের উপন্যাসকে দিয়েছে উত্তাল
উত্তাপ। সেই ধারাবাহিকতায় গভীর অনুরাগ জ্যোৎস্না জামিলা। যা বিরহের জলে ধোয়া
এই কঠিন জীবনের শরীরে দিয়েছে মধুর টান। সমাজের নিয়মে তৈরি দেয়াল বুঝিয়ে
দেয় অসম, অসার প্রতিদিনের ক্ষত। আনোয়ার হোসেন বাদলের উপন্যাস, ‘পাথুরে
মাটির কৃষাণ’ অনেক ছোট ছোট কাহিনি, নানা মানুষ, ভ্রমণপথের বর্ণনায় সমৃদ্ধ।
প্রকৃতি, প্রেম, রাজনীতি, প্রতিবাদ, সরলতায় জীবন্ত এই উপন্যাস হৃদয়বান পাঠকের
কাছে পৌঁছে যাবে আমার বিশ্বাস।
আসমা চৌধুরী
০৮.০৮.২০২২
পাথুরে মাটির কিষাণ - Pathure Matir Kishang
ভূমিকা
লোকমান তাজ রচিত লাশপুরীর লাশের গল্প কিশোর উপযোগী রহস্যময় উপন্যাস। সমকালীন অনেক লেখক এ জাতীয় রচনা সৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সাইন্স ফিকশন, রম্য কথা, ভৌতিক থ্রিলিং ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রচুর লেখালেখি অব্যাহত রয়েছে। কারো কারো বেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লক্ষণীয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব লেখা অনির্দেশ্য বায়বীয় ভাব ভাবনায় সমর্পিত।
সঠিক কোনো জীবনবোধ বা আদর্শ অন্বেষার বালাই নেই। দিকভ্রান্ত কাহিনী চরিত্রের মোহমুগ্ধ ঘনঘটা একটা আবেশ ছাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থায় লোকমান তাজ এর লাশপুরীর লাশের গল্প নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গাছতলা গ্রামের সবিস্তার কাহিনী সাব্বির, মাহি ও মেহেক চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু শাখা কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। যেখানে মীরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীনিবাসের এক মর্মান্তিক কাহিনী এখানে বর্ণিত হয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র সাব্বিরই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
লাশপুরীর লাশের গল্পে সত্যিকার অর্থেই গল্পের একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে অপরিসীম আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সম্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এর কাহিনী চরিত্রে বরাবরই একটা আদর্শবোধ ব্যাপ্ত আছে। এ সুবাদে সেখানে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন মীরা কেন্দ্রিক সারিনা জামান এর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মেয়েটির আত্মহত্যা ও এর আনুপূর্বিক ঘটনা যে কাউকে ছুঁয়ে যেতে সক্ষম। সংসারের অভাব-অনটন, বন্ধুবান্ধবীদের নিগ্রহ-নিপীড়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবজ্ঞা, অবহেলা-সবমিলিয়ে মেয়েটির জীবন বিষিয়ে তোলে। এছাড়া সাব্বিরের দাদিবাড়ি গাছতলা গ্রামের নানাবিধ ঘটনা এ গল্পের আড়ম্বরের সাথে বনিত হয়েছে। যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব। আমি লাশপুরীর লাশের গল্প ও এর লেখক লোকমান তাজ এর পর্যায়ক্রমিক সমুন্নতি কামনা করছি।
-ড. মুহাম্মদ জমির হোসেন
লাশপুরীর লাশের গল্প
ফাঁদ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্র ছিল পুষ্প ও কাদের। ফাঁদ উপন্যাসটি পাঠকের প্রশংসা পাওয়ার পর মনে হলো এই চরিত্র দুটি দিয়ে উপন্যাসটিকে সম্প্রসারণ করা যায় এবং তখন এর দ্বিতীয় খ- লেখার পরিকল্পনা করা হয়। আপন ভগ্নিপতি দ্বারা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের অপূর্ব সুন্দরী কিশোরী পুষ্প বাধ্য হয়ে আবাসিক পতিতা হয়ে ধন্যঢ্য পুরুষের মনোরঞ্জন করে। একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভগ্নিপতির ওপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটানোর ফলে ভগ্নিপতি আত্মহত্যা করে এবং পুষ্পর জেল হয়। সেই বাসার দারোয়ান ছিল এমএ পড়–য়া কাদের। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পুষ্প ও প্রেমিক কাদের নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখে, ঘর বাঁধে। অস্থিত্ববাদী কাদের ও পুষ্প যথাসম্ভব লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে কঠোর পরিশ্রম করে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। কিন্তু সমাজ কি আর তাদের জন্য সেই সুযোগ অবারিত? সামাজিক ও পারিবারিক নানা রকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় তাদেরকে প্রতি নিয়ত। দুটি জমজ সন্তানও হয়। কঠোর পরিশ্রমী কাদের যখন একটি স্বপ্নময় সুখের সংসারের স্বপ্ন দেখছিল তখনই তার জীবনে নেমে আসে এক কঠিন প্রাণহারী আঘাত।
এই উপন্যাস ধারণ করেছে সময়। চরিত্রগুলোর নির্মাণ ও মনস্তাত্ত্বিক নিবিড় বিশ্লেষণ পাশাপাশি নব্বই দশকের শেষ এবং শূন্য দশকের শুরুর দিককার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন ও ঘটনাবলি উপন্যাসটির ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
পুষ্পকথা
প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্মৃতি থাকে। স্মৃতি মানেই ঘটনা। অমøমধুর, বেদনাবিধুর যতো ঘটনা ঘটে মানুষের জীবনে সে-সবই স্মৃতি।
স্মৃতি- স্মৃতিকাতর করে অর্থাৎ নস্টালজিক করে তোলে মানুষকে। স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্ক থাকে মানুষের। তারা নানা মুখাবয়বের, নানা পেশার এবং নানা চরিত্রের। আবার তাদেরকে ঘিরে আরও অনেক মানুষের সম্পর্ক জড়িত থাকে। আর এই নিয়েই মানবজীবন।
আমার জীবননৌকোও অগণন স্মৃতিসম্ভারে ভরপুর, সজ্জিত। বিশেষ করে, আমার শৈশব থেকে যৌবনের উত্থানকালের ২৪-২৫টি বছরের অসংখ্য স্মৃতি আছে, যেগুলো নিয়েই এই আত্মজৈবনিক উপন্যাস “অতলান্ত পিতৃস্মৃতি” গ্রন্থটি। আমার এই সময়টাকে আমি যাঁর চোখ দিয়ে ফিরে দেখতে চেয়েছি তিনি আমার জন্মদাতা পরম শ্রদ্ধেয় পিতা। যা কিছু ঘটেছে, যা আজকে স্মৃতি- সবকিছুরই সাক্ষী আমার বাবা। আর সেখানেই পিতা-পুত্রের সম্পর্কটা সৃষ্টি হয়েছে। কী সেই সম্পর্ক? সেই সম্পর্ক যা সহজে লেখা যায় না। না পড়লে তা জানাও যাবে না।
পড়ার পর হয়তো অনেকেই মিলিয়ে দেখবেন তাঁদের জীবনের সঙ্গে, কেউ কেউ বিষণœও হতে পারেন। কেউ কেউ পড়ে বিস্মিত হবেন! আবার কেউবা ক্ষোভ প্রকাশ করবেন, ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু যা সত্য, তাই তুলে ধরতে গিয়ে আদৌ কার্পণ্য করিনি। কাউকে ছোটও করিনি, কাউকে বড়ও করিনি। মানুষ হিসেবে এখানেই আমার সীমাবদ্ধতা, পরিপূর্ণতা এবং তৃপ্তি বলে মনে করি।
অতলান্ত পিতৃস্মৃতি
ভূমিকা-
১৯৭১সাল। তখন আমি খুবই ছোট।চারিদিকে অবিরাম গুলাগুলির শব্দ।নারকেল গাছের মাথা ছুঁয়ে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধ বিমান।বড়দের কাছে শুনেছি- শেখসাবকে বন্ধি করে পাকিস্তান নিয়ে গেছে।শান্তি প্রিয় বাঙ্গালিরা সেদিন- যতটাই না হয়েছিলো আতঙ্কিত!ততবেশিই হয়েছিলো ক্ষুব্ধ এবং অপ্রতিরোধ্য। চাপা ক্ষোভে ছিলো দাবানলের তীব্রতা।
মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসছে- অগ্নি সংযোগ,ধর্ষণ লুন্ঠন আর বিবর্ষ অত্যাচারের গন্ধ।আর রক্তহিম করা মানুষের করুণ চিৎকার! । চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়- অসহায় মানুষের অসহায় হাহাকার! শক্ত মনেও ধরেছিলো,মাঘের কাঁপুনি। মানসিকভাবে অনেকেরই ভেঙে পড়েছিলো সেদিন।মান আর প্রাণ বাঁচাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ,বাধ্য হয়েছিলো,দেশ ছাড়তে।কারণ সেদিন দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ, দেশের সাথে এবং দেশের মানুষের সাথে বেইমানি করেছিলো।তারা বিশেষ এক সম্প্রদায়কে টার্গেট করে,চালাছিলো-তাদের অপারেশন ব্লু-প্রিন্ট।
সেদিনের আতঙ্কগ্রস্থ দিনগুলোর ঘটানারই একটা সরল চিত্র, এই লেখার উপকরণ। যা আমারই চোখের সামনে ঘটেছে।সেদিন যেমনটা দেখেছিলাম- তেমনটাই বলার চেষ্টাই-এই লেখার প্রেক্ষাপট।বিবেকের তাড়নাই- আমাকে এই লেখা লিখতে প্উৎসাহ যোগিয়েছে।
আজ যাদের অনুপ্রেরণা আর আত্মিক প্রচেষ্টায় এই লেখাটা আলোর মুখ দেখতে প্রয়াস পেয়েছে! তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।আর তারা হলেন- আমারই অতি প্রিয় বোন লিনা ফেরদৌস।আরো আছেন- মনির ভাই।যাঁরা আমাকে উৎসাহ ও সাহস যোগিয়ে এগিয়ে আসতে অনুপ্রানিত করেছেন।পরিচয় করিয়েছেন-অনুপ্রাননের কর্ণধার আবু,ম ইউনুস ভাইয়ের সাথে।তাঁর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।আজ তাঁর আত্মিক উৎসাহেই আমার লেখা জীবন পেলো।
আরো অনেকের কাছেই আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।যারা সর্বদা আমার পাশে থেকেছেন,সাহস যোগিছেন।ভরসা দিয়েছেন।তারা যে আমার কতটা আত্মীয়! এবং আপনার আর আপন জন! প্রকাশের ভাষা নেই।সকলকেই আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বরণ করছি।এই লেখা কারো মনে একটুও দাগ ফেলতে পারলেই- মনে করবো,আমার লেখা কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে।পরিশেষে সকল পাঠকদের প্রতি থাকলো- আমার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা।
— লেখক
৭১ এর এক সন্ধ্যায়
ল-লি-তা; গত শতকের নিষিদ্ধ উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম। একইসাথে বিগত শতাব্দীর সেরা উপন্যাসগুলোর একটি। বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসিক ভøাদিমির নবোকভের (১৮৯৯-১৯৭৭) এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘ললিতা’। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৫৫ সালে প্যারিসে ইংরেজি ভাষায়, এরপর ১৯৫৮ সালে নিউ ইউর্ক সিটিতে এবং ১৯৫৯ সালে লন্ডনে। প্রকাশের কিছুকাল পরেই যৌন বিষয়বস্তুর অসুস্থ উপস্থাপনা বলে আখ্যায়িত করে উপন্যাসটিকে বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে ভ্লাদিমির নবোকভ নিজেই রাশিয়ান ভাষায় উপন্যাসটি অনুবাদ করেন।
বাংলা ভাষায় আমার অনুবাদের ক্ষেত্রে সাবলীল পাঠযোগ্যতার খাতিরে আক্ষরিক অনুবাদের স্থলে ভাবানুবাদই বেছে নিতে হয়েছে। মূল উপন্যাসে অনেক ফ্রেঞ্চ লাইন ছিল। পাঠকের সুবিধার্থে সেগুলোকে বাংলায় তর্জমা করা হয়েছে। রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত ‘ললিতা’র সাহায্যও নিতে হয়েছে। আমেরিকার ভূগোল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে। তাই সহায়িকা হিসেবে আমেরিকান বিভিন্ন ভূগোল বইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
ললিতা উপন্যাসটি কেবল নিষিদ্ধ প্রেম, প্রণয় বিষয়ক নয়। বরং এটি আদর্শ মনস্তাত্বিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিল্পে কখনো অশ্লীলতা থাকে না, অশ্লীলতা থাকে আমাদের মগজে। অপরদিকে স্রেফ অশ্লীলতাকেও আমি শিল্প বলতে রাজি নই। সেই হিসেবে বইটি নোংরামিমুক্ত। এবং ভøাদিমির নবোকভের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে তাঁর অমর সৃষ্টি ললিতাকে পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
ললিতা
আবু তাহের সরফরাজ। সবার মাঝে থেকেও সে আলাদা। দৃশ্যের ভেতরও অদৃশ্য। বেঁচে থাকতে চান লেখালেখির মাঝে।
যখন আঁধার যখন কুয়াশা
হামিম কামাল। জন্ম ১৯৮৭ সালের ৯ অগাস্ট, ঢাকায়। আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক।প্রকাশিত গ্রন্থ- জঠর (২০১৬), কারখানার বাঁশি (২০১৮)।
জঠর
উপন্যাসটি যখন আরম্ভ করি তখন মনে এই ইচ্ছে ছিল যে, মহেশখালীর ট্রলারের মালিকদের কাছ থেকে কাজের বিনিময়ে শামুক ও ঝিনুকের শুঁটকি বানিয়ে একজন ব্যবসায়ী কিভাবে কোটিপতি হতে পারে সেটি নিয়ে গল্প সাজাব। গল্প যে লেখককে তার ইচ্ছে থেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, ‘স্বপ্নজাল’ উপন্যাসটি লিখতে গিয়ে আমি টের পেলাম যখন আমি ধীরে ধীরে আমার অভিজ্ঞতা, পঠন, ভ্রমণ ও কল্পনা মিশিয়ে লিখতে লিখতে যেন নিজেকেই লিখে ফেললাম। এখন পর্যন্ত যতটুকু লিখেছি, হাজার পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে যাবে। তাই আরেকটি উপন্যাসের জন্যে কিছু রেখে ‘স্বপ্নজাল’ উপন্যাসে অনেক সম্পাদনা করে এটুকু আপনাদের সামনে হাজির করলাম। উপন্যাসে সময় এবং ঘটনার বিস্তার এতোটাই ঘটেছে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে পরবর্তী অনেক ঘটনা এসে গেছে। এভাবে ভারত, থাইল্যান্ড, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়াসহ মালয়েশিয়া, সৌদি আরবের মানুষ ও রাজনীতি ও অর্থনীতিও উপন্যাসে ঢুকে গেছে।
বর্ণিত বিষয়গুলো আমার স্মৃতি, ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতা থেকে এসেছে। আমি লেখা থামাতে পারিনি। ফলে একালে এতো বড় ঘটনাবহুল একটি উপন্যাস আপনাদের সামনে হাজির করতে হল। স্বপ্ন, প্রেম, আশ্রয় ও প্রয়োজন মানুষের জীবনে আসলে কী হতে পারে, মানুষের অসীম শক্তি কী করতে পারে কিন্তু করে না, সেটাই ভাবনার বিষয়। এই উপন্যাসের মূলকথা সেটিই।
পাঠকের বিচারের অপেক্ষায় কাঠগড়ায় দাঁড়ালাম।
বইটি প্রাণ লাগিয়ে যিনি সম্পাদনা করেছেন, শুধু কৃতজ্ঞতা দিয়ে তাঁর ঋণ শোধ হবে না। আর প্রকাশক আমাকে উপন্যাসটি প্রকাশের সাহস না দিলে আমি এটি লিখতে পারতাম না। প্রকাশক ও সম্পাদকের কাছে ঋণী রইলাম।
শুভকামনা রইল।
ভাস্কর চৌধুরী।
অমিয়ধারা
শ্যামলী, ঢাকা।
Shopnojal
রোবট শিশুর পিতা-মাতা
প্রেম বিনে ভাব নাই ভাব বিনে রস
ত্রিভুবনে যাহা দেখি প্রেম হূনতে বশ
যার হুদে জন্মিলেক প্রেমের অঙ্কুর
মুক্তি পাইল সে প্রেমের ঠাকুর ।
‘ পদ্মাবতী ’
আলাওল ( ১৫৯৭ – ১৬৭৩ )
বসন্তের শেষ বিকেল
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে Occult science বিভাগে বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা কুহোন মজুমদার । লন্ডন অক্সফোর্ড এ এসে একটি আন্তর্জাতিক মানের সিক্রেট সোসাইটির নজরে চলে আসে । বিপদে পড়ে যায় সে । Occult science নিয়ে বেশি জানাটায় তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার রুম মেট মার্থা এলিজাবেথ এবং অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত টিচার স্যার ম্যাক ওয়েল । কুহোন জানেনা কেনো তাকে টার্গেট করেছে সিক্রেট সোসাইটির সদস্য গণ ? তবে কুহোন এইটুকু বুঝতে পারছে Occult science এর সিক্রেট জ্ঞান গুলো সে জেনে ফেলেছে বলেই তার উপর নেমে আসছে অভিশাপ । এতকিছুর মধ্যেও সে প্রেমে পড়ে গেলো একজন সুদর্শন সুপুরুষের । একদিকে প্রথম প্রেম আর একদিকে জীবন নাশের হুমকি । এখন কোনটাকে সামলাবে কুহোন মজুমদার ?
দি সিল অফ সলোমন
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
Shopping cart is empty!
Ali Noor Khan –
এক কথায় অসাধারণ একটি বই! এরকম বইয়ের জন্যে পাঁচ তারকাও কম হয়ে যায়।
লেখকের কল্পনাশক্তি এবং লিখনশৈলী থ্রিলার সাহিত্যের অনেক বড় বড় রথী মহারথীদেরও হার মানায়।
অপেক্ষায় রইলাম লেখকের পরবর্তী বইয়ের জন্য।
Abu M Yousuf –
কোন বইয়ের কথা বলছেন?