Additional information
Weight | 0.232 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
নাম : সৈয়দ ইলিয়াস আখতার ফারুকী
লেখালেখি যে নামে : ইলিয়াস ফারুকী
জন্ম : ১৯/০১/১৯৫৯ইং
জেলার নাম : চাঁদপুর সদর
লেখালেখি শুরু : ১৯৭৬ইং সাল থেকে
লেখার ধরন : কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গান
প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা : সাতটি
আরশি (কবিতা) ২০১৬ইং
মঞ্জুরিত যতিপাত (কবিতা) ২০১৮ইং
ভালোবাসার জন্য (ছোটগল্প) ২০১৮ইং
ভালোবাসার নানান রঙ (ছোটগল্প) ২০১৯ইং
নীলপদ্ম (ছোটগল্প) ২০১৯ইং
রোদ বিকেলের ছায়া (ছোটগল্প) ২০২০ইং
শিমুলের যত রঙ (কবিতা) ২০২০ইং
ছয়টি গানের অডিও সিডি জিগীষা পরস্কারপ্রাপ্তি : ব্রিলিয়ান্ট সোসাইটি কর্তৃক ছোটগল্পের জন্য ‘নজরুল সম্মাননা’ ২০১৮ইং
সভাপতি, জিগীষা সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ। নয়াপল্টন (বালুর মাঠ), ঢাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এমএসসি (ভূগোল) ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়, এমবিএ (বিপণন) ‚
ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সংসার জীবন : মা, স্ত্রী ও দই পুত্র
বর্তমান ঠিকানা : ৩৯৭ পূর্ব গোড়ান,
খিঁলগাও,
ঢাকা।
পেশা : জাতীয় বিক্রয় ব্যবস্থাপক, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭১৫-১৪৮৫৯৯
Weight | 0.232 kg |
---|---|
Published Year |
[ipages id="4"]
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
জুলিয়ান সিদ্দিকী। জন্মÑ ১৯৬৮, পাকশী, পাবনা। বর্তমান আবাসস্থলÑ সৌদি আরব, পেশাÑ চাকুরী। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থÑ উত্তাপ কিংবা উষ্ণতা, কম্পেন্ডার, ছায়াম্লান দিন, ভালবাসার যাতনা যত প্রভৃতি। বাংলা লাইভ ডট কম সেরা গল্প পুরস্কার পেয়েছেন।
বিশ্বাসের দহন ও অন্যান্য গল্প
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
সরদার ফারুক। জন্ম ১৯৬২ সালের ৯ নভম্বের, কপোতাক্ষ নদের তীরে খালিশপুরে। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের কাশীপুর। পেশায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বরিশালে ঘাট শ্রমিকদের ?আন্দোলন, ডেমরায় শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সংগ্রাম ও বাজিতপুরের জেলেদের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি সরকারী চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনও করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮০ সালে বরিশালের অধুনালুপ্ত ‘সাপ্তাহিক লোকবাণী’ পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে শামসুর রাহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক দেশ, সংবাদসহ দেশ-বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকীতে তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
নোনা শহর
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ: মুই তোরে কোচ পাং (২০০৯), সম্পাদনাÑ পঞ্চায়ুথ। সম্পাদিত পত্রিকাÑ রুদ্র, গল্প।
বাংলা সাহিত্যের সেরা গল্প
মুখর জীবনগদ্য
শামীম সাঈদ, কবি ও গল্পকার। জন্মÑ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৯। কলসনগর, লালপুর নাটোর। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থÑ এই কথা বৃষ্টিবাচক, এভাবে খুলবে না আঁচলের খুঁট, সদা ভাগতেছে ভববান।
কুঁড়িকাল ও যুগযাপনের গল্প
মির্জা মুজাহিদ। পেশাগতভাবে বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত। জন্মেছেন নড়াইল শহরে। এখন ঢাকায় থাকেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিয়মিত ‘কথা’র শিল্পী হতে।
বিপ্রতীপ
রুমা মোদক, মাতা: দীপ্তি রানী মোদক, পিতা: প্রিয়তোষ মোদক, জন্ম: হবিগঞ্জ। জেলা শহর থেকে প্রকাশিত সংকলনগুলোতে লেখালেখির মাধ্যমেই হাতেখড়ি। শুরুটা আরো অনেকের মতোই কবিতা দিয়ে। ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘নির্বিশঙ্ক অভিলাষ’। এরপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন মঞ্চনাটকে। রচনা করেন কমলাবতীর পালা, বিভাজন, জ্যোতি সংহিতা ইত্যাদি মঞ্চসফল নাটক। অভিনয়ও করেন। মঞ্চে নাটক রচনার পাশাপাশি নিরব অন্তঃসলিলা স্রোতের মতো বহমান থেকেছে গল্প লেখার ধারাটি। জীবন ও জগতকে দেখা ও দেখানোর বহুস্তরা এবং বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার উৎসারণ ঘটেছে ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন ‘ব্যবচ্ছেদের গল্পগুলি’তে। ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’ গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলোতে সে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে আরও নির্মোহ, একবগগা, খরখরে কিন্তু অতলস্পর্শী ও মমতাস্নিগ্ধ।
গল্প লেখার স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে পেয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের পক্ষ থেকে সেরা গল্পকারের পুরস্কার, ফেয়ার এন্ড লাভলী সেরা ভালোবাসার গল্প পুরস্কার। ২০১৪ সালে মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘তনুশ্রী পদক’।
বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পত্র-পত্রিকা, লিটলম্যাগ এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রকাশিত অন্তর্জাল সাহিত্য পোর্টালে লেখালেখিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী অনিরুদ্ধ কুমার ধর ও যমজ সন্তান অদ্বিতীয়া অভীপ্সা পদ্য ও অদ্বৈত অভিপ্রায় কাব্যকে নিয়ে হবিগঞ্জে বসবাস করছেন।
সিদ্দিকী হারুন
সাহিত্য ও সংবাদকর্মী
প্রসঙ্গটি বিব্রতকর
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে লেখকের নাম হাসান মাহবুব। তিনি নাড়–গোপাল দত্ত অথবা ইসমাইল আহমেদ নন। তিনি রবীন্দ্রনাথ বা আগাথা ক্রিস্টি নন। তিনি দূর আকাশের নীল নক্ষত্র, ধোঁয়া ওঠা কফির মগ, বাজারে মেয়েটির অপরিচ্ছন্ন অন্তর্বাস, ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল বাঁশি অথবা লোম কাটার মওসুমের ভেড়ার দীর্ঘশ্বাসও নন। তিনি লেখেন। তবে ‘তিনি’ই লেখেন কি-না এই নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ লেখার মতো পরিশ্রমের কাজে বছরের পর বছর এত শ্রম দিয়েছেন, দুটো বইও বের করেছেন (প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত এবং আনন্দভ্রম) তার সাথে এসব ঠিক যায় না। এত সব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি হাসান মাহবুব হবার চেষ্টা করছেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে আরো একটি বই প্রকাশ করে ফেললেন। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী!
নরকের রাজপুত্র
সূর্যের ঘরের নামতাতে
কবি কবির মুকুল প্রদীপ, এক তরুণ কবির নাম
কবির মুকুল প্রদীপে’র প্রথম কাব্য প্রকাশকালে সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, তাঁকে পাঠকবৃন্দের কাছে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ্য কতকটা অতিরিক্ত প্রয়াস, কারণ কবি কবির মুকুল প্রদীপ তার নিজগুণে ও ধ্যানে ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে নিজেকে গ্রহণীয় করে তুলতে পেরেছেন এবং নতুন এক রুচিধারা প্রবতর্নের চেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন। আমি ফ্লাপে যে মন্তব্য লিখছি তা একজন অগ্রজের মুগ্ধতারই অভিব্যক্তি এবং সংশামুখরতা। তার কবিতা সমাজলগ্ন এবং সুস্থ সমাজচেতনা গড়ায় প্রত্যয়ী। আর তাই তিনি অনায়াশে বলেন ‘স্বৈরাচারী চেয়ার নিয়ে আবারও কয়েকযুগ নিশ্চিন্ত হয়।’ এই নিশ্চিন্ত হওয়ার পেছনের কারিগর হচ্ছে অশ্লীল রাজনীতি, যা জনগণকে ক্রমাগত চেতনাহীন নির্জীব প্রাণীকুলে পরিণত করে রেখেছে। আর তারা দেখে সমুদ্রের জলে পা দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সমুদ্রে মিলিয়ে যাওয়া, দেখে সামান্য বিষয় নিয়ে মানুষগুলোর ‘অমানুষ’ আচরণে ডুবে যাওয়া এবং এসব ঘটে বাস্তবজীবনের অঙ্কগুলো সঠিক চেতনায় জারিত করে উপলব্ধি হীনতার কারণে।
কবির মুকুল প্রদীপ প্রথাকে ভাঙতে চান নতুন সমৃদ্ধি আনার জন্য, এবং পুরানো প্রথাবদ্ধতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নির্মাণচেষ্ট কবিতার নতুন শরীর। কিন্তু প্রথাকে তিনি উপলব্ধি না করে ছুঁড়ে দিতে চান না। তার ক্রিয়া নতুন প্রথা নির্মাণের মধ্যদিয়ে কবিতাকে নতুন সময়ের উপযোগী করা। যাতে পরিবর্তিত সময়ের অভ্যেস রুচি ও চেতনা কাঠামোর নবরূপায়ন সম্ভব হয়। কবির মুকুল প্রদীপ বলেন ‘মৃত্যু-মুহূর্ত পর্যন্ত যে ঘুণে খাওয়া চৌকিটিতে বাবা শুয়ে থাকতেন/আজ ভাঙতে গিয়ে—-পায়া-তক্তার মতো দেখি/ আমিও ঝুরঝুর করে খুলেÑ বর্জের স্তুপে পরিণত হয়ে যাচ্ছি’ মুকুল এ ভাবেই পুরানোকে ভাঙতে গিয়ে তার প্রতি যে মোহ তাকে উসকে দিয়ে নিজ কর্তব্যকে নির্ধারণ করেন ভাঙার প্রত্যয়ে। তিনি নানাভাবে কবিতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার একটা মানসিকতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলছেন যা আমরা গত কতকটা সময় ধরে দেখছি। তিনি লিখছেন ভাষার নতুন অর্থযোজনার প্রয়াস নিয়ে।
যেমন তিনি বলেন ‘কোথা থেকে এক বিমূর্ত করুণ সুর ভেসে আসেÑ মনে হয়/ইটের নিচে চাপা পড়ে গোঙ্াচ্ছে বাদামি ঘাস/সর্বভূক কংক্রিট-ড্রাগন আর ধর্মের শৃগাল গিলে খাচ্ছে বনবাঁদাড়, খাল-বিল-মেধা’ তখন তো স্পষ্টই হয় কবি তার বিষয়কে কীভাবে নির্বাচিত করেন, কেন নির্বাচন করেন, কেন তিনি তাঁর আঁকুতিকে নিছক কল্পনা বিলাসে ভাসিয়ে না দিয়ে গড়ে নিচ্ছেন চেতনার শব্দবলীর মেলবন্ধন; আর শিল্পীর সামাজিক দায়িত্বকে কীভাবে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে সক্রিয় হয়েছেন বর্তমানের কবিতায়।
মুকুলের এটা প্রস্তুতি পর্ব, তার উত্থান পর্বে আমরা আরো সংহত শক্তপোক্ত কবিতা পাবো, পাবো নতুন ভাষা নির্মাণের পঙক্তিমালা, যা দৃশ্যমান অর্থ থেকে নানা অর্থকে দ্যোতিত করবে, কাব্যসুন্দরকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করবে। আমি খুবই আশাবাদী এই তরুণ কবির কাব্যক্ষমতার বর্তমান প্রকাশে। তার জয় হোক।
-মতিন বৈরাগী
অলীক জোছনা
Sydney-র মতে “Poetry is the greatest of all arts.” কবিতা হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প যা অদৃশ্য আলোর বিচ্ছুরণে জ্বলে ওঠে। আমরা চশমায় চোখের উপর যে কাচ ব্যবহার করি পৃথিবীটা আমাদের কাছে সে রকমই লাগে। অর্থাৎ কাচের রঙ যদি লাল হয় তবে পৃথিবীর সব কিছু রঙিন দেখায় আবার সে রঙ যদি সবুজ হয় তবে সবকিছু সবুজ দেখায়। এভাবে দৃশ্যত রঙের ভেতরেই ঘুরপাক খায় আমাদের বাইরের দৃষ্টি। এ দৃষ্টি যখন অন্তরাত্মায় মিশে যায় তখন তার নিজস্ব একটা ক্ষেত্র গড়ে। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে একটা প্রতিফলন। আর সেটাই হচ্ছে চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। এই চিন্তার বহিঃপ্রকাশ বিভিন্নভাবে ঘটতে পারে। সেটা হতে পারে কথোপকথনে, বক্তৃতায়, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে। আর কবিতা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতির স্বতঃষ্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীর যে কোন জাতি হোক সে শিক্ষিত বা বর্বর কবিতা মহলে তার বিচরণ অবাধ। এই নিরবচ্ছিন্ন যাত্রায় কবিতা একটি সমৃদ্ধ শিল্প। একজন গুণমুগ্ধ কবির কবিতা হবে উপভোগ্য। অর্থাৎ তিনি বইতে থাকেন কখনো প্রমত্তা সাগরের মতো, কখনো বিকেল বেলার স্নিগ্ধ ঝির ঝির বাতাসে বয়ে চলা মৃদু স্রোতের মতো। কবি মাহবুব জন তাঁর ‘হৃদ মাটি’ কাব্যগ্রন্থে জীবনের প্রেম-ভালোবাসা, রাজনীতি, সমাজ, প্রকৃতি ইত্যাদি বিষয়গুলো গভীর চেতনা ও দৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে সমুদ্র অথবা নদীর জলে ভেসেছেন। পাঠকের চোখ সেই মতো মেতে উঠুক হৃদয়ের গহীনে।
মোহা: ইব্রাহিম
অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক
ও বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি বিভাগ)
নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মুক্তিযোদ্ধা, কবি, লেখক ও সাহিত্য সংগঠক।
হৃদ মাটি
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
সত্তর দশকের কবি সৈয়দ আবদুস সাদিক। এক প্রত্যাশিত সন্ধিক্ষণে বাংলা কবিতার মঞ্চে হাজির হয়েছেন গ্রহণ পূর্ণিমার ছায়াচারী হিসেবে। তাঁর কবিতার শরীর শব্দ সম্পদে ভরপুর। উপমা, শিল্প-সৌন্দর্যবোধ ও মিথ মিলে কাব্যমাঠ যেমন উর্বর, গড়ন-কৌশলেও ভাষা হয়ে ওঠেছে তেমনি অনন্যমাত্রার। তাঁর কবিতায় মন-ময়ূখজুড়ে সমাজ ও স্বদেশ প্রেমের ক্যানভাস আবার বিষয়বস্তুর নিরীখটা জুড়ে যেনো প্রেমই প্রধান। প্রেমই প্রকৃতি এই আকুতি, এই উচ্চারণ সর্বোপরি রসমগ্নতাও গভীরভাবে বিম্বিত। কোথাও বিশুদ্ধ নৈয়ায়িক দুর্বোদ্ধতা থাকলেও, পাঠস্বাদে তা প্রতীকী কাব্যানুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তিনি এ কাব্য’র এ মাঠে রোপন করেছেন বিভিন্ন স্বাদের ফ্রয়েডীয়, পরাবাস্তব কবিতা সহ সনেট, রুবাই এবং গজল। তবে, নিশ্চয় পাঠক কবির এই কারিশমায় দ্রবীভূত হলেও দ্রোহ আর প্রেমের নানান সমাসবদ্ধ শব্দের উতরোলে, বিরহের ব্যঞ্জনধ্বনিতে, এইসব কবিতার বাহারি রূপ, রস, গন্ধ কবিতাঞ্চলকে করে তুলেছে মন্ময় ও তন্ময়। “তুমি শ্রমণ, আমি ভিক্ষু’ গ্রন্থের ভিন্ন স্বাদ, বিভিন্ন বোধ ও বিচিত্রতা তাকে দিয়েছে বিশিষ্টতা। পাঠ করা গেলে সহজেই সে আবহাওয়া অনুধাবন করা যায়। গ্রন্থটির ‘অনাথ অন্ধকার’ কবিতায় কবি শব্দ, স্বর ও ধ্বনিকে ভিন্ন মাত্রার সুরে প্রকাশ করেছেন এভাবে :
‘এতোকাল কুহকের ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে
জেনে গেলাম গন্ধ-বর্ণময় সময়ের ভেতর
অনাথ অন্ধকার খেলা করে;’…
লিটন আব্বাস
তুমি শ্রমণ আমি ভিক্ষু
শহরের প্রতিটি দরজা জানালার মতোই নিঃসঙ্গ, শহরের মানুষগুলো। এ নিঃসঙ্গ মানুষগুলোই হাসির লিফলেট নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তার সংসার, তার সমাজ, তার রাষ্ট্রে। আর মন জুড়ে জমতে থাকে কিছু উত্তরহীন প্রশ্ন, কিছু আক্ষেপ, কিছু ক্ষোভ। এমন কিছু উত্তরহীন প্রশ্ন, কিছু আক্ষেপ আর কিছু ক্ষোভের সংকলনই ‘যে শব্দ ঠিকানা জানে না’।
কবিতার নামকরণে ও কবিতা নির্বাচনে আমার বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। এ ক্ষেত্রে যাঁর অকৃপণ সহযোগিতায় ‘কাব্য’ ‘গ্রন্থে’ পরিণত হয়েছে, তিনি আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। অনেক ব্যস্ততার মাঝে কবিতাগুলো নির্বাচন করে, কিছু কবিতার অংশ বিয়োজন, কিছু কবিতার নতুন নামকরণ করে গ্রন্থরূপে প্রকাশযোগ্য করে দেয়ার জন্য স্যারের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। এখানেই শেষ নয়, কাব্যগ্রন্থটি যে ‘স্বনাম’ ধারণ করেছে, এর একচ্ছত্র কৃতিত্ব স্যারেরই।
কবিতার বানানে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা থাকে, যা পূর্ববর্তী কবিদের ক্ষেত্রেও দেখেছি। তবে আধুনিক বানানরীতির শুদ্ধতাকে তো এড়ানো যায় না! কবিতার শুদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে যাঁর একটি রাতের বেশিরভাগ সময় নির্ঘুম কেটেছে, তিনি আমার আরেক শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ইমন সালাউদ্দিন স্যার। আমি তাঁর কাছেও সমানভাবে কৃতজ্ঞ।
যে শব্দ ঠিকানা জানে না
ভূমিকা-
কবিতার ভিতর দিয়ে বহুবিধ বহুকালের অমীমাংসিত জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজে চলা কবির নাম সালাহউদ্দিন সালমান, কবি যেন কলমের ডানায় আর খাতার বাতিঘরে লুকিয়ে রাখে বেঁচে থাকার মৌলতম রসদ, তার কবিতায় পাঠক খুঁজে পায় অনন্য স্থির নির্ভেজাল ধনাত্মক-ঋণাত্মক ডান বাম, ভালো মন্দ সুখ দুঃখ, অনুভূতি চিন্তা ভাবনা বোধের শৈল্পিক নিরপেক্ষতা। মানুষের সাধ্যাতীতের বিপরীতে কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলে নরম জীবনের কারুকাজ, কবি তার কবিতায় দ্রোহের রক্ত নিয়ে আলো খুঁজে অসম্ভব অনিশ্চয়তার নিঃসীম অন্ধকারে, তার একেকটি কবিতা মূর্তিমান জীবনের একেকটি দীর্ঘশ্বাস, সমাজ সংস্করণে এই জীবনমুখী কবির কবিতা যেন প্রয়োজনীয় বিদ্রোহের প্রতীক। কবির প্রেমময় কবিতাগুলো যেনও প্রেমিক প্রেমিকার বুকপকেটে ভরে রাখা কখনো কালো মেঘের আহাজারী, কখনো শূন্যতার নিঠুর মহামারী, আবার কখনো কখনো চালচুলোহীন স্বপ্নাতুর লালিত সঞ্চয়ের সমুদ্রখচিত বিশাল আকাশ। কবির একটি কবিতা পড়েছিলাম পোড়ামাটি নামক- শুইয়ে থাকা নীরব জ্যোৎস্না কে ছুঁতেই /নিজের ছায়া ছুটে চলে অন্ধকারের দিকে/ মেঘঘন আকাশের ফিকে বিছানায়/অগণিত জোনাকিদের সদ্য ঘুম মুখে/আঙুল রাখতেই খলবলিয়ে উঠে নিস্তরঙ্গ নদী/ ভাঙি দ্রোহ আর আকাক্সক্ষার জড়ানো ইমারত/ অনিবার্য পিপাসা ফুরায় অন্তর্গত অভিবাসী জলে/ অবাধ্য হাতের অকুতোভয় আঙুলগুলো বোটা ছুঁতেই/ অঝোর আষাঢ় আসে থই থই লুণ্ঠিত হয় ঘরবাড়ি/ ঘাম শুকায় ঘামে কাঁচা দেহ হয় পোড়ামাটি/ -সশরীরে দেখে মনেই হবে না সালাহউদ্দিন সালমান এমন অসংখ্য কবিতার কবি, কবির নিজের একটি উক্তি আছে কবিতাকে নিয়ে কবি প্রায় বলেন-কবিতা সত্য সুন্দর স্বপ্নিল জীবনের সাথে চলে আমরা কবিতার সাথে চলি। বিশ্বব্যাপী কবিতার মিছিলে কবি সালাহউদ্দিন সালমান এর উজ্জ্বল পদচারণ তারই দৃপ্ত প্রমাণ।
পকেট সেলাই করি ছেঁড়া জামার
চেনা কোনো সংকেত নেই
গল্পগ্রন্থের নাম-করোনা ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু। এই নামকরণ বলে দেয় আমরা কত রকক জীবাণুর সাথে বসবাস করছি! করোনা-জীবাণুর তান্ডব তো সাম্প্রতিক! জীবন ঘনিষ্ঠ নাকি জীবন-অন্বিষ্ট গল্পকার স্বাতী চৌধুরী! দুটোই সমান প্রাসঙ্গিক; চাইলে তৃতীয় কোনো অভিধা আবিষ্কারও সম্ভব। দৃষ্টি থাকলেই সব দেখা যায় না, যদি না যুক্ত হয় মেধা-প্রজ্ঞার মিশেল। তৃতীয় চোখ তথা অন্তর্দৃষ্টিও জরুরি। স্বাতীর ত্রিনয়ন প্রখর– গেঁথে যেতে পারেন মানুষের প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ কাহিনি। মানবিকতার আখ্যান রচনার কুশল ও চাতুর্যে সংবেদী পাঠককে চমকে উঠতে হয় ক্ষণে ক্ষণে। গল্পকার স্বদেশ-সমকাল ও সমাজ-বাস্তবতার অগ্রসর দর্শক। তার ভাষ্যে ঈগলের শ্যেনদৃষ্টি যেমনউচ্চকিত, ডানাভাঙা পাখির উড়ে আসা পালকও আন্দোলিত করে। লেখকের অন্তর্জমিন সততই ক্ষত-বিক্ষত– চৌচির। জাগতিক নানাবিধ রঙ্গ-তামাশায় ধ¦সে পড়ে তাঁর স্বপ্ন-প্রাচীর, উল্টেপাল্টে যায় মানসভূগোল। তাই বলে সেখানে ফুলের সৌরভ, নদীর কলতান, তৃণ কিংবা লতাগুল্মের কোলাহল থাকে না? অচ্যুত জীবনের কথাকার স্বাতী নিস্পৃহভাবে বুনে যান উদ্বাস্তু জীবনের গল্প, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার রকমারি মকশো’র ইতিবৃত্ত
দুর্বলের উপর সবলের আগ্রাসী মনোভাব অন্ধকার-প্রাচীন। দাবিয়ে রাখার অপকৌশলের বিপরীতে সংকট মোকাবেলা করে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। জীবন-শিল্পীর গল্পে খিন্ন জীবনের মুক্তি-প্রচেষ্টা দ্যুতি ছড়ায়। চিনিয়ে দেন সর্বহারার শক্তি-সামর্থ্যরে জায়গা; অস্তিত্বের প্রশ্নে কীভাবে জ্বলে ওঠে দ্রোহের দাবানল! স্বাতী গল্প লেখেন নাকি সমাজতাত্ত্বিকের মতো গ্রাফ আঁকেন! গল্পের শরীরে ক্লেদাক্ত জীবনের নড়াচড়া না থাকলে সাংবাদিকের ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যেত অনায়াসে! প্রচার ও খ্যাতির ডামাডোলের বহু দূরে অবস্থান করেও মূর্ত করে চলেছেন অবাক বাংলার মানুষের মুখ ও মুখশ্রী। কয়েকটি রেখাচিত্রে স্কেচ এঁকে দেওয়া ‘শ্রী’ ও ‘বিশ্রী’র সামনে দাঁড়িয়ে পাঠক অস্বস্তি বোধ করে, পথ খোঁজে পালানোর! লেখকের ক্ষুরধার বয়ান চাবুক হয়ে তাড়া করে। শেষপর্যন্ত ‘অপরাধী’ পাঠক পথ খুঁজে পায় কি! এখানেই স্বাতী চৌধুরীর সার্থকতা, অনন্যতা।
শফিক হাসান
সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
করোনা ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু
কবি ফিরোজ আহমেদ এর জন্ম ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া থানার অন্তর্গত গিমাডাংগা গ্রামে। পিতা শেখ আব্দুর সাত্তার ও মা সুফিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহনের পর তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং একটি পুত্র সন্তানের জনক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রাথমিক পথ চলার পর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” গহীনে শূন্যতা” প্রকাশিত হয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শোভা প্রকাশ থেকে। তারপর নিয়মিত তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে নানা প্রকাশ মাধ্যমে। সাহিত্যের ছোট কাগজগুলোতে তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে। “ঘাসফুল” নামক সাহিত্য সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা “স্বদেশ খবর” এর সাহিত্য সম্পাদচকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দুই বাংলার মুখপত্র ” পূর্বপশ্চিম” পত্রিকার উপসম্পাদক হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থসমূহঃ
১। গহীনে শূন্যতাÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ Ñশোভা প্রকাশ।
২। দ্বীপের সবুজÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৩। জলবাড়িÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৪। নির্বাসনের আগেÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñশোভা প্রকাশ।
৫। নিষিদ্ধ সুন্দরÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñকালজয়ী প্রকাশ।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমূহঃ
১। জীবনের পদাবলি
২। মধুমতির তীরে
৩। উত্তরাধুনিক ছায়াবাড়ি
জল ও মাটির গল্প
হাতেগোনা যে-ক’জন লেখক অণুগল্পের ভিত্তি গাড়তে কিংবা প্রচার প্রসার করার মাধ্যমে প্রথম দশকেই একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন কিংবা বলা যায়, অণুগল্পের বিভিন্ন ধরন এবং ধারণায় সাহিত্যের এ-মাধ্যমটি বর্তমানে বহুচর্চার ফল্গুধারায় দুইবাংলার পার ছাপিয়ে গেছে বটে, আশার কথা হচ্ছে, কামরুজ্জামান কাজল বিশুদ্ধ অণুগল্পের ধারক-বাহক হয়েই পাঠকমহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে সক্ষম হয়েছেন। পূর্ববর্তী ৩টি গ্রন্থে আমরা তা-ই দেখেছি। আর এখানেই প্রকৃত অণুগল্প আর কাজল সমার্থক হয়ে উঠেছেন।
‘জোড়া নারিকেল বাড়ি’ লেখকের চতুর্থ অণুগল্পের বই। বইটির সাফল্য কামনা করি।
-বিলাল হোসেন
জোড়া নারিকেল বাড়ি
এইসব গদ্যের জন্ম পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে। যেখানে পূবের বাতাস উড়ে যেতে যেতে পারি দেয় দু দুটি মাহাসাগর- আটলান্টিক ও প্যাসিফিক। সেখানে বসে ফেরদৌস নাহার কবিতার পাশাপাশি লিখছেন গদ্য। সেসব থেকে নির্বাচিত আটটি লেখা নিয়ে পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য । গদ্যগুলো তিনটি পর্বে: চিত্রকলায়, চলচ্চিত্রে, কবিতায়।
পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.