Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
সোনারতরী কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার যে রূপ-সৌন্দর্যের কথা বলেছেন, তা তো সত্যিই বিস্ময়কর, জীবনানন্দ-বিষ্ণু দে-অমিয় চক্রবর্তী-বুদ্ধদেব বসু-সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-জসীমউদদীন থেকে শামসুর রাহমান, তারপর এতোটা পথ, আছে আল মাহমুদ-শহীদ কাদেরী-ওমর আলী-জয় গোস্বামী, বাংলা কবিতা শাখাটিকে করেছেন সমৃদ্ধ, সেখানে দাঁড়িয়ে আর কি নতুন লেখার আছে, তারপরও কেন জানি মনে হয়, ভালোবাসা তো বিভিন্নজনের বিভিন্নভাবে আসে, আমি কেন নতুনভাবে ভাবতে পারবো না, আমারও তো একটা মন আছে, সে মনটা না হয় অন্যভাবে প্রকৃতি-মাটি-মানুষকে অনুধাবন করবে, ভালোবাসবে শীতের কোমল সকালের ঘাসে পড়া শিশিরকণার মতো, আমি কেন নদী হতে পারবো না, কেন আকাশ হবো না, কেন মেঘমল্লা বা বৃষ্টিমেয়ে, আমারও তো ইচ্ছে করে প্রজাপতির ডানায় আবির হয়ে ছড়িয়ে যাই সর্বত্র, দিগন্তে আমার সমস্ত ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে নীড়ে ফেরা গোধূলি সন্ধ্যের পাখি হয়ে কবিতার দেশে হারিয়ে যায়।
কেন আমি নীলনদের মতো ভালোবাসা বুকে নিয়ে পিরামিডের বুক ছুঁতে পারবো না, আমি তো বিন্দু-বিন্দু রক্ত দিয়ে পৃথিবীটাকে জয় করে ভালোবাসার মন্ত্রে দীক্ষিত হতে চাই, আর হতে চাই রাজহংসী, হতে চাই ধান শালিকের দেশের বনটিয়া, সত্যিই কি আমি আর আমিতে আছি, আমার মধ্যে বসত করে নদীর দেশের ভাটিয়ালী-জারি আর সারিগান, আর সে গানে নিজেকে তোলপাড় করে ভালোবাসতে চাই বাংলাদেশকে, বাংলার মাটি মানুষ আর মাকে, যার ভেতর দিয়ে আমি একটু-একটু করে প্রবহমান নদীর মতো বড় হয়েছি, বিকশিত হয়েছি আর বাংলার রঙ-ঘ্রাণ আর মানুষের সান্নিধ্যে নিজেকে রজনীগন্ধার মতো ফুটিয়ে তুলেছি, জানি না আমি কি আর আমাতে আছি।
খোশবু জান্নাত
বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
নাহিয়ান ফাহিম। জন্ম: ২৩শে মার্চ, ১৯৮৪। ময়মনসিংহ জেলা। ঢাকাতে বেড়ে ওঠা। মূলতঃ পাঠক, ফলতঃ লেখক। সাহিত্য পত্রিকা ‘জলমাঝি’র সম্পাদক। মার্কেংটিং বিভাগে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিনদুপুরের নোটবই’।
মধ্যবিত্ত কবিতা
লেখক পরিচিতি :
সুলতানা শাহরিয়া পিউ। জন্ম: ২রা অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সঙ্গীতচর্চা তার শখ। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদ এর সদস্য, বর্তমানে দীপ্ত টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘মেঘের সাথে কথা’। অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ: ‘নিমগ্ন জলধারা’। স্ক্রিপ্ট সঙ্কলন: ‘আমরা করব জয়’। গীতিকবিতার অনুবাদ: ‘অচিন’। গল্প সংকলন: ‘মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প’।
আমার দিনগুলো রইলো অসম্পূর্ণ
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
কাজী রহমান। পরবাসী লেখক নিজের পছন্দ মতো বাঁচতে দু-যুগ আগে মার্কিন মুলুকে চলে আসেন স্ত্রী ও প্রথম শিশুকন্যা সাথে নিয়ে। বড় হয়েছেন পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া’য়। জ্ঞান হবার পরপরই নিজেকে আবিষ্কার করেছেন ঘরের পাশের গ্রন্থাগারে, বিভিন্ন শিশু সংগঠন আর সমাজসেবামূলক সংগঠনের আলোছায়ায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুরন্ত কিশোর স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখেছেন কাছ থেকে আর আতঙ্কের দিন গুনেছেন সারাক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাইয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। গ্রাজুয়েশন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবন কেটেছে বিদেশী এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তা হিসেবে।
তারাধুলো জল ও নস্টালজিয়া
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
মৃত্যু সংবাদ এমনই একটা বিষয় মুহূর্তে পৃথিবীর গতি স্তব্ধ করে দেয়। পরিচিত বা কাছের জনের মৃত্যু হলে তা আরও ভারী বোধহয়। মনে হয় যেন নিজেরই একটা অংশ মরে গেছে। এত সুন্দর মায়াময় প্রভাতটা নিমেষের মধ্যে অর্থহীন, শ্রীহীন হয়ে যায়।
একটি স্বেচ্ছামৃত্যু ও কিছু রসিকতা
সরদার ফারুক। জন্ম ১৯৬২ সালের ৯ নভম্বের, কপোতাক্ষ নদের তীরে খালিশপুরে। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের কাশীপুর। পেশায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বরিশালে ঘাট শ্রমিকদের ?আন্দোলন, ডেমরায় শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সংগ্রাম ও বাজিতপুরের জেলেদের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি সরকারী চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনও করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮০ সালে বরিশালের অধুনালুপ্ত ‘সাপ্তাহিক লোকবাণী’ পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে শামসুর রাহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক দেশ, সংবাদসহ দেশ-বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকীতে তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
নোনা শহর
তোমার নন্দনে ক্রন্দিত আমি একাকিত্বে লুণ্ঠিত দাস
কণ্টকিত গোলাপে পোষণ করিনি আজও লালিত আশ্রয়
এই নিঃসঙ্গতা কেবল আমার এক অগ্নিদগ্ধ অধ্যায়
তবু জানো রক্ষিত অরণ্যে এখনও থমকে আছে সময়
তাকে ছোঁয় অসময়ের পলাতক–বীণায় অচেনা ঢেউ
পেছনে যে ধায় সে অন্য কেউ নয়–আত্মসুখী পথঘোর
বিনিদ্র আমি জখমের কাছে অসম্ভবে খুলি বাহুভাঁজ
তুমিই আগুন বদলে দাও এই ডানা মেলার জন্মান্তর
পুনশ্চ অদম্য অর্জুন
বিজ্ঞানের যে কোনও বিষয়ে আমি খুবই কৌতূহল বোধ করি ! আমি একজন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার! আমি কয়েক দশক ধরে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সামরিক বাহিনীতে কাজ করি। আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের ইতিবৃত্ত বিশ্লেষণ করতে আমি যথেষ্ট পরিমানে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখি ! এখানে আমার কাজ হলো এন্ড-টু-এন্ড বিশ্লেষণ এবং কিরকিসিয়া যুদ্ধে মূলত মিলিশিয়া এবং জয়েন্টফোর্সের মধ্যে লড়াইয়ের খুঁটিনাটি তোলে ধরা। তার আগে সাইবার হামলা নিয়ে চালু একটি জোকসটি বলে আমি যুদ্ধের বর্ণনায় যেতে চাই । মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সাথে পারমানবিক চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে “আক্রমণাত্মক” সাইবার হামলার অনুমোদন দিলেন ।অনুমোদন দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে তিনি তার জেনারেলদের ফোন করলেন ।জেনারেলের দিকে চিৎকার করে বললেন ,”আক্রমনের খবর কি?”
জেনারেল বললেন,”আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি স্যার।”
ট্রাম্প ক্ষেপে গিয়ে বললেন, “আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমরা সৈন্য পাঠাচ্ছি না?”
জেনারেল বললেন, “কিন্তু..কিন্তু…স্যার, এটা সাইবার স্পেসের মাধ্যমে একটি আক্রমণ..”
ট্রাম্প বললেন, “আপনি কি মনে করেন আমি স্টুপিড প্রেসিডেন্ট??” ………
সাইবার যুদ্ধের পাগলা ঘোড়া
পূর্বের কর্মস্থলে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে আমি একটা কাহিনী শুনেছি। হৃদয়বিদারক! ওই প্রত্যন্ত গ্রামে আমি গিয়েছি। ওই বাড়িতেও গিয়েছি কিন্তু বাড়িতে ওরা কেউ থাকে না। মূল মালিকসহ তার স্ত্রী চাঁদপুর শহরেই বাস করেন। বিষয়টি আমার জানার খুব ইচ্ছে। যার জীবনে এই ঘটনা ঘটেছে তার মুখ থেকে আমার শোনার ইচ্ছা। একজন সমাজসেবক অফিসার হিসেবে এগুলো আমার জানা দরকারও। শেষ পর্যন্ত আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। আমি সদরে বদলি হই। মিসেস শেফালীকে (ছদ্ধনাম) আমি খুঁজে বের করি। বিষয়টি অনেক পূর্বের। তবুও আমার ইচ্ছে তার মুখ থেকে শুনে একটা বই করবো।
শহরে তারা যে এলাকায় থাকেন আমি সেখানে যাই। ওই এলাকার সমাজসেবার কাজের জন্য আমি কিছু নারী পুরুষকে নির্বাচিত করি। মিসেস শেফালী ও তার স্বামী এগিয়ে আসেন। আমাকে সহযোগিতা করেন। আমি ধীরে ধীরে তাদের ঘনিষ্ট হই। ক্রমান্বয়ে আমার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়। পারিবারিক বিষয়েও। অতঃপর আমি মুল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করি। মিসেস শেফালীর মুখ থেকেই। প্রথমে তিনি সম্মত হননি। ক্রমাগত আমার অনুরোধে এক পর্যায়ে তিনি ঘটে যাওয়া ঘটনা বলতে সম্মত হন। অতঃপর তার স্বামীর উপস্থিতিতে তিনি মর্মান্তিক ঘটনা আমাকে অবহিত করেন। এ কাজে পরপর দুইদিন আমি তার বাসাতে গিয়েছি। আসুন, তার মুখ থেকেই শুনি।
মেঘনা পারের শেফালী
এতো মানুষ অথচ বনের বৃক্ষ ধরেই একদিন খুব কেঁদেছিলাম
মানুষ হয়ে গাছের কাছেই বলেছিলাম আরেকজন মানুষের দেওয়া
আমার অযাচিত নষ্ট হওয়া অফুরান কষ্টের কথা
বোবা বৃক্ষ চোখের থৈ-থৈ জল বুকের অন্ধগলির দ্বন্দ্ব আঁধার
সেদিন মুছে দিতে পারেনি তবুও প্রায় ছুটে যেতাম বৃক্ষের কাছে
সমস্ত মনস্তাপ ক্রুশবিদ্ধ স্বপ্নিল রামধনু তথা সুখে অসুখে
সেই বৃক্ষই ছিলো আমার একান্ত আপন সহচর;
জীবনভর কতশত-বার ফিসফিস শব্দে বুকে জাবের বলেছি মনের কথা
স্থির কোন পরিত্রাণ পাইনি, কিন্তু কোনদিন বলেনি
আর কখনো এসো না আমি বনের বৃক্ষমাত্র মানুষজাতের ভাষা বুঝি না
চোখের সামনে আমার সহচর বৃক্ষটি তিলে তিলে মরে যাচ্ছে দেখে
আজ আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেক কাঁদলাম;
তুমি অকাল প্রয়াত হতে পার না কিন্তু হতে যাচ্ছ আমারই কারণে
আমার ব্যথার ভার তোমাকেও ব্যথাতুর করেছে মনে প্রাণে
তুমি বনের বৃক্ষ হয়েও আমাকে ধারণ করেছ বুকে
অথচ মানুষ হয়ে মানুষের ভাষা বোঝে না অনেক মানুষ আছে এ সংসারে।
কবিতা বুক ব্যান্ডেজ করে
১০০ অণুগল্প
অয়ন্ত ইমরুল।
জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭ ইং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে।পিতা— শাজাহান মিয়া ছিলেন একজন ব্যাবসায়ী।২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা— বিউটি বেগম একজন গৃহিণী। ডিগ্রী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে পুনরায় আর পরিক্ষা দেয়া হয়নি।বর্তমানে চাকুরীজীবি।দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এবং সমকাল পত্রিকা লেখা ছাপালেও বর্তমানে কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা দিচ্ছি না।তবে
অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবজিন—অংশুমালী,কালিমাটি,অপরজন পত্রিকা,ওয়াকিং ডিস্ট্যান্স সহ আরো দু একটা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখী করছি।প্রকাশিত বই চারটি—
“ছায়া সমুদ্র” অনুপ্রাণন প্রকাশন—২০১৬
“বুদ্ধের ভায়োলিন “তিউড়ি প্রকাশন—২০১৮
” সাদা ধূলির দূরত্বে “ইতিকথা পাবলিকেশন—কলকাতা থেকে ২০২০
এবং ” স্বৈর হাওয়ার হরিণী”পরিবার পাবলিকেশন ২০২০ ঢাকা বইমেলা।
কিসমত আলী অথবা শূন্য
‘সব মেঘে বৃষ্টি হয় না’ একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এটি কথাসাহিত্যিক বাসার তাসাউফের একাধারে জীবনচরিত ও নব্বইয়ের দশকের সোনালি সময়ের স্মৃতিচারণ। পরিমার্জিত ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি পুরনো সেই সব দিনের কথা ও সেই সব সময়ের মানুষের জীবন-যাপন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার বর্ণনা করেছেন।
বাসার তাসাউফের জন্ম ও বেড়ে ওঠা অনন্তপুর নামের সবুজ বৃক্ষের ছায়া ছায়া মায়াময় নিভৃত এক গ্রামে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সেই গ্রামের মানুষ, গাছপালা, পশু-পাখি, নদ-নদী তাকে লেখালেখিতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে তার কিষান পিতা তার জীবনজুড়ে এতটাই মিশে আছেন যে, এই উপন্যাসের সব পাতা ভরেও তিনি উপস্থিত আছেন। পিতা ছিলেন তার বেঁচে থাকার, স্বপ্ন দেখার একমাত্র উপাদান। কিন্তু আকস্মিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতার মৃত্যুতে তিনি ভীষণ মুষড়ে পড়েন। তাই নিজের জবানে বলা নিজের জীবনকাহিনি লেখা শুরু করেছেন পিতার মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে। এরপর মানবজীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের কথা, বিশেষ করেÑ দরিদ্র কিষান পিতার পাতায় ছাওয়া লতায় ঘেরা ছোট কুটিরে জন্ম নিয়ে তিনি যে অপূর্ণতার হাহাকারে জীবন ভর দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন তা এমন ভাবে বর্ণনা করেছেন মনে হয়, যেন সেই দীর্ঘশ^াসের উষ্ণ আঁচ এসে আমাদের হৃদয়ও উত্তপ্ত করে তোলে। তার মায়ের দিনের পর দিন না খেয়ে থাকার বর্ণনা হৃদয়ের গহিনে এমনভাবে আঘাত করে যে, রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। বৃষ্টির জল আর পোকামাকড় খসে পড়া ছনের ছাউনির তলে একডজন মানুষের বসবাস আর খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার কথাগুলো এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়।
বাসার তাসাউফ বইয়ের ভূমিকা অংশে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একজন অসফল মানুষ। আমার আব্বা একজন দরিদ্র কিষান ছিলেন। ফলে অনেক নিগূঢ়তা ও নিষ্ঠুরতা অতিক্রম করে জীবন চলার পথে আমাকে চলতে হয়েছে, পার হতে হয়েছে অসর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ অনেক পথ। কিন্তু গন্তব্য আজো রয়ে গেছে অচিনপুরে। সব পথেরই নির্র্দিষ্ট একটা সীমানা থাকে। কিন্তু আমার জীবন চলার পথের যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমি চলেছি তো চলেছি, না পেরিয়েছি সীমানা, না পেয়েছি গন্তব্য। জীবন চলার পথ অতিক্রম করে গন্তব্য পৌঁছাতে পারলে মানুষ অমরত্ব লাভ করে। অমরত্বে আমার লোভ ছিল না কোনোদিন। তাই হয়তো জীবনপথের দুর্গম সীমানা আমি আজো পার হতে পারিনি…।’
বলাবাহুল্য, একজন লেখক নিজের জীবনের গল্প নিজের জবানে বলার পর এর যে নিগূঢ় তাৎপর্য পাওয়া যায়, কাল্পনিক গল্পে তা পাওয়া যায় না। বাসার তাসাউফের এই বইয়ের গল্পে রূপকথার বয়ান নেই, আছে দরিদ্র এক কিষান পিতার ঘাম-জল সিঞ্চনের গল্প। নিতান্তই একজন ব্যর্থ মানুষের অপূর্ণতার গল্প। ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়েও বাঁক বদল করে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার গল্প।
যে মেঘে বৃষ্টি য় না
ফেরদৌস নাহার, কবিতা ও গদ্য শ্রমিক। জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কানাডায় বসবাস। কবিতার পাশাপাশি আঁকছেন ছবি, লিখছেন গদ্য ও গান। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘মাইলস’-এর সংগীত রচয়িতা। প্রিয় বিষয়Ñ মানুষ এবং প্রকৃতি। আকাশের ঠিকানা:
ferdousnahar@gmail.com
প্রকাশিত হয়েছে ১৩টি কবিতা ও ৩টি প্রবন্ধের বইÑ
কবিতা: ছিঁড়ে যাই বিংশতি বন্ধন (চর্যাপদ ১৯৮৬) সময় ভেঙ্গেছে সংশয় (নিখিল ১৯৮৭)
উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম (নসাস ১৯৮৮) দেহঘর রক্তপাখি (চর্যাপদ ১৯৯৩)
রূপান্তরের ঘোড়া
জন্ম– ক্ষমা করো, আবার ফেরার জন্য
কেন জানতে হবে ডুবসাঁতার
স্মৃতির ভারে বরফাচ্ছন্ন নির্জন আন্দিজ
বরফের জমাট সরিয়ে তবুও নিই নিশ্বাস
কেউ তো স্মৃতি নিয়ে পালকের মতো হালকা উড়াল
তুমি অরুণিমা ঠিক উড়ছো যেমন
স্মৃতি ভার– স্মৃতি পালক
শৈশবে কেনা অনেক রঙিন ঘুড়ির কাগজ
ঠিক কতোটা ভার হলে নদীতে বসেছে
বাণিজ্যের হাট
আমিই বিক্রি করছি আমার মুখোশ
অন্তরালে তোমার মুখ
এবং প্রথম চুম্বনের শিহরন
অসম্পূর্ণ বৃন্দাবন - Osompurna Brindhabon
লেখক পরিচিতি :
সরদার ফারুক। জন্ম: ১৯৬২ সালের ৯ নভেম্বর, কপোতাক্ষ নদের তীরে খালিশপুরে। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের কাশীপুর। পেশায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বরিশালে ঘাটশ্রমিকদের আন্দোলন, ডেমরায় শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সংগ্রাম ও বাজিতপুরের জেলেদের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনও করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮০ সালে বরিশালের অধুনালুপ্ত ‘সাপ্তাহিক লোকবাণী’ পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে শামসুর রাহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক দেশ, সংবাদসহ দেশ-বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকীতে তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যান্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থÑ ‘আনন্দ কোথায় তুমি’ ‘পড়ে আছে সমুদ্র গর্জন’ ‘উন্মাদ ভূগোল’ ‘দীপালি অপেরা’ ‘ও সুদূর বীজতলা, মঠের গম্বুজ’ ‘দূরের জংশন’ ‘অন্যদের তর্কে ঢুকে পড়ি’ ‘খেলছে একা নীল বিভঙ্গ’।
নির্বাচিত কবিতা
একাত্তরের কথকতা
“সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, পিংক ফ্লয়েড, এনাদার ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল, এনাদার ফাকিং ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল! দরোজা ভাঙো, শেকল ছেঁড়ো, দেয়াল ভাঙো, এই এডুকেশন সিস্টেম তোমাকে বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে। তোমরা এর নেপথ্য কারিগর হে চতুষ্পদ এবং আলখাল্লা। তোমাদের কারণে আজ তাতিন কলা অনুষদে পড়ে শর্টকার্টে রকেট সায়েন্স শেখার মওকা খোঁজে। আজ একটা হেস্তনেস্ত হবে’
চমৎকার শোনা গেলো এখন দেখা যাক প্রতিপক্ষ কী উত্তর দেয়,
“দুধ দিয়ে আনারস খাওয়ার কারণে শত শত শিশু মারা যাচ্ছে।
সাবধান!
ব্রিজে শত শত শিশুর কাটা মাথা আর রক্তপি- পড়ে আছে
সাবধান!
এইখানে পাপ, ঐখানে পাপ, এইটা করলে গুনা, বুঝলা আমার সুনা?
সাবধান!
অবশ্য এর প্রতিবিধান আছে। তাবিজ কবজ এবং দুয়া-দুরূদ। আপনারা আলোর পথে আসুন। আপনাদের চোখে শক্তিশালী টর্চলাইট মারা হবে। এ দে দিনি ঐডে হেনে”।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আলখাল্লা পরিহিত প্রাণীটির হাতে একটি শক্তিশালী টর্চলাইট। তিনি আলো ফেলছেন দুই এলিয়েনের চোখে। চমৎকার একটি আক্রমণ। প্রতিপক্ষকে বেশ মুষড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চতুষ্পদ প্রাণীটি সন্তুষ্ট হয়ে ডাকছে তার নিজের মোটা সুরে। খেলার এ পর্যায়ে পানি পানের বিরতি।
ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা
আর্থিক সংকট হতাশার জন্ম দেয়। হতাশাগ্রস্ত সরল মানুষ কখনো কখনো মনের অজান্তে অপরাধী হয়ে ওঠে- পরিবার ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা জসিম, সবিতা, বিপ্লবের গল্প এটি। ভরা যৌবনে এসে বিপ্লব আবার ফিরে পায় বাল্যবন্ধু জসিম ও তার বোন সবিতাকে। বিপ্লব-সবিতার আবছায়া বাল্যপ্রেম পূর্ণতা পায় এবার। কিন্তু শাহবাগের গণজাগরণ শুরু হলে চেতনাগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তারা। চেতনাগত দ্বন্দ্বে কি প্রেম টিকে থাকে? আবার প্রকৃত প্রেম কি নিঃশেষ হয়ে যায় কখনো হৃদয় থেকে?
কাহিনি নির্মাণে যুক্ত হয়েছে আরো অনেক চরিত্র। বিপ্লব, সবিতা, জসিম চরিত্র যেভাবে পাঠককে ভাবাবে- সাদিয়া, সাইদ, জব্বার চরিত্রও পাঠককে নাড়া দেবে।
শাহবাগের গণজাগরণ নিয়ে লেখা উপন্যাস বিষমায়া।
বিষমায়া
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.