Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
গাঢ় প্রগাঢ়–
তোমার গলার স্বর বেজে ওঠে কালিক ভাষায়
আমি ঊর্ধ্বাকাশে তাকালে ঝরে পড়ে
নিষ্ঠ পেন্ডুলামের নির্মোহ দোল।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
রনক জামান। জন্ম:১৬ই ডেসেম্বর ১৯৯১, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায়। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই কবিতার প্রতি মুগ্ধতা থেকেই তার প্রতি ভালোবাসা। এটাই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে, যৌথ কবিতাগুচ্ছ ‘মায়ানগরীর বৃষ্টিকথন’, কবিতার ই-বুক ‘শরীর ছোঁয়া আঙুলগুলো’ এবং অনুবাদ উপন্যাস ‘ললিতা’।
ঘামগুলো সব শিশিরফোঁটা
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
লেখক পরিচিতি :
শঙ্করী দাস। জন্ম: ৮ই মে, ১৯৫৮ সনে নিজ জেলা জামালপুরে। কবি প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলোÑ গল্প: ‘প্রতিবিম্ব ও অন্যান্য গল্প’ ‘জলমাটির গল্প’ ও ‘রাহুর চন্দ্রগ্রাস’। কবিতাÑ ‘ঘাসবোনা গ্রাম তাঁতবোনা গ্রাম’। স্মৃতিচারণমূলকÑ ‘গণমানুষের স্মৃতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। গল্পের জন্যে পেয়েছেন পাক্ষিক ঐকতান (বর্ধমান) পত্রিকা পদক। শিশু কবি রকি সাহিত্য পুরস্কার ও নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার।
বিহান বেলার ঈশ্বর
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
সঞ্চয় সুমন। ঢাকাবাসী এক কবি। যে শুধু কল্পনার রঙে আঁকে শব্দ খেলার মাঠ। এই গ্রন্থটি কবির প্রথম কাব্যফসল।
গুপ্ত সমরে মুক্তির ঠিকানা
লেখক পরিচিতি :
প্রজ্ঞা মৌসুমী। জন্ম: এক শরতে দাদুবাড়ি কুমিল্লায়, বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে। ঊনিশ বছর থেকে পড়াশুনার জন্যে প্রবাস জীবন। এক এসাইনমেন্টের জন্যে প্রথম ইংরেজি কবিতা লিখার শুরু। প্রথম জীবনের কবিতাগুলো ইংরেজিতেই লেখা, কিন্তু মন আঁকুপাঁকু করে বাংলায় লিখতে; তারই ফলশ্রুতিতে আজকের প্রথম কবিতা ফসল ‘পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ’। লেখক কবিতা ও গল্প লিখে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার তাই বাংলা সাহিত্যের অত্যুজ্জল আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করার স্বপ্ন দেখেন অহর্নিশ।
পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
বাবুল হোসেইন। জন্ম: তেঘরিয়া, সৈয়দপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
আত্মমুগ্ধ শিকল
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
ভূমিকা
লোকমান তাজ রচিত লাশপুরীর লাশের গল্প কিশোর উপযোগী রহস্যময় উপন্যাস। সমকালীন অনেক লেখক এ জাতীয় রচনা সৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সাইন্স ফিকশন, রম্য কথা, ভৌতিক থ্রিলিং ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রচুর লেখালেখি অব্যাহত রয়েছে। কারো কারো বেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লক্ষণীয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব লেখা অনির্দেশ্য বায়বীয় ভাব ভাবনায় সমর্পিত।
সঠিক কোনো জীবনবোধ বা আদর্শ অন্বেষার বালাই নেই। দিকভ্রান্ত কাহিনী চরিত্রের মোহমুগ্ধ ঘনঘটা একটা আবেশ ছাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থায় লোকমান তাজ এর লাশপুরীর লাশের গল্প নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গাছতলা গ্রামের সবিস্তার কাহিনী সাব্বির, মাহি ও মেহেক চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু শাখা কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। যেখানে মীরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীনিবাসের এক মর্মান্তিক কাহিনী এখানে বর্ণিত হয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র সাব্বিরই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
লাশপুরীর লাশের গল্পে সত্যিকার অর্থেই গল্পের একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে অপরিসীম আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সম্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এর কাহিনী চরিত্রে বরাবরই একটা আদর্শবোধ ব্যাপ্ত আছে। এ সুবাদে সেখানে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন মীরা কেন্দ্রিক সারিনা জামান এর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মেয়েটির আত্মহত্যা ও এর আনুপূর্বিক ঘটনা যে কাউকে ছুঁয়ে যেতে সক্ষম। সংসারের অভাব-অনটন, বন্ধুবান্ধবীদের নিগ্রহ-নিপীড়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবজ্ঞা, অবহেলা-সবমিলিয়ে মেয়েটির জীবন বিষিয়ে তোলে। এছাড়া সাব্বিরের দাদিবাড়ি গাছতলা গ্রামের নানাবিধ ঘটনা এ গল্পের আড়ম্বরের সাথে বনিত হয়েছে। যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব। আমি লাশপুরীর লাশের গল্প ও এর লেখক লোকমান তাজ এর পর্যায়ক্রমিক সমুন্নতি কামনা করছি।
-ড. মুহাম্মদ জমির হোসেন
লাশপুরীর লাশের গল্প
ভূমিকা-
কবিতার ভিতর দিয়ে বহুবিধ বহুকালের অমীমাংসিত জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজে চলা কবির নাম সালাহউদ্দিন সালমান, কবি যেন কলমের ডানায় আর খাতার বাতিঘরে লুকিয়ে রাখে বেঁচে থাকার মৌলতম রসদ, তার কবিতায় পাঠক খুঁজে পায় অনন্য স্থির নির্ভেজাল ধনাত্মক-ঋণাত্মক ডান বাম, ভালো মন্দ সুখ দুঃখ, অনুভূতি চিন্তা ভাবনা বোধের শৈল্পিক নিরপেক্ষতা। মানুষের সাধ্যাতীতের বিপরীতে কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলে নরম জীবনের কারুকাজ, কবি তার কবিতায় দ্রোহের রক্ত নিয়ে আলো খুঁজে অসম্ভব অনিশ্চয়তার নিঃসীম অন্ধকারে, তার একেকটি কবিতা মূর্তিমান জীবনের একেকটি দীর্ঘশ্বাস, সমাজ সংস্করণে এই জীবনমুখী কবির কবিতা যেন প্রয়োজনীয় বিদ্রোহের প্রতীক। কবির প্রেমময় কবিতাগুলো যেনও প্রেমিক প্রেমিকার বুকপকেটে ভরে রাখা কখনো কালো মেঘের আহাজারী, কখনো শূন্যতার নিঠুর মহামারী, আবার কখনো কখনো চালচুলোহীন স্বপ্নাতুর লালিত সঞ্চয়ের সমুদ্রখচিত বিশাল আকাশ। কবির একটি কবিতা পড়েছিলাম পোড়ামাটি নামক- শুইয়ে থাকা নীরব জ্যোৎস্না কে ছুঁতেই /নিজের ছায়া ছুটে চলে অন্ধকারের দিকে/ মেঘঘন আকাশের ফিকে বিছানায়/অগণিত জোনাকিদের সদ্য ঘুম মুখে/আঙুল রাখতেই খলবলিয়ে উঠে নিস্তরঙ্গ নদী/ ভাঙি দ্রোহ আর আকাক্সক্ষার জড়ানো ইমারত/ অনিবার্য পিপাসা ফুরায় অন্তর্গত অভিবাসী জলে/ অবাধ্য হাতের অকুতোভয় আঙুলগুলো বোটা ছুঁতেই/ অঝোর আষাঢ় আসে থই থই লুণ্ঠিত হয় ঘরবাড়ি/ ঘাম শুকায় ঘামে কাঁচা দেহ হয় পোড়ামাটি/ -সশরীরে দেখে মনেই হবে না সালাহউদ্দিন সালমান এমন অসংখ্য কবিতার কবি, কবির নিজের একটি উক্তি আছে কবিতাকে নিয়ে কবি প্রায় বলেন-কবিতা সত্য সুন্দর স্বপ্নিল জীবনের সাথে চলে আমরা কবিতার সাথে চলি। বিশ্বব্যাপী কবিতার মিছিলে কবি সালাহউদ্দিন সালমান এর উজ্জ্বল পদচারণ তারই দৃপ্ত প্রমাণ।
পকেট সেলাই করি ছেঁড়া জামার
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
রামিশা বিয়ের পরই মাহীকে কেবল ভালোবাসেনি মাহীও রামিশাকে ভালোবেসে ছিলো। ডাক্তার মাহী বছর দুয়েক পর হঠাৎ স্কলারশিপ পেয়ে রাশিয়ায় পি.এইচ.ডি. করার জন্য চলে যায়। তখন রামিশা দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতিদিনই কথা হতো ইন্টারনেটে, কথা না হলে যেনো দু’জনার কারো ঘুম হতো না। হঠাৎ করেই দু’বছর যেতে না যেতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। মানুষের জীবনের বিশ্বাসী ভালোবাসার গল্পগুলো কখনো কখনো বড় অদ্ভুত। গতবাঁধা জীবনে কষ্টের ভিন্নতার গল্প কখনো মনে হয় একই রকম। কখন যে হারিয়ে যায় জীবনে সুখের গানগুলো তা কেই-বা বলতে পারে। প্রেম ভালোবাসা যেনো নিত্য নিকানো উঠানে ঘিরে থাকা স্মৃতি। বদলে যায় প্রণয়ের রীতিনীতি। অথচ রামিশার মনজগত ছিলো এতোটাই প্রখর আর স্বচ্ছ সে পারেনি সর্ম্পক ছিন্ন করে সুহাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে। সন্তানের পিতৃ পরিচয় আর এক দিকে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ীকে একা ফেলে স্বার্থপরের মতো চলে যেতে পারেনি। তাছাড়া মাহীতো ডিভোর্স দেইনি। তাই জীবনে নতুন কোনো ভোরের প্রত্যাশা করেনি। এই চিঠি লেখার ভিতর বাস্তবতার ছোঁয়া অজান্তে থেকে গেলেও যেতে পারে। তবুও একতরফা ভালোবাসার ত্যাগ, সন্তানের পরিচয় তাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য, সন্তান যেনো জানে তার বাবা আছেন। তাই সব কিছুই গোপন করে রামিশা। লড়াই ছিলো তার একার তাই সব সময় একতরফা ভালোবাসায় মাহীকে চিঠি লিখে যেতো। এতো ভালোবাসার সম্পর্কের ভিতর একটি নারীর একাকীত্বের সাথী ছিলো এই চিঠি, আর কল্পনায় ঘেরা তার আর্তনাদের ভিতর স্বপ্ন সে বুনে যেতো অবিরাম…
ভালো থেকো ভালোবাসা
সুন্দরীদের উপর একক কোনো মালিকানা থাকে না- কোনো একক যুবকের…
একজন তরুণ ও একজন নারীর সম্পর্কহীন- সম্পর্কে’র, নামটা কী?
নারী’র, কান্না’র, নামটা কী? এ কান্না’র নাম উদ্ধারের দায়় কারো না কারো’র, উপর বর্তায়়। এটা কারো না কারো’র জানার/ জানাবার প্রয়োজন আছে। এজন্যই আমার কবিতা লেখা দিদি…
শরীফ শামিলের এ গল্প গ্রন্থ’র অধিকাংশ গল্প ভালোবাসার তবে অন্যান্য গল্পগুলোও বেশ ভালো। সবশ্রেণির পাঠকদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
আবু এম ইউসুফ
প্রকাশক
ভালোবাসার গল্প
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
প্রথম সাড়া জাগানো গল্পগ্রন্থ অবিনাশী আয়োজন প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাঙলা ছোটগল্পে নিজের প্রতিষ্ঠা ও সম্ভাবনা পোক্ত করেছেন মঞ্জু সরকার। অগস্ত্যযাত্রা লেখকের দ্বাদশ গল্পগ্রন্থ। কর্মজীবনে অবসর গ্রহণের পর শেষরক্ষার জন্য জন্মভূমির গ্রামে ফিরে যান নায়ক। উন্নয়নের গতিতে সেখানেও মানবিকতার অবক্ষয় এবং প্রকৃতি-পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয়। পরিবর্তিত গ্রামসমাজের পটভূমিতে রচিত গল্পগুলি প্রাণস্পর্শী হয়ে ওঠে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বুণন-দক্ষতায়। ফেসবুক নির্ভর এই প্রজন্মের শিকড়চ্যূত জীবনের ছায়া পড়েছে শিকড়ের রস ও সন্দেহ জাগানো ভালবাসা গল্পে। এ গ্রন্থের বড় আকর্ষণ সৌদি আরবের পটভূমিতে রচিত পাঁচটি গল্প। উদ্বাস্তু প্রবাসজীবনের অন্তরঙ্গ জীবনগাথা লেখকের গল্পভূবনের সীমা এবং স্বাদ বাড়িয়ে এনেছে নতুন মাত্রা। ক্ষমতার সঙ্গে থাকা ও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আত্মীয়-স্বজন গল্প দুটিতেও মূর্ত হয়ে উঠেছে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির বাস্তবতা।
অগস্ত্যযাত্রা ও অন্যান্য গল্প
সম্পর্ক এক দ্বৈত মায়া। খণ্ডবিখণ্ডিত এই পৃথিবীর মানুষ আরো স্তব্ধ হয়ে যায়, কিংবা বিস্ফোরিত হয়ে যায় মায়ার প্রাচুর্যে। যখন সম্পর্কের ভাষা শরীর ও মনের দুকূল উছলে ওঠে, তখন দারুণ এক স্ফূরণ ঘটে। সে স্ফূরণ অকরুণ প্রেমের মতো, সে অকরুণ প্রেম কবিতার মতো। এসব ভীষণভাবে দুলিয়ে যায়। অস্থি-মজ্জায় বার্তা পৌঁছে দেয়।
এখানে, সদ্য সমুজ্জ্বল কী এক ‘সম্পর্ক’ রচনা করলেন! যেন নক্ষত্রের মতো দূর ও বিযুক্ত। কিন্তু গভীর অন্ধকার রাতে মুক্তামালার মতো একাত্ম হয়ে থাকে।
এসব কবিতা ছুঁড়ে দেয়া দর্শনবাক্যের মতো। সংক্ষিপ্ত ভাষাশরীর। মূলত আত্মা ও শরীরের দ্বৈতকাঠামোর বিচারে কবিতাগুলো ক্ষীণ শরীর পেয়েছে। প্রধান হয়ে উঠেছে ‘আত্মা’। মৌলিকভাবে মুদ্রিত হয়েছে অন্তরিত বিহ্বলতা। কিন্তু সংক্ষিপ্ত ভাষাশরীর বলে ঐন্দ্রজালিক চেতনায় খানিক বাঁধা আসে আর ‘কবিতাপাঠ’ চলে এক সরল সম্মোহনে। এসব কিছুই বিবিধ সম্পর্কের ইতিবৃত্ত। আমরা তবু ক্ষণে ক্ষণে কী নিদারুণ একা হই। অগণন তারা ফোটা রাতে আমরা অন্ধকারে এসে দাঁড়াই একা একাই। এভাবে মুক্ত হতে হতে আমরা বাঁধা পড়ে যাই। যুক্ত হই, একা হই। এসব তো আদতে সম্মোহন, বিবিধ সম্পর্কের সম্মোহন। সদ্য সমুজ্জ্বল সেসব সম্মোহনের বিচ্ছুরণই দেখিয়েছেন।
–সুবন্ত যায়েদ
সম্পর্ক
আমার এই গল্পে বাংলাদেশকে চেনার সুযোগ থাকবে পাঠকের। পরিজন ছাড়া যেমন পরিবার হয় না। অধিবাসী ছাড়া তেমন দেশ হয় না। আমার ছোটগল্পগুলো জীবনকে বোঝার গল্প। সমগ্র জীবন আমরা ছুটে বেড়াই প্রাপ্তির আশায়। ভাঙাগড়ার এই খেলায় মানুষ সবসময়ই হারে। এই হারার অনুভূতি কখনো মানব-মানবীর কাছে হার হয়ে ধরা দেয়, কখনো জয় হয়ে। বইটির নাম দিতে চেয়েছিলাম সমগ্র বাংলা। পরে ভাবলাম বইটি পড়ে পাঠকই বুঝে নিক এই গল্পের নামের সার্থকতা।
—রিয়াদুল হক
দার্জিলিং কনফেশন
প্রায় তিন দশক ধরে কাব্যচর্চায় আত্মনিবেদিত কবি হানিফ মোহাম্মদ এই প্রথম তাঁর কাব্য “পদাশ্রিত পাঞ্চজন্য” নিয়ে গ্রন্থ-প্রকাশনার জগতে পা রাখলেন। এ কাব্যটি দীর্ঘ সাধনায় অর্জিত তাঁর সাহিত্যিক ও কাব্যাদর্শিক চেতনার ফসল। জীবন ও সমাজের নানা ক্ষেত্রের ক্লেদ, দুর্গতি ও বঞ্চনা নিয়ে দুর্বিষহ সময় কবির দৃষ্টিতে যেভাবে ধরা পড়েছে, তার-ই কিছু ছবি ফুটে উঠেছে এ কাব্যের বিভিন্ন কবিতায়। কবি শুধু বৌদ্ধিক ও অন্তরঙ্গ ভাষিক-রেখায় সমাজের নানা স্কেচ এঁকেই ক্ষান্ত হননি, পরোক্ষ উচ্চারণে নিজের আদর্শভিত্তিক একটি আগামির স্বপ্ন ছড়িয়েছেন কবিতার পর কবিতায়। সর্বদাই তাঁর আবেগ থেকেছে নান্দনিক রসধারায় সিঞ্চিত এবং কাব্যবোধ প্রগতিশীল চেতনায় ঋদ্ধ। তিনিও, প্রত্যেক পূর্ণতাপ্রাপ্ত কবি যেমন, স্বতন্ত্র বিশ্বাস ও আদর্শ নিয়ে একটি আলাদা কাব্যভুবনের নির্মাতা। তাঁর মাঝে কোন ঘোরপ্যাঁচ নেই; সাবলীল ও সহজবোধ্য ভাষায় অনেকটা প্রত্যক্ষ শৈল্পিক উপস্থাপন তাঁর। বঞ্চনা-পীড়িত জীবন ও সমাজের নানা চালচিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে তাঁর কাব্যবোধ ও শৈলী তিলমাত্র অপচিত হয়নি।
তাঁর কবিতার দৃশ্যমান, পরাবাস্তব ও বিমূর্ত চিত্রকল্পগুলো একাধারে পেলব, দৃষ্টিনন্দন, বোধ-উদ্দীপক ও হৃদয়স্পর্শী। তাঁর পংক্তিগুলো গণমানুষের চেতনার সাথে সমানুভূতিতে, প্রেমের পরাকাষ্ঠায় এবং নিসর্গ-সুষমার প্রদীপ্তছটায় অনাস্বাদিতপূর্ব প্রতিমাপুঞ্জ। শব্দচয়ন ও বাণীবন্ধ গঠনে তিনি যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। পুরো কাব্যটিতেই তাঁর পরিমিত বাকভঙ্গি ও পরিশীলিত মননের প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। সেইসাথে শব্দাবলীর যথাযথ বিন্যাস ও ছন্দময় প্রবহমানতা তাঁর কবিতার বাণীবন্ধকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
পরিশেষে, কবি হানিফ মোহাম্মদের বিশ্বাস এবং ব্যতিক্রমী চিন্তা-চেতনার সাথে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও আমি নির্দ্বিধায় বলবো যে, কাব্যটি শৈল্পিক মানদ-ে উন্নত এবং যথেষ্ট রস সমৃদ্ধ।
আবুল কাইয়ুম
প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক ও অনুবাদক
পদাশ্রিত পাঞ্চজন্য
কবিতার পথ কণ্টকময়। চিরকাল কবির আরাধ্য, তবু কবিতা অধরা থেকে যায়। এটা সত্য, কবির ঔরসে কবিতার জন্ম। কিন্তু যখন কবি থাকেন না, তখন কবিতাই বহন করে কবির অলৌকিক স্বর।
এক যুগ ধরে কবিতা-পথের যাত্রী মুহাম্মদ ফরিদ হাসান। তার লেখাগুলো প্রধানত প্রেম, সৌন্দর্য চেতনা, দর্শন যাপনের অভিঘাতকে কেন্দ্র করে। সরল বাক্যবন্ধে কবিতায় তার উচ্চারণ চিরকালীন।
মিথ্যুক আবশ্যক তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রিয় পাঠককে কবির শিল্পজগতে আমন্ত্রণ।
মিথ্যুক আবশ্যক - Mitthuk Abosshok
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.