Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
অয়ন্ত ইমরুল। জন্ম: ১২ই এপ্রিল ১৯৮৭ইং, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার আজিমনগর গ্রামে। পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে শৈশবেই ঠিকানার পরিবর্তন ঘটে বর্তমানে সাভার আশুলিয়ায় বসবাসরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ছায়াসমুদ্র
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
নিজস্ব অন্ধকার থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঢেউ—চারিদিকে অনাহুত স্বপ্নের প্রলাপ। তুমুল তীব্রতায় প্রবাহিত স্বপ্নের মতন হাজির হয় আর্য-অনার্যের প্রতিবিম্ব। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে অসমাপ্ত সিঁড়ি। সেখান থেকেই শুরু হয় ‘অনার্যের সাইকেল’। চলতে থাকে। চলতেই থাকে। সহস্র অশ্বখুর আর মায়ার বাঁধন কেটে নিজস্ব আয়নার দিকে। এমন বিসর্জন কিংবা আত্মআবিষ্কারের প্রলোভন নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা অঞ্চলের পুরাতীর্তি ও সাগরীয় সনেটের কাক্সিক্ষত একগুচ্ছ সিঁড়ি। নির্দ্বিধায় উড়াল দেয়া যায় সে পথে—ফেলে আসা ঠিকানার দিকে কিংবা সমসাময়িক তৈলচিত্রের অভ্যন্তরে। প্রস্তুুতি পর্ব পেরিয়ে আসা অগ্রসর ক্ষুধার পথিককে এই সচেতন নির্মাণের তীব্র দহন ও সাইকেলের রূপ-রস আরো উজ্জ্বল করে তুলবে।
অনার্যের সাইকেল
লেখক পরিচিতি :
শঙ্করী দাস। জন্ম: ৮ই মে, ১৯৫৮ সনে নিজ জেলা জামালপুরে। কবি প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলোÑ গল্প: ‘প্রতিবিম্ব ও অন্যান্য গল্প’ ‘জলমাটির গল্প’ ও ‘রাহুর চন্দ্রগ্রাস’। কবিতাÑ ‘ঘাসবোনা গ্রাম তাঁতবোনা গ্রাম’। স্মৃতিচারণমূলকÑ ‘গণমানুষের স্মৃতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। গল্পের জন্যে পেয়েছেন পাক্ষিক ঐকতান (বর্ধমান) পত্রিকা পদক। শিশু কবি রকি সাহিত্য পুরস্কার ও নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার।
বিহান বেলার ঈশ্বর
লেখক পরিচিতি :
সুলতানা শাহরিয়া পিউ। জন্ম: ২রা অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সঙ্গীতচর্চা তার শখ। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদ এর সদস্য, বর্তমানে দীপ্ত টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘মেঘের সাথে কথা’। অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ: ‘নিমগ্ন জলধারা’। স্ক্রিপ্ট সঙ্কলন: ‘আমরা করব জয়’। গীতিকবিতার অনুবাদ: ‘অচিন’। গল্প সংকলন: ‘মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প’।
আমার দিনগুলো রইলো অসম্পূর্ণ
Pannar Mukut
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
কবি সিদ্ধার্থ অভিজিৎ উপস্থিত হয়েছেন পৌষালি ঘড়ির পোস্টমর্টেম এর প্রতিবেদন জানাতে। নিজের উপলব্ধি তিনি প্রকাশ করেছেন সংহত শব্দবিন্যাসে। কবি দেখেছেন ‘ঘুম পেলেই সবাই বাড়ি যায় না’ কিংবা ‘শাঁখের করাত’ যে দুদিকে কাটে, তাতে কাটা যাচ্ছে না বোধের সত্তাকে। বই অনন্তযৌবনা, কিন্তু সিদ্ধার্থ অভিজিৎ দেখেছেন, ‘বইটা বুড়ো হয়ে গেছে।/ ঠাকুর্দার চুলের মতো/ বই থেকে একে একে খসে পড়ছে পাতা।’ এই যে দৃষ্টির নবায়ন, তার ভেতরেই লুকিয়ে আছে তাঁর কবিত্ব। নিত্যব্যবহার্য আটপৌরে শব্দকেও তিনি কবিতা বানাতে পারেন, আবার স্বল্পব্যবহৃত ইংরেজি শব্দকেও তিনি কবিতায় চালিয়ে দিতে পারেন অবলীলায়। যে কবি লিখতে পারেন ‘ঘুমের সলতের ডগায় গুপ্তির প্রচ্ছন্ন মচ্ছব’, তার পথ কে আটকাবে? মীননাথ থেকে লালন-রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দ দাশ মিলে তো আমরা একটি কবিতাই লিখেছি। ফারাক কেবল কণ্ঠস্বরে। সিদ্ধার্থ অভিজিৎ সেই নতুন সুরবাণী শোনাতে এসেছেন।
তপন বাগচী
কবি-ফোকলোরবিদ
উপপরিচালক, বাংলা একাডেমি, ঢাকা।
পৌষালি ঘড়ির পোস্টমোর্টেম
চৌদ্দটি গল্প নিয়ে ‘অথবা উষ্ণতায়’। মানবজীবনের, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত জীবনের প্রেম-অপ্রেম, দুঃখ, অপমান, নিরাশা, লোভ, স্বপ্ন কিংবা স্বপ্নভঙ্গের জ্বালা ছোট ছোট ক্যানভাসে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন গল্পকার রোকন রেজা। দু’একটি গল্প হয়তো বা তাঁর নিজের জীবনেরই খন্ডিত চিত্র। যেমন ‘জীবনের এইসব নিভৃত কুহক’ কিংবা ‘মন কাঁদে।’ এছাড়া অনান্য গল্পগুলোও আমাদেরই কারো না কারো জীবনকথা।
অথবা উষ্ণতায় - Othoba Ushnotay
নিজেকে বিক্রি করতে পারা কিংবা বিক্রি করার চেষ্টা করা অথবা নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করিয়ে বিশ্লেষণ করা এই সময়ের মুখচ্ছবি। সেখানে বাস্তব কিংবা কাল্পনিক চরিত্ররা একেকটি বিস্ময়! অন্ধকার ফুটপাত থেকে উঁচু মুখের থাবায় চলে যায় অন্ধ রেলগাড়ি। আর অতিরিক্ত ঘ্রাণে জড়িয়ে যায় মুদি থেকে গোরস্তান। মৃত্যুস্রোত ও গহীনের আলো আনন্দকে ডুবিয়ে দেয় চেহারার ঘনত্ব। তারপরও রক্তভ্রম, আহত কি-বোর্ড, শীতবইয়ের শর্তসমূহ ঘেউমারা পড়শি চোখের যাদুতে জেগে থাকে দীর্ঘপথ। পাশাপাশি হাঁটতে থাকা ছায়াগুলো কানে-মুখে ঢুকে যায়। আবার বেরিয়েও যায় উচ্চতায়, নিজস্বতায় অথবা নানা পরিচ্ছেদে। গল্পের বয়ানে উহ্য আছে এমন অনেক গোপন সাঁকো। পথ জুড়ে শর্তের ভেতরের চোখকে আবিষ্কার করার চেষ্টায় চারপাশে তৈরি হয়েছে খণ্ড খণ্ড দৌড়। ‘লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর’ গল্পগ্রন্থটি এমনই দশটি গল্প কিংবা দশটি পরিচ্ছেদে দাঁড়িয়ে আছে।
লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর
শীতের বিকেলে পিঠে রোদ লাগিয়ে আরাম করে শুয়ে ছিল হাতি। পাশের এক মাটির ঢিবি থেকে পিনপন নামের পিঁপড়েটি পিল পিল করে হাতির সামনে এসে বলে, কথা দিয়েছিলে চাঁদ দেখাবে। কই ডাকলে না তো। বিকেলের নরম রোদে আরামে চোখ বুজে এসেছিল হাতির, পিঁপড়ের গলা পেয়ে চোখ পিটপিট করে বলে, বলেছি যখন তখন দেখাব। আজ রাতেই দেখাব।
রাতে কেন এখনই দেখাও না।
আরে চাঁদ তো রাতে দেখা যায়। এই বনের সবাই যখন ঘুমায়, তখন চাঁদ চুপিচুপি আকাশের গায়ে ওঠে।
হাতির কথা মতো রাতে চাঁদ দেখতে হাজির হয় পিঁপড়েটি। হাতি বলে, কী দেখ? পিনপন বলে, লাঠির মতো কিছু একটা, আবার আমগাছের মতোও মনে হয়। দাঁড়াও একটু চড়ে আসি, দেখি কোনো বাসাটাসা বানানো যায় কি না। পিঁপড়েটি হাতির পা বেয়ে ওপরে উঠে যায়।
হাতি বলে, পেলে কিছু?
অনেক কিছু কিছুমিছু?
হাতি ভাবে মহা মুশকিলে পড়া গেল তো! এই পিঁপড়েটাকে নিয়ে চাঁদ দেখার আয়োজন করাটাই ভুল হয়েছে, তবু কথা যখন দিয়েছি, তা তো রাখতেই হবে। পিঁপড়ে বলে, বেশ মজা হচ্ছে, এখানেই বাসা বানাব ভাবছি।
নেমে এসো বলছি। আমার কেমন সুড়সুড়ি লাগছে।
চাঁদে আমি ঘর বানাব শুনে তোমার কি না সুড়সুড়ি লাগে, হে হে ভারি মজা তো!
আরে ওটা চাঁদ নয়, ওটা আমার … উঁ উঁ বলে চিৎকার করে ওঠে হাতিটি। পিঁপড়ে বলে, চাঁদে বেশ মজা চিমটিও কাটা যায়। দেখবে এসো।
আরে ওটা চাঁদ নয় ওটা আমার পা।
তোমার পা! হেহে এখন বলবে তো চাঁদের তোমার পা পড়েছে। মনের দুঃখে হাতি এবার বসে পড়ল।
…………………………………………………
…………………………………………………
…………………………………………………
হাতি ও পিঁপড়ের চাঁদ দেখা
ভূমিকা-
কবিতার ভিতর দিয়ে বহুবিধ বহুকালের অমীমাংসিত জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজে চলা কবির নাম সালাহউদ্দিন সালমান, কবি যেন কলমের ডানায় আর খাতার বাতিঘরে লুকিয়ে রাখে বেঁচে থাকার মৌলতম রসদ, তার কবিতায় পাঠক খুঁজে পায় অনন্য স্থির নির্ভেজাল ধনাত্মক-ঋণাত্মক ডান বাম, ভালো মন্দ সুখ দুঃখ, অনুভূতি চিন্তা ভাবনা বোধের শৈল্পিক নিরপেক্ষতা। মানুষের সাধ্যাতীতের বিপরীতে কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলে নরম জীবনের কারুকাজ, কবি তার কবিতায় দ্রোহের রক্ত নিয়ে আলো খুঁজে অসম্ভব অনিশ্চয়তার নিঃসীম অন্ধকারে, তার একেকটি কবিতা মূর্তিমান জীবনের একেকটি দীর্ঘশ্বাস, সমাজ সংস্করণে এই জীবনমুখী কবির কবিতা যেন প্রয়োজনীয় বিদ্রোহের প্রতীক। কবির প্রেমময় কবিতাগুলো যেনও প্রেমিক প্রেমিকার বুকপকেটে ভরে রাখা কখনো কালো মেঘের আহাজারী, কখনো শূন্যতার নিঠুর মহামারী, আবার কখনো কখনো চালচুলোহীন স্বপ্নাতুর লালিত সঞ্চয়ের সমুদ্রখচিত বিশাল আকাশ। কবির একটি কবিতা পড়েছিলাম পোড়ামাটি নামক- শুইয়ে থাকা নীরব জ্যোৎস্না কে ছুঁতেই /নিজের ছায়া ছুটে চলে অন্ধকারের দিকে/ মেঘঘন আকাশের ফিকে বিছানায়/অগণিত জোনাকিদের সদ্য ঘুম মুখে/আঙুল রাখতেই খলবলিয়ে উঠে নিস্তরঙ্গ নদী/ ভাঙি দ্রোহ আর আকাক্সক্ষার জড়ানো ইমারত/ অনিবার্য পিপাসা ফুরায় অন্তর্গত অভিবাসী জলে/ অবাধ্য হাতের অকুতোভয় আঙুলগুলো বোটা ছুঁতেই/ অঝোর আষাঢ় আসে থই থই লুণ্ঠিত হয় ঘরবাড়ি/ ঘাম শুকায় ঘামে কাঁচা দেহ হয় পোড়ামাটি/ -সশরীরে দেখে মনেই হবে না সালাহউদ্দিন সালমান এমন অসংখ্য কবিতার কবি, কবির নিজের একটি উক্তি আছে কবিতাকে নিয়ে কবি প্রায় বলেন-কবিতা সত্য সুন্দর স্বপ্নিল জীবনের সাথে চলে আমরা কবিতার সাথে চলি। বিশ্বব্যাপী কবিতার মিছিলে কবি সালাহউদ্দিন সালমান এর উজ্জ্বল পদচারণ তারই দৃপ্ত প্রমাণ।
পকেট সেলাই করি ছেঁড়া জামার
দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী রমণীদের বসবাস এখানে। ওই সুন্দরীদের রূপের সাথে পাল্লা দেয় যৌবন আর যৌবনের সাথে পাল্লা দেয় রূপ কিন্তু সেটা এক রক্ত নহর বহা একনগরী… স্ত্রীর জন্য ৭ পুরের (গ্রামের) জল ও মাটি সংগ্রহ করে পুব্যা এক যুবক। তবে শর্ত ছিল পথিমধ্যে কারো সাথে কথা-টথা বলতে পারবে না সে। যুবকটি কেন বলছে, হায় নারী! হায় স্ত্রী আমার! তুমি আমার অর্ধেক নও, তুমি আমার পুরো পৃথিবী… এরকম অসংখ্য মজাদার কথামালায় রচিত এই দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা উপন্যাসটি। শরীফ শামিলের লেখনী শক্তি ও কল্পনা শক্তি প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর প্রথম উপন্যাস দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা এর ব্যাপারে লিখেছিলাম, ওটি বাংলা উপন্যাসে এক নতুন সংযোজন। আর এ ‘দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা’ উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসে আরেক (সম্পূর্ণ) নতুন সংযোজন।
আবু এম ইউসুফ
প্রকাশক
দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা
তরুণ লেখক জাহাঙ্গীর হোসাইন-এর ‘উলঙ্গ সময়’ উপন্যাসটি পড়ার পর উপলব্ধি করতে পারলাম, এক নারীর আত্মন্মোচনের বেদনাবাষ্পে ধূসর হয়ে পড়বে আমাদের চেনা পৃথিবীটাও। কথিকা মাধুবীলতা চৌধুরানি। তাঁরই অনÍর্যামী জাহাঙ্গীর হোসাইন হয়তো বা বসত করে সেই অপ্রত্যাশিত নারীর ভাবগর্ভে। পরিবার পরিজনে ঘেরা গ্লানির কয়েদখানা থেকে সুপ্রিয় পাঠককে সম্বোধন করে লেখা উপাখ্যানে কুড়িটি পর্বে লেখকের অন্তর্বয়নে অক্ষরগুলো যতœ করে জ্বলে ওঠে স্মৃতির বারুদে। জীবনকে আস্বাদনের তৃষ্ণায় অন্তরতমা মাধুবীলতা চৌধুরানির কাছে সমুর ব্যাকুল আর্তি- মাধু, ‘আমার ভিতরটা পুড়ে যাচ্ছেÑ আমাকে একটু ঠাণ্ডা জল দিবে?’ কেবলই অপ্রাপ্তির বেদনায় সমুর মনে গুমরে গুমরে “সুখের লাগিয়া এঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল” আক্ষেপ আর আত্মগ্লানির পীড়ায় জ্বলতে জ্বলতে সমুর করুণ অনুনাদ ‘মাধু, তোমার ঘরে বিষ আছে? আমাকে একটু বিষ দাও।’ পাখি, পুঁথির মা, সমু, অলক চৌধুরী সকলই মাধুবীলতা চৌধুরানির জীবনের জানালার গরাদ। সেই গরাদ ধরে সমুর ভালোবাসার জন্য অনন্ত অপেক্ষার পর উলঙ্গ সময়ের কাছে তাঁর মৃদু অনুযোগ ‘নরকে থাকার চেয়ে আত্ম হননের পথ শ্রেয়’ এই হতভাগিনীর উপাখ্যানে সময়ও কেঁদে ওঠে, হয়তো বা জ্বরে পুড়তে থাকে। যেভাবে পুড়েছে মালতি থেকে কাবুলিওয়লার বাঙালি বউটা।
ড. মেঘনাদ ঘোষাল
উলঙ্গ সময় - Ulongo Samoy
কী যে ভালো লাগছে
মরোমরো আর দূষণজর্জর
সমুদ্র আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে
সাগরতলে জাগছে বিপুল সাড়া
মীনভুবনে ফিরলো ফের
স্থলবাসীর মুখ দেখবার তাড়া
ও সাগর
তুমি আমার বাঁচার ভাঁড়ার
সুরগর্জন মেঘমল্লার
নির্জনতম ধ্বনিবিশ্বে পরম ঊর্মিমালা
ও তরঙ্গ শোনিত-স্রোতধারা
ফিরে পাচ্ছি প্রেমঢেউ
ফিরে পাচ্ছি হৃদতরঙ্গ
ফিরছে ছন্দোমালা
ও সাগর
তুমিই আমার জন্মাবধি
জননী ও শ্বাসঘর
কী যে ভালো লাগছে
মৃত্যুপুরীতে সুন্দরতম
নতুন মানব জাগছে।
বুদ্ধ তীরবিদ্ধ - Buddho Tirbiddho
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.