Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
কবিতা জীবনের কথা বলে, জীবন বদলানোর কথা বলে। জীবনের নানাবিধ ঘটনাবলী একজন কবির মনে যে উদ্দীপনা জোগায় কবিতা তার সকল বাহির-রূপ প্রকাশে। কবি সামাজিক মানুষ, সমাজের অভিজ্ঞতাই কবির চেতনাকে আলোড়িত করে। তাই কবিতা কতো রকম, এবং সবটাই কবির চেতনা নির্ভর। কবি দ্বীপ সরকার এর কবিতায় আধুনিকতা অভিজ্ঞতার জাগরণে যে পঙক্তিমালা আমাদের কাব্যপ্রেমীদের কাছে উপস্থিত তাতে হয়তো নির্মাণ দূর্বলতা রয়েছে, কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস কবি এই শুরুর পর্যায় থেকে লাগাতার কাব্যপ্রীতির মধ্যদিয়ে একদিন কাব্যরাজ্যের সকল মনিকাঞ্চন কুড়িয়ে নিতে পারবেন তার কবিতায়। যেমন তিনি বলেছেন ‘আমার প্রকাশ্য এবং গোপন/কথাদের মর্মার্থ একটাই ‘মানুষ হও/ধর্ম একটা পতাকামাত্র;/মানুষ মানেই সকল ধর্মের মধুফুল’ (….ভারতবর্ষ থেকে হেঁটে হেঁটে তাঁবেদার ঘোড়া)। কিংবা যখন বলেন ‘এখনও এই উঠোনে কথারা নাচলে/ কিছু সুপ্ত কথা ঝুনুর ঝুনুর বাজে’ (…প্রাক্তন কথারোদ)। এমনি ভাষ্যগুলো আধুনিক মনোবৃত্তিকে ধারণ করে হয়ে ওঠে মুখরিত শব্দবলীর এক অন্তরধ্বনি যা খানিকটা চমকে দেয় আমাদের।
কবিতার রাজ্যে কবি দ্বীপ সরকার এখনও প্রস্তুতি পর্বে, তারপরও কবিতার প্রারম্ভিক ভাষ্য থেকে বেরিয়ে আসা উপ-ভাষ্যগুলোর উপস্থাপন তার কবিতা মনোবৃত্তিরই স্ফূর্ততা। গতি বিজ্ঞানের এই সময়ে কবিতার যে স্বাস্থ্যশ্রী রূপ বদল ঘটেছে কবি দ্বীপ সরকার তাকে খানিকটা হলেও ধারণ করেন এবং বহুল চর্চার মধ্যদিয়ে একদিন তিনি আরো বেশি সক্রিয় পঙক্তিমালা নির্মাণের উপকরণ পেয়ে যাবেন সমৃদ্ধ বাংলা কাব্য ভূমিতে।
আমি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিন্ন ভাষার গোলাপজল’ প্রকাশনা মুহূর্তে সকল সফলতা কামনা করি।
মতিন বৈরাগী
কবি, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
কাজী রহমান। পরবাসী লেখক নিজের পছন্দ মতো বাঁচতে দু-যুগ আগে মার্কিন মুলুকে চলে আসেন স্ত্রী ও প্রথম শিশুকন্যা সাথে নিয়ে। বড় হয়েছেন পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া’য়। জ্ঞান হবার পরপরই নিজেকে আবিষ্কার করেছেন ঘরের পাশের গ্রন্থাগারে, বিভিন্ন শিশু সংগঠন আর সমাজসেবামূলক সংগঠনের আলোছায়ায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুরন্ত কিশোর স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখেছেন কাছ থেকে আর আতঙ্কের দিন গুনেছেন সারাক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাইয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। গ্রাজুয়েশন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবন কেটেছে বিদেশী এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তা হিসেবে।
তারাধুলো জল ও নস্টালজিয়া
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
সঞ্চয় সুমন। ঢাকাবাসী এক কবি। যে শুধু কল্পনার রঙে আঁকে শব্দ খেলার মাঠ। এই গ্রন্থটি কবির প্রথম কাব্যফসল।
গুপ্ত সমরে মুক্তির ঠিকানা
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
জীবনের শুরু বা শেষ বলে কিছু নেই। জন্মের আগে জীবন থাকে, সেটা বাবা-মা অথবা প্রেমিক-প্রেমিকার। আবার মৃত্যুর পরও জীবন থাকে, সন্তানদের অথবা নিজের কৃতকর্মের। জীবন সর্বদা চলমান। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ও উত্থান-পতন নিয়েই জীবন চলতে থাকে। এরই খণ্ডচিত্র নিয়ে লেখক লিখে রাখে। তার সাথে জড়িয়ে থাকে সমাজের চারপাশের প্রকৃতি, যা চিত্রকল্প হয়ে ধরা দেয় লেখকের কলমে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে লেখক সাদৃশ্য খোঁজে, কল্পনায় পাখা মেলে দেয়, আকাশে পাখি উড়ায়, আঁধারে জোনাকী আলোয় বিপ্লব খোঁজে, বন্যার ব্যাপক প্লাবনে দরিদ্রদের বা দুর্বলদের টিকে থাকার সাঁতার দেখে এবং অভিসারে জ্যোৎস্না আলোয় পরীর মন্থন এঁকে দেয়।
গল্পের বইটিতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জীবনের খণ্ড খণ্ড চিত্র রয়েছে, রয়েছে এক সময়ের আন্ডার ওয়ার্ল্ডের রক্তক্ষয়ের ছোট ছোট কাহিনী। তরুণ-তরুণীর
প্রেম-ভালোবাসার আবেগ এবং বেকারত্বের অভিশাপের জীবনঘনিষ্ঠতাও ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে বাস্তব জীবন নিয়েই গল্পগুলো লেখা হয়েছে।
“নাচো তুমি ঢেউবুকে” আমার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ।
লেখালেখি করা আর পাণ্ডুলিপি তৈরি করা এক বিষয় নয়। লেখার চেয়ে পাণ্ডুলিপি তৈরি করা কঠিন মনে করি। এরপরও বই প্রকাশ করার আকাক্সক্ষায় দৌড়াতে গিয়ে এগিয়ে এসেছে কবি কহন কুদ্দুস ও কাকন মাহমুদ। তাদের সার্বিক সহযোগিতার কারণে পাণ্ডুলিপি তৈরি হয়েছে এবং গল্পের বইটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
বইটি পাঠকের হাতে পৌঁছানোর পরই মূল্যায়ন হবে। সে দায়িত্ব পাঠকের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি।
Ñলেখক
নাচো তুমি ঢেউবুকে
জন্ম : ০২ জানুয়ারি, ১৯৮৩-তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বেড়ে ওঠা পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে। লেখাজোখার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই।
প্রথম লেখা ছাপা হয় মাসিক রহস্যপত্রিকায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি লেখালেখিতে সচেতনভাবে মনোযোগী হন। তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকসহ অজস্র পত্রপত্রিকায়। সমানতালে লিখেছেন লিটল ম্যাগাজিনেও। দীর্ঘদিন যাবত সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’। গল্প লিখতে এবং গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য ধাঁচের রচনায়ও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। মাসিক উন্মাদ অতঃপর দৈনিক প্রথম আলোর তুমুল জনপ্রিয় ফান ম্যাগাজিন আলপিন-এর মাধ্যমে রম্যচর্চার হাতেখড়ি। এরপর থেকে লিখেছেন দৈনিক পত্রিকার ক্রোড়পত্র হিসেবে প্রকাশিত বিভিন্ন রম্য-বিদ্রƒপ সাময়িকীতে।
পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন পা-ুলিপি সম্পাদনা, লেখালেখি এবং সাংবাদিকতাকে। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত।
প্রকাশ (নির্বাচিত গল্প বিষয়ক প্রবন্ধ)
ফকির ইলিয়াস৷ মূলত: কবি৷ এছাড়া অবাধ যাতায়াত আছে প্রবন্ধ ও গ্রন্থসমালোনায়৷ সাংবাদিক হিসাবেও ব্যাপক পরিচিতি আছে৷ প্রবাসে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-লালন ও চর্চায় তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন৷ এযাবত্ প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তেরটি৷ বিভিন্ন দেশের সাহিত্য পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখা ছাপা হচ্ছে৷ ‘ঠিকানা শ্রেষ্ট গ্রন্থ পুরস্কার’ ‘ফোবানা সাহিত্য পুরস্কার’সহ আরও অকে পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন দেশে ও বিদেশে৷ বর্তমানে স্বপরিবারে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন৷
সাহিত্যের শিল্পঋণ
প্রেম বিনে ভাব নাই ভাব বিনে রস
ত্রিভুবনে যাহা দেখি প্রেম হূনতে বশ
যার হুদে জন্মিলেক প্রেমের অঙ্কুর
মুক্তি পাইল সে প্রেমের ঠাকুর ।
‘ পদ্মাবতী ’
আলাওল ( ১৫৯৭ – ১৬৭৩ )
বসন্তের শেষ বিকেল
কলকাতার স্মৃতিকথা
বাজে অন্তহীন দ্রিমি
ভেসে বেড়াই…
বুকের ভেতরে দ্রিমি দ্রিমি বেজে ওঠে
নিজের বুকে কান লাগিয়ে শুনি সেই শব্দ
কেমন ঘোর, নেশা লাগে!
একটা অসহ্য ভালোবাসার ঘ্রাণ পাই
মানুষ যার জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরে মরছে
সেই ভালোবাসা…আহা
তার বর্ণিল শব্দ- ঘ্রাণে ঘূর্ণি খেয়ে খেয়ে
মহাকাশ সমান আনন্দে ঘুর-পাক খাই
যাই, অনন্ত অভিযাত্রায়
কবিতার রূপ ধরে প্রেম নামছে পৃথিবীতে
কসমিক খেলা মেতে উঠেছে
সৌরবিভা বসেছে তাকে কেন্দ্র করে
দেখো, কীভাবে বিষণ্ন-প্রচণ্ডতা জেগে ওঠে !
উজ্জ্বল হাসি হয়ে ছায়াপথে ঘুরে বেড়াই
বেজে যায় অন্তহীন দ্রিমি…
বাজে অন্তহীন দ্রিমি
আবু তাহের সরফরাজ। সবার মাঝে থেকেও সে আলাদা। দৃশ্যের ভেতরও অদৃশ্য। বেঁচে থাকতে চান লেখালেখির মাঝে।
যখন আঁধার যখন কুয়াশা
আকাশের জলচিত্র
রাহমান ওয়াহিদ। মূলত কবি। পাড়ি দিয়ে এসেছেন তিনি দীর্ঘ এক রোদমেঘবৃষ্টির জীবন। মধ্যবিত্তের সেই জীবনে ঘটে যাওয়া নানান ধরনের গল্প নিয়ে সাজিয়েছেন এই ‘বিহঙ্গ সময়ের অ্যালবাম।’ কিছু গল্পের দিকে নজর দেয়া যাক।
ঢাকায় চাকরি করতে করতে বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজেছেন লেখক। ফোনে আলাপে ভালোলাগা এক অসুন্দর মেয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর দমে যান তিনি। ফোনে মেয়েটি কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলতে থাকে: আমার চেহারা নেই। রূপ নেই। তাতে কী? মন তো মিলেছে বন্ধু। অনেক ভালোবাসবো আমি তোমাকে। সমুদ্রকেও হার মানাবে সে ভালোবাসা।’ আর ফোনের ওপাশে? মধ্যবিত্তের সস্তা হিসেব নিকেশ। পারলেন না লেখক তার কান্নায় সাড়া দিতে। নিজেকে সান্তনা দিলেন এভাবেঃ সমুদ্র মধ্যবিত্তের ঘরে আসে না।
গ্রামের মহিলাদের দৃষ্টিভঙ্গির স্ববিরোধীতাও তার দৃষ্টি এড়ায় নি। একবার তিনি এক গ্রামের পুকুর পাড়ের দিকে যেতে যেতে বলছেনঃ পুকুরটার বাম পাশে সরু পায়ে চলার পথ। দুই চারজন পুরুষ আমাকে অতিক্রম করিয়া সেই পথ দিয়া চলিয়া গেল। সমস্যা হইল না। আমি আর আগাইবো কিনা ভাবিতেছি,এমন সময় এক ঝাঁঝালো নারীকণ্ঠ কর্ণে আসিয়া ধাক্কা মারিলঃ’এইদিকে আসে ক্যা? পুরুষটার কপালে কি চক্ষু নাই?’ আমার আশেপাশে তখন আর কেহ নাই। বুঝিলাম- কণ্ঠটি আমাকেই উদ্দেশ্য করিয়া। শুনিয়া আমি তো হতবাক! খানিক পূর্বে যে কয়েকজন পুকুরের পাশ দিয়া চলিয়া গেল,তাহারা তবে কী? পুরুষ নহে?
আরেক গল্পে এক শাশ্বত নারী শিশির তার স্বপ্নপুরুষকে খানিকটা ক্ষোভ দেখিয়ে বলছে,‘আচ্ছা, তোমার মাথায় এসব আজেবাজে ব্যাপার আসে কী করে,বল তো? তুমি না আমার রাজা; রাজা কেন এক টুকরো কিসমিসের ভিখেরি হবে? পারলে পুরো আমাকেই নিয়ে নাও না? পারবে? সে সাহস আছে?’
এরকম নানান আঙ্গিকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্প এসেছে এই আখ্যানে। নিজ জীবনের গল্পের শৈল্পিক বুনন ও সরল কথন কখন যে পাঠকের মনও স্পর্শ করে যায় তা পাঠক নিজেও হয়তো টের পাবেন না। এটুকু অন্তত জোর দিয়েই বলা যায়।
বিহঙ্গ সময়ের অ্যালবাম- Bihongo Somoyer Album
লেখক পরিচিতি :
মারুফ রায়হান। জন্ম করাচিতে। পৈতৃক নিবাস খুলনার ফুলতলায়। আশির দশকের প্রথমার্ধে ছাত্রাবস্থায় নাট্যান্দোলন, লেখালেখি ও সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন, সেই শুরু। প্রধানত কবিতাই লিখেন। এ পর্যন্ত ১৫টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া গুণীজনদের নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু বই। সাক্ষাৎকার মূলক বই আছে দু’টি। প্রবন্ধের বই আছে তিনটি।
হৃদয় ও রাজপথ
ফজিলা ইসলাম ফৌজি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ১৯৭২ সালের ৮ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস মেহেরপুর জেলার কোলা গ্রামের বাবু পাড়ায়। পিতার নাম মোঃ হাফিজ উদ্দিন মাতার নাম মোছাঃ রাকিবা বেগম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (অনার্স মাস্টার্স) শেষ করে ১৯৯৯ সালে রাজশাহীর ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
একান্ত নিভৃতে লেখালেখি দিয়ে কাব্য চর্চা শুরু। কবিতা, ছোট গল্প লেখার পাশাপাশি তিনি উপন্যাস লেখার চেষ্টা করছেন। লেখকের লেখা কবিতার বই “ মা‘কে মনে পড়ে” (২০১৪ অমর একুশে বইমেলা) থেকে প্রকাশিত, গল্পগ্রন্থ “মানচিত্রে রক্তক্ষরণ” (২০১৬) অনুপ্রাণন প্রকাশনা। স্বামী মোঃ আমিরুল ইসলাম। দুই সন্তানের জননী ফজিলা ইসলাম ফৌজির প্রিয় শখ বই পড়া, গান শোনা ও ক্রিকেট খেলা দেখা।
একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে
রবিউল ইসলাম। হাস্যরসের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রসিক আর আড্ডাপ্রিয়। হাস্যরসিক বন্ধুপ্রিয় এ মানুষটির জন্ম ১৯৭৭ সালেÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন গোমস্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবরামপুর গ্রামে। লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। বিভিন্ন গবেষণা পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর অনেক প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ইতোপূর্বে লেখকের ‘কই মাছটি এখনো নড়ছে’ (২০১৯) এবং ‘বিরুদ্ধ বাতাসে বালক’ (২০২০) শিরোনামে দুটি রম্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যাপিত জীবনের বাস্তবতা থেকে উৎসারিত তাঁর রম্যগল্পগুলো। গল্পগুলোতে ভারত সীমান্তের কোল ঘেঁষে বিরাজমান শিবরামপুর গ্রামের প্রকৃতি ও মানুষের সহজাত ঘটনা বর্ণিত হলেও এটি মূলত আবহমান গ্রামবাংলার রসময় চিত্র ।
রবিউল ইসলাম ২৬তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি ২০০৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজে প্রভাষক বাংলা পদে যোগদানের মাধ্যমে চাকুরিজীবন শুরু করেন। ইতোপূর্বে তিনি সহকারী অধ্যাপক, বাংলা পদে চাকুরি করেছেনÑ রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, বদলগাছী, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজে। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পি-এইচ.ডি গবেষণারত।
বাংলা সাহিত্যের বিচিত্র বিষয়ের তিনি একজন অনুসন্ধিৎসু পাঠক। লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন ছাত্রজীবন থেকেই।
‘চেরাগ আলীর ফুটবল কাল’ লেখকের প্রথম শিশুতোষ গ্রন্থ। এ গ্রন্থে তিনটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলো শিশুদের উপযোগী করে লেখা হলেও যে কোনো বয়সের পাঠক এর গল্পরস থেকে বঞ্চিত হবেন না। গল্পগুলোতে লেখকের শৈশবকালীন স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা শিশুমনের উপযোগী করে ব্যক্ত করা হয়েছে। কাহিনি বর্ণনায় হালকা রসের আশ্রয় নেয়া হয়েছে Ñ যা শিশুমনে অফুরান আনন্দ জোগাবে।
এ গ্রন্থে লেখকের শৈশব কৈশোরের দুরন্ত ও ঘটনাবহুল দিনগুলোর ছবি জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
চেরাগ আলীর ফুটবল কাল
চিত্রকল্প, উপমা, উৎপ্রেক্ষা সহযোগে রেজা রাজা’র কবিতায় চেতন ও অবচেতনের অদৃশ্য জগত মূর্ত হয়ে ওঠে। তাঁর কবিতা স্বপ্ন, কল্পনা, কামনা, বাসনার চিরন্তন প্রবৃত্তিকে অনন্য কাব্য ভাষায় প্রকাশ করে। অভিজ্ঞতার ঐশ্বর্যে ঋদ্ধ এসব কবিতা। যেন ঘোরলাগা মধ্যাহ্নের মাতাল মিউজিক বেজে ওঠে তাঁর পংক্তির পর পংক্তিতে। জাগতিক যন্ত্রণা আর অযথা হট্টগোলে অসহায় কবি রচনা করেন অনন্য কবিতা। প্রেম, কামনা, বাসনা, নস্টালজিক আবেগ, অনুভূতি কবিতার পরতে পরতে আলো ছড়ায়। কবিতাগুলি বেশির ভাগই বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
মধ্যাহ্নের মাতাল মিউজিক
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.