Additional information
Weight | 0.255 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.76 $ 2.35
সত্যি কথা বলতে গেলে রূঢ় এবং অসঙ্গত শোনাবে। তারপরও সত্য কখনো মূল্য হারায়না, সেই বিশ্বাসেই বলছি- যে অনুর্বর সামাজিক বলয়ে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, সাহিত্য সৃষ্টির মত মহান ব্রত সেখানে স্বপ্নেরও অগোচর। তবু সেই স্বপ্ন আমায় দুঃসাহসী করে তুলল। সাধারণের উপহাস তুচ্ছ জ্ঞান করে দুঃস্বপ্নের হাতছানি ভরা পথে চলতে গিয়ে কখন যেন এই দুর্গম পথের পথিক হয়ে উঠি। পথ ভালবেসে চলায় ছন্দ আসে। অন্তরের গভীরে নিভৃত এক সংকল্প জাগে- “সৃষ্টিশীলতায় নিমগ্ন হয়ে থাকাই আমার সাধনা। এর মধ্যে দিয়েই আমি জগৎ, জীবন এবং পরমেশ্বরের আনন্দ উপলব্ধি করার চেষ্টা করব।’’ একনিষ্ঠা ধরে রাখতে পারিনি- হয়তো দৃঢ় মনোবলের অভাবে কিন্তু পথভ্রষ্ট হবার ভয়কে জয় করেছি। জীবনে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন কাজের সন্ধান জানা নেই। তাই সাহিত্য সাধনাই আমার একমাত্র সুন্দরের উপাসনা। তার ধারাবাহিকতায় “রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন’’ ষষ্ঠ গল্প সঙ্কলন হিসেবে গ্রন্থিত হয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। লেখক মাত্রই পাঠক প্রিয়তার প্রত্যাশা করেন। আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে শঙ্কিত এ দূরাশা রইলই আগামীকালের জন্য।
পরিশেষে একথাটুকু না বললে বোধকরি সত্যের অপলাপ হবে- এই বন্ধুর পথ একেবারেই সঙ্গীবিহীন ছিল না। বন্ধু হয়ে, প্রেরণা হয়ে কেউ কেউ এসেছে মনের কাছে। ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের ছোট করার স্পর্ধা আমার নেই। প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন শ্রদ্ধাষ্পদ ড. অশোক মিস্ত্রী। প্রকাশনার কাজে সহধর্মীনী শ্রীমতি জয়া বিশ্বাস-এর সহযোগিতা না থাকলে বই প্রকাশ দুরূহ হত। ভুল-ভ্রান্তি যথা সম্ভব পরিহারের চেষ্টা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি।
Weight | 0.255 kg |
---|---|
Published Year |
জুলিয়ান সিদ্দিকী। জন্মÑ ১৯৬৮, পাকশী, পাবনা। বর্তমান আবাসস্থলÑ সৌদি আরব, পেশাÑ চাকুরী। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থÑ উত্তাপ কিংবা উষ্ণতা, কম্পেন্ডার, ছায়াম্লান দিন, ভালবাসার যাতনা যত প্রভৃতি। বাংলা লাইভ ডট কম সেরা গল্প পুরস্কার পেয়েছেন।
বিশ্বাসের দহন ও অন্যান্য গল্প
সোলায়মান সুমন। জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য।
ভগ্ন সময়ের কোলাজ
কামরুজ্জামান কাজল বয়সে অনেক নবীন হওয়া সত্ত্বেও [জন্ম ২৫ মার্চ ১৯৯১] এবং অণুগল্প চর্চায় খুব বেশিদিন অতিবাহিত না করলেও ‘দলছুট শালিকগণ’ নামে যে বইটি প্রকাশিত হল;-এর বৈচিত্র্যপুর্ণ বিষয়বস্তু এবং অণুগল্প সম্পর্কিত ধারণার সাথে লেখকের যে নিবিড় ঐক্য স্থাপিত হয়েছে- বইটির পাঠশেষে এই কথাটাই মনে করবেন বিজ্ঞপাঠকগণ।
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা এই যুবকের ইতিপুর্বে ‘ শ্যাম পাহাড়ের আড়ালে’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬’র একুশে বইমেলায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচারে স্নাতক শেষ করে লেখক বর্তমানে শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন।
‘দলছুট শালিকগণ’ কামরুজ্জামান কাজলের প্রথম অণুগল্পগ্রন্থ। অণুগল্পের ভিত্তি, বিকাশ এবং প্রচারে এই বইটি একটি মাইলফলক হিসেবে ভবিষ্যতে উচ্চারিত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
দলছুট শালিকগন
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
ভাস্কর চৌধুরী মূলত গল্প ও উপন্যাস লেখক। কবি হিসেবেও তার সমান খ্যাতি। লেখার মূল বিষয়বস্তু বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি ও মানুষ। জন্ম- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী শহরে। কর্মজীবনে চলে আসেন ঢাকায়। আশির দশক থেকে তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। মাঝে দশ বছর দীর্ঘবিরতির পর আবার লেখালেখিতে ফিসে আসেন। রক্তপাতের ব্যাকরণ তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এ পর্যন্ত বিশটিরও অধিক বই লিখেছেন। এর মধ্যে উপন্যাস ধনসা মাতি ও তার জীবনবৃক্ষ, গল্পÑ কৃষ্ণপুরাণ, গন্তব্যহীন যাত্রা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গল্পের বনসাই
হাসান মাহবুব। জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকায়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তিনি বুঝেছিলেন এ জায়গা তার জন্য নয়। চলে আসেন
আনন্দভ্রম
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে লেখকের নাম হাসান মাহবুব। তিনি নাড়–গোপাল দত্ত অথবা ইসমাইল আহমেদ নন। তিনি রবীন্দ্রনাথ বা আগাথা ক্রিস্টি নন। তিনি দূর আকাশের নীল নক্ষত্র, ধোঁয়া ওঠা কফির মগ, বাজারে মেয়েটির অপরিচ্ছন্ন অন্তর্বাস, ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল বাঁশি অথবা লোম কাটার মওসুমের ভেড়ার দীর্ঘশ্বাসও নন। তিনি লেখেন। তবে ‘তিনি’ই লেখেন কি-না এই নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ লেখার মতো পরিশ্রমের কাজে বছরের পর বছর এত শ্রম দিয়েছেন, দুটো বইও বের করেছেন (প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত এবং আনন্দভ্রম) তার সাথে এসব ঠিক যায় না। এত সব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি হাসান মাহবুব হবার চেষ্টা করছেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে আরো একটি বই প্রকাশ করে ফেললেন। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী!
নরকের রাজপুত্র
মাহতাব হোসেনের জন্ম ১৯৮৮ সালের ৮ জানুয়ারি। দিনাজপুর জেলার রেলওয়ে শহর পার্বতীপুরে। বর্তমানে দৈনিক কালের কণ্ঠে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত। শৈশবে ছড়া লিখে সাহিত্যের পথে পা বাড়ান। তনিমার সুইসাইড নোট তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
তনিমার সুইসাইড নোট
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
রুমা মোদক, মাতা: দীপ্তি রানী মোদক, পিতা: প্রিয়তোষ মোদক, জন্ম: হবিগঞ্জ। জেলা শহর থেকে প্রকাশিত সংকলনগুলোতে লেখালেখির মাধ্যমেই হাতেখড়ি। শুরুটা আরো অনেকের মতোই কবিতা দিয়ে। ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘নির্বিশঙ্ক অভিলাষ’। এরপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন মঞ্চনাটকে। রচনা করেন কমলাবতীর পালা, বিভাজন, জ্যোতি সংহিতা ইত্যাদি মঞ্চসফল নাটক। অভিনয়ও করেন। মঞ্চে নাটক রচনার পাশাপাশি নিরব অন্তঃসলিলা স্রোতের মতো বহমান থেকেছে গল্প লেখার ধারাটি। জীবন ও জগতকে দেখা ও দেখানোর বহুস্তরা এবং বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার উৎসারণ ঘটেছে ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন ‘ব্যবচ্ছেদের গল্পগুলি’তে। ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’ গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলোতে সে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে আরও নির্মোহ, একবগগা, খরখরে কিন্তু অতলস্পর্শী ও মমতাস্নিগ্ধ।
গল্প লেখার স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে পেয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের পক্ষ থেকে সেরা গল্পকারের পুরস্কার, ফেয়ার এন্ড লাভলী সেরা ভালোবাসার গল্প পুরস্কার। ২০১৪ সালে মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘তনুশ্রী পদক’।
বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পত্র-পত্রিকা, লিটলম্যাগ এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রকাশিত অন্তর্জাল সাহিত্য পোর্টালে লেখালেখিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী অনিরুদ্ধ কুমার ধর ও যমজ সন্তান অদ্বিতীয়া অভীপ্সা পদ্য ও অদ্বৈত অভিপ্রায় কাব্যকে নিয়ে হবিগঞ্জে বসবাস করছেন।
সিদ্দিকী হারুন
সাহিত্য ও সংবাদকর্মী
প্রসঙ্গটি বিব্রতকর
শাশ্বত নিপ্পন। জন্ম: মেহেরপুর, মে ১৮, ১৯৭০। পেশা: শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা। এবং সংস্কৃতিকর্মী ও নাট্যকর্মী। তার আরো দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছেÑ অনতিক্রম (২০১৩), পুনরুত্থান (২০১৪)।
অশনির ছন্দ
সুলতানা শাহরিয়া পিউ, জন্ম ২ অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সংগীত চর্চা করেন। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। শিক্ষকতা করেন। তার প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ- মেঘের সাথে কথা (কাব্যগ্রন্থ), ইংরেজী কাব্যগ্রন্থ ‘ট্রান্সকুইল সেরেনেইড এর অনুবাদ ‘নিমগ্র জলধারা’। বাংলা গীতিকবিতার অনুবাদ ‘অচিন’ দঁহশহড়হি’.
এ্যালবাম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্ত ংড়হম ড়ভভবৎরহমং থেকে আবৃত্তি ‘ভয়েজ টু দ্যা ইটারনাল হোম’ পঞ্চকবির গানের সমবেত কণ্ঠে ‘পঞ্চপ্রভা’।
মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প
মঞ্জু সরকার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কথাশিল্পী। ছোটগল্প, উপন্যাস ও শিশু-সাহিত্য রচনায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার। এছাড়াও ফিলিপস, ব্যাংক, আলাওল ও অগ্রণীব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ার ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
পেশাগত জীবনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের চাকরি ছাড়ার পর দুটি জাতীয় দৈনিকে সহকারী সম্পাদক হিসেবে এক দশক সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে স্বাধীন ও সার্বক্ষণিক লেখক। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় এক শত।
উলেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ – উপন্যাস: লেখক, অচল ঘাটের আখ্যান, অন্তর্দাহ, বরপুত্র, আবাসভ‚মি, দাম্পত্য বিলাস, দাঁড়াবার জায়গা, প্রতিমা উপাখ্যান, সিন্দুকের চাবি, যমুনা, নগ্ন আগন্তুক ও তমস । ছোটগল্প: অবিনাশী আয়োজন, মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, অপারেশন জয়বাংলা, রূপান্তরের গল্পগাথা, অগস্ত্যযাত্রা ও অন্যান্য গল্প। শিশু-সাহিত্য: ছোট্ট এক বীরপুর”ষ, নান্টুর মেলা দেখা, মস্ত বড়লোক, যুদ্ধে যাওয়ার সময়, ডিজিটাল দীপু ও মুক্তিযোদ্ধা দাদু।
মঞ্জু সরকারের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩, রংপুরে
রাজনৈতিক গল্প
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৩ এর জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বিবিসি’র খবর, ২০০৯ থেকে গত ১৩ বছরে খেলাপি বেড়েছে ৬ গুণ।
খেলাপি কমানোর দায়িত্ব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের নিতে হবে- এ বক্তব্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরের। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স-বাংলাদেশ (এবিবি) বলেছে- খেলাপি নিয়ন্ত্রণ একাকী সম্ভব নয়। তবে এবিবি’র সুপারিশ মত ব্যবস্থা নিলে নাকি ২ বছরে খেলাপি শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে।
খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিল পাস। খেলাপিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, পিপলস ব্যাংক চেয়ারম্যান আটক। বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি: ৫৮ মামলার আসামি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের চিঠি।
২০২৩ এর ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭,৮৬,০৬৫ জন। অর্থমন্ত্রী ২০২০ সালে সংসদে ৮,২৩৮ প্রতিষ্ঠানের খেলাপির তালিকা দেন। এই সংখ্যাগুলো বাড়ে বেশি, কমে খুবই সামান্য।
২০১৯ এর জুন পর্যন্ত খেলাপির অর্থে কী কী হতো? সিপিডি’র সমীক্ষায় এর জবাব পাওয়া গেছে। ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকায় পদ্মা সেতু সড়কে ব্যয়ের অঙ্কের সমান ৩টি সড়ক সেতু অথবা পদ্মা সেতু রেল লিংকের সমান আরও ৩টি রেল সেতু বা মাতারবাড়ীর মতো ৩টি বিদ্যুৎ প্রকল্প অথবা ঢাকা মেট্রোরেলের মতো ৫টি প্রকল্প বা দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং ঘুমধুমের মতো ৬টি রেলপথ কিংবা রামপালের মতো ৭টি বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করা যেতো।
তাই প্রশ্ন উঠছে, জনগণ ও রাষ্ট্রের এই বিপুল পরিমাণ খেলাপির টাকা বছরের পর বছর কেন অনাদায়ী পড়ে থাকবে?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল কান্ডারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ। এর দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতা ও আলোর দিশারী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অনেক দৃশ্যমান সাফল্যলাভ হয়েছে। মানুষের বিশ্বাস, দেশপ্রেমিক এই জাতীয় নেতার নির্মোহ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই লাখ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণও পুনরুদ্ধার হবে। এবং দেশে শুরু হবে আরও মৌলিক সমস্যা নিরসন, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের উৎসব।
Khelapi Rin : Khomotaboly Ebong Unnoyon Prekkhit
ল-লি-তা; গত শতকের নিষিদ্ধ উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম। একইসাথে বিগত শতাব্দীর সেরা উপন্যাসগুলোর একটি। বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসিক ভøাদিমির নবোকভের (১৮৯৯-১৯৭৭) এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘ললিতা’। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৫৫ সালে প্যারিসে ইংরেজি ভাষায়, এরপর ১৯৫৮ সালে নিউ ইউর্ক সিটিতে এবং ১৯৫৯ সালে লন্ডনে। প্রকাশের কিছুকাল পরেই যৌন বিষয়বস্তুর অসুস্থ উপস্থাপনা বলে আখ্যায়িত করে উপন্যাসটিকে বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে ভ্লাদিমির নবোকভ নিজেই রাশিয়ান ভাষায় উপন্যাসটি অনুবাদ করেন।
বাংলা ভাষায় আমার অনুবাদের ক্ষেত্রে সাবলীল পাঠযোগ্যতার খাতিরে আক্ষরিক অনুবাদের স্থলে ভাবানুবাদই বেছে নিতে হয়েছে। মূল উপন্যাসে অনেক ফ্রেঞ্চ লাইন ছিল। পাঠকের সুবিধার্থে সেগুলোকে বাংলায় তর্জমা করা হয়েছে। রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত ‘ললিতা’র সাহায্যও নিতে হয়েছে। আমেরিকার ভূগোল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে। তাই সহায়িকা হিসেবে আমেরিকান বিভিন্ন ভূগোল বইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
ললিতা উপন্যাসটি কেবল নিষিদ্ধ প্রেম, প্রণয় বিষয়ক নয়। বরং এটি আদর্শ মনস্তাত্বিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিল্পে কখনো অশ্লীলতা থাকে না, অশ্লীলতা থাকে আমাদের মগজে। অপরদিকে স্রেফ অশ্লীলতাকেও আমি শিল্প বলতে রাজি নই। সেই হিসেবে বইটি নোংরামিমুক্ত। এবং ভøাদিমির নবোকভের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে তাঁর অমর সৃষ্টি ললিতাকে পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
ললিতা
আমি একজন প্রেমিক পুরুষ। আমি ভালোবাসি প্রেমিকা নারীকে। আমি চাই নর-নারীগণ প্রেম, কাম আর চুম্বনে নিমজ্জিত থাকুক। কিন্তু তীব্র প্রেম মানেই তীব্র যন্ত্রণা। যা শুরু হয়, তার শেষও হতে হয়। সহমরণ ছাড়া যন্ত্রণামুক্তির কোনো উপায় নেই। আর তাই এই গল্পগুলি যেমন ভালোবাসার, তেমন যন্ত্রণারও।
Melody Tomar Nam by Hasan Mahbub
ফাঁদ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্র ছিল পুষ্প ও কাদের। ফাঁদ উপন্যাসটি পাঠকের প্রশংসা পাওয়ার পর মনে হলো এই চরিত্র দুটি দিয়ে উপন্যাসটিকে সম্প্রসারণ করা যায় এবং তখন এর দ্বিতীয় খ- লেখার পরিকল্পনা করা হয়। আপন ভগ্নিপতি দ্বারা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের অপূর্ব সুন্দরী কিশোরী পুষ্প বাধ্য হয়ে আবাসিক পতিতা হয়ে ধন্যঢ্য পুরুষের মনোরঞ্জন করে। একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভগ্নিপতির ওপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটানোর ফলে ভগ্নিপতি আত্মহত্যা করে এবং পুষ্পর জেল হয়। সেই বাসার দারোয়ান ছিল এমএ পড়–য়া কাদের। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পুষ্প ও প্রেমিক কাদের নতুন করে জীবনের স্বপ্ন দেখে, ঘর বাঁধে। অস্থিত্ববাদী কাদের ও পুষ্প যথাসম্ভব লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে কঠোর পরিশ্রম করে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। কিন্তু সমাজ কি আর তাদের জন্য সেই সুযোগ অবারিত? সামাজিক ও পারিবারিক নানা রকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় তাদেরকে প্রতি নিয়ত। দুটি জমজ সন্তানও হয়। কঠোর পরিশ্রমী কাদের যখন একটি স্বপ্নময় সুখের সংসারের স্বপ্ন দেখছিল তখনই তার জীবনে নেমে আসে এক কঠিন প্রাণহারী আঘাত।
এই উপন্যাস ধারণ করেছে সময়। চরিত্রগুলোর নির্মাণ ও মনস্তাত্ত্বিক নিবিড় বিশ্লেষণ পাশাপাশি নব্বই দশকের শেষ এবং শূন্য দশকের শুরুর দিককার সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন ও ঘটনাবলি উপন্যাসটির ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
পুষ্পকথা
জীবনের অন্য নাম প্রকৃতি, প্রকৃতি জন্ম দেয় অন্তর্গত ভাবাবেগকে,এই ভাবাবেগই লেখায় কবিতা। যে কবিতা জীবন পাতার শিরায় শিরায় ঘটায় আলোক সংশ্লেষণ! জীবনকে নতুন পাতার মত সতেজ করে, সবুজ করে। কবিতা মুখে নিয়ে জন্ম আমার। ঘুম ভাঙলেই দেখতাম মা পায়চারি করছেন আর কবিতা আওড়াচ্ছেন, হে মোর চিত্ত পূণ্য তীর্থ জাগোরে ধীরে অথবা আমি হব সকাল বেলার পাখী…
নির্ঘুম দুুপুরে ছিল আমার মেঘের সাথে কথা চলাচলি! এমনি করে কবিতা আর প্রকৃতি মিলেমিশে এক হয়ে যেত। ক্রমশ তা হৃদগভীরে আরও প্রস্থিত হতে থাকল মৌন প্রকৃতির মৌনতাতে মুগ্ধ হতে হতে কি এক অসীম রহস্যের হাতছানিতে ছুটে চলল মন! টের পেলাম জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রকৃতি কেমনে নীরবে তার কাজ করে যায়। তাইতো ছায়া বললে বৃক্ষের কথা মনে আসে। আর বৃক্ষ মনে করিয়ে দেয় পিতা বা মাতাকে।
কিন্তু হঠাৎ একদিন জানলাম এই মৌনই নীরবতা ভেঙে ফুঁসে উঠতে পারে মানুষের অপকর্মের প্রতিবাদে- বজ্রপাত, সাইক্লোন, জলোচ্ছাস, আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাত, বন্যা, তুষারঝড়ের রুপে। এই প্রকৃতি আমাদের প্রতিবাদী হতে যুদ্ধবাজ হতে শেখায়। আবার নম্রতার থেকে শেখায় ধ্যানমগ্ন হতে, অসীম সহ্যক্ষমতার অধিকারী হতে। ছোটবেলায় সেদিন প্রথম গেলাম শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীতে সেদিন শুনলাম একুশের প্রথম কবিতা- জানলাম রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার কথা- জানলাম বাংলার সবুজ জমিনে লাল সূর্যের কথা! আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম প্রকৃতি আমাকে কবিতা লেখাচ্ছে। অনুভব করলাম ভালোবাসি প্রকৃতিকে, প্রেমে পড়েছি! আমার লেখার মূল উপজীব হয়ে উঠেছে প্রকৃতি প্রেম। প্রকৃতি নাই আসলে ঈশ্বর বন্দনটি অথচ সবকিছু ছাপিয়ে মনের ভেতর যে ক্ষরণ টের পাই- তার একটাই জিজ্ঞাসা- যীশুখৃষ্টের জন্মস্থানে পঞ্চাশ হাজার গর্ভবতী মায়েরা কি নির্বিঘ্নে প্রসব বেদনা ভুলবে? বিশ্ব শান্তির পক্ষে কি নবজাতকেরা গেয়ে উঠবে গান? কেমন পৃথিবী চিনবে ওরা? ওদের প্রাণে কি জাগবে নতুন পাতা, সবুজ গাথা? নতুন বছওে ওদের কানে কি পৌঁছুবে আমার কবিতা?
Tar Nam Chayar Moton
মৃত্যু সংবাদ এমনই একটা বিষয় মুহূর্তে পৃথিবীর গতি স্তব্ধ করে দেয়। পরিচিত বা কাছের জনের মৃত্যু হলে তা আরও ভারী বোধহয়। মনে হয় যেন নিজেরই একটা অংশ মরে গেছে। এত সুন্দর মায়াময় প্রভাতটা নিমেষের মধ্যে অর্থহীন, শ্রীহীন হয়ে যায়।
একটি স্বেচ্ছামৃত্যু ও কিছু রসিকতা
বাংলা সাহিত্যে অনেক কবিতা আছে যার ভেতরে গল্প আছে, কাহিনি আছে। আবার অনেক কবিতা এমন কিছু অনুভূতি বা ভাবে ডুবিয়ে দেয় যা থেকে গল্প বা কথাসাহিত্য নির্মাণ করা যেতে পারে। এমনকি কিছু কবিতা আছে যার ভেতরে এমন কিছু চরিত্র আছে, যে চরিত্রগুলোকে কেন্দ্র করে গল্প দাঁড় করানো যায়। যেমন, এক বনলতা সেনকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস লেখা হয়েছে। কবিতাকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠা বেশ কিছু গল্প এক মলাটে আনার প্রয়াসেই এ সংকলনের পরিকল্পনা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে—কেন এমন সংকলন? কেন কবিতাকে গল্পে রূপান্তরের প্রয়াস? গল্প লেখার বিষয় বা প্লট কি এতই অপ্রতুল হয়ে পড়ল যে কবিতার আশ্রয় নিতে হবে, কবিতাকে অবলম্বন করতে হবে? কবিতা কবিতার মতো থাক কবিতার জগতে, গল্প গড়ে তুলুক গল্পের জগৎ। দুটো জগতকে এক জগতে একাকার করার যৌক্তিকতা কী? প্রশ্নগুলো আকাশ-বাতাস থেকে আসে নি, আমাদের ভেতর থেকেই এসেছে। আসলে আমার কাছে যে উত্তর আছে তাকে শক্ত কোনো যৌক্তিক উত্তর দাবি করছি না। আর প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গে যাবই না। এতটুকু বলতে পারি—ভাবনাটা যখন মাথায় এসেছিল তখন একটা বিষয় আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তা হলো ‘বন্ধন’। কবিতাকে গল্পে রূপান্তর—কবিতা আর গল্পের মাঝে কি একটা বন্ধন তৈরি করছে না? সাহিত্যের অন্যতম দুটি শাখা হিসেবে কবিতা এবং গল্পের মাঝে গড়ে ওঠা এমন বন্ধন সাহিত্যের কোনো ক্ষতি অন্তত করবে না—এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়। জোর দিয়ে এ-ও বলা যায়, কবিতার বীজে গড়ে ওঠা গল্প বরং কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ করবে কথাসাহিত্যকে—এ সংকলনে লিপিবদ্ধ গল্পগুলো সে স্বাক্ষরই বহন করছে।
এ সংকলনের পাঠকদের জন্য আগাম শুভকামনা।
গল্পরূপে প্রিয় কবিতা
যতবার নিজেকে প্রশ্ন করি। মানুষের কোন ভবিষ্যৎ আছে?
উত্তর একটাই, মানুষ স্মৃতি ছেনে বাঁচে। ভবিষ্যৎ এক মিছে সম্ভাবনা।
আমার এই কাব্যও তাই, স্মৃতির ভেতর থেকে তুলে আনা দানা
যা খেয়ে খেয়ে একটা জীবন–পাড়ি দিচ্ছে মৃত্যুর রহস্যময় মৃত্যুর ধাঁ ধাঁ।
মৃত্যুই যেখানে শেষ নয় - Mrityui Zekhane Shesh Noy
বর্তমান শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক চলছে। এ দশকে কিছু নবীন কবিদের দেখা মেলে। যাদের শব্দশিল্প, অনুভবভেদ্য চিন্তাশৈলী নিজস্ব কাব্যভাষার নির্মাণের অভিঘাতে শিল্পিত হয়ে উঠতে দেখি। নতুন শতাব্দীর এসব কবিগণও বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য থেকে সরে আসেননি, বরং শিল্পের দায় স্বীকার এবং এর চাহিদার সঙ্গে মানবিক উৎকর্ষতা সন্নিবেশনে ছিলেন আত্মপ্রত্যয়ী। তাঁদেরই একজন কবি বঙ্গ রাখাল।
এই কবি সময়কে জীবনের অনুষঙ্গ মেনে চিত্তের মৌনতা ও দ্রোহকে কবিতার ক্যানভাসে তুলে আনেন, যা যাপিত জীবনের পরম্পরা ও সমূহ সত্যটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণসহ উদ্ভাসিত করে। কবির মনোজলোকে কামনা-বাসনার জটিল আবর্তে তাকে পরিগ্রহ হতে দেখি। তখন কবিতা হয়ে ওঠে রূপবিশ্বের অমেয় আঁধারের শক্তিশালী এক রূপকল্প। তবে এ বিষয়টি কবি বঙ্গ রাখালের গদ্যফর্মে লিখিত কবিতার মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত হয়।
বঙ্গ রাখালের কবিতাকেও কখনো কখনো উদ্দেশ্যহীনভাবে গন্তব্যমুখী হতে দেখা যায়। এই দ্বন্দ্ব মূলত কবির দৃষ্টিভঙ্গিগত এবং সামষ্টিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে স্পষ্ট। সাম্প্রতিক কবিদের কবিতার নিবিড় পাঠে এই সত্য নিদারুণভাবে উঠে আসে। তথাপি বঙ্গ রাখালের কবিতায় মা-মাটি-মানুষের গন্ধ যে নেই তা বলা যাবে না। বিশেষত এই কাব্য লণ্ঠনের গ্রাম-এর ‘পদ্মপুরাণ: অর্ধেক জীবন অর্ধেক ছেদন’ পর্বের কবিতাগুলোতে তা প্রত্যক্ষ হয়ে উঠেছে। বঙ্গ রাখালের কবিতায় পাঠক যেমন বিজ্ঞানচেতনার নিরাসক্তি খুঁজে পাবেন, তেমনি আবেগ ও মননশীলতার উজ্জীবনও উপলব্ধি করবেন।
-মামুন মুস্তাফা
লণ্ঠনের গ্রাম
লেখক পরিচিতি :
আশরাফ জুয়েল। জন্ম: ৩০শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৭, চাপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ। বাবার চাকরির সুত্রে শৈশব কেটেছে যাযাবরের মতো। জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া থেকে এমবিবিএস পাশের পর ঢাকাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পোস্ট গ্রজুয়েশন করে বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় কর্মরত। ‘মস্তিষ্ক নাকি হৃদয়’। মূলত এই প্রশ্নের উত্তর খুজতেই লেখালেখিতে পুনর্জন্ম।
যুদ্ধ ছাড়া শুদ্ধতা অসম্ভব
শৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্রর মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে…
গুহা
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.