Additional information
Weight | 0.205 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
আমাদের অণুগল্প দুনিয়ায় একজন অসামান্য অণুগল্পকার আছেন। তার অণুগল্পের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল- বিষয় নির্বাচন। এই অণুগল্পকার মনে করেন অণুগল্প অণুগল্প হয়ে উঠল কি না সেটা প্রাথমিকভাবে নির্ভর করে গল্পটির বিষয়বস্তু কি- সেটার ওপর। তারপর অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে। এইসব ভাবনা থেকেই হয়ত তার গল্পের মধ্যে বিচিত্র বিষয় এসে ধরা দেয় ভিন্নরূপে।
যার সম্পর্কে কথা বলছি তিনি- শাহেদ সেলিম। শাহেদ সেলিম অণুগল্পভাবুক।
অনেক বিষয় নিয়ে তার অণুগল্পচর্চা, কিন্তু একটি বিশেষ বিষয়ে তার দক্ষতা অপ্রতিরোধ্য।
সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প হিসেবে শাহেদ সেলিম এর তুলনা নেই। নজরকাড়া উন্নতমানের সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তার ভেতরে একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক বাস করে। ‘বিজ্ঞান এবং কল্পনা’ -এই দুইয়ের যথাযথ সংকরায়নে তৈরি হয় যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, শাহেদ সেদিক থেকে পরিপূর্ণ। সে ইচ্ছে করলেই লিখতে পারে সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প -এ বিশ্বাস আমার ছিল অনেক আগে থেকেই।
বর্তমান গ্রন্থটি সায়ন্স ফিকশন ছাড়াও অন্যান্য অণুগল্পের মিশেলে অসামান্য একটি প্রকাশনা।
-বিলাল হোসেন
Weight | 0.205 kg |
---|---|
Published Year |
মির্জা মুজাহিদ। পেশাগতভাবে বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত। জন্মেছেন নড়াইল শহরে। এখন ঢাকায় থাকেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিয়মিত ‘কথা’র শিল্পী হতে।
বিপ্রতীপ
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
রুমা মোদক, মাতা: দীপ্তি রানী মোদক, পিতা: প্রিয়তোষ মোদক, জন্ম: হবিগঞ্জ। জেলা শহর থেকে প্রকাশিত সংকলনগুলোতে লেখালেখির মাধ্যমেই হাতেখড়ি। শুরুটা আরো অনেকের মতোই কবিতা দিয়ে। ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘নির্বিশঙ্ক অভিলাষ’। এরপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন মঞ্চনাটকে। রচনা করেন কমলাবতীর পালা, বিভাজন, জ্যোতি সংহিতা ইত্যাদি মঞ্চসফল নাটক। অভিনয়ও করেন। মঞ্চে নাটক রচনার পাশাপাশি নিরব অন্তঃসলিলা স্রোতের মতো বহমান থেকেছে গল্প লেখার ধারাটি। জীবন ও জগতকে দেখা ও দেখানোর বহুস্তরা এবং বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার উৎসারণ ঘটেছে ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন ‘ব্যবচ্ছেদের গল্পগুলি’তে। ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’ গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলোতে সে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে আরও নির্মোহ, একবগগা, খরখরে কিন্তু অতলস্পর্শী ও মমতাস্নিগ্ধ।
গল্প লেখার স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে পেয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের পক্ষ থেকে সেরা গল্পকারের পুরস্কার, ফেয়ার এন্ড লাভলী সেরা ভালোবাসার গল্প পুরস্কার। ২০১৪ সালে মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘তনুশ্রী পদক’।
বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পত্র-পত্রিকা, লিটলম্যাগ এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রকাশিত অন্তর্জাল সাহিত্য পোর্টালে লেখালেখিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী অনিরুদ্ধ কুমার ধর ও যমজ সন্তান অদ্বিতীয়া অভীপ্সা পদ্য ও অদ্বৈত অভিপ্রায় কাব্যকে নিয়ে হবিগঞ্জে বসবাস করছেন।
সিদ্দিকী হারুন
সাহিত্য ও সংবাদকর্মী
প্রসঙ্গটি বিব্রতকর
১০০ অণুগল্প
মাহতাব হোসেনের জন্ম ১৯৮৮ সালের ৮ জানুয়ারি। দিনাজপুর জেলার রেলওয়ে শহর পার্বতীপুরে। বর্তমানে দৈনিক কালের কণ্ঠে সাব এডিটর হিসেবে কর্মরত। শৈশবে ছড়া লিখে সাহিত্যের পথে পা বাড়ান। তনিমার সুইসাইড নোট তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
তনিমার সুইসাইড নোট
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত।
ছায়াগুলো জেগে থাকে
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ: মুই তোরে কোচ পাং (২০০৯), সম্পাদনাÑ পঞ্চায়ুথ। সম্পাদিত পত্রিকাÑ রুদ্র, গল্প।
বাংলা সাহিত্যের সেরা গল্প
সুলতানা শাহরিয়া পিউ, জন্ম ২ অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সংগীত চর্চা করেন। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। শিক্ষকতা করেন। তার প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ- মেঘের সাথে কথা (কাব্যগ্রন্থ), ইংরেজী কাব্যগ্রন্থ ‘ট্রান্সকুইল সেরেনেইড এর অনুবাদ ‘নিমগ্র জলধারা’। বাংলা গীতিকবিতার অনুবাদ ‘অচিন’ দঁহশহড়হি’.
এ্যালবাম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্ত ংড়হম ড়ভভবৎরহমং থেকে আবৃত্তি ‘ভয়েজ টু দ্যা ইটারনাল হোম’ পঞ্চকবির গানের সমবেত কণ্ঠে ‘পঞ্চপ্রভা’।
মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
সোলায়মান সুমন। জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য।
ভগ্ন সময়ের কোলাজ
ফজিলা ইসলাম ফৌজি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ১৯৭২ সালের ৮ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস মেহেরপুর জেলার কোলা গ্রামের বাবু পাড়ায়। পিতার নাম মোঃ হাফিজ উদ্দিন মাতার নাম মোছাঃ রাকিবা বেগম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (অনার্স মাষ্টার্স) শেষ করে ১৯৯৯ সালে রাজশাহীর ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
মানচিত্রে রক্তক্ষরণ
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
এই জন্মটা দলিল করেছি তোমার নামে
কবি খাতুন জান্নাতের জন্ম 12 জুলাই 1969 সাল । সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ থানার গোয়াল টিলায়। পৈত্রিক নিবাস লক্ষীপুর জেলার সদর থানায়। মাতা গোলেয়ারজান বেগম, পিতা: শমছুল হক মিয়া। 9 ভাইবোনের মধ্যো তিনি অস্টম। কবি শশব থেতক নিয়মিত লেখা লেখি করে আসছেন। কবির লেখা ছড়া ‘বৃষ্টি’ 1998 সালে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লিখেছেন ছড়া, কবিতা, গল্প। ‘দিনান্তে দেখা হলে’, ‘জীবনের কাছে ফিরে’, ‘নিরন্তন রোদের মিছিলে’ উল্লেখযোগ্য কয়টি কবিতা গ্রন্থ। কয়েকটি উপন্যাসও লিখেছেন।
তিনি পেশায় শিক্ষক ও সমাজকর্মী। তিনি একজন সৌখিন চিত্রশিল্পীও।
মুঠো খুলে দেখি
সাহিত্যের অন্যতম সংরূপ ছোটগল্প। জীবনের খণ্ড খণ্ড মুহূর্তগুলোকে গল্পকারগণ শিল্পরূপ দিতে ব্যপ্ত হলেও বোদ্ধাদের তীর্যক চোখের তরবারি দীপ্তিতে শিল্পস্বীকৃতি পেতে বাধা পায়। তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণদৃষ্টিতে গল্পের ভাব-সুষমা, আঙ্গিক-প্রাঙ্গিক, গঠনশৈলী, পরিবেশনভঙ্গিতে ত্রুটি দৃশ্যত হলেও সৌমেন দেবনাথের গল্পগুলি পাঠান্তে মনে হয়েছে বর্ণনা নান্দনিক, শিল্পশর্তেও উত্তীর্ণ। দৈর্ঘ্যে হ্রস্ব কাহিনি-কল্পে মাধুর্য ও সৌন্দর্য সুপরিস্ফুট। সমাজ-সমস্যা, আদর্শ-বৈষম্য, অসামঞ্জস্য, বিসংগতির পাশাপাশি সৌন্দর্যতন্ময়তা, ভাবাদর্শ, স্বপ্ন-কল্পনার সংমিশ্রণে যে গল্পসৌষ্ঠব নির্মিত হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। মহাকালের ঘূর্ণাবর্তে ব্যক্তিসত্ত্বা হারালেও সৃষ্টিশীল কর্ম মূর্ত-বিমূর্ত পাতায় বেঁচে থাকে। যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের পাড়ে জন্ম সৌমেন দেবনাথের গল্পের ভেতরের যে জীবন বীক্ষণ-পর্যবেক্ষণ, চারিত্রিক লীলার বিকার-বিকাশ, রস-সৌন্দর্য, যুগ-চিত্ত চৈতন্য উন্মোচিত তা বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় প্রাসঙ্গিক যা কালোত্তীর্ণ হতেও পারে। সৃষ্টিশীল কর্ম শিল্পমানে অনুত্তীর্ণ হলেও সমালোচনার পরিবর্তে সাধুবাদ জানানো যুক্তিযুক্ত। তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘দারিদ্র্যের কাঠগড়ায়’ এর মতই তাঁর এই দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘এক উপেনের জীবনালেখ্য’ পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা পাক এবং তাঁর মনের মধ্যের গল্পসাহিত্যের সত্ত্বা চারাটি বৃক্ষ রূপ নিয়ে পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে ফুলে-ফলে মঞ্জুরিত-বিকশিত হোক এই প্রত্যাশা থাকলো।
এক উপেনের জীবনালেখ্য
Dwitiyo Shrabone Prothom Kadam
লেখক পরিচিতি :
হাসান মসফিক। পুরো নাম: সৈয়দ মাহবুব মসফিকুল হাসান। জন্ম: লোহাগড়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে দেশীয় ঔষধ কোম্পানীর বানিজ্যিক বিভাগে কর্মরত আছেন। ২০১১ সালের শেষের দিকে লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের জনপ্রিয় ওয়েবজিন বিভুঁই এর সম্পাদনা পরিষদের সাথে জড়িত।
মায়া ফড়িঙ
সরদার ফারুক। জন্ম ১৯৬২ সালের ৯ নভম্বের, কপোতাক্ষ নদের তীরে খালিশপুরে। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের কাশীপুর। পেশায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বরিশালে ঘাট শ্রমিকদের ?আন্দোলন, ডেমরায় শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সংগ্রাম ও বাজিতপুরের জেলেদের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি সরকারী চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনও করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮০ সালে বরিশালের অধুনালুপ্ত ‘সাপ্তাহিক লোকবাণী’ পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে শামসুর রাহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক দেশ, সংবাদসহ দেশ-বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকীতে তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
নোনা শহর
গদ্যের খটখটে শিলাময় আস্তর বিদীর্ণ করে তারই গর্ভ থেকে উঠে আসে কবিতার কম্প্র সবুজ। জীবনের বিস্তৃত দৃশ্যমান ভ‚গোলে গদ্যের সংক্রাম যত প্রবল, তত তীব্র দ্রোহে জেগে ওঠে কবিতার প্রাণ-প্রতিবাদ। অনিকেত সুর-এর কবিতা ব্যক্তির একান্ত অনুভবজগতের দলছুট খেয়ালি বিমূর্ত লীলাচার নয়, আমাদের সামষ্টিক ও সাধারণ বস্তু-অভিজ্ঞতার সে স্বতঃস্ফ‚র্ত সরল প্রতিভ‚। বাংলা কবিতার ছিন্নপথে উন্মার্গচারিতার খেচর হতে তিনি নারাজ। প্রতীচ্য পন্থার আত্মরহিত অনুকরণে ‘আধুনিক’ গড্ডলিকা স্রোতের যাত্রীও তিনি নন। এই গ্রন্থে ধৃত তাঁর কাব্যপ্রচেষ্টা স্থানিক কৌম সমাজের চর্চিত জীবন, তার আলো ও আঁধি এবং ব্যক্তির আত্মনিমগ্ন ধ্যানজগতকে বাংলা কাব্যধারার নিজস্ব সহজ গীতল ধর্মে একটি একক অবিভাজ্য ভারসম দেহসমগ্রে জুৎসই মিলিয়ে দিয়েছে।
Ghurisokha, Tore Sathe - A Collectin of Poems - Aniket Sur
লেখক পরিচিতি :
সাদাত হোসাইন। জন্ম: ২১মে. ১৯৮৪।
তরুণ লেখক, আলোকচিত্রী ও নির্মাতা। যার কবিতার বইটি প্রকাশের আগে উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের কবিতা ভাবনাটা খুব সোজা, কবিতা হচ্ছে এমন এক শিল্প যার মাঝে যখন ইচ্ছে তখন টুপ করে ডুব দেয়া যায়। লেখকের নির্মাণ ÔবোধÕ স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্রটি দেশে বিদেশে যথেস্ট সমাদৃত হয়েছে। ২০১৩ সালে Ôকালচারাল এচিভমেন্টÕ ক্যাটাগরিতে জিতে নিয়েছেন Ôজুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালÕ-এর Ôটেন আইটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস অফ বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডÕ।
যেতে চাইলে যেও
খোঁচা
খোঁচা খুব ঔষধী
খোঁচা খুব বেয়াড়া,
খেলে খায় খুশিতে
কারো লাল চেহারা।
খোঁচা খায় বঁধুয়া
কলতান হাসিতে,
খোঁচা চায় প্রেমিকা
চায় ভালোবাসিতে।
খোঁচা দাও বাবুকে
সারাক্ষণ জ্বালাতো,
হবে ভাব ত্বরিতে
আগে দূর পালাতো।
খোঁচা দাও সুযোগে
খোঁচা দাও বুঝিয়া
খোঁচা দাও সমাজে
খোঁচা দাও খুঁজিয়া।
খোঁচা দাও জাগাতে
যারা ঘুম জাগে না,
বসে দাও চেয়ারে
যাঁরা পদ মাগে না।
খোঁচা
লেখক পরিচিতি :
সাবরিনা সিরাজী তিতির। জন্ম: ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫। বেড়ে ওঠা ফরিদপুরে। শিক্ষকতা করেছেন ফরিদপুরেই। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রকাশিত হয়েছে দু’টি কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘ হয়ে যাই’ ও ‘আগুনজল’। একটি গল্পগ্রন্থ ‘রঙের ওপারে’।
সত্যি মুখোশ মিথ্যে মুখোশ
জীবনের অন্য নাম প্রকৃতি, প্রকৃতি জন্ম দেয় অন্তর্গত ভাবাবেগকে,এই ভাবাবেগই লেখায় কবিতা। যে কবিতা জীবন পাতার শিরায় শিরায় ঘটায় আলোক সংশ্লেষণ! জীবনকে নতুন পাতার মত সতেজ করে, সবুজ করে। কবিতা মুখে নিয়ে জন্ম আমার। ঘুম ভাঙলেই দেখতাম মা পায়চারি করছেন আর কবিতা আওড়াচ্ছেন, হে মোর চিত্ত পূণ্য তীর্থ জাগোরে ধীরে অথবা আমি হব সকাল বেলার পাখী…
নির্ঘুম দুুপুরে ছিল আমার মেঘের সাথে কথা চলাচলি! এমনি করে কবিতা আর প্রকৃতি মিলেমিশে এক হয়ে যেত। ক্রমশ তা হৃদগভীরে আরও প্রস্থিত হতে থাকল মৌন প্রকৃতির মৌনতাতে মুগ্ধ হতে হতে কি এক অসীম রহস্যের হাতছানিতে ছুটে চলল মন! টের পেলাম জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রকৃতি কেমনে নীরবে তার কাজ করে যায়। তাইতো ছায়া বললে বৃক্ষের কথা মনে আসে। আর বৃক্ষ মনে করিয়ে দেয় পিতা বা মাতাকে।
কিন্তু হঠাৎ একদিন জানলাম এই মৌনই নীরবতা ভেঙে ফুঁসে উঠতে পারে মানুষের অপকর্মের প্রতিবাদে- বজ্রপাত, সাইক্লোন, জলোচ্ছাস, আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাত, বন্যা, তুষারঝড়ের রুপে। এই প্রকৃতি আমাদের প্রতিবাদী হতে যুদ্ধবাজ হতে শেখায়। আবার নম্রতার থেকে শেখায় ধ্যানমগ্ন হতে, অসীম সহ্যক্ষমতার অধিকারী হতে। ছোটবেলায় সেদিন প্রথম গেলাম শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীতে সেদিন শুনলাম একুশের প্রথম কবিতা- জানলাম রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার কথা- জানলাম বাংলার সবুজ জমিনে লাল সূর্যের কথা! আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম প্রকৃতি আমাকে কবিতা লেখাচ্ছে। অনুভব করলাম ভালোবাসি প্রকৃতিকে, প্রেমে পড়েছি! আমার লেখার মূল উপজীব হয়ে উঠেছে প্রকৃতি প্রেম। প্রকৃতি নাই আসলে ঈশ্বর বন্দনটি অথচ সবকিছু ছাপিয়ে মনের ভেতর যে ক্ষরণ টের পাই- তার একটাই জিজ্ঞাসা- যীশুখৃষ্টের জন্মস্থানে পঞ্চাশ হাজার গর্ভবতী মায়েরা কি নির্বিঘ্নে প্রসব বেদনা ভুলবে? বিশ্ব শান্তির পক্ষে কি নবজাতকেরা গেয়ে উঠবে গান? কেমন পৃথিবী চিনবে ওরা? ওদের প্রাণে কি জাগবে নতুন পাতা, সবুজ গাথা? নতুন বছওে ওদের কানে কি পৌঁছুবে আমার কবিতা?
Tar Nam Chayar Moton
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.