Additional information
Weight | 0.205 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
আমাদের অণুগল্প দুনিয়ায় একজন অসামান্য অণুগল্পকার আছেন। তার অণুগল্পের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল- বিষয় নির্বাচন। এই অণুগল্পকার মনে করেন অণুগল্প অণুগল্প হয়ে উঠল কি না সেটা প্রাথমিকভাবে নির্ভর করে গল্পটির বিষয়বস্তু কি- সেটার ওপর। তারপর অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে। এইসব ভাবনা থেকেই হয়ত তার গল্পের মধ্যে বিচিত্র বিষয় এসে ধরা দেয় ভিন্নরূপে।
যার সম্পর্কে কথা বলছি তিনি- শাহেদ সেলিম। শাহেদ সেলিম অণুগল্পভাবুক।
অনেক বিষয় নিয়ে তার অণুগল্পচর্চা, কিন্তু একটি বিশেষ বিষয়ে তার দক্ষতা অপ্রতিরোধ্য।
সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প হিসেবে শাহেদ সেলিম এর তুলনা নেই। নজরকাড়া উন্নতমানের সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তার ভেতরে একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক বাস করে। ‘বিজ্ঞান এবং কল্পনা’ -এই দুইয়ের যথাযথ সংকরায়নে তৈরি হয় যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, শাহেদ সেদিক থেকে পরিপূর্ণ। সে ইচ্ছে করলেই লিখতে পারে সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প -এ বিশ্বাস আমার ছিল অনেক আগে থেকেই।
বর্তমান গ্রন্থটি সায়ন্স ফিকশন ছাড়াও অন্যান্য অণুগল্পের মিশেলে অসামান্য একটি প্রকাশনা।
-বিলাল হোসেন
Weight | 0.205 kg |
---|---|
Published Year |
হাসান মাহবুব। জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকায়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তিনি বুঝেছিলেন এ জায়গা তার জন্য নয়। চলে আসেন
আনন্দভ্রম
হাসান অরিন্দম। বাংলাদেশের একজন প্রাবন্ধিক ও গল্পকাররূপে পরিচিত। কথাসাহিত্যই তার সৃষ্টি ও আগ্রহের প্রধান ক্ষেত্র। জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৭২। শিক্ষাজীবনÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলার লোকজীবন ও আবু ইসহাকের কথাসাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় অধ্যাপক। ‘একজন মানুষের সম্ভাবনা’, ‘বিদ্যাছায়াবিদ্যা ও অন্যান্য গল্প’, ‘দুরবিনে দেখা কতিপয় দৃশ্য’সহ আরো অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের দৃষ্টিসীমায় কোন বাতিঘর ছিলো না
বিলাল হোসেন
জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৪।
জন্মস্থান- মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজারচর কাজিকান্দি গ্রামে।
প্রকাশিত বই-
১. কাব্যগ্রন্থ- বিরুপা’র শূঁড়িবাড়ি(২০১৪)
২. অণুগল্প সংকলন- পঞ্চাশ(২০১৫)
৩. মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প(২০১৬)
৪. কাব্যগ্রন্থ- একজ্বলাপঙক্তি(২০১৬)
স¤পাদিত বইসমূহ-
সেরা ১০০ অণুগল্প(২০১৫) (প্রিন্ট ভার্সন)
ই-বুক স¤পাদনা-
অণুগল্প সংগ্রহ-১,২,৩,৪; গোয়েন্দা অণুগল্প সমগ্র, ভূত অণুগল্প সমগ্র, রূপকথা অণুগল্প সমগ্র, নীতি অণুগল্প সমগ্র, চিয়ার্স চিয়ার্স চিয়ার্স, দুনিয়ার মাতাল এক হও, মাতালে মাতালে চেনে, মধুগন্ধেভরা, যুগলবন্দী (সুবর্না রায়), অণুগল্পের বিষয় বৈচিত্র্যের সন্ধানে, তাহাদের গল্প, অণুগল্পের অস্তিত্ব আছে, অণুগল্পের শিরদাঁড়া, অণুগল্পের রোজনামচা।
বাংলা ভাষার সেরা অণুগল্প
মুখর জীবনগদ্য
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
অনিন্দ্য আসিফ। জন্ম- ২৩ মে, ১৯৮১। কতিয়াচর, কিশোরগঞ্জ। পিতা- মোঃ আব্দুল হাই, মা- হাওয়া আক্তার।
শাদা অথবা শূন্য
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
১৯৬২ সালের ৫ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহে কবি আশুতোষ পাল ও শিউলি পালের সংসারে জন্ম।
লেখাপড়া- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক এবং সুইডেন থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা।
পেশা- এনজিও কর্মী দিয়ে শুরু এবং বর্তমানে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।
প্রকাশিত অন্যান্য বই- রাতপঞ্জি (২০০৩),পুননির্বাচিত আমি- ২০১১।
Asochorachor
সাঈদা মিমি। জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৮। বরিশালে। পেশাগত দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সাহিত্য সম্পাদক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পাঁচটি। শ্রাবন প্রকাশনী থেকে ২০০৮ এ প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই ‘সব নিয়ে গ্যাছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস।’ দীর্ঘ বিরতির পর আগুনমুখা থেকে ‘ফারাও কুমারী’ Ñ২০১৪ সালে। বাংলার ই-বুক থেকে ই-বই ‘কীর্তনখোলা।’ -২০১৫ সালে। ২০১৬ তে অনুপ্রাণন থেকে কাব্যগ্রন্থ ‘একজন মৃতের ডায়েরী’ এবং কালজয়ী প্রকাশ থেকে ‘শুশুনিয়া পাহাড়’।
ঔরঙ্গজেবের নীল ঘোড়া
ফজিলা ইসলাম ফৌজি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ১৯৭২ সালের ৮ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস মেহেরপুর জেলার কোলা গ্রামের বাবু পাড়ায়। পিতার নাম মোঃ হাফিজ উদ্দিন মাতার নাম মোছাঃ রাকিবা বেগম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (অনার্স মাষ্টার্স) শেষ করে ১৯৯৯ সালে রাজশাহীর ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
মানচিত্রে রক্তক্ষরণ
শামীম সাঈদ, কবি ও গল্পকার। জন্মÑ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৯। কলসনগর, লালপুর নাটোর। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থÑ এই কথা বৃষ্টিবাচক, এভাবে খুলবে না আঁচলের খুঁট, সদা ভাগতেছে ভববান।
কুঁড়িকাল ও যুগযাপনের গল্প
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৮৩ নোয়াখালীতে। ২০০০ সালের মাঝামাঝিতে লেখালেখিতে সচেতনভাবে মনোযোগী হন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য রচনাও করেছেন। পেশায় পা-ুলিপি সম্পাদক এবং সাংবাদিক।
গল্পকথায় ৩৫ গল্পকার
সন্তোষ কুমার শীল ১৯৭৩ সালের ১৫ অক্টোবর (সার্টিফিকেট অনুসারে) পিরোজপুর জেলার বাটনাতলা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পড়াশুনা শেষে শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করেন এবং একই পেশায় বর্তমান আছেন। রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ ভক্ত এই গল্পকার মূলতঃ একজন সর্বগ্রাসী পাঠক। বই পড়া, গান শোনা এবং সাহিত্য সাধনায় সময় যাপন তার একান্ত প্রিয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ এবং রম্য রচনার চর্চা করেন। এ পর্যন্ত তার ছয়টি গল্পগ্রন্থ এবং দু’টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। “বিখ্যাত হবার টোট্কা” তার প্রথম রম্যগল্প সঙ্কলন।
বিখ্যাত হবার টোট্কা
মোট ছোটগল্প তেরোটি। প্রথম পাঁচটি সারমেয়দের নিয়ে রূপক-গল্প। বিগত করোনাকালের নির্মমতার শিকার এরাও। হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ, বাজারগুলো ক্রেতাহীন, রাস্তাঘাট আর গলিগুলো জনশূন্য। রাস্তার নেড়ি কুকুরগুলো খাবার পাবে কোথায় ? ওরা মানুষ-ঘেঁষা সংবেদনশীল এক প্রাণী, মানুষ ওদের কাছে প্রভু তুল্য, মানুষই ভালোবাসা-করুণায় ওদের বাঁচিয়ে রাখে আবার ওদের জীবনে যতো পীড়ন-দমন সব মানুষের কারণেই ঘটে ; লেখক তাই ওদের চোখ দিয়ে এ সমাজের মানুষগুলোর ভাব-ভালোবাসা, ত্রুটি-বিচ্যুতি ও নিষ্ঠুরতার খণ্ড খণ্ড চিত্র আঁকতে চেয়েছেন গল্পগুলোয়। করোনাকালের ছায়া, একলা ফুলি, একলা হিল্লি, গভীর অন্ধকারের ঘুম, মানুষ বোঝা দায়, মেঘের মতো কোমল সে-কথাই জানান দেয়। অন্যদিকে করোনা কথা, করোনা বিভ্রম, আজকাল খুনিকে চেনা যায় না, বন্ধঘরের লড়াই গল্পগুলো কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিপন্ন সময়কে ঘিরে আবর্তিত; এসময়ের মানসিক টানাপোড়েন, নানাবিধ আর্থ-সামাজিক দৈন্য ও দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস ও সন্দেহ বারবার ঘুরেফিরে গল্পগুলোর পরতে পরতে ছায়া ফেলেছে। যে বিপন্নতাবোধ থেকে মানুষের অন্তরে অসহায়তার সূত্রপাত, লেখক যেনো গল্পগুলোয় নানাভাবে-নানারঙে আখ্যানের ভেতর দিয়ে জীবনের সেই গভীর সত্যকে ধরতে চেয়েছেন । দেশান্তরী আমলকী, অন্তিম, জীবন একফোঁটা মধু মানুষের সেইসব বোধ ও উপলব্ধিকে তুলে ধরে। গল্পগুলোর বিষয়, নির্মাণ-শৈলী ও মেজাজের ভিন্নতাও লক্ষণীয় ।
করোনাকালের ছায়া - Koronakaler Chaiya
লেখক পরিচিতি :
হাসান মসফিক। পুরো নাম: সৈয়দ মাহবুব মসফিকুল হাসান। জন্ম: লোহাগড়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ। পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে দেশীয় ঔষধ কোম্পানীর বানিজ্যিক বিভাগে কর্মরত আছেন। ২০১১ সালের শেষের দিকে লেখালেখি শুরু। সাহিত্যের জনপ্রিয় ওয়েবজিন বিভুঁই এর সম্পাদনা পরিষদের সাথে জড়িত।
মায়া ফড়িঙ
জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ই এপ্রিল। টাঙ্গাইলের মীরের বেতুকা গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। করটিয়ার সা’দত কলেজ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। সহকারী সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও দৈনিক সংবাদ Ñএ। ১৯৭৮-৮০ সালে ছিলেন গণচীনের রেডিও পেইচিং এর ভাষা বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৪-২০০৪ সালে ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষসহ গ্রন্থের সংখ্যা ৭০ এর বেশি।
গল্প সংগ্রহ
‘গোপনে যে আগুনে পুড়ি
সেখানে ক্যাথেড্রাল তুমি’
অথবা
‘তিন জোড়া ক্লান্ত পা, নিয়েছে বিশ্রাম।
তবু উলটে থাকে চোরা সেলাই
খুলে দেয় নগর বন্দর গ্রাম।’
প্রিয় অমলতাস, কবি মুর্শিদা জামানের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। অমলতাস, সোনালু ফুলের সংস্কৃত নাম, ইংরেজিতে যা গোল্ডেন শাওয়ার। নামের সাথে সাথে কবিতাগুলোও নানা বৈচিত্রবার্তা ও মন-মিশ্রণের সংযোগ ঘটিয়েছে। ভাবনার জগতকে ভিন্নমাত্রার ভাব যোগান দিয়ে, নতুন ভঙ্গিতে পরিচিত করে তুলেছে চিরন্তন চেনা দৃশ্য। তাই, কবিতাগুলো পড়তে গেলে নতুন পোশাকের ভাঁজ-ভাঙা শব্দ শুনতে পাই। যে-শব্দ অনেক পরিচিত হয়েও পরিচিত নয়। নিরুত্তাপ উত্তাপের ডানা মেলার গন্ধ, ভালোবাসার পরিধিতে হৃদযোগের তপ্ত-যাত্রা, সব মিলিয়ে নাগরিক ঊর্ধ্বশ্বাসের অবিমিশ্র ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পেলাম মুর্শিদা জামানের ‘প্রিয় অমলতাস’-এর কবিতায়।
আশা করি নতুন হাতে, নতুন করে কবিতার স্বাদ, পাঠককে মশগুল করবে নিঃসন্দেহে। বইটির সাফল্য ও পাঠক প্রিয়তা কামনা করছি।
ফেরদৌস নাহার
(কবি ও প্রাবন্ধিক)
Priyo Amoltas by Murshida Zaman
শফিক হাসান-
জন্ম : ০২ জানুয়ারি, ১৯৮৩- তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বেড়ে ওঠা পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে। লেখাজোখার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। প্রথম লেখা ছাপা হয় মাসিক রহস্যপত্রিকায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখিতে দুর্মর মনোযোগী হন। লিখতে থাকেন দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকসহ অজস্র পত্রপত্রিকায়। সমানতালে লিখেছেন লিটল ম্যাগাজিনেও। পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’। গল্প লিখতে এবং গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য ধাঁচের রচনায়ও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা, লেখালেখি এবং সাংবাদিকতাকে। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।
খোলস
কবিতাই তাঁর একমাত্র সাধনা। পরম আশ্রয়। আড়াল, প্রতীক, নিহিত শূন্যতা, প্রেম, দ্রোহ তার কবিতার মূল উপজীব্য বিষয়। অন্তর্জাত বেদনাকে রঙের মিশেলে, শব্দের গাঁথুনিতে তুলে আনেন অপরিসীম দক্ষতায়। তিনি কবি মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম সুনামগঞ্জ জেলায় ০১ অক্টোবর ১৯৬৫। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর (১৯৮৯)। তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে সিলেটে বাসবাস করছেন। দীর্ঘ ৪৩ বছর যাবৎ কবিতার ধ্যান ও জ্ঞানে অতিবাহিত করছেন। তিনি একজন আপাদমস্তক কবি।
কখনো মেঘগুলো-পাখিগুলো নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, কখনো বা বৃষ্টির গান মায়াবাস্তবতা নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন চারপাশ। প্রগতির চাকায় ভর করে, রূপ প্রকৃতির বিনম্র চিঠি বিলি করছেন কবিতার মুসাফির হয়ে। জলের গ্রাফিতি কিংবা রক্তাক্ত পেরেকের গান তাঁকে সারাক্ষণ নিমগ্ন রাখে। ছবি ও চেনাগন্ধের মেটাফর তাঁকে অন্যলোকে নিয়ে যায়। তখন তিনি তুমুল বাজিয়ে চলেন অন্ধকার। কবি মোহাম্মদ হোসাইন নির্বিবাদী, দেশপ্রেমে উদ্বেলিত একজন কবি। তিনি নিরহংকার ও আধুনিক মননের একজন উদার মানুষ। এ পর্যন্ত তাঁর ২০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
Ochena Kalkut By Mohammed Hossain
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
লেখক পরিচিতি :
সাদাত হোসাইন। জন্ম: ২১মে. ১৯৮৪।
তরুণ লেখক, আলোকচিত্রী ও নির্মাতা। যার কবিতার বইটি প্রকাশের আগে উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের কবিতা ভাবনাটা খুব সোজা, কবিতা হচ্ছে এমন এক শিল্প যার মাঝে যখন ইচ্ছে তখন টুপ করে ডুব দেয়া যায়। লেখকের নির্মাণ ÔবোধÕ স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্রটি দেশে বিদেশে যথেস্ট সমাদৃত হয়েছে। ২০১৩ সালে Ôকালচারাল এচিভমেন্টÕ ক্যাটাগরিতে জিতে নিয়েছেন Ôজুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালÕ-এর Ôটেন আইটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস অফ বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডÕ।
যেতে চাইলে যেও
ভূমিকা
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসটি ভাঙন কবলিত গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসটিতে গ্রামের কৃষক জীবন, সবুজে ঢাকা গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে কিভাবে তার সক্রিয়তা হারায়, সেই সাথে উঠে এসেছে ঐতিহাসিক একটি বাজারের বর্ণনা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাস নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গ্রাম্য বধূর সবিস্তার কাহিনী সরলার চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া করিম শেখ ও অন্তুর কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। বেজগাঁও গ্রামে রাজা রাজবল্লভের বাড়ি, দিঘলী বাজার, কদম পাগলের মাজার ঘিরে মেলা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসে সত্যিকার অর্থেই ভাঙনের একটা সচিত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সন্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এই উপন্যাসে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন ভেলা ভাসানি, বৈশাখী মেলা, কদম পাগলের বার্ষিক মেলা, বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য মেঘরানী উৎসব। সেই সাথে ফুটে উঠেছে একটি কৃষক পরিবারের অভাব-অনটন ও প্রকৃতির বৈরিতা। পদ্মার ভাঙন আর ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া মানুষের আর্তনাদ, যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব।
ভাঙনের ডাক
ঢাকা-শহর থেকে কিছুটা দূরে ধামরাইয়ে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে খুন হলেন একজন প্রবীণ ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক। শুরুতেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এজন্য তারা অধ্যাপকসাহেবের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে তাঁর আপন-ভাগ্নে আজাদ কালামকে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারে না আজাদ কালামের আপন ছোটভাই আজাদ রায়হান। সে ভাইকে বাঁচাতে ই-মেইলে অনুরোধবার্তা পাঠায় তুখোড় গোয়েন্দা লালভাইয়ের কাছে। আজাদ রায়হানের অনুরোধক্রমে কেসটা হাতে নেন গোয়েন্দা লালভাই।
শুরুতেই লালভাই কেসটার মূলঘটনা-অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন। তিনি এই খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলেন। কিন্তু এতে প্রবলভাবে বাদ সাধে স্থানীয় থানার ওসি গোলাম মওলা। সে লালভাই ও তার সহকারীদের একরাতের মধ্যে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকিধমকি দিয়ে কেসটার তদন্ত-কাজ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিতে চায়! শেষ পর্যন্ত কি লালভাই পারবেন এই কেসটার মূলরহস্য-উদ্ধার করতে?…আর মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে লালভাই কেসটার এমন একটি সত্যউদ্ধার করলেন যাতে আরও বেশি হিং¯্র হয়ে উঠলো ওসি গোলাম মওলা! শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল—জানতে হলে পড়–ন ‘গোয়েন্দা লালভাই’ সিরিজের অনবদ্য প্রথম বই।
গোয়েন্দা লালভাই
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.