Additional information
Weight | 0.135 kg |
---|---|
Published Year |
$ 2.12 $ 3.53
খোকার বাঁশি খুকির হাসি
খোকা খুকির মন মাতানো
মিষ্টি হাসির ছড়ায়,
আকাশ ভরা সূর্য তারা
মিট মিটিয়ে চায়।
বাক বাকুম মধুর রসে
রঙিন করা মুখ,
মনের মাঝে খোকা খুকির
নিত্যনতুন সুখ।
খোকার বাঁশি খুকির হাসি
নিতুই ওঠে ভাসি,
সকাল সাঁঝে কাজের ফাঁকে
সুখের আরাম নাশী।
পড়ার মাঝে বিড়ালছানা
ডাকছে মিউ মিউ,
তাইনা দেখে তাদের মাঝে
ওঠে হাসির ঢেউ।
Weight | 0.135 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
বাবুল হোসেইন। জন্ম: তেঘরিয়া, সৈয়দপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
আত্মমুগ্ধ শিকল
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
রনক জামান। জন্ম:১৬ই ডেসেম্বর ১৯৯১, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায়। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই কবিতার প্রতি মুগ্ধতা থেকেই তার প্রতি ভালোবাসা। এটাই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে, যৌথ কবিতাগুচ্ছ ‘মায়ানগরীর বৃষ্টিকথন’, কবিতার ই-বুক ‘শরীর ছোঁয়া আঙুলগুলো’ এবং অনুবাদ উপন্যাস ‘ললিতা’।
ঘামগুলো সব শিশিরফোঁটা
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
যতবার নিজেকে প্রশ্ন করি। মানুষের কোন ভবিষ্যৎ আছে?
উত্তর একটাই, মানুষ স্মৃতি ছেনে বাঁচে। ভবিষ্যৎ এক মিছে সম্ভাবনা।
আমার এই কাব্যও তাই, স্মৃতির ভেতর থেকে তুলে আনা দানা
যা খেয়ে খেয়ে একটা জীবন–পাড়ি দিচ্ছে মৃত্যুর রহস্যময় মৃত্যুর ধাঁ ধাঁ।
মৃত্যুই যেখানে শেষ নয় - Mrityui Zekhane Shesh Noy
অয়ন্ত ইমরুল।
জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭ ইং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে।পিতা— শাজাহান মিয়া ছিলেন একজন ব্যাবসায়ী।২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা— বিউটি বেগম একজন গৃহিণী। ডিগ্রী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে পুনরায় আর পরিক্ষা দেয়া হয়নি।বর্তমানে চাকুরীজীবি।দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এবং সমকাল পত্রিকা লেখা ছাপালেও বর্তমানে কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা দিচ্ছি না।তবে
অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবজিন—অংশুমালী,কালিমাটি,অপরজন পত্রিকা,ওয়াকিং ডিস্ট্যান্স সহ আরো দু একটা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখী করছি।প্রকাশিত বই চারটি—
“ছায়া সমুদ্র” অনুপ্রাণন প্রকাশন—২০১৬
“বুদ্ধের ভায়োলিন “তিউড়ি প্রকাশন—২০১৮
” সাদা ধূলির দূরত্বে “ইতিকথা পাবলিকেশন—কলকাতা থেকে ২০২০
এবং ” স্বৈর হাওয়ার হরিণী”পরিবার পাবলিকেশন ২০২০ ঢাকা বইমেলা।
কিসমত আলী অথবা শূন্য
জন্ম ১৯৮৬, মেহেরপুর। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য স্নাতকোওর। পেশায় সাংবাদিক। “অরনি ছোটগল্প” পুরুস্কার ২০১২ ও বৈশাখী টেলিভিশন “তোমার গল্পে সবার ঈদ পুরুস্কার” ২০১৩ পেয়েছেন। দ্বিধা, আদিম বুদবুদ অথবা কাঁচামাটি বিগ্রহ সহ আরও প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
আলোচনা সমালোচনা : প্রসঙ্গ কথা সাহিত্য
মাথার ওপর ছাদ না থাকলেও বাঁচা যায়
ছিন্নবীণা নিয়ে কত মানুষেরতো পথই ছাদ…তারপরও
পৃথিবীতে আছে কতো নানারকম মাথা রাখার ঠাঁই
একবার এক ট্রেনে মাথাগুঁজে অচেনা স্টেশনে নেমে
যাত্রাপালায় কাটালাম পুরোরাত… খড়ের গাদায় ভোর
কেউ নেই চলে গেছে সবাই, একা বসে আছি
যাত্রার নর্তকী এসে বললো চল তাঁবুর ভেতর,
দু’জনা মরি
এই মরণ মরণ খেলায় ভালোই ছিলাম বেশকিছু দিন
একরাতে নর্তকী তার নাভিভূমে শিশুমুখ এঁকে বললো
Ñচল পালিয়ে বাঁচি অন্যকোনো মদির ছাদের নিচে
কী হতো এমন মরণে বাঁচলে…
অথচ পালিয়ে এলাম ভোরের দুয়ার ঠেলে
দম-যোগিনীর তাল
পরিচিত
লতিফ জোয়ার্দার (কবি ও কথাসাহিত্যিক)
জন্ম: ১মার্চ ১৯৭০ খ্রিঃ
পিতা: মৃত ইয়াকুব আলী জোয়ার্দার
মাতা: মফেজান বেওয়া
জন্মস্থান: মুলাডুলি, ঈশ্বরদী,পাবনা।
লেখাপড়া: এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা।
প্রকাশিত গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ: এক সুন্দরের অপমৃত্যু,ছুঁয়ে দিবো জলের শরীর,আহত আঁধার, যে শহরে তুমি নেই সে শহর অন্ধ বধির, মন এক বেদনার কারখানা, এক রাজসিক কীর্তির কথা মনে পড়ে, নির্বাচিত ১০০ কবিতা, পোয়াতি ধানের ব্যাকরণ
ছোটগল্প: তীব্র আলোর শহর, কিছু কিছু সুখ অথবা অসুখ,ভাত ও ভাতারের গল্প, প্যারিস রোড,সুবর্ণ কঙ্কন পরা ফর্সা রমণীরা, ইঞ্জিন চালিত মানুষ
উপন্যাস: নো মিসকল, আজ বৃষ্টির মন ভালো নেই, যে কথা হয়নি বলা, কান পেতে রই, প্রথম প্রেম দ্বিতীয় বিরহ, ফতোয়ানামা, সোনাপাখি, নন্দিত অসুখ, যাও পাখি বলো তারে, বাউণ্ডুলে মন, সুগন্ধি রুমাল
শিশুতোষ: ভূত বড় অদ্ভুত, ড্রাগন এলো দেশে
সম্পাদনা: শূন্যের গল্প
সম্পাদিত ছোটকাগজ: সবুজস্বগর্, চৌকাঠ,গল্প২১
সুখগুলো সাদা শার্টের বুকপকেটে রাখি
Nirbachito Golpo
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
বিশ্বাস কথাটা উঠায় সেদিন বন্ধু আমাকে বিশ্বাস নিয়ে মস্ত বড় একটা ক্লাস নিয়ে নিল। আমাকে একজন নিষ্পাপ মানুষের মতো প্রশ্ন করল, বিশ্বাস! বিশ্বাস কী জিনিস তা কি জানো? সে নিজেই তার উত্তর দিল, বিশ্বাস হলো মানুষের মনের রং। আবার এটাকে একটা রংধনু বলতে পারো। দেখ না রংধনুর রং যেমন সাতটা তেমনি বিশ্বাসের রং অনেকটা। কেউ বিশ্বাস করে কেউ অবিশ্বাস করে। আবার কেউ কেউ জীবন মৃত্যুর মাঝখানে বসবাস করার মতো অবস্থায় পড়ে। না পারে বিশ্বাস করতে আবার না পারে অবিশ্বাস করতে। জগতে এই একটা মুহূর্ত খুবই বিভীষিকার। বুঝলে?
শেষ রজনীর চাঁদ
লেখক পরিচিতি :
কবির য়াহমদ। জন্ম: ৩০শে ডিসেম্বর। চন্দরপুর, আলীনগর, বিয়ানীবাজার, সিলেট। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ’ ‘আমাদের ঈশ্বরের এ্যাপয়েনমেন্ট দরকার’ ও ‘নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ’। গদ্য: ‘জাগরণের পূর্বাপর’। এটি লেখকের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ।
আগুনজলে ভূকম্প
রাহমান ওয়াহিদ। মূলত কবি। পাড়ি দিয়ে এসেছেন তিনি দীর্ঘ এক রোদমেঘবৃষ্টির জীবন। মধ্যবিত্তের সেই জীবনে ঘটে যাওয়া নানান ধরনের গল্প নিয়ে সাজিয়েছেন এই ‘বিহঙ্গ সময়ের অ্যালবাম।’ কিছু গল্পের দিকে নজর দেয়া যাক।
ঢাকায় চাকরি করতে করতে বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজেছেন লেখক। ফোনে আলাপে ভালোলাগা এক অসুন্দর মেয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর দমে যান তিনি। ফোনে মেয়েটি কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলতে থাকে: আমার চেহারা নেই। রূপ নেই। তাতে কী? মন তো মিলেছে বন্ধু। অনেক ভালোবাসবো আমি তোমাকে। সমুদ্রকেও হার মানাবে সে ভালোবাসা।’ আর ফোনের ওপাশে? মধ্যবিত্তের সস্তা হিসেব নিকেশ। পারলেন না লেখক তার কান্নায় সাড়া দিতে। নিজেকে সান্তনা দিলেন এভাবেঃ সমুদ্র মধ্যবিত্তের ঘরে আসে না।
গ্রামের মহিলাদের দৃষ্টিভঙ্গির স্ববিরোধীতাও তার দৃষ্টি এড়ায় নি। একবার তিনি এক গ্রামের পুকুর পাড়ের দিকে যেতে যেতে বলছেনঃ পুকুরটার বাম পাশে সরু পায়ে চলার পথ। দুই চারজন পুরুষ আমাকে অতিক্রম করিয়া সেই পথ দিয়া চলিয়া গেল। সমস্যা হইল না। আমি আর আগাইবো কিনা ভাবিতেছি,এমন সময় এক ঝাঁঝালো নারীকণ্ঠ কর্ণে আসিয়া ধাক্কা মারিলঃ’এইদিকে আসে ক্যা? পুরুষটার কপালে কি চক্ষু নাই?’ আমার আশেপাশে তখন আর কেহ নাই। বুঝিলাম- কণ্ঠটি আমাকেই উদ্দেশ্য করিয়া। শুনিয়া আমি তো হতবাক! খানিক পূর্বে যে কয়েকজন পুকুরের পাশ দিয়া চলিয়া গেল,তাহারা তবে কী? পুরুষ নহে?
আরেক গল্পে এক শাশ্বত নারী শিশির তার স্বপ্নপুরুষকে খানিকটা ক্ষোভ দেখিয়ে বলছে,‘আচ্ছা, তোমার মাথায় এসব আজেবাজে ব্যাপার আসে কী করে,বল তো? তুমি না আমার রাজা; রাজা কেন এক টুকরো কিসমিসের ভিখেরি হবে? পারলে পুরো আমাকেই নিয়ে নাও না? পারবে? সে সাহস আছে?’
এরকম নানান আঙ্গিকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্প এসেছে এই আখ্যানে। নিজ জীবনের গল্পের শৈল্পিক বুনন ও সরল কথন কখন যে পাঠকের মনও স্পর্শ করে যায় তা পাঠক নিজেও হয়তো টের পাবেন না। এটুকু অন্তত জোর দিয়েই বলা যায়।
বিহঙ্গ সময়ের অ্যালবাম- Bihongo Somoyer Album
মুখর জীবনগদ্য
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.