Additional information
Weight | 0.265 kg |
---|---|
Published Year |
$ 2.12 $ 2.82
শৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্রর মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে…
Weight | 0.265 kg |
---|---|
Published Year |
রামিশা বিয়ের পরই মাহীকে কেবল ভালোবাসেনি মাহীও রামিশাকে ভালোবেসে ছিলো। ডাক্তার মাহী বছর দুয়েক পর হঠাৎ স্কলারশিপ পেয়ে রাশিয়ায় পি.এইচ.ডি. করার জন্য চলে যায়। তখন রামিশা দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতিদিনই কথা হতো ইন্টারনেটে, কথা না হলে যেনো দু’জনার কারো ঘুম হতো না। হঠাৎ করেই দু’বছর যেতে না যেতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। মানুষের জীবনের বিশ্বাসী ভালোবাসার গল্পগুলো কখনো কখনো বড় অদ্ভুত। গতবাঁধা জীবনে কষ্টের ভিন্নতার গল্প কখনো মনে হয় একই রকম। কখন যে হারিয়ে যায় জীবনে সুখের গানগুলো তা কেই-বা বলতে পারে। প্রেম ভালোবাসা যেনো নিত্য নিকানো উঠানে ঘিরে থাকা স্মৃতি। বদলে যায় প্রণয়ের রীতিনীতি। অথচ রামিশার মনজগত ছিলো এতোটাই প্রখর আর স্বচ্ছ সে পারেনি সর্ম্পক ছিন্ন করে সুহাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে। সন্তানের পিতৃ পরিচয় আর এক দিকে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ীকে একা ফেলে স্বার্থপরের মতো চলে যেতে পারেনি। তাছাড়া মাহীতো ডিভোর্স দেইনি। তাই জীবনে নতুন কোনো ভোরের প্রত্যাশা করেনি। এই চিঠি লেখার ভিতর বাস্তবতার ছোঁয়া অজান্তে থেকে গেলেও যেতে পারে। তবুও একতরফা ভালোবাসার ত্যাগ, সন্তানের পরিচয় তাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য, সন্তান যেনো জানে তার বাবা আছেন। তাই সব কিছুই গোপন করে রামিশা। লড়াই ছিলো তার একার তাই সব সময় একতরফা ভালোবাসায় মাহীকে চিঠি লিখে যেতো। এতো ভালোবাসার সম্পর্কের ভিতর একটি নারীর একাকীত্বের সাথী ছিলো এই চিঠি, আর কল্পনায় ঘেরা তার আর্তনাদের ভিতর স্বপ্ন সে বুনে যেতো অবিরাম…
ভালো থেকো ভালোবাসা
বুদ্ধদেব বলেছেন- জীবন দুঃখময়। কথাটা সর্বাংশে সত্য কিনা সংশয় রয়েছে মনে। তবে এটা সত্যি যে, বারে বারে দুঃখ আসে জীবনে। আসে বলতে মানুষ জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতে তার কামনা-বাসনার দ্বারা দুঃখকে ডেকে আনে। যদিও দুঃখকে কেউ চায় না। কিন্তু না চাইতেই মহাসমারোহে হানা দেয় জীবনে। কারণ, আলো-আঁধারের মত সুখ-দুঃখও হাত ধরাধরি করে চলে। তাই কোনমতেই দুঃখকে বাদ দিয়ে শুধু সুখ লাভ সম্ভব হয় না। কিন্তু মানুষ চায় সুখের বন্দরে নোঙ্গর গেড়ে জীবনটা কাটাতে। সেখানে পৌঁছতে গেলে দুঃখের পথ অতিক্রম করেই যেতে হয়। জীবনে দুঃখকে জয় করার মধ্যেই আছে পৌরুষ, আছে বীর্যবত্তা। তাই তাকে শক্তিধারণ করতে হয় দুঃখ জয় করার। “দুঃখ জয়ের গান” পাঠকের অন্তরে সেই প্রেরণা জোগাবে যাতে সে কর্ম-সাধনার মধ্য দিয়ে জীবনটাকে সঙ্গীতমুখর করে তুলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
পরিশেষে, বইটির পান্ডুলিপি পাঠ করে মূল্যবান মতামত দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের প্রভাষক নির্জন মজুমদার, কবি দেবী চিত্রলেখা মন্ডল, সাহিত্যিক অমল হালদার, কবি ড. অশোক মিস্ত্রী। তাদের সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। সুস্মিতা ও শ্রেষ্ঠা আমার দুই মেয়ে নিরন্তর স্বপ্ন দেখে চলে কবে বাবার লেখা নতুন বই প্রকাশিত হবে। ওদের প্রেরণা আমার সব সময়ের পাথেয়। প্রথম উপন্যাস প্রকাশ-লগ্নে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। মুদ্রণজনিত ভুল-ত্রুটি পরিহারের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তারপরও অজ্ঞাতসারে কিছু প্রমাদ থেকেই যেতে পারে। সেজন্যে পাঠকের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
সন্তোষ কুমার শীল
শ্রীরামকাঠী, পিরোজপুর।
দুঃখ জয়ের গান
দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী রমণীদের বসবাস এখানে। ওই সুন্দরীদের রূপের সাথে পাল্লা দেয় যৌবন আর যৌবনের সাথে পাল্লা দেয় রূপ কিন্তু সেটা এক রক্ত নহর বহা একনগরী… স্ত্রীর জন্য ৭ পুরের (গ্রামের) জল ও মাটি সংগ্রহ করে পুব্যা এক যুবক। তবে শর্ত ছিল পথিমধ্যে কারো সাথে কথা-টথা বলতে পারবে না সে। যুবকটি কেন বলছে, হায় নারী! হায় স্ত্রী আমার! তুমি আমার অর্ধেক নও, তুমি আমার পুরো পৃথিবী… এরকম অসংখ্য মজাদার কথামালায় রচিত এই দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা উপন্যাসটি। শরীফ শামিলের লেখনী শক্তি ও কল্পনা শক্তি প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর প্রথম উপন্যাস দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা এর ব্যাপারে লিখেছিলাম, ওটি বাংলা উপন্যাসে এক নতুন সংযোজন। আর এ ‘দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা’ উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসে আরেক (সম্পূর্ণ) নতুন সংযোজন।
আবু এম ইউসুফ
প্রকাশক
দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা
জন্ম বিক্রমপুরের দিঘলী গ্রামে। ছোটবেলা থেকে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে জড়িত। বর্তমানে বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের কার্যকরী সদস্য। দৈনিক আমাদের সময়ের প্রাক্তন সাব-এডিটর।
গন্তব্যহীন দুঃখবিলাস
লেখক পরিচিতিঃ
নিজেকে ঘটা করে পরিচয় করিয়ে কি লাভ । আমার এই উপন্যাস পছন্দ হলে এতেই আমার স্বার্থকতা। সবাই ভালবাসুক এই গল্পটা।সবাই ধারণ করুক এই বইটা।
এই পর্যন্ত বইয়ের সংখ্যা ৯টি
১) আমার মা(ভোরের শিশির প্রকাশন
২) বার্লিনে বন্ধুত্ব(ভোরের শিশির প্রকাশন)
৩) ভুতের স্বর্নতাবিজ( বেহুলা বাংলা প্রকাশন)
৪) অল্প কথার গল্প (দ্যুপ্রকাশন)
৫) লাভার্স পয়েন্ট (বেহুলা বাংলা)
৬)তিন প্রজন্মের কাব্য (ছায়ানীড়)
৭) দার্জিলিং কনফেশন (ছোট গল্প) অনুপ্রাণন
৮) উইনিং সেলস এন্ড মার্কেটিং (বেহুলা বাংলা)
৯) পূর্বজদের গুহায় বুদ্ধের দর্শন।(অনুপ্রাণন)
পূর্বজদের গুহায় বুদ্ধের দর্শন
পিনু মামা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখছিলেন। দেখছিলেন বললে মনে হয় ভুল হবে- বৃষ্টির গান শুনছিলেন। কারণ সাঁঝের ঘোলা আলোয় বাহিরটা তেমন দেখা যাচ্ছিল না। আর কী যেন ভাবছিলেন। হয়ত তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কোন গল্পটা আমাদের শোনাবেন তাই ভাবছিলেন। আমরা অধীর হয়ে বসে আছি। পিনু মামা কখন গলা ঝেড়ে কথা বলা শুরু করবেন তার জন্য। আমরা মানে- আমি আর আমার বন্ধুরা। পিনু মামা কানাডায় থাকেন এখন। এর আগে তিনি ছিলেন আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে। তারও আগে ছিলেন আমাজানের গহীন বনে…। গোটা বিশ্ব মামার আবাস ভূমি। কী বিচিত্র অভিজ্ঞতাই না আছে তাঁর ঝুলিতে! মামার গল্প আমি আমার বন্ধুদের কাছে প্রায়ই করতাম। তাই সবার মাঝে মামা ভীষণ জনপ্রিয়। মামা দেশে এসেছেন এবং এখন আমাদের বাসায়- এই কথা শুনে আজ বন্ধুরা আমাদের বাসায় ভিড় করেছে, মামার অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে গল্প শুনবে বলে। স্কুলে চলছে গ্রীষ্মের ছুটি তাই পড়াশোনার চাপটাও এখন কম।
পিনু মামার অ্যাডভেঞ্চার
হামিম কামাল। জন্ম ১৯৮৭ সালের ৯ অগাস্ট, ঢাকায়। আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক।প্রকাশিত গ্রন্থ- জঠর (২০১৬), কারখানার বাঁশি (২০১৮)।
জঠর
ভূমিকা
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসটি ভাঙন কবলিত গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসটিতে গ্রামের কৃষক জীবন, সবুজে ঢাকা গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে কিভাবে তার সক্রিয়তা হারায়, সেই সাথে উঠে এসেছে ঐতিহাসিক একটি বাজারের বর্ণনা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাস নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গ্রাম্য বধূর সবিস্তার কাহিনী সরলার চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া করিম শেখ ও অন্তুর কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। বেজগাঁও গ্রামে রাজা রাজবল্লভের বাড়ি, দিঘলী বাজার, কদম পাগলের মাজার ঘিরে মেলা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসে সত্যিকার অর্থেই ভাঙনের একটা সচিত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সন্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এই উপন্যাসে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন ভেলা ভাসানি, বৈশাখী মেলা, কদম পাগলের বার্ষিক মেলা, বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য মেঘরানী উৎসব। সেই সাথে ফুটে উঠেছে একটি কৃষক পরিবারের অভাব-অনটন ও প্রকৃতির বৈরিতা। পদ্মার ভাঙন আর ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া মানুষের আর্তনাদ, যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব।
ভাঙনের ডাক
জহিরুল হক বাপি। জন্ম ১৯৭৯ সালে নোয়াখালির এক মফস্বলী ঝড়ো সন্ধ্যায়।
চলচ্চিত্র শিক্ষায় স্নাতক। ব্লগার ও গণজাগরণ কর্মী।
লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য বই:
ঈস্রাফীলের শিঙ্গা বাজছে (উপন্যাস)
শোকগাথা’৭১ (উপন্যাস)
আমি আমাকে খেয়ে বেঁচে আছি (কবিতা)
মাটির বাকসো লড়োচড়ো
কলকাতার স্মৃতিকথা
লেখকের কথা:
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী “রু” আমার প্রথম প্রকাশিত বই হলেও আমার লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল এই “প্রজেক্ট পাই”, যেটা আমি লিখেছিলাম দুই হাজার পনেরো সালে, অর্থাৎ আজ থেকেও আরো প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু নানা কারণে এই উপন্যাসটা আর প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি। তবে কোথাও প্রকাশ না করলেও উপন্যাসটার কথা আমার মাথায় সবসময়ই ছিল। এ-কারণে প্রায়ই “প্রজেক্ট পাই”-এর ফাইলটা বের করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ বুলাতাম। এ-রকম করতে করতেই একদিন হঠাৎ মাথায় চলে এলো “রু”-এর প্লট। লেখা শুরুও করে দিলাম আমার দ্বিতীয় উপন্যাস “রু”। মাঝখানে অনিবার্য কারণবশত নেয়া একটা লম্বা বিরতিসহ প্রায় দুই বছরের মতো সময় লাগলো “রু” লিখে শেষ করতে। লেখা শেষ হবার বেশ কয়েক মাস পর আমার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাসটি অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো আমার প্রথম বই হিসেবে। বইটি অনুপ্রাণনের সে বছরের বেস্টসেলারও হলো। “রু”-এর পর এবার আমার মাথায় এলো আমার প্রথম সন্তান, অর্থাৎ আমার লেখা প্রথম উপন্যাস “প্রজেক্ট পাই”-এর কথা, যে কিনা গত চার বছর ধরে ঘরবন্দী হয়ে আছে। ভাবলাম, এবারে যে তাকেও মুক্তি দিতে হয়!
অবশেষে “প্রজেক্ট পাই”ও মুক্তি পেলো। প্রজেক্ট পাই সম্পর্কে আমি আমার পাঠকদের আগে থেকে তেমন কিছুই বলব না। শুধু এটুকুই বলব, “রু” যেমন আমার এবং আমাদের গল্প ছিল, “প্রজেক্ট পাই”ও ঠিক তেমনি আমার এবং আমাদের গল্প। এখান থেকে আমাকে এবং আমাদেরকে খুঁজে নেয়া এবং আমাদের মাঝখানে নিজেদেরকেও খুঁজে নেয়ার দায়িত্ব আমি আমার পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
Ñতানভীর আহমেদ সৃজন
আগস্ট ২০১৯
প্রজেক্ট পাই
মানুষের জীবন তো গল্পময়। গল্প ছাড়া জীবন হয় না। কেউ সে গল্প অপরকে শুনিয়ে তৃপ্তি পায়। কেউ নিজের মধ্যে গল্প পুষে রেখে জীবনকে ভোগ করে। কোনো একজনকে গল্প শুনাতে ইচ্ছে ছিল। সে গল্পের মধ্যে ডুব দেওয়া আর হয়নি। সে গল্পটা সামনাসামনি শুনাতেও পারিনি ।
তবে শুরুটা করেছিলাম গল্প শোনানোর জন্য, সেই শুরুটা নেশাতে পরিণত হয়ে গেছে। সেই কোনো একজন তো চোখের আড়ালে থাকে, মনের আড়াল হয়নি। তাই গল্প শুনাই আড়ালে-আবডালে- অন্তরালে।
গল্পের কথা বলার কারণ, আমি আসলে গল্পই লিখি। লিখতে লিখতে গল্পটি উপন্যাসে রূপ নেবে কিনা, সেটাও আমার জানা নেই। উপন্যাস তো বৃহৎ পরিসরের বিষয়। তাই এক্ষেত্রে আমি শিশুই। একটি কথা জোর দিয়েই বলতে পারি, অভিজ্ঞতার বাইরে আমি লিখতে পারি না। যেভাবেই হোক অভিজ্ঞতাটা তার জায়গা দখল করে নেয়। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি, বাস্তবতার বাইরে আমার লেখাতে কাল্পনিক বলে কিছু নেই। যদি আগেই বুঝতাম গল্প দিয়ে জীবন চলে তাহলে হয়তো লিখতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আষাঢ়ে বৃষ্টি পড়ার মত।
আমার গল্প প্রকাশ হবে, ছড়িয়ে যাবে, এমন ভাবনা মাথায় ছিল না। শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক ‘অনুপ্রাণন’ গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমার চেতনাকে জাগ্রত করে দিয়েছে। গল্প লিখতে লিখতে তিনটি উপন্যাসও লিখে ফেলেছি।
“স্বপ্ন জলে জ্যোৎস্না” তৃতীয় উপন্যাস। পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে বিমুখ হইনি। বরং বুকভরা আনন্দ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই অনুপ্রাণন প্রকাশকের স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় আবু এম ইউসুফ ভাইকে।
মফস্বলে থেকে লেখক হয়ে, বই প্রকাশ করা বড়ই কঠিন কাজ। অথচ সেই কঠিন কাজটা অনেক অনেক সহজ করে দিয়েছে অনুপ্রাণন প্রকাশন। আবারও অসংখ্য ধন্যবাদসহ ও কৃতজ্ঞতা জানাই অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে জড়িতে সকলকে।
স্বপ্ন জলে জ্যোৎস্না
অনিন্দ্য আসিফ। জন্ম- ২৩ মে, ১৯৮১। কতিয়াচর, কিশোরগঞ্জ। পিতা- মোঃ আব্দুল হাই, মা- হাওয়া আক্তার।
শাদা অথবা শূন্য
ঢাকা-শহর থেকে কিছুটা দূরে ধামরাইয়ে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে খুন হলেন একজন প্রবীণ ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক। শুরুতেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এজন্য তারা অধ্যাপকসাহেবের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে তাঁর আপন-ভাগ্নে আজাদ কালামকে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারে না আজাদ কালামের আপন ছোটভাই আজাদ রায়হান। সে ভাইকে বাঁচাতে ই-মেইলে অনুরোধবার্তা পাঠায় তুখোড় গোয়েন্দা লালভাইয়ের কাছে। আজাদ রায়হানের অনুরোধক্রমে কেসটা হাতে নেন গোয়েন্দা লালভাই।
শুরুতেই লালভাই কেসটার মূলঘটনা-অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন। তিনি এই খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলেন। কিন্তু এতে প্রবলভাবে বাদ সাধে স্থানীয় থানার ওসি গোলাম মওলা। সে লালভাই ও তার সহকারীদের একরাতের মধ্যে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকিধমকি দিয়ে কেসটার তদন্ত-কাজ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিতে চায়! শেষ পর্যন্ত কি লালভাই পারবেন এই কেসটার মূলরহস্য-উদ্ধার করতে?…আর মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে লালভাই কেসটার এমন একটি সত্যউদ্ধার করলেন যাতে আরও বেশি হিং¯্র হয়ে উঠলো ওসি গোলাম মওলা! শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল—জানতে হলে পড়–ন ‘গোয়েন্দা লালভাই’ সিরিজের অনবদ্য প্রথম বই।
গোয়েন্দা লালভাই
কবি কবির মুকুল প্রদীপ, এক তরুণ কবির নাম
কবির মুকুল প্রদীপে’র প্রথম কাব্য প্রকাশকালে সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, তাঁকে পাঠকবৃন্দের কাছে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ্য কতকটা অতিরিক্ত প্রয়াস, কারণ কবি কবির মুকুল প্রদীপ তার নিজগুণে ও ধ্যানে ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে নিজেকে গ্রহণীয় করে তুলতে পেরেছেন এবং নতুন এক রুচিধারা প্রবতর্নের চেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন। আমি ফ্লাপে যে মন্তব্য লিখছি তা একজন অগ্রজের মুগ্ধতারই অভিব্যক্তি এবং সংশামুখরতা। তার কবিতা সমাজলগ্ন এবং সুস্থ সমাজচেতনা গড়ায় প্রত্যয়ী। আর তাই তিনি অনায়াশে বলেন ‘স্বৈরাচারী চেয়ার নিয়ে আবারও কয়েকযুগ নিশ্চিন্ত হয়।’ এই নিশ্চিন্ত হওয়ার পেছনের কারিগর হচ্ছে অশ্লীল রাজনীতি, যা জনগণকে ক্রমাগত চেতনাহীন নির্জীব প্রাণীকুলে পরিণত করে রেখেছে। আর তারা দেখে সমুদ্রের জলে পা দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সমুদ্রে মিলিয়ে যাওয়া, দেখে সামান্য বিষয় নিয়ে মানুষগুলোর ‘অমানুষ’ আচরণে ডুবে যাওয়া এবং এসব ঘটে বাস্তবজীবনের অঙ্কগুলো সঠিক চেতনায় জারিত করে উপলব্ধি হীনতার কারণে।
কবির মুকুল প্রদীপ প্রথাকে ভাঙতে চান নতুন সমৃদ্ধি আনার জন্য, এবং পুরানো প্রথাবদ্ধতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নির্মাণচেষ্ট কবিতার নতুন শরীর। কিন্তু প্রথাকে তিনি উপলব্ধি না করে ছুঁড়ে দিতে চান না। তার ক্রিয়া নতুন প্রথা নির্মাণের মধ্যদিয়ে কবিতাকে নতুন সময়ের উপযোগী করা। যাতে পরিবর্তিত সময়ের অভ্যেস রুচি ও চেতনা কাঠামোর নবরূপায়ন সম্ভব হয়। কবির মুকুল প্রদীপ বলেন ‘মৃত্যু-মুহূর্ত পর্যন্ত যে ঘুণে খাওয়া চৌকিটিতে বাবা শুয়ে থাকতেন/আজ ভাঙতে গিয়ে—-পায়া-তক্তার মতো দেখি/ আমিও ঝুরঝুর করে খুলেÑ বর্জের স্তুপে পরিণত হয়ে যাচ্ছি’ মুকুল এ ভাবেই পুরানোকে ভাঙতে গিয়ে তার প্রতি যে মোহ তাকে উসকে দিয়ে নিজ কর্তব্যকে নির্ধারণ করেন ভাঙার প্রত্যয়ে। তিনি নানাভাবে কবিতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার একটা মানসিকতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলছেন যা আমরা গত কতকটা সময় ধরে দেখছি। তিনি লিখছেন ভাষার নতুন অর্থযোজনার প্রয়াস নিয়ে।
যেমন তিনি বলেন ‘কোথা থেকে এক বিমূর্ত করুণ সুর ভেসে আসেÑ মনে হয়/ইটের নিচে চাপা পড়ে গোঙ্াচ্ছে বাদামি ঘাস/সর্বভূক কংক্রিট-ড্রাগন আর ধর্মের শৃগাল গিলে খাচ্ছে বনবাঁদাড়, খাল-বিল-মেধা’ তখন তো স্পষ্টই হয় কবি তার বিষয়কে কীভাবে নির্বাচিত করেন, কেন নির্বাচন করেন, কেন তিনি তাঁর আঁকুতিকে নিছক কল্পনা বিলাসে ভাসিয়ে না দিয়ে গড়ে নিচ্ছেন চেতনার শব্দবলীর মেলবন্ধন; আর শিল্পীর সামাজিক দায়িত্বকে কীভাবে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে সক্রিয় হয়েছেন বর্তমানের কবিতায়।
মুকুলের এটা প্রস্তুতি পর্ব, তার উত্থান পর্বে আমরা আরো সংহত শক্তপোক্ত কবিতা পাবো, পাবো নতুন ভাষা নির্মাণের পঙক্তিমালা, যা দৃশ্যমান অর্থ থেকে নানা অর্থকে দ্যোতিত করবে, কাব্যসুন্দরকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করবে। আমি খুবই আশাবাদী এই তরুণ কবির কাব্যক্ষমতার বর্তমান প্রকাশে। তার জয় হোক।
-মতিন বৈরাগী
অলীক জোছনা
পরগাছাদের জীবন কৌশল
সোলায়মান সুমন। জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য।
ভগ্ন সময়ের কোলাজ
কিছু কিছু সম্পর্ক থাকে, যার কোনো নাম হয় না; নামকরণও করা যায় না। এই নামহীন সম্পর্কগুলো আয়নায় লাগা জলের দাগের মতো লেগে থাকে। জল দিয়ে সেই দাগ মুছতে গেলে লেগে যায় আরো জলের দাগ। প্রতিবিম্বের গায়ে সেইসব জন্মদাগের মতো চিহ্ন রেখে যায়—সম্পর্ক এমনও হয়।
গ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক নয়। কারো সঙ্গেই কোনো ঐক্য নেই। তবে এ অনৈক্যের মাঝেও এক আন্ত আছে বৈকি! ওরা সকলেই শিরোনামহীন-সম্পর্কে আবদ্ধ।
নামহীন মৃত্যুর শিরোনাম
Dwitiyo Shrabone Prothom Kadam
শৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্রর মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে…
গুহা
কবি ফিরোজ আহমেদ এর জন্ম ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া থানার অন্তর্গত গিমাডাংগা গ্রামে। পিতা শেখ আব্দুর সাত্তার ও মা সুফিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহনের পর তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং একটি পুত্র সন্তানের জনক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রাথমিক পথ চলার পর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” গহীনে শূন্যতা” প্রকাশিত হয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শোভা প্রকাশ থেকে। তারপর নিয়মিত তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে নানা প্রকাশ মাধ্যমে। সাহিত্যের ছোট কাগজগুলোতে তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে। “ঘাসফুল” নামক সাহিত্য সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা “স্বদেশ খবর” এর সাহিত্য সম্পাদচকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দুই বাংলার মুখপত্র ” পূর্বপশ্চিম” পত্রিকার উপসম্পাদক হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থসমূহঃ
১। গহীনে শূন্যতাÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ Ñশোভা প্রকাশ।
২। দ্বীপের সবুজÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৩। জলবাড়িÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৪। নির্বাসনের আগেÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñশোভা প্রকাশ।
৫। নিষিদ্ধ সুন্দরÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñকালজয়ী প্রকাশ।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমূহঃ
১। জীবনের পদাবলি
২। মধুমতির তীরে
৩। উত্তরাধুনিক ছায়াবাড়ি
জল ও মাটির গল্প
পাথুরে মাটির কৃষাণ’ আনোয়ার হোসেন বাদলের সেই উপন্যাস যেখানে আছে টিকে
থাকার লড়াই, দুর্নীতির থাবা, মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ও প্রত্যাশার ফাটল, আছে কিছু
হৃদয়বান মানুষের আশ্রয় আর নদী ভাঙনের ছোবল। একটি ভালো উপন্যাসে আমরা
অবশ্যই চাইবো সমাজের ভালো-মন্দ আদলের সবটুকু রূপায়ন। ‘পাথুরে মাটির কৃষাণ’
সে ক্ষেত্রে এক অপূর্ব সংযোজন।
দক্ষিণাঞ্চল দ্রোহ আর প্রেমে বরাবরই উর্বর। একদিকে সবুজের সামিয়ানা অন্যদিকে
নদী ভাঙনের হাহাকার। একদিকে প্রতারণা, হয়রানী অন্যদিকে সর্বরিক্ত মানুষের হাত
ধরে বাঁচার সংগ্রামে কতিপয় হৃদয়বান মানুষ। আনোয়ার হোসেন বাদলের চারপাশে
থাকা এইসব মানুষই, ‘পাথুরে মাটির কৃষাণের’ চরিত্র হয়ে উঠেছে। সমাজের কালোসাদা, অন্ধকার-আলো আনোয়ার হোসেন বাদলের উপন্যাসকে এতটাই কাছের করে
তলেছে যে, মনে হচ্ছে একজন প্রক ু ৃত লেখকের কলম থেকে এই ধাক্কাটা দরকার
ছিলো। উপন্যাসের শুরুতে কলকাতা যাবার ভ্রমণযাত্রী হিসেবে যে জমিরুদ্দিনকে দেখা
যায় উপন্যাসের শেষে তাকেই দেখা যায় অনেক উত্তর মিলিয়ে দিচ্ছেন দায়িত্ব নিয়ে।
জমিরুদ্দিনই এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র, যে বিবেকের গান হয়ে পাহারাদার হয়ে
উঠেছেন। আত্মসমালোচনার চাবুক উপন্যাসের গতিকে দুর্বার করেছে। রয়েছে
মনস্তাত্ত্বিক গাঢ়তা।
মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বেঁচে থাকার ঐশ্বর্য। এখানেও রয়েছে সত্য, অসত্য কুহক।
কখনো কখনো সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় আড়ালেই থেকে যায়। একজন
শহিদ মুক্তিযোদ্ধার মা বানেছা বুড়ি তাই ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধের
কথা এলেই সেখানে থাকবে রাজাকার অরেছ শিকদারের মতো চরিত্র যাদের দেখলে
আজও ঘৃণার সমুদ্র জেগে ওঠে বানেছা বুড়ির শরীরে। চাঁন গাজী, লালু শরিফ,
প্রতিবাদী যুবক রুস্তম মোল্লা, জেলে জীবন, নদীর তীব্র ভাঙন খেলা, খেটে খাওয়া
মানুষের প্রতিদিনের সংগ্রাম আনোয়ার হোসেন বাদলের উপন্যাসকে দিয়েছে উত্তাল
উত্তাপ। সেই ধারাবাহিকতায় গভীর অনুরাগ জ্যোৎস্না জামিলা। যা বিরহের জলে ধোয়া
এই কঠিন জীবনের শরীরে দিয়েছে মধুর টান। সমাজের নিয়মে তৈরি দেয়াল বুঝিয়ে
দেয় অসম, অসার প্রতিদিনের ক্ষত। আনোয়ার হোসেন বাদলের উপন্যাস, ‘পাথুরে
মাটির কৃষাণ’ অনেক ছোট ছোট কাহিনি, নানা মানুষ, ভ্রমণপথের বর্ণনায় সমৃদ্ধ।
প্রকৃতি, প্রেম, রাজনীতি, প্রতিবাদ, সরলতায় জীবন্ত এই উপন্যাস হৃদয়বান পাঠকের
কাছে পৌঁছে যাবে আমার বিশ্বাস।
আসমা চৌধুরী
০৮.০৮.২০২২
পাথুরে মাটির কিষাণ - Pathure Matir Kishang
চুরিবিদ্যা- শিল্পিত সুন্দর, যদি হয় বই চুরির দুপুর
বই চুরির দুপুর গড়িয়ে যে-রোদ পাক হতো বিকেল
তোমার জানালা তখন সুরতালে রোদেলা কত্থক
এই এক সম্ভাবনার কাছে বাঁশিটার আসতো জ্বর
হাতে থাকতো পাহাড়ি শরীর ছিঁড়ে আনা বুনোফুল
খেলতে গিয়ে মাঠের অনুমতি নিতে নেই
তাতে ঘাসের বয়স বেড়ে যায়
শিশিরের স্পর্শসুখ হতে বঞ্চিত করে শরীর
সব সম্ভাবনার কাছে অনুমতির প্রশ্ন এলেই, অবলীলায়
জানতে চাইতে- কিছু অসুখী ফুলের নাম
এক একটা গোটা-দুপুর কীভাবে হয় দুখি ফুল
সব আকাক্সক্ষার ফুলবাগানে বিকেল যেন মন্ত্রধাম
মন্ত্র জপি আমি বন্দনার বাগানে তৃষ্ণার্ত আঙুল
মন্ত্র নই তৃষার আঙুল
“আমি শুরু থেকেই জানতাম, এরা যেকোন মূল্যে টাইম মেশিনটা তৈরি করেই ছাড়বে!” ক্রিটন তার আর্মচেয়ারে গা এলিয়ে দিতে দিতে বলল, “যেদিন নিকি আমাকে খবর দিলো যে ওরা তথ্যকেন্দ্রে মন্টক প্রজেক্ট সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে, সেদিন থেকেই আমি ওদেরকে আর হালকাভাবে নিই নি। এরপর আমাদের গুপ্তচর রিগা যখন ক্যাপ্টেন নিমোর সাথে ওদের কথোপকথন শুনে আমাকে জানালো যে বিজ্ঞানী ছোকড়াটার মাথায় সময় পরিভ্রমণের চিন্তা খেলেছে পুরনো আমলের একটা চলচ্চিত্রের খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য দেখে, তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে এই ছোকড়ার দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। কেন জানো ক্লড?”
“কেন প্রভু ক্রিটন?”
ক্রিটন ক্লডের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল, “কারণ আমি এই ছোকড়ার মাঝে আমার স্রষ্টা ডক্টর লির ছায়া দেখতে পেয়েছিলাম। ডক্টর লিও এরকমই ছিলেন, অনেক তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ জিনিসের মাঝেও তিনি অসাধারণ কিছু খুঁজে পেতেন। তিনিও এক অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছিলেন আমাকে তৈরি করে। ডক্টর লির মত মানুষেরা যেমন আমাদের গড়তে পারে, ঠিক তেমনি শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের গুঁড়িয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে, সে আমরা যতই আধুনিক এবং শক্তিশালী হই না কেন। এধরনের মানুষ কোটিতে বড়জোর একজন হয়। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে মানবজাতি টিকে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এধরনের মানুষ জন্মাবার সম্ভাবনা থেকেই যাবে!”
রু
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
নাহিয়ান ফাহিম। জন্ম: ২৩শে মার্চ, ১৯৮৪। ময়মনসিংহ জেলা। ঢাকাতে বেড়ে ওঠা। মূলতঃ পাঠক, ফলতঃ লেখক। সাহিত্য পত্রিকা ‘জলমাঝি’র সম্পাদক। মার্কেংটিং বিভাগে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিনদুপুরের নোটবই’।
মধ্যবিত্ত কবিতা
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.