Additional information
Weight | 0.215 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
ভূমিকা
লেখালেখি আমার কোনো পেশা নয়, এমন কি নেশাও নয়। তাহলে লিখি কেন? আসলে এখনও পর্যন্ত আমি একজন জীবিত মানুষ। এই সমাজ-সংসারের আরও দশ জন মানুষের একজন। তাদের মতো আমারও ক্ষুধা-তৃষ্ণা আছে। সুখ-দুঃখ আছে। হাসি-কান্না আছে। তাদের মতো আমারও কিছু বলার আছে। তাই কিছু বলতে চাই আমি। যেহেতু আমার অদৃষ্ট আমাকে নির্ধারণ করে দিয়েছে যে, আমি একজন গল্প লিখিয়েই হবো, তাই আমার বলতে চাওয়া কথাগুলো হবে কিছুটা গল্পের মতো। কিন্তু এই গল্প কাকে বলবো? নিশ্চয়ই আমার চার পাশের আর দশ জনকেই বলতে হবে কথাগুলো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি কোনো নেতা নই, কোনো বক্তা নই। শব্দ যন্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে গেলে আমার কথা কেউ শুনবে না। কারণ, আমি নিতান্তই নিরীহদের একজন। তাই কাগজ-কলমই আমার সম্বল। সুতরাং কোনো শব্দযন্ত্র ছাড়াই বলতে হবে নীরবে। কিন্তু তবু আমাকে বলতে হবে, যা আমি বলতে চাই। বলতে না পরলে হয়তো দম বন্ধ হয়ে আমি মারা যাবো। হয়তো কান দিয়ে শুনতে পাবেন না কথাগুলো, তবে চোখের আলোয় পড়তে পারবেন কাগজে মুদ্রিত কালো অক্ষরে।
জিয়াউল হক
গাইবান্ধা।
Weight | 0.215 kg |
---|---|
Published Year |
কলকাতার স্মৃতিকথা
শীতের সকালে হুট করেই সবচেয়ে নিকটের বন্ধু ও ছোট ভাই হাসানের নিকট কিম্ভূতকিমাকার পোষাকে উপস্থিত সুমন ভাই। তার ফোনালাপে সদ্য গড়ে উঠা প্রেমিকা মুমুর বিয়ে ভাঙতে যেতে হবে নোয়াখালী। যেই মেয়েকে কখনোও তিনি দেখেননি। কিন্তু নোয়াখালীতে পা রাখতে না রাখতেই শুরু হয় একের পর এক বিপত্তি ও হাস্য-রসাত্মক সব ঘটনা। কখনোও বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার প্রেমিকার বড় ভাই ও বড় ভাইর চ্যালা-প্যালারা, কখনোবা তিন বিটকেল কালাম, মাসুম ও জহির। এছাড়াও ঝামেলা পাঁকাতে সদা প্রস্তুত সুমন ভাইরই আপন মামাতো ভাই।
এই সকল নাটকীয়তার মাঝেই উপন্যাসের বাঁকে বাঁকে চলতে থাকে পাঁচ বন্ধুর বিচিত্র উদ্ভট সব কাণ্ডকারখানা। চলতে থাকে নির্মল ভালোবাসা-বাসি সুমন ভাই ও মুমুর মাঝে। শেষ পর্যন্ত কি ভালোবাসার বিজয় হয়? সুমন ভাই কি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পেরেছিলেন? জানতে হলে পড়তে হবে “অপারেশন নোয়াখালী”।
অপারেশন নোয়াখালী
দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী রমণীদের বসবাস এখানে। ওই সুন্দরীদের রূপের সাথে পাল্লা দেয় যৌবন আর যৌবনের সাথে পাল্লা দেয় রূপ কিন্তু সেটা এক রক্ত নহর বহা একনগরী… স্ত্রীর জন্য ৭ পুরের (গ্রামের) জল ও মাটি সংগ্রহ করে পুব্যা এক যুবক। তবে শর্ত ছিল পথিমধ্যে কারো সাথে কথা-টথা বলতে পারবে না সে। যুবকটি কেন বলছে, হায় নারী! হায় স্ত্রী আমার! তুমি আমার অর্ধেক নও, তুমি আমার পুরো পৃথিবী… এরকম অসংখ্য মজাদার কথামালায় রচিত এই দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা উপন্যাসটি। শরীফ শামিলের লেখনী শক্তি ও কল্পনা শক্তি প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর প্রথম উপন্যাস দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা এর ব্যাপারে লিখেছিলাম, ওটি বাংলা উপন্যাসে এক নতুন সংযোজন। আর এ ‘দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা’ উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসে আরেক (সম্পূর্ণ) নতুন সংযোজন।
আবু এম ইউসুফ
প্রকাশক
দুই প্রহরের প্রেম ও বিপরীত যাত্রা
একটি মেয়ে, জন্ম থেকে বোধ করি আলাদা ব্যতিক্রমী ভাবনায় গড়ে উঠেছে। দেশভাগের পর, নানান টানা-পোড়েনে বেড়ে ওঠা তাদের পরিবার। এক একটা ঘটনা হয়তো তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ। সেই সময় তার কাছে বিশাল বিস্ময় হয়ে উঠেছিল। এক একটা আঘাত প্রতিনিয়ত তাকে সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে। জীবনের মধ্যপ্রান্তে ক্লান্ত ‘বিকেলের আলোয়’ সে সবকিছুই দেখতে পায়। সেই সব হারানো না ফিরে পাওয়া দিনগুলো। সেই সব দিনগুলো আজো খুঁজে বেড়ায়। আজো বেলিফুলের তীব্র ঘ্রাণ নাকে আসে বাতাসের সাথে। শেষ প্রহরের সিনেমা ভাঙা গান আজো বাজে। ট্রেনের হুইসেলের শব্দে আজো যেনো ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ভালো লাগবে আশা করি প্রিয় পাঠকের।
বিকেলের আলোয়
ভূমিকা
বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ার হোসেন বাদল চিকিৎসার জন্যে কিছুদিন আগে দক্ষিণ ভারতের ভেলোর শহরে গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন তার আজীবন সহযাত্রী, সহযোদ্ধা আমাদের প্রিয় সুলতানা ভাবী। বাদল ভাই ভাবীর সাথে নানান জায়গার ছবি তুলছেন আর তাৎক্ষণিক অভিজ্ঞতা লিখে পোস্ট দিচ্ছেন। আমিও মজা করে কমেন্ট করে যাচ্ছি সেইসব পোস্টে। প্রথমদিকে সাদামাটা পোস্ট ভেবেই গভীরে তেমন ঢোকার চেষ্টা করিনি। কিন্তু সময় যতোই যেতে থাকে পোস্টগুলো আমাকে চুম্বকের মতো টানতে থাকে। একসময়ে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে বাদল ভাইয়ের ভ্রমণবৃত্তান্তের অপেক্ষায় থাকি, কখন তিনি পোস্ট দিবেন, কখন সেই আখ্যানগুলো পড়বো। অবস্থা যখন এমন পর্যায়ে একদিন বলেই ফেললাম যে লেখাগুলোকে মলাটবদ্ধ করলে একটি ভালো বই হতে পারে। উপযাচক হয়ে এটাও বললাম যে যদি কখনো লেখাগুলো মলাটবদ্ধ হয় আমিই লিখবো এর মুখবন্ধ।
বলেতো দিয়েছি কিন্তু তখন কি আর জানতাম যে এই গুরুদায়িত্ব আমার ঘাড়েই চাপবে! সেদিন হঠাৎই বাদল ভাইয়ের ফোন, ‘কমরেড, ভারতে কয়েকদিন নামের বইটি আসছে আগামী বইমেলায়। ভূমিকা কিন্তু আপনাকেই লিখতে হবে।’ আমিতো সপ্তম আসমান থেকে পড়লাম একেবারে জমিতে।
যাইহোক, সচরাচর ভ্রমণকাহিনী বলতে আমরা যা বুঝি আনোয়ার হোসেন বাদল এর ‘ভারতে কয়েকদিন’ সে অর্থে কিন্তু কোনো ভ্রমণকাহিনী নয়। বরং এটি হচ্ছে সাদা চোখে দেখা সাদামাটা অভিজ্ঞতার এক নির্মোহ বিবরণ, কিছু জানা কথা, কিছু অজানা তথ্যের প্রকাশ।
বইটি এমন সহজ-সরল ভাষায় লিখিত যে—পড়ার সময় মনে হতে পারে পাঠক বই পড়ছেন না বরং লেখকের সাথে সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভারতের নানান শহর। নিজের চোখেই পাঠক দেখছেন ভারতের ইতিহাস-ঐতিহ্য, স্থাপনা আর বিচিত্র প্রকৃতি।
আলোচ্য বইটিতে পাঠকের পরিচয় ঘটবে ভারতের ঐতিহাসিক শহর কোলকাতা, তৃতীয় বৃহত্তম শহর দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই আর ভেলোরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্পসংস্কৃতি ও স্থাপত্যকর্মের সাথে।
বইটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অমরকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
কবি হানিফ মোহাম্মদ
তালেপুর, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা।
ভারতে কয়েকদিন
লেখকের কথা:
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী “রু” আমার প্রথম প্রকাশিত বই হলেও আমার লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল এই “প্রজেক্ট পাই”, যেটা আমি লিখেছিলাম দুই হাজার পনেরো সালে, অর্থাৎ আজ থেকেও আরো প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু নানা কারণে এই উপন্যাসটা আর প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি। তবে কোথাও প্রকাশ না করলেও উপন্যাসটার কথা আমার মাথায় সবসময়ই ছিল। এ-কারণে প্রায়ই “প্রজেক্ট পাই”-এর ফাইলটা বের করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ বুলাতাম। এ-রকম করতে করতেই একদিন হঠাৎ মাথায় চলে এলো “রু”-এর প্লট। লেখা শুরুও করে দিলাম আমার দ্বিতীয় উপন্যাস “রু”। মাঝখানে অনিবার্য কারণবশত নেয়া একটা লম্বা বিরতিসহ প্রায় দুই বছরের মতো সময় লাগলো “রু” লিখে শেষ করতে। লেখা শেষ হবার বেশ কয়েক মাস পর আমার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাসটি অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো আমার প্রথম বই হিসেবে। বইটি অনুপ্রাণনের সে বছরের বেস্টসেলারও হলো। “রু”-এর পর এবার আমার মাথায় এলো আমার প্রথম সন্তান, অর্থাৎ আমার লেখা প্রথম উপন্যাস “প্রজেক্ট পাই”-এর কথা, যে কিনা গত চার বছর ধরে ঘরবন্দী হয়ে আছে। ভাবলাম, এবারে যে তাকেও মুক্তি দিতে হয়!
অবশেষে “প্রজেক্ট পাই”ও মুক্তি পেলো। প্রজেক্ট পাই সম্পর্কে আমি আমার পাঠকদের আগে থেকে তেমন কিছুই বলব না। শুধু এটুকুই বলব, “রু” যেমন আমার এবং আমাদের গল্প ছিল, “প্রজেক্ট পাই”ও ঠিক তেমনি আমার এবং আমাদের গল্প। এখান থেকে আমাকে এবং আমাদেরকে খুঁজে নেয়া এবং আমাদের মাঝখানে নিজেদেরকেও খুঁজে নেয়ার দায়িত্ব আমি আমার পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
Ñতানভীর আহমেদ সৃজন
আগস্ট ২০১৯
প্রজেক্ট পাই
প্রকাশকের কথা-
বাংলা উপন্যাসে এক নতুন সংযোজন : বাংলা উপন্যাস এমনকি বিদেশি কোনো উপন্যাস এরকম কোনো উপ-কাহিনি দিয়ে শুরু এবং পৌরাণিক কাহিনি দিয়ে শেষ হয় বলে জানা নেই আমার। শরীফ শামিল এর উপন্যাস ‘দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা’ পড়ে সেরকমই মনে হলো আমার। গত তিন চার বছরে আমার সাহিত্য পত্রিকা ‘অনুপ্রাণন’-এ তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প ছেপেছিলাম, ওই গল্পগুলো পড়েই শরীফ শামিলকে মনে হয়েছিল একজন স্বতন্ত্র ধারার লেখক।
তাঁর উপন্যাসে স্বপ্ন আশা-আকাঙ্খা, হতাশা প্রেম কাম, নীরব বিরহ গ্রাম্য আচার-সংস্কার-কুসংস্কার, শোষক শোষিতের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ, লোভ হিংসা, সর্বোপরি মানুষের মনুষ্যত্ব মনস্তত্ত্বকে তিনি অল্প কথায় যেভাবে প্রকাশ করেছেন, তা অসাধারণ বলা যায়। একটি দু’টি বাক্যের মাধ্যমে তিনি একেকটা পরিচ্ছদকে তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে; তাঁর এই উপস্থাপন কৌশলটি এবং কৌতুক ও ব্যঙ্গাত্মক শব্দ প্রয়োগগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর চরিত্রদের কিছু সযাং ভাষা ও আঞ্চলিক ভাষা, মেয়েলি গীত, কাহিনি ও জাউলি গীত উপন্যাসটিকে বিশ্বাসযোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। উক্ত উপন্যাসে ঐক্যের বিজয় দেখানো হয়েছে সেটা খ-কালিন বিজয়; চিরকালিন নয়- এটাই উপন্যাসের আরেক সার্থকতা বলে মনে হয়েছে আমার। তাছাড়া উপন্যাসের ভাষা-পরিভাষা অলংকার উৎপ্রেক্ষা উপমা অনুপাস-এর ব্যবহারও মুগ্ধ করার মতো। অতিবাস্তবতা ও যাদুবাস্তবতাকেও সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি এই উপন্যাসে।
শরীফ শামিল-এর ‘দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা’ উপন্যাসটি পাঠান্তে সকল শ্রেণির পাঠক মুগ্ধ হবেন বলেই আমার বিশ্বাস। তবে পাঠকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা
হামিম কামাল। জন্ম ১৯৮৭ সালের ৯ অগাস্ট, ঢাকায়। আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক।প্রকাশিত গ্রন্থ- জঠর (২০১৬), কারখানার বাঁশি (২০১৮)।
জঠর
জন্ম ২৩ নভেম্বর, গোপালগঞ্জ জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে বর্তমানে একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত। শৈশব থেকেই লেখলেখিতে আগ্রহী। প্রথম প্রকাশিত বই ‘চাঁদ চোয়ানো জোৎস্নায় ফিরে এসো নদীবতী মেয়ে’।
তোমার জন্য মেয়ে
শাহিনুর, যাত্রাদলের এক সুন্দরী নর্তকী। বিধবা এ মেয়েটি ভিন্ন জাতের এক গানওয়ালার প্রেমে পড়লে ধর্ম ও সমাজ থেকে ছিটকে পড়ে। তার নাচ দেখতে এসে প্রেমে পড়ে যায় কিশোর বদি। শাহিনুরও এই কিশোরের প্রেমে হারিয়ে ফেলে জীবনের খেই। একসময় ভেঙে যায় ‘দি মাঝি অপেরা’। হারিয়ে যায় শাহিনুর। পর্দার আড়ালে থেকে এই নর্তকী তার প্রেমিকার প্রতিষ্ঠা পেতে অবদান রাখে। দীর্ঘ তেরো বছর পর জীবনের মঞ্চে আবার শাহিনুরের আবির্ভাব।
‘কৃষ্ণপক্ষের আলো’ নদী তীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক অসাধারণ আলেখ্য। ঔপন্যাসিক আশ্চর্য কুশলতায় উঠিয়ে এনেছেন আবহমান বাঙলার অন্ত্যজ শ্রেণির শিল্প, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা। সুনিপুণভাবে চিত্রিত হয়েছে বাঙালি জাতির মহান অর্জন মুক্তিযুদ্ধের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির সূক্ষ্ম দিকসমূহ। ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, পুরুষতান্ত্রিকতার নগ্ন থাবা লেখকের ক্ষুরধার তীর্যক আঁচড়ে অতি চমৎকাররূপে বাঙময় হয়ে উঠেছে।
বিয়োগাত্মক এ গল্পে কেন্দ্রীয় চরিত্র শাহিনুর পতিত শ্রেণির এক বঞ্চিতা নারী। গল্পকার তার মুনসিয়ানা দিয়ে বাস্তবসম্মতভাবে পতিত এ নারীকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন মহীয়সী রূপে।
শিল্পের সব ধারায় কাজ করলেও আনোয়ার হোসেন বাদল মূলত এক শক্তিমান কবি ও কথাশিল্পী। তার প্রকাশিত প্রত্যেকটি উপন্যাস নিঃসন্দেহে শিল্পগুণসমৃদ্ধ এবং সুখপাঠ্য। কৃষ্ণপক্ষের আলো বাংলাসাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে প্রত্যাশা রইলো।
সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ
বহুমাত্রিক লেখক ও সাহিত্যজন
কৃষ্ণপক্ষের আলো
শহীদ ইকবাল। প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক। জন্ম ১৩ আগস্ট, ১৯৭০ রংপুর জেলার পীরগঞ্জে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং এখানেই শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রকাশিত অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছেÑ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মুখশ্রীর পটে, কবিতা: মনন ও মনীষা প্রভৃতি। লিটলম্যাগ ‘চিহ্ন’ এর সম্পাদক।
হয়নাকো দেখা
লেখক পরিচিতি :
সাদাত হোসাইন। জন্ম: ২১মে. ১৯৮৪।
তরুণ লেখক, আলোকচিত্রী ও নির্মাতা। যার কবিতার বইটি প্রকাশের আগে উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের কবিতা ভাবনাটা খুব সোজা, কবিতা হচ্ছে এমন এক শিল্প যার মাঝে যখন ইচ্ছে তখন টুপ করে ডুব দেয়া যায়। লেখকের নির্মাণ ÔবোধÕ স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্রটি দেশে বিদেশে যথেস্ট সমাদৃত হয়েছে। ২০১৩ সালে Ôকালচারাল এচিভমেন্টÕ ক্যাটাগরিতে জিতে নিয়েছেন Ôজুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালÕ-এর Ôটেন আইটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস অফ বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডÕ।
যেতে চাইলে যেও
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
কবিতা ধারণ করে পৃথিবীর গুঢ়তম রহস্য। সে রহস্য এমনই যে আজ পর্যন্ত কোন কবি কবিতার কোন সার্বজনীন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে উঠতে পারেননি। মাসুদ আলম বাবুল একাধারে একজন কবি ও কথাশিল্পী। কবিতার রহস্যময়তাকে তিনি ধারণ করেছেন আপাদমস্তক।
“অতৃপ্তির অন্ধকারে একা” মাসুদ আলম বাবুল এর নবম কাব্যগ্রন্থ। বইটি কবিতাকেই যেমন রহস্যময় করে তুলেছে, তেমনি রহস্যকে তুলে এনে স্থাপন করেছে কবিতার শরীরে।
“কেউ কেউ শূন্যতাকে আকাশ আর সামিয়ানা ভাবে/ অন্ধ গলির লাইটপোষ্টে দেখে নেয় আলেয়ার মুখ।” —বস্ত্রহীন সভ্যতায় উদগ্র ভালোবাসাগুলো অশ্লীল।
মাসুদ আলম বাবুল এর কবিতায় ভিন্নতর একটি ব্যঞ্জনা আছে, আছে গভীর উপলব্ধির সরল প্রকাশ। তার কবিতার মধ্যে ডুব দেয়া যায়, তুলে আনা যায় মুক্তো ভরা ঝিনুক সমগ্র। গভীর উপলব্ধিগুলো উঠে আসে নতুন কথার একেকটা বাক্য হয়ে।
“যা মনে হয় তা কখনোই মনে হয়নি/ কখনো যা মনে হয়নি তাই মনে হয় বারবার।” –অদৃশ্য জ্বলন।
কবির এই একাকী অন্ধকার তার একান্তই নিজস্ব অতৃপ্তির অন্ধকার। আর তাই বেরিয়ে আসার ব্যাকুলতাও অদ্ভুত আবেদনময়।
“রাত ফুরোলেই চকচকে রোদে ভরা লনে/ চলো, দু’হাতে আলো আর ভালোবাসা ধরি।” –তুমি জেগে ওঠো।
জেগে ওঠার তৃপ্তি পেতেই বোধ হয় মাসুদ আলম বাবুলের একাকী অতৃপ্তির অন্ধকারে তাঁর সঙ্গি হবার চেষ্টা করাই যায়।
লুতফুল বারি পান্না
কবি ও প্রাবন্ধিক।
অতৃপ্তির অন্ধকারে একা
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
হাসান অরিন্দম। বাংলাদেশের একজন প্রাবন্ধিক ও গল্পকাররূপে পরিচিত। কথাসাহিত্যই তার সৃষ্টি ও আগ্রহের প্রধান ক্ষেত্র। জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৭২। শিক্ষাজীবনÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলার লোকজীবন ও আবু ইসহাকের কথাসাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় অধ্যাপক। ‘একজন মানুষের সম্ভাবনা’, ‘বিদ্যাছায়াবিদ্যা ও অন্যান্য গল্প’, ‘দুরবিনে দেখা কতিপয় দৃশ্য’সহ আরো অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের দৃষ্টিসীমায় কোন বাতিঘর ছিলো না
‘পিকাসো হইলো পেইন্টিংয়ের গড’- ক্লাসে কতোবার যে বলিছেন উনি
আমার রাগও হইছে
হাসিও পাইছে
তাইলে আপ্নে আমার কী
-গডেস
-এ্যাঞ্জেল
-জোয়ান অব আর্ক
-না
আপ্নে আমার কবিতা
আপ্নেরে নিয়া কবিতা লিখুম
হ কবিতাই লিখুম ভাইবেন্না কিউট সেক্সুয়াল ফেটল্স
বা জাস্ট ওরিয়েন্টাল মেটাফর
ভাইবেন যা হোক
কবিতায় কিন্তু আপ্নের লগে আমার কাইজ্জা আছে
আপ্নে আমারে কি কম কষ্ট দিছেন্নি
সরকারি কবিতা
‘আপনি আগের মতো আমাকে‘তুমি’ বললে খুশি হবো। আপনি আপনি বলতে-শুনতে, ভালো লাগছে না। কানে বড্ড বেসুরা লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক দূরের কেউ কথা বলছে।
রায়না একটু থেমে আবার বলে, আর রিফাতের সামনে বলতে অসুবিধা হলে, আমরা যখন দু’জন থাকব, তখন বলবেন। প্লিজ, আমার এ কথাটা রাখবেন।’ এ বইয়ে, এমনই সৈয়দ নূরুল আলমের গদ্য।
ঊনিশশ’ ছিয়াশিতে সৈয়দ নূরুল আলম এর প্রথম গ্রন্থ যুদ্ধের ছবি’র ভূমিকায় আব্দুল মান্নান সৈয়দ লিখেছিলেন,‘স্বাধীনতা উত্তর যে নতুন জগৎ বাংলাদেশে তৈরী হয়েছে, তারই জলরঙ ছবি আলম এঁকেছেন। সজল। সরল। সাবলীল। ইশারা-কুশল। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্ন বিত্তের পৃথিবীকে তিনি জানেন। ছোটো গল্পের বিশিষ্ট শিল্প কুশলতাও তাঁর আয়ত্ত।’
আজ এতবছর পরে সৈয়দ নূরুল আলম এর লেখায় কি উত্তরণ ঘটেছে বা কেমন তাঁর গদ্যভাষা, ‘নৈঃশব্দের বিকেল’ উপন্যাস পড়লে সেটা জানা যাবে।
উপন্যাসটা উচ্চ মধ্যবৃত্ত পরিবারের গল্প। সমসাময়িক ঘটনা, কয়েকটি অতিচিনা চরিত্রের মাধ্যমে গল্পের বিস্তার। গতিময়তার কারণে পড়া শুরু করলে, শেষ না করে ওঠা কঠিন হবে। বন্ধু মানে বিশ্বাস- এটাকে কেন্দ্র করে কাহিনী আবর্তিত।
নৈঃশব্দ্যের বিকেল - Noishabder Bikel
শহর মাত্রই একটি নদী। আর শহরে বসবাসকারী মানুষগুলো হচ্ছে নদীর জলে ভাসমান কচুরিপানা। কারো পানায় পাতা গজিয়েছে তো কারো পানায় বায়ুকুঠুরি। নদীতে যেমন জোয়ার-ভাটা হয়, শহরেও তেমনি জোয়ার-ভাটা হয়। জোয়ার কালে কচুরিপানারা সব ভেসে ভেসে চলতে থাকে স্রোতের সাথে। মানুষও সেরকম ভাবেই চলে, যখন বাতাস যেদিকে ধায়। সন্ধ্যায় আবার ভাটার টানে একইভাবে ফিরে আসে আপন ঠিকানায়। এই জোয়ার-ভাটার মাঝেও কখনো কখনো নদী বিশ্রাম নেয়, বুকে ধারণ করা বিশাল জলরাশিকে স্থবির করে রাখে ক্ষণিকের জন্য। আর ঠিক তখনই কচুরিপানারা স্ব স্ব দম্ভে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে মরিয়া হয়ে পড়ে। যদিও কচুরিপানারা এটা জানে, তার কান্ড থেকে বের হওয়া দীর্ঘ, তন্তুময়, বহুধা বিভক্ত মূলগুলো যত দীর্ঘই হোক না কেন, নদীর ছোট্ট একটা ঢেউ উপেক্ষা করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই হয়তো জলজ এই উদ্ভিদগুলো মাটির সাথে তাদের শিকড়ের সম্পর্ক স্থাপন করে না কখনো।
এই শহরের মানুষগুলোও জানে, নগর নদীর ছোট্ট একটা ঢেউ সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। তবুও মানুষ প্রতিনিয়ত হাজারো স্বপ্ন নিয়ে ঢেউয়ের মতো ছুটে এসে আছড়ে পড়ছে এই শহর নামক নদীর বুকে। এই নিশ্চিত অনিশ্চয়তার মধ্যেই কি দিব্যি আগামীকালের স্বপ্ন দেখে। নানা শ্রেণির মানুষ, নানা রকম স্বপ্ন।
“নগর নদীর ঢেউ” একটি জীবনমুখী সামাজিক উপন্যাস; যেখানে লেখক তার যাপিত জীবনের সূক্ষ্ম বোধগুলিকে থরে থরে বিন্যস্ত করেছেন সুনিপুণ হাতে। একজন মধ্যবিত্ত অতি সাধারণ মানুষ থেকে পরিশ্রম আর মেধার সঠিক সন্নিবেশ ঘটিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করা একজন সফল মানুষের জীবনগল্প এটি। এই উপন্যাসে শহরকেন্দ্রিক জীবন-যাপনের নানা দিকগুলি উঠে এসেছে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। উপন্যাসটির পটভূমি একটি দীর্ঘ কাহিনি। যেখানে শফিক নামের কেন্দ্রীয় চরিত্রটিকে ঘিরে গল্পের ডালপালা ছড়িয়েছে বিস্তর। পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, ঘাত-প্রতিঘাত, আশা-আকাক্সক্ষা, খুনসুটি, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ, ভালোবাসা-ঘৃণা, প্রতিশোধ পরায়ণতা ইত্যাদি বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায়। উপন্যাসটির প্লট বা আখ্যান খুবই সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত। প্লটের মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রের ক্রিয়াকা-কে এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যাতে তা বাস্তব জীবনকে প্রতিফলিত করে এবং কাহিনিকে আকর্ষণীয়, আনন্দদায়ক ও বাস্তবোচিত করে তোলে।
চলার পথে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে বিষয়গুলি আমরা সাধারণত এড়িয়ে যাই, এই উপন্যাসে লেখক সেই বিষয়গুলিকে খুব গভীর অথচ সহজভাবে মেলে ধরেছেন। এবং প্রত্যেকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার পেছনে নিজস্ব একটা ‘দর্শন’ রেখে গেছেন পাঠকের উদ্দেশ্যে, যা আসলে একজন গুণি লেখকের পক্ষেই সম্ভব।
একজন ভাড়াটে মাস্তান কাজের কন্ট্রাকসহ এডভ্যান্স টাকা হাতে নিয়ে যখন তার ক্লায়েন্টের বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় হাঁটে, তখন সে মনে মনে কী ভাবে বা ভাবতে পারে? সে হয়তো ভাবতে পারে, এই টাকাগুলি সে কোথায় কোথায় ফুর্তি করে কিভাবে উড়াবে। অথবা বিশেষ কোনো খায়েশ মেটানোর কথাও ভাবতে পারে। আর যাই’ই ভাবুক মাস্তান নিশ্চয় তার টাকাগুলি রাস্তায় ছিনতাই হয়ে যেতে পারে এই ভেবে দুশ্চিন্তা করবে না! সাধারণ মানুষ হয়তো এমনটাই ভাববেন। কিন্তু না, ঔপন্যাসিকের চিন্তা জগত তো সাধারণ মানুষের মতো নয়। একজন মাস্তানও তার টাকা লুট হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক নিয়ে গন্তব্যের দিকে দুরুদুরু বুকে চলতে পারে। লেখকের ভাষায়, “টাকার দুশ্চিন্তায় থাকা পথিকের কখনোই মাথার উপর খোলা আকাশে পূর্ণ চাঁদ দেখা হয়ে উঠবে না, এটাই স্বাভাবিক।”
এই শহরে মূলত দুই শ্রেণির পেশাজীবী মানুষের বসবাস। চাকরিজীবী আর ব্যবসায়ী। এখানে যে বা যারা একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক, সে বা তারা ব্যবসায়ী; হোক সেটা চায়ের একটি টং দোকান বা বহুমুখী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে যে বা যারা কাজ করতে আসে তারা চাকরিজীবী, হোক সে কাস্টমারের হাতে চায়ের কাপটি তুলে দেয়া কোনো ছোটু কিংবা গলায় টাই ঝুলিয়ে নয়টা-পাঁচটা ডিউটি করা কোনো কর্মকর্তা। দিনশেষে একদল মানুষ এই শহরে মালিক এবং একদল মানুষ চাকর। আর এই চাকর শ্রেণির মানুষের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লেখকের ভাষায় বর্ণিত হয়েছে এইভাবে, “যে প্রতিষ্ঠানের মালিকবৃন্দ মাস শেষ হতেই ঠিক সময়ে মাইনে দিতে পারে, তাদের শত অপরাধেও সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলার মুরুদ থাকে না চাকুরে নামক মেরুদন্ডহীন প্রাণীগুলোর।”
পুরো উপন্যাস জুড়েই নানা ঘটনার পাশাপাশি প্যারালালভাবে এমন সব দর্শনের বিস্তার ঘটিয়ে গেছেন লেখক, যা পাঠকের ভাবনা জগতে একটু হলেও নাড়া দিয়ে যাবে। ব্যাপারটি আবার এমনও নয় যে, লেখক বিনা কারণে শুধু তার নিজস্ব দর্শন কপচিয়ে গেছেন, বরং এই দর্শনগুলোই প্রতিটি ঘটনাকে একটি সঠিক উপলব্ধিতে এনে দাঁড় করিয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই, মানবজীবন সংক্রান্ত যে সত্যের উদঘাটন উপন্যাসের মধ্য দিয়ে পরিষ্ফূট হয় সেটাই লেখকের জীবনদর্শন। আমরা একটি উপন্যাসের মধ্যে একই সঙ্গে জীবনের চিত্র ও জীবনের দর্শন এই দুইকেই খুঁজি। এর ফলে সার্থক উপন্যাস পাঠ করলে পাঠক মানবজীবন সংক্রান্ত কোনো সত্যকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। এই উপন্যাসটি পাঠ শেষেও পাঠকের তেমনই এক উপলব্ধি হবে।
তুষার অপু
মহাখালী, ঢাকা
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
নগর নদীর ঢেউ
সোলায়মান সুমনের গল্পের মানুষগুলো আমাদের খুবই চেনা। তাদের জীবনবোধও খুবই সাধারণ। আর সেই সাধারণ মানুষ ও তাদের সাধারণ বোধগুলো অসাধারণ হয়ে ওঠে লেখকের নিজস্ব চিন্তাবোধ যুক্ত হয়ে। ফলে পাঠক এক ভাবনার ঘোরে নিমজ্জিত হন। সোলায়মান সুমন রূপক, প্রতীক, উপমার স্বতন্ত্র বিন্যাসে তাঁর গল্পকে দিয়েছেন আলাদা পরিচয়। আসুন তাঁর গল্পে নিমজ্জিত হই।
উজানের মানুষ
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
স্বপঞ্জয় চৌধুরী মূলতঃ কবি, তিনি যখন গদ্য লেখেন কাব্যিক উপস্থাপনাগুণে ভাষা হয়ে ওঠে সতত সঞ্চরণশীল নদীর মতোই উপভোগ্য ও গতিময়। প্রতিভাবান এ তরুণ লেখকের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত অসংখ্য লেখা থেকে সাহিত্য সন্দর্শন, কবিতা ও শিল্পকলার নন্দন, নীতিশাস্ত্র, দর্শন, চলচ্চিত্রসহ বহুবিচিত্র বিষয় সুনির্বাচিত আটাশটি নিবন্ধ সমন্বয়ে তার প্রথম প্রবন্ধ সঙ্কলন ” নিগুঢ় শিল্পের কথাচিত্র “-এ প্রাগুক্ত ভাষিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক মূল্যবান তথ্যের সন্নিবেশ এবং যুক্তিনির্ভর সূক্ষ্মদর্শী পর্যালোচনা অত্যন্ত চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সুলিখিত গ্রন্থটি লেখক, গবেষকসহ সবশ্রেণির সাহিত্যমোদি পাঠকের প্রয়োজন মিটিয়ে তাদের অনুসন্ধিৎসু মনে নতুন চিন্তার খোরাক জোগাবে ।
মাহফুজ আল-হোসেন
কবি ও প্রাবন্ধিক
নিগুঢ় শিল্পের কথাচিত্র
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.