Description
ইমরুল হাসান
জন্ম ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে সিরাজগঞ্জ সদরের হাসনা গ্রামে, নানাবাড়িতে।
পৈতৃক নিবাস সদরের গুণেরগাঁতীতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে অনার্স, মাস্টার্স।
মা সাজেদা রশিদ, বাবা আব্দুর রশিদ।
$ 1.59 $ 2.12
স্বাগতম
আমার পৃথিবীতে আপনাকে স্বাগতম হে মান্যবর ;
আমি জানি আপনার ব্যস্ততা সীমাহীন,
আবার এ-ও জানি আপনার হৃদয় আকাশের মতো
আর হৃদয়ের ভালোবাসা সাগরের মতো ;
আরো জানি,আপনার ইচ্ছেরা উড়ে বেড়ায়
প্রজাপতি আর সহস্র পাখির মতো,
আমি জানি, আপনার সেই ইচ্ছেপাখির ডানায় চড়েই
আপনি আজ এসেছেন আমার পৃথিবীতে ;
আপনার ওই নিষ্পাপ হৃদয়ে
আমাকে দিয়েছেন এক চিম্টি জায়গা,
আপনার এক পৃথিবী ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে
আমার পৃথিবীতে রেখেছেন আপনার স্বর্ণপা,
আপনাকে পেয়ে, আপনার ব্যবহারে
আমি আবেগে উদ্বেলিত,
সাথে সাথে আমি লজ্জিত
কারণ, আপনাকে সমাদর করার মতো যথেষ্ট ভদ্রতা
আমার জানা নেই,
আমি লজ্জিত, আমি নাদান,
আমার এ অজ্ঞতা,
আমার এ অনাকাঙিক্ষত অপরাধ,
আপনি মার্জনা করুন হে মান্যবর,
আসুন, আপনি আসুন।
ইমরুল হাসান
জন্ম ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে সিরাজগঞ্জ সদরের হাসনা গ্রামে, নানাবাড়িতে।
পৈতৃক নিবাস সদরের গুণেরগাঁতীতে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে অনার্স, মাস্টার্স।
মা সাজেদা রশিদ, বাবা আব্দুর রশিদ।
Weight | 0.210 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
নিখিল নওশাদ। জন্মসন: ১৯৮৯ইং। বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ। ‘বিরোধ, ‘নিওর’ ও ‘নীড়’ পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এছাড়া ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
এটি একটি চিৎকার
লেখক পরিচিতি :
সুলতানা শাহরিয়া পিউ। জন্ম: ২রা অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সঙ্গীতচর্চা তার শখ। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদ এর সদস্য, বর্তমানে দীপ্ত টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘মেঘের সাথে কথা’। অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ: ‘নিমগ্ন জলধারা’। স্ক্রিপ্ট সঙ্কলন: ‘আমরা করব জয়’। গীতিকবিতার অনুবাদ: ‘অচিন’। গল্প সংকলন: ‘মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প’।
আমার দিনগুলো রইলো অসম্পূর্ণ
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
লেখক পরিচিতি :
প্রজ্ঞা মৌসুমী। জন্ম: এক শরতে দাদুবাড়ি কুমিল্লায়, বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে। ঊনিশ বছর থেকে পড়াশুনার জন্যে প্রবাস জীবন। এক এসাইনমেন্টের জন্যে প্রথম ইংরেজি কবিতা লিখার শুরু। প্রথম জীবনের কবিতাগুলো ইংরেজিতেই লেখা, কিন্তু মন আঁকুপাঁকু করে বাংলায় লিখতে; তারই ফলশ্রুতিতে আজকের প্রথম কবিতা ফসল ‘পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ’। লেখক কবিতা ও গল্প লিখে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার তাই বাংলা সাহিত্যের অত্যুজ্জল আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করার স্বপ্ন দেখেন অহর্নিশ।
পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
সম্পর্কে জড়ানোর জন্য অভিকর্ষ বলের কোনোই দোষ নেই।
— আলবার্ট আইনস্টাইনক
কথাটি হয়তো এই মহান বিজ্ঞানী মজার ছলে বলেছিলেন। আসলে একজন মানুষ জন্মের পর ধীরে ধীরে তার কাছের মানুষগুলোকে চিনতে শুরু করে। তারপর সে দূরের সম্পর্কগুলোকে জানার চেষ্টা করে। কাছে দূরের এই যোজন বিয়োজনের পারস্পরিক ক্রিয়ার রসায়নে একটা সময় হয়তো কোনো সম্পর্ক মধুময় হয়ে ওঠে, কখনো বা তিক্ত। আবার এই তিক্ত সম্পর্ক সৃষ্টির নিয়ামক হয় মানুষের লোভ, শঠতা ও অহংকার। মাঝেমাঝে কিছু সম্পর্ক সামাজিক বিধিনিষেধের গোলকধাঁধায় পড়ে আবার নিষিদ্ধও ঘোষিত হয়। সেই সম্পর্কেগুলোর হয়তো কোনো নামও হয় না। অথচ নামহীন এমন সম্পর্কের ভার সারা জীবন মনে ভেতরেই থেকে যায়।
মানুষের বৈচিত্র্যময় আন্তঃসম্পর্কের পাপপুণ্যের পরিধি বিশ্লেষণ করে লেখক ‘নিমপাতার পাকোড়া নিষিদ্ধ আলিঙ্গন’ গল্পগ্রন্থে সেইসব নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলোকেই আলিঙ্গনের চেষ্টা করেছেন। শুধু মানবিক সম্পর্কের পূর্বাপর অন্বেষণ নয়, সামাজিক অবক্ষয় আর বিচ্ছিন্নতাও এই গল্পগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
Nimpatar Pakorar Nishiddho Alingon
রাজনৈতিক রণনীতি ও রণকৌশলে হয়তো ভুল ছিলো, কিন্তু সমতার স্বপ্ন দেখায় তাদের ভুল ছিলো কি? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন বটে! একদা সারা বাংলায় বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমতটে সমতার স্বপ্ন দেখার বেপথু স্বপ্নবাজ তরুণেরা পথে নেমেছিলো পথ হারিয়ে, তাদের নিষিদ্ধ সুবাসের মতো জীবনের চালচিত্রকে উপজীব্য করে সাহিত্য রচনা হয়েছে কমই। লেখকদের নাম উল্লেখ না করেও বলা যায়, এমন লেখার গুরুত্ব আছে বৈ-কি! বিশেষ করে রাজনৈতিক মতাদর্শের সংকট যখন বিশ্বজুড়ে, তখন সংকটাবর্তে জর্জরিত মানবিক অলিগলিতে এসব অমানবিক অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর তার অভিঘাতে লালসন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি, এনকাউন্টার, ক্রসফায়াস শব্দসমূহ আমাদের কাছে অন্যরূপে ধরা দেয় কখনো কখনো। লেখক গল্পচ্ছলে কথোপকথনের ভঙ্গিতে তার রচনায় এসব খুঁটিনাটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন নির্মোহভাবে। এ কাজটিও সহজ নয় এ কারণে যে, তাতে সাহসের প্রয়োজন; সর্বোপরি তা অনাকাক্সিক্ষত বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। তবুও তর্কাতীতভাবে লেখক সাহসের সাথে সে কাজটিই করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাসের নানা ঘটনাবলিতে আশ্রয় করে তার বিভিন্ন লেখায়। সেসব লেখাকে মলাটবন্দি করেছেন, যেন-বা পুনর্জন্মের আদলে সেসব নিষিদ্ধ (!) দিনযাপনে, আমাদের মানস-ভ্রমণের কালযাপনে। অনুভূতির সততায় সত্যের দোরগোড়ায় এসব লেখায় পাঠক খুঁজে পাবেন অন্যরকম গল্পের রসাস্বাদ Ñ এমন প্রত্যাশা থাকবেই।
কাজল মাহমুদ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ
চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা।
জাতিস্মর
কবিতার পোস্টকার্ড
রফিকুজ্জামান রণি। একাডেমিক নাম- মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। পিতা- মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খোকা, মাতা- লাভলী জামান। জন্ম ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দ; চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়, দোঘর গ্রামে। লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন : জেমকন পুরস্কার-২০১৯, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক পুরস্কারÑ২০১৮; ‘এবং মানুষ তরুণ লেখক পুরস্কারÑ২০১৯; দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার- ২০১৮; নাগরিক বার্তা লেখক সম্মাননা- ২০১৯; চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার- ২০১৪; স্বরচিত কবিতাপাঠে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার-২০১৬; জাতীয় সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা- ২০১৪; দৈনিক চাঁদপুরকণ্ঠের বিশেষ সম্মাননা-২০১৫; ছায়াবাণী লেখক সম্মাননা- ২০১৬; পাঠক সংবাদ লেখক সম্মাননা-২০১৯, সাপ্তাহিক শপথ প্রদত্ত হিরো অব দ্যা উইক সম্মাননা-২০১৯ এবং ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম সাহিত্য পদক- ২০১৩ সহ অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা।
কবি ও কথাসাহিত্যিক রফিকুজ্জামান রণি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করে কুমিল্লা বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ক ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে তিনি চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। যুক্ত আছেন একাধিক ছোটকাগজ প্রকাশনার সঙ্গেও। তার প্রকাশিত গ্রন্থ দুই : ধোঁয়াশার তামাটে রঙ (কবিতা) এবং দুই শহরের জানালা (ছোটগল্প)।
চৈতি রাতের কাশফুল
ভূমিকা
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসটি ভাঙন কবলিত গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসটিতে গ্রামের কৃষক জীবন, সবুজে ঢাকা গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে কিভাবে তার সক্রিয়তা হারায়, সেই সাথে উঠে এসেছে ঐতিহাসিক একটি বাজারের বর্ণনা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাস নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গ্রাম্য বধূর সবিস্তার কাহিনী সরলার চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া করিম শেখ ও অন্তুর কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। বেজগাঁও গ্রামে রাজা রাজবল্লভের বাড়ি, দিঘলী বাজার, কদম পাগলের মাজার ঘিরে মেলা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসে সত্যিকার অর্থেই ভাঙনের একটা সচিত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সন্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এই উপন্যাসে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন ভেলা ভাসানি, বৈশাখী মেলা, কদম পাগলের বার্ষিক মেলা, বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য মেঘরানী উৎসব। সেই সাথে ফুটে উঠেছে একটি কৃষক পরিবারের অভাব-অনটন ও প্রকৃতির বৈরিতা। পদ্মার ভাঙন আর ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া মানুষের আর্তনাদ, যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব।
ভাঙনের ডাক
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
বঙ্গ রাখাল
জন্ম : ১২ জুন, ঝিনাইদহ।
শিক্ষা : ঝিনাইদহের বসন্তপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রী কলেজ (ঝিনাইদহ) থেকে এইচ.এস.সি। সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা স্কুল অফ ইকনোমিকস থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইকোনমিকস ডিগ্রী। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে গণহত্যার উপর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য।
কর্মজীবন : লক্ষীপুর, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বাংলার প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও বর্তমানে তিনি সমাজসেবামূলক একটা বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থ :
১. সংস্কৃতির দিকে ফেরা (প্রবন্ধ, ২০১৫)
২. লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ (গবেষণা, ২০১৬)
৩. মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ (প্রবন্ধ, ২০১৭)
৪. হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন (কবিতা, ২০১৮)
৫. মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য (প্রবন্ধ, ২০১৮)
৬. অগ্রন্থিত রফিক আজাদ (সম্পাদনা, ২০১৯)
৭. পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত্ব দর্শন (সম্পাদনা, ২০১৯)
৮. লণ্ঠনের গ্রাম (কবিতা-২০১৯)
৯. ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ)
সম্পাদিত ছোট কাগজ : নিহারণ, বঙ্গস্বর, শঙ্খধ্বনি, শব্দকুঠি ।
ই-মেইল : bangorakhal.bd@gmail.com
কবিতার করতলে
আমার এই গল্পে বাংলাদেশকে চেনার সুযোগ থাকবে পাঠকের। পরিজন ছাড়া যেমন পরিবার হয় না। অধিবাসী ছাড়া তেমন দেশ হয় না। আমার ছোটগল্পগুলো জীবনকে বোঝার গল্প। সমগ্র জীবন আমরা ছুটে বেড়াই প্রাপ্তির আশায়। ভাঙাগড়ার এই খেলায় মানুষ সবসময়ই হারে। এই হারার অনুভূতি কখনো মানব-মানবীর কাছে হার হয়ে ধরা দেয়, কখনো জয় হয়ে। বইটির নাম দিতে চেয়েছিলাম সমগ্র বাংলা। পরে ভাবলাম বইটি পড়ে পাঠকই বুঝে নিক এই গল্পের নামের সার্থকতা।
—রিয়াদুল হক
দার্জিলিং কনফেশন
পরগাছাদের জীবন কৌশল
লেখক পরিচিতি :
কুহক মাহমুদ। জন্ম: ৬ই সেপ্টেম্বর। তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে পুরানো ঢাকায় বসবাস আর বেড়ে ওঠা যৌথ পরিবারে। নিজের অজান্তেই কবিতা প্রেমিক হয়ে ওঠায় কবিতাকেই বেশি ভালোবাসা হচ্ছে ব্যস্তানুপাতিক সাংসারিক মায়াজালে। এটি লেখকের প্রথম কাব্য গ্রন্থ।
গোধূলির প্রস্থানে জ্বালাও পূর্ণিমা
পলিয়ার-এর কবিতায় দার্শনিকতা, নান্দনিকতার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তাছাড়া উপমাশ্রয়ী চিত্রকল্প অভিনব ও অসাধারণ। যেসব পাঠক কবিতায় আবেগের তারল্য এড়িয়ে চলতে চান, দর্শন খুঁজতে চান-বোধে ভাবনায় জীবনের সারাংশের শিল্পরূপ খুঁজতে চান, তারা তার কবিতায় কল্পনা ও প্রজ্ঞার যোগসূত্রে মেজর কবিতা খুঁজে পাবেন।
-খালেদ রাহী
পলিয়ারের কাব্যভাষা একেবারে নিজস্ব। স্বতন্ত্র সুর তৈরিতে সে সার্থক। একই সাথে তার কবিতা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
-শঙ্খচূড় ইমাম
পলিয়ার সবল ও দৃঢ়প্রত্যয়ী, তার দীর্ঘস্থায়ী বয়ান মাটি ও প্রেমিকাসংলগ্ন। কবি যেন তার ইংলিশ প্যান্টের পকেটে করে সেই কত আগে নিয়ে এসেছেন মাঠ ও উঠোন গড়ানো সোনালি কিছু ধান, সুযোগ পেলে তিনি এই ধান পাঠককে বের করে দেখান, এই ধান তার কবিসত্ত্বার স্মারক যেন, কবিতা তার কাছে কৃষিজ। কবি তার জন্মগ্রাম থেকে নিয়ে এসেছেন কিছু নিজস্ব শব্দও, যা পরিমিতভাবে নৃত্যরত ও সুমিষ্ট আবরণযুক্ত গাঢ় চিত্রকল্পময়।
-মোসাব্বির আহে আলী
পলিয়ার ওয়াহিদের কবিতা মানে নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া। নিজস্ব উপলব্ধির এক গভীর উপস্থাপন। নিজেকে ক্রমাগত অনুবাদ করে যাওয়া।
-মাহফুজ পাঠক
দোআঁশ মাটির কোকিল
ভূমিকা-
কেবলি ভেঙে টুকরো হয়ে যায় মৃত্যু, অপরূপা মেয়ে!
বাতাসের ঘরে জন্মায় অদ্ভুত; যৌন তাড়িত অব্যয়ে…
বাতাসের বীজতলা
এই গ্রন্থের কবি ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘকাল কবিতায় নিমগ্ন থেকেছেন- এখনো তিনি তাঁর সৃজনশীল স্পর্ধা নিয়ে অবিচল।
তিনি বহু ধরনের কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো বিভিন্ন নিরীক্ষাপ্রবণতায় সংশ্লিষ্ট। তাঁর কবিতায় জীবন আছে, সমাজ আছে, প্রকৃতি আছে, মানুষ আছে, দেশ-কাল আছে এবং আছে প্রতীকের ব্যঞ্জনাও, আছে রূপক, আছে ছন্দের বিভিন্নমুখী ব্যবহার, অনুপ্রাসের নতুনমাত্রা, মিলবিন্যাসের নীরিক্ষা ও অন্যান্য সূক্ষ্ম কারুকাজ। একেক কাব্যগ্রন্থ একেক বৈশিষ্ট্য নিয়ে উজ্জ্বল। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ১৭টি কাব্যগ্রন্থ। এইসব কবিতায় চৈতন্যের যে বহুতল ও স্তর কবি উন্মোচন করেছেন- পাঠককে নিয়ে যায়–সেই স্তরে ও তলের গভীরে।
একজন উৎপিপাসু কবিতার পাঠক, এই গ্রন্থের কবিতাগুলোতে বহু বর্ণিল ও বিভিন্ন ভূগোলের খোঁজ পেয়ে যাবেন, তা পাঠকের সংবেদন সৃষ্টি করে এক ধরনের ইন্দ্রিয়ানুভূতিও তৈরি করবে, যা ইন্দ্রিয়জ্ঞানে পরিণত হবে, সেইসাথে ভালো কবিতার শিল্প-সৌন্দর্য নিয়েÑস্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময় অনুভূতিরও জন্ম দেবে।
Manush Poshak Porleo ulongo Mone Hoy - মানুষ পোশাক পরলেও উলঙ্গ মনে হয়
আকাশের জলচিত্র
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.