Additional information
Weight | 0.225 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.76 $ 2.35
নিজেকে বিক্রি করতে পারা কিংবা বিক্রি করার চেষ্টা করা অথবা নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করিয়ে বিশ্লেষণ করা এই সময়ের মুখচ্ছবি। সেখানে বাস্তব কিংবা কাল্পনিক চরিত্ররা একেকটি বিস্ময়! অন্ধকার ফুটপাত থেকে উঁচু মুখের থাবায় চলে যায় অন্ধ রেলগাড়ি। আর অতিরিক্ত ঘ্রাণে জড়িয়ে যায় মুদি থেকে গোরস্তান। মৃত্যুস্রোত ও গহীনের আলো আনন্দকে ডুবিয়ে দেয় চেহারার ঘনত্ব। তারপরও রক্তভ্রম, আহত কি-বোর্ড, শীতবইয়ের শর্তসমূহ ঘেউমারা পড়শি চোখের যাদুতে জেগে থাকে দীর্ঘপথ। পাশাপাশি হাঁটতে থাকা ছায়াগুলো কানে-মুখে ঢুকে যায়। আবার বেরিয়েও যায় উচ্চতায়, নিজস্বতায় অথবা নানা পরিচ্ছেদে। গল্পের বয়ানে উহ্য আছে এমন অনেক গোপন সাঁকো। পথ জুড়ে শর্তের ভেতরের চোখকে আবিষ্কার করার চেষ্টায় চারপাশে তৈরি হয়েছে খণ্ড খণ্ড দৌড়। ‘লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর’ গল্পগ্রন্থটি এমনই দশটি গল্প কিংবা দশটি পরিচ্ছেদে দাঁড়িয়ে আছে।
Weight | 0.225 kg |
---|---|
Published Year |
সোলায়মান সুমন। জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য।
ভগ্ন সময়ের কোলাজ
ভাস্কর চৌধুরী মূলত গল্প ও উপন্যাস লেখক। কবি হিসেবেও তার সমান খ্যাতি। লেখার মূল বিষয়বস্তু বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি ও মানুষ। জন্ম- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী শহরে। কর্মজীবনে চলে আসেন ঢাকায়। আশির দশক থেকে তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। মাঝে দশ বছর দীর্ঘবিরতির পর আবার লেখালেখিতে ফিসে আসেন। রক্তপাতের ব্যাকরণ তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এ পর্যন্ত বিশটিরও অধিক বই লিখেছেন। এর মধ্যে উপন্যাস ধনসা মাতি ও তার জীবনবৃক্ষ, গল্পÑ কৃষ্ণপুরাণ, গন্তব্যহীন যাত্রা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গল্পের বনসাই
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
বিলাল হোসেন
জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৪।
জন্মস্থান- মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজারচর কাজিকান্দি গ্রামে।
প্রকাশিত বই-
১. কাব্যগ্রন্থ- বিরুপা’র শূঁড়িবাড়ি(২০১৪)
২. অণুগল্প সংকলন- পঞ্চাশ(২০১৫)
৩. মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প(২০১৬)
৪. কাব্যগ্রন্থ- একজ্বলাপঙক্তি(২০১৬)
স¤পাদিত বইসমূহ-
সেরা ১০০ অণুগল্প(২০১৫) (প্রিন্ট ভার্সন)
ই-বুক স¤পাদনা-
অণুগল্প সংগ্রহ-১,২,৩,৪; গোয়েন্দা অণুগল্প সমগ্র, ভূত অণুগল্প সমগ্র, রূপকথা অণুগল্প সমগ্র, নীতি অণুগল্প সমগ্র, চিয়ার্স চিয়ার্স চিয়ার্স, দুনিয়ার মাতাল এক হও, মাতালে মাতালে চেনে, মধুগন্ধেভরা, যুগলবন্দী (সুবর্না রায়), অণুগল্পের বিষয় বৈচিত্র্যের সন্ধানে, তাহাদের গল্প, অণুগল্পের অস্তিত্ব আছে, অণুগল্পের শিরদাঁড়া, অণুগল্পের রোজনামচা।
বাংলা ভাষার সেরা অণুগল্প
কামরুজ্জামান কাজল বয়সে অনেক নবীন হওয়া সত্ত্বেও [জন্ম ২৫ মার্চ ১৯৯১] এবং অণুগল্প চর্চায় খুব বেশিদিন অতিবাহিত না করলেও ‘দলছুট শালিকগণ’ নামে যে বইটি প্রকাশিত হল;-এর বৈচিত্র্যপুর্ণ বিষয়বস্তু এবং অণুগল্প সম্পর্কিত ধারণার সাথে লেখকের যে নিবিড় ঐক্য স্থাপিত হয়েছে- বইটির পাঠশেষে এই কথাটাই মনে করবেন বিজ্ঞপাঠকগণ।
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা এই যুবকের ইতিপুর্বে ‘ শ্যাম পাহাড়ের আড়ালে’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬’র একুশে বইমেলায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচারে স্নাতক শেষ করে লেখক বর্তমানে শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন।
‘দলছুট শালিকগণ’ কামরুজ্জামান কাজলের প্রথম অণুগল্পগ্রন্থ। অণুগল্পের ভিত্তি, বিকাশ এবং প্রচারে এই বইটি একটি মাইলফলক হিসেবে ভবিষ্যতে উচ্চারিত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
দলছুট শালিকগন
অপু শহীদ। ১ লা ফাল্গুন ১৯৭১ সাল। গর্ভের অন্ধকার থেকে পৃথিবীর অন্ধকারে বসবাসের শুরু। পুরোনো ঢাকার নারিন্দার- বেগমগঞ্জ লেনের গাড়ি না ঢোকা সরু গলির শেষ মাথার একতলা ঘরে জন্ম। চুন-সুরকির খসে পড়া দেয়াল ধরে ধরে বেড়ে ওঠা। স্কুলজীবন নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। পরবর্তিতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বন্ধুর অনুরোধে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন।
জীবন ধারণের জন্য দাসত্ব না মানায় কেবলই এক থেকে আরেক অনিশ্চিত জীবনে প্রবেশ। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার সাথে আজন্ম বিরোধ। এখনও স্বপ্ন দেখেন কপর্দকশূন্য ভবঘুরে হওয়ার।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাহাদুরশাহ পার্কের ছাউনিতে বসে লেখালেখির শুরু। এই সময় থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে সম্পর্ক। অভিনয়-নির্দেশনা-নাট্য রচনায় সক্রিয় অস্তিত্ব। আক্ষরিক অর্থেই খাদ্যাভ্যাসে সর্বভূক। পঠন-পাঠনেও সর্বভূক। পাঠের মধ্য দিয়েই একা একা নির্জন গভীর পথের সন্ধান করেন। জীবনের গভীরে ডুব দিয়ে তুলে আনেন স্মৃতির কোলাজ। লেখার সময় ঘোরের মধ্যে থাকেন। অথবা ঘোরের মধ্যেই লেখেন। প্রায়শই লেখা হারিয়ে ফেলেন।
ধর্ম-অধর্ম প্রথা-বিদ্রোহ কিংবা ভবঘুরেশাস্ত্র কোনও কিছুর জন্যই আর অস্থিরতা নেই। নিগূঢ় ধ্যানমগ্ন হয়ে সময়কে প্রিজমে ফেলে বহুবর্ণ কাচের ভেতর দিয়ে দেখেন। সেখান থেকেই খুঁজে নেন গল্প-কবিতা-নাটক। কোনও তত্ত্বে-তথ্যে বাস্তবিকই কোনও আস্থা নেই আর। নেই ঈশ্বর থেকে ঈশ্বরী কোনও কিছুতেই বিশ্বাস। নেই অবিশ্বাসও। একে ঠিক সংশয়বাদ বলে কিনা তা নিয়েও আছে সংশয়।
নগর জীবনের সাজানো মূল্যবোধ দাঁতাল যন্ত্রণা ক্লান্তি-বিকার ধরা পড়ে তাঁর লেখায়।
সার্বজনীন নিরবতা চুক্তি
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
মির্জা মুজাহিদ। পেশাগতভাবে বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত। জন্মেছেন নড়াইল শহরে। এখন ঢাকায় থাকেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিয়মিত ‘কথা’র শিল্পী হতে।
বিপ্রতীপ
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে লেখকের নাম হাসান মাহবুব। তিনি নাড়–গোপাল দত্ত অথবা ইসমাইল আহমেদ নন। তিনি রবীন্দ্রনাথ বা আগাথা ক্রিস্টি নন। তিনি দূর আকাশের নীল নক্ষত্র, ধোঁয়া ওঠা কফির মগ, বাজারে মেয়েটির অপরিচ্ছন্ন অন্তর্বাস, ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল বাঁশি অথবা লোম কাটার মওসুমের ভেড়ার দীর্ঘশ্বাসও নন। তিনি লেখেন। তবে ‘তিনি’ই লেখেন কি-না এই নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ লেখার মতো পরিশ্রমের কাজে বছরের পর বছর এত শ্রম দিয়েছেন, দুটো বইও বের করেছেন (প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত এবং আনন্দভ্রম) তার সাথে এসব ঠিক যায় না। এত সব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি হাসান মাহবুব হবার চেষ্টা করছেন এবং তারই ফলশ্রুতিতে আরো একটি বই প্রকাশ করে ফেললেন। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী!
নরকের রাজপুত্র
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
লেখকের কথা
জাপানের প্রাতঃস্মরণীয় মনীষী শিল্পাচার্য ওকাকুরা (কাকুজোও) তেনশিন বলেছিলেন, জাপান এশিয়ার জাদুঘর। আমি বলি, জাপান একটি বৈশ্বিক দর্পণ। বিশ্বের চতুর্দিক তথা চারটি মহাদেশের ছবি এই দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে। বিশ্বের প্রায় সব সংস্কৃতিরই ধারা এসে মিলিত হয়েছে জাপানের মূলধারার সঙ্গে। বিশেষ করে ধর্ম ও সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে এই দেশের জনধারায়। সন্দেহ নেই যে, চীন ও ভারতের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। মধ্য যুগ পর্যন্ত ক্রমাগত জাপান প্রভাবিত হয়েছে প্রাচীন চীন ও ভারতের ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, পুরাণদ্বারা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, গোত্রের মানুষ প্রাচীনকালেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবর্তী জাপানের ভূখণ্ডে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে মিলেমিশে গেছে। যে কারণে জাপানিরা সংকর জাতির লোক। আর এর ফলেই জাপান হয়ে উঠেছে সংস্কৃতির মনোরম বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি দেশ। যার তুলনা খুঁজে পাওয়া যায় না। যে সংস্কৃতির টানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঁচবার ভ্রমণ করেছেন জাপান। প্রতিবারই তিনি জাপানকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন।
জাপানে যারা আসেন প্রথমে তাদের কাছে সবকিছুই অদ্ভুত প্রতিভাত হয়। কেননা জাপানিদের জীবনধারাটাই স্বাতন্ত্রিক। কিন্তু দীর্ঘদিন এ দেশে বসবাস করলে পরে তাদের আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, তারা সঠিক দেশেই এসে পড়েছেন! এখানে জীবনযাপন যেমন খুব বাস্তব ও কঠিন তেমনি স্বপ্নের বাস্তবায়ন বা ইচ্ছেপূরণের সমূহ সম্ভাবনাও বিদ্যমান। বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা। কাজের দেশ জাপান, ইচ্ছে করলে কাজ জোগাড় করা কঠিন কিছু নয়। আর রয়েছে উচ্চশিক্ষার বিস্তর সুযোগ। তবে, অবশ্যই জাপানিদের নিয়মনীতি মেনে চলা প্রথম ও শেষ শর্ত। কেননা, যতোই তারা বহির্বিশ্বের প্রভাব গ্রহণ করে একটি সর্বজনীন সংস্কৃতি ও বাতাবরণ নির্মাণ করে থাকুন না কেন, জাপানিরা কিন্তু মনেপ্রাণে ও আদর্শে জাপানিই। “জাপানিজম” বা “জাপানিত্ব” তাদের মধ্যে সর্বক্ষণ সর্বক্ষেত্রে জাগরুক। শান্তি ও বিশ্বাস এই দেশের মূল ভিত্তি। বিশ্বাস হারালে জাপানে আর বসবাস সম্ভবপর নয়, শান্তি বিঘিœত হওয়ার মতো কাজ জাপানিরা প্রশ্রয় দেন না। আস্থা, বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, মহাধৈর্যগুণ, অনুচ্চকণ্ঠ, সময়ানুগ, প্রতিবেশী-সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, সমবায়মনস্কতা, অনুসন্ধিৎসা জাপানিদের চারিত্রিক পরিচয়। আর এইসব গুণাগুণ জাপানি সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিহিত আছে।
জাপান প্রবাসের চার দশক হতে চললো। এই দীর্ঘ সময়ে জাপানকে দেখা, জানা ও পড়ার মধ্য দিয়ে যে ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে তারই প্রতিফলন রয়েছে এই গ্রন্থের ২৫টি ছোটবড় প্রবন্ধের পরতে পরতে। প্রবন্ধগুলো ২০১৫ থেকে ২০০২১ পর্যন্ত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার উপসম্পাদকীয়, সাহিত্য সাময়িকী, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এবং সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। সংকলনভুক্ত করার তাগিদে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংশোধিত ও সংযোজিত করার প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি পাঠক বহুকিছু জানতে পারবেন এই প্রবন্ধগুলো থেকে যা বাঙালির ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনকে উন্নত করার জন্য শিক্ষণীয় বলে বিশ্বাস করি। সেইসঙ্গে জানা যাবে বাংলাদেশ ও জাপান সম্পর্কবিষয়ক তথ্যসমূহ যা দুর্লভ বলেই বিবেচিত।
উদীয়মান “অনুপ্রাণন প্রকাশন” কর্তৃপক্ষ এর আগে “জানা অজানা জাপান” ৩য় খণ্ড প্রকাশ করে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। এবারও ৪র্থ খণ্ড প্রকাশ করে আমাকে চিরঋণী করছেন। এজন্য জানাই আনত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। যেহেতু প্রবন্ধগুলো গবেষণামূলক, তাই ভুলভ্রান্তি যেমন থাকবে, তেমনি লেখকের মতামতের সঙ্গে পাঠকের মতভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। তার জন্য সকল দায়দায়িত্ব লেখকেরই, প্রকাশকের নয়।
Jana Ajana Japan Part-4 By Probir Bikash Sarkar
সমালোচকের মতে, আধুনিককালের কবির ধর্ম উপস্থিতকালের প্রধান অসুখ শনাক্ত করা। একইসঙ্গে সমাজ বিনির্মাণে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো। পাশাপাশি ব্যক্তির মনোবিকলন ও আর্থ-সামাজিক- রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে কবিতার অনুষঙ্গে রূপান্তর করা। ফারহানা রহমানের কবিতায় এই বিষয়গুলো রয়েছে কখনো প্রচ্ছন্নভাবে, কখনো প্রকটরূপে। বিশেষ করে নর-নারীর প্রেম-বিরহ, বিশ্বাস-বিশ্বাস ভঙ্গ, হাহাকার, নিঃসঙ্গতাকে তিনি ব্যক্তির অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে প্রকাশ করেন। তবে তাকে করে তোলেন সর্বজনীন। এছাড়া তার কবিতার একটি বিশেষ গুণ হলোÑ সহজ ও কোমল শব্দের সমারোহ। এর ফলে তার কবিতার প্রতিটি শব্দ সহৃদয়বান পাঠককে ছুঁয়ে যায় হেমন্তের হালকা হাওয়ার কোমল পরশের মতো। পাঠক মনে করেন, এই কথাগুলো তারই মনের কথা। এভাবেই ফারহানা রহমানের কবিতা ব্যক্তির রচনা হয়েও হয়ে ওঠে মানুষের কবিতা।
লুকিয়ে রেখেছি গোপন হাহাকার
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.