Anupranan

Anupranan

(Showing 1 – 12 products of 563 products)

Show:
Filter

সাহিত্য প্রসঙ্গ – ভাস্কর চৌধুরী

Highlights:

এই পুস্তকে যেসব প্রবন্ধ/নিবন্ধ আছে সেগুলোকে তিন স্তরে ভাগ করা যায়।
প্রথম হচ্ছে হাসান আজিজুল হকের গল্পের ওপর আলোচনা। গল্পের আলোচনাকালে আমি আলোচনার জন্য গল্পকারের হালনাগাদ মতামত গ্রহণ করেছি। কখনও একমত হয়েছি, আবার দ্বিমত পোষণ করেছি।
দ্বিতীয়ত, কিছু লেখা রবীন্দ্রনাথ ও বিদ্যাপতিকে নিয়ে লিখেছি।
তৃতীয়ত, কিছু বিখ্যাত লেখকের সাথে মুক্ত আলোচনা আছে। লেখাগুলোর আকর্ষণ মূলত হাসান আজিজুল হকের বহুমাত্রিক গল্পের আলোচনায় লেখকদের সাথে গল্পে গল্পে উঠে আসা নতুন মাত্রা।

সব মিলিয়ে লেখাগুলো বহুমাত্রিক। ভালো লাগবে বলে আশা করি।

ভাস্কর চৌধুরী
ঢাকা।
৮.৫.২০২৪

Sahityo Prosongo by Vashkar Chowdhury

ঢাকার রক্তরাঙ্গা গোধুলী – গাজী সাইফুল ইসলাম

Highlights:

ঢাকার রক্তরাঙ্গা গোধূলি আশি-নব্বইয়ের দশকের ঢাকার গল্প। গ্রামের ছেলে হেলাল ঢাকায় এসে ঘটনার পরম্পরায় প্রভাবশালী এক নেত্রীর খেয়ালি আদুরে দুলালীর সঙ্গে নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, এরপর তার জীবনে নেমে আসে মহা দুর্যোগ… উপন্যাসের এই বয়ানের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও অনেক চরিত্র। আদর্শবাদী নিমাই এমনই একটি চরিত্র। ভিন্ন ধর্ম ও চেতনার যুবক হওয়া সত্ত্বেও বন্ধুত্বের সূত্রে হেলালের পলায়নপর জীবনের আশ্রয় হয় সে।
দুটি ভিন্ন ধর্মের যুবকের প্রেম ও বন্ধুত্বের বিরল গল্প ঢাকার রক্তরাঙা গোধূলি।

Dhakar Roktoranga Godholi by Gazi Saiful Islam

দ্য মাস্টারমাইন্ড ক্রিমিনাল – শাপলা সাদি

Highlights:

দুর্জয় আহমেদ আরিয়ান বাংলাদেশ আর্মির একজন ইন্টেলিজেন্স অফিসার। পেন্টাগন তাকে ভাড়া করেছে, বাংলাদেশের আর এক কৃতি সন্তান আব্বাস আলী কে খুঁজে বের করার জন্য।
বলা হচ্ছে আব্বাস আলী আমেরিকার একটা ভয়ংকর টেরোরিস্ট গ্রুপের সদস্য ছিলো। সত্যি কি তাই?
বাংলাদেশের কোনো কৃতি সন্তান টেরোরিস্ট যে হতে পারে এইটা আরিয়ান এর কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়।
পেন্টাগনের আদেশেই আরিয়ান শুরু করেছিল নিখোঁজ আব্বাস আলীর খোঁজ ।
পাপের নগরী লাস ভেগাস থেকে শুরু করে সুদূর মেক্সিকো পর্যন্ত যেতে হলো আরিয়ান কে, হাওয়া হয়ে উবে যাওয়া আব্বাস আলীর সন্ধান করতে।
এর মধ্যে মেক্সিকোর কুখ্যাত এক স্মাগলারের একমাত্র কন্যার প্রেমে পড়লো সে ।
অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে, অনেক ট্রাজেডি তৈরি হবার পরে আরিয়ান এর সন্দেহ হতে লাগলো আসলেই কি আব্বাস আলী বলে কেউ আছে,,,,,,না সে আব্বাস আলী নামের মরীচিকার পিছনে দৌড়াচ্ছে?
পেন্টাগন কি তাকে সব সত্য বলেছে? সত্যি কি আব্বাস আলীর কোনো চিহ্ন আছে এই পৃথিবীর বুকে?
অন্যদিকে আরিয়ানের বুকের মধ্যে বাসা বেঁধেছে আদ্রিয়ানার প্রেম । আরেকদিকে শুরু হয়েছে পেন্টাগনের নতুন ষড়যন্ত্র।
আরিয়ান এখন কোনটাকে সামাল দিবে?

The Mastermind Criminal by Shapla Sadi

টুনি বউ – তামান্না চৌধুরী নীলা

Highlights:

মা মরা মেয়ে টুনি। জন্মের সময় মাকে হারিয়েছে সে।ওর সাত ভাই, সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। সবাই যে যার কাজে পৃথিবীর দুই-তিন মহাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে। টুনির বাবা এক সময় ছিলেন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। ছেলে মেয়েদের মানুষ করার ব্যাপারে তার কোন অবহেলা বা উদাসীনতা কখনো চোখে পড়ে নি।

বিশ বছরের চঞ্চল টুনি তার সামার ভেকেশনের সময় কাটাতে প্রতিদিনই বিভিন্ন নামের আইডি নিয়ে চ্যাট রুমে ঢুকে। একদিন অনেক ভেবে সে তার বাবার আদর করে দেয়া নামটাই সেট করে “টুনি-পাখি”!

সেদিনই পরিচয় জানে আলমের সাথে প্রথম পরিচয়। জানে আলম উপলব্ধি করে পরিবারের সবার আদরের চঞ্চল ছটফটে মেয়েটার বুকে একটা কষ্ট যেন সূক্ষ্ম কাঁটার মত বিঁধে আছে।

টুনি সামনের বছর বাবার সাথে কানাডায় যাবে বেড়াতে। জানে আলম অনেক খুশি হয়- যাক! টুনির সাথে দেখা হবে ওর! টুনি কানাডায় আসলে আর কিছুতেই ফিরে যেতে দিবে না। টুনি আলমের প্ল্যান শুনে ভীষণ লজ্জা পায়!

এবার তাই টুনি আলমকে তার অতীত জানাতে চায়। টুনির মনে হয়, নতুন সম্পর্ক শুরু করার আগে সব বলে দেয়াটা ভালো!টুনির মনে হয়, আলম মেনে নিবে ব্যাপারটা !

কিন্তু টুনি যখন আলমকে এসব বলে এর কোন প্রত্যুত্তর পায় না। টুনির চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে। হতাশায় টুনি তার ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারের চ্যাট ডিজআ্যবল করে দেয় তক্ষুনি!

এদিকে তিন বছর পরে টুনির জীবন অনেক পালটে গিয়েছে! টুনির জীবনে আপন বলতে এখন দেশে কেউ নেই। ভাইয়া ভাবীরা যে যার মতো বিদেশে সেটেল্ড। টুনি একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জয়েন করেছে।

পাঁচ বছর পর, টুনি ভাইয়ের ছেলের আকিকার জন্য বসুন্ধরায় টুকটাক কেনাকাটায় ব্যস্ত। এমন সময় টুনির সেল ফোনে হঠাৎ একটা অচেনা কল আসে। টুনি সাধারণত কখনোই অচেনা কল ধরে না। ৬-৭ বার একই নাম্বার থেকে রিং আসার পরে অফিস থেকে কোন জরুরি কল কিনা সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ফোনটা ধরে। অন্য প্রান্তের শুধুমাত্র “হ্যালো!” শুনেই টুনির মনে তোলপাড় শুরু হয়। বিধ্বংসী তোলপাড়!

তারপর কি হলো? এটা জানার জন্য পড়তে হবে রোমান্টিক উপন্যাস টুনি বউ।

Tuni Bou by Tamanna Chowdhury

শব্দহীন – কামরুন নাহার

Highlights:

নাফিস যেদিন তাকে প্রোপোজ করেছিলো সেদিন তার চোখে-মুখে দারুণ সুন্দর আশ্চর্য এক নরম-কোমল আলোর দীপ্তি ছিলো, যা এর আগে কখনও তুলি দেখেনি। কী আশ্চর্য সেই প্রেমময় মুখ, কী আবেগময় সে অবয়ব, কী বিপুল আকুতি সেই চোখে, তুলি সে মুখের আশ্চর্য কোমলতায়, সেই সুগভীর কালো চোখের চাহনি থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলো না। নাফিসকে সে কখনও এই রূপে ভাবেনি। কখনও তাকে এভাবে দেখেনি। সে এক আশ্চর্য মোহময় প্রেমময় মুখ। যে রূপ এজীবনে তুলি কারো মুখে খুঁজে পায়নি। আচ্ছা প্রেমিক-পুরুষের মুখ বুঝি এমনই হয়? সব সময় রাগী মুখের শক্ত চেহারার মানুষের মুখের ওপরও রেখাগুলো কোমল আর নরম হয়ে সারা চোখে-মুখে কোমলতার প্রলেপ ছড়িয়ে দেয়! চোখের মায়ায় হৃদয় তরল করে দেয়। সেই মুখখানি মনে পড়লেই তুলির বুক কেমন যেন দুরুদুরু ভয়ে কাঁপতে থাকে। এক আশ্চর্য ভালোলাগায় তার দেহ-মন অবশ হয়ে আসে। মনে মনে তুলি ভাবেÑ নাফিস, তুমি আমায় এ কী বললে? একি নিষ্ঠুর খেলা তুমি আমায় নিয়ে শুরু করলে। আমি তো এ চাইনি। তবে কেন আমার পাথরের মতো শক্ত এ হৃদয়ে প্রেমের শীতল হিম করে দেওয়া বাতাসে কাঁপন ধরিয়ে দিলে?
তুলির সেদিনের কথা একে একে আবার ভাবতে বসলো। সেদিনের কথা ভাবতেও তার খুব ভালো লাগে। বারবার সে সেদিনের প্রতিটি ক্ষণের স্মৃতি মনে করে দারুণ এক প্রেমময় সুখের সাগরে ভাসতে লাগলো। আহা কী মধুর ছিলো সে সাক্ষাৎ! কী যেন ছিলো সেদিন নাফিসের চোখে-মুখে। তুলি বুঝতে পারে না। তবে সেটা যে একেবারে অন্যরকম একটা কিছু তা তুলি বোঝে। কী শান্ত, কোমল আর কমনীয় দেখাচ্ছিলো সেদিন নাফিসের মুখখানি! কী মায়াময়! তুলির গত পাঁচ-ছয় রাত শুধু সে মুখটাকেই মনে পড়েছে। মনে মনে সে মুখটাকে ভেবেই বহুক্ষণ নির্ঘুম কাটিয়েছে। তারপর এক সময় কখন ঘুমিয়ে গেছে সে জানে না। ঘুমের ঘোরেও সেই কোমল-সুন্দর প্রেমময় মুখখানি তার পিছু ছাড়ে না। আচ্ছা ছেলেদের প্রেমে পড়া চেহারা বুঝি এমনই হয়? এমনই মায়াময় আর প্রেমময়?

ShobdohIn by Kamrun Nahar

অম্লমধুর – তফিল উদ্দিন মণ্ডল

Highlights:

সুখানন্দের চেয়ে জীবনের বড়ো প্রাপ্তি আর কিছু থাকতে পারে না। সুখের বহিঃপ্রকাশ ঘটে হাসিতে। হাসি প্রাণশক্তি বৃদ্ধির এক প্রকার নির্ভেজাল নিয়ামক, যা সবার ভাগ্যে জোটে না। ঊষর নির্বিকার ও নিরানন্দ জীবনকে সুন্দর ও রসময় করে তোলার জন্য হাসির বিকল্প আর কিছু আছে বলে আমার জানা নেই। আর এই হাসি ও আনন্দের যোগানদুয়ার খুলতে পারে রম্য লেখা। রম্য লেখকদের দাপটে সাহিত্যের একটি শাখাই হয়ে গেল রম্য বলে।
রম্যগল্পকারদের নাম করতে গেলে প্রথমেই বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়) ও সৈয়দ মুজতবা আলির কথা মনে পড়লেও বাংলা সাহিত্যে আরও অনেক রম্যলেখক রয়েছেন যাঁদের সাহিত্যে রয়েছে হাসির ত‚ণে সমাজের নানা রকম অসঙ্গতি ও নিগূঢ় সত্যকে তীর্যক বাণে বিদ্ধ করার কৌশল। তফিলুদ্দিন মÐলের রম্য গল্পের বাতাবরণেও হাসির আড়ালে সমাজের অনেক অসঙ্গতি ও কুসংস্কারের বিষকাঁটা লক্ষ করা যায়। ইতোমধ্যে তাঁর ‘সেই সব মজার মানুষ’ ও ‘বাহিরে যার হাসির ছটা’ গল্পগ্রন্থ দুটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
তফিলু উদ্দিন মণ্ডলের তৃতীয় গল্পগ্রন্থে মোট ২৯টি রম্য গল্প মলাটবন্দি হয়েছে। এই বইয়ের গল্পগুলো ক্লান্তিহীনভাবে পড়ে শেষ করা যায় গল্পের বুনন ও ন্যারেশনের কারণে। কোনো কোনো গল্প সাধু ভাষায় রচিত হওয়াতে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে এবং মনে হয়েছে সাধু ভাষার জন্যই গল্পের বুনন মজবুত হয়েছে। কল্পনা ও বাস্তবতার মিশেল, বাক্যগঠনে বিভিন্ন মাত্রা, ভাষার মাধুর্য ও সাবলীলতা এবং বিচিত্র শব্দ চয়নে গল্প নির্মাণে লেখকের অকৃত্রিম আন্তরিকতা ও দরদ লক্ষ করা যায়। সুখপাঠ্য বইটি পাঠনন্দিত হোক এই প্রত্যাশা করি।

মোজাম্মেল হক নিয়োগী
কথাসাহিত্যিক।

AMLOMODHUR by Tafil Uddin Mondol

মা – বিলেকাসা

Highlights:

এখানে স্বাভাবিক কিছু নেই, আছে পাওয়া-না পাওয়ার হাহাকার, টানাপোড়েন। জায়গাটার নাম দৌলতদিয়া। এখানকার একটি মেয়ে তারা। অন্য সবার মতোই টিকে থাকতে গিয়ে ওর জীবনেও আছে কিছু দুর্বিনীত সংগ্রাম। এর মাঝে ছেলের জন্ম দেয় মেয়েটি, শুরু হয় নতুন টানাপোড়েন। এত সংগ্রাম-লড়াইয়ের মাঝেও ছেলের মানুষ হওয়ার স্বপ্নে মেয়েটি মরিয়া হয়ে ওঠে। জীবনে যা অবশিষ্ট ছিল সেটুকুও বিসর্জন দিতে একবিন্দু পিছপা হয় না। ছেলেকে পড়াতে গিয়ে কারও পায়ে পড়তেই দ্বিধা করেনি।
ছেলেটিও মেধাবী। মায়ের বুকের লালিত স্বপ্ন এবং সমাজের দশজনের সহায়তায় ছেলেটি বিদেশে গিয়ে লেখাপড়ার শেষ ধাপ পিএইচডি-ও খুব সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করে। দেশে ফিরে এসে ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। মায়ের দোয়া ও নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ছেলেটি হয়ে ওঠে সমাজের মূর্তিমান গর্ব। তবে ছেলেটির ভেতরে ছিল আত্মসম্মানবোধের ভীষণ ঘাটতি। অধিকারের সঙ্গে প্রাপ্তিকে গুলিয়ে ফেলতে ওর সময় লাগে না। একে ওকে ডিঙিয়ে সবকিছু কেড়ে নিতে ছেলেটি ভিড়ে যায় আত্মসম্মানহীন এক শিক্ষক চক্রের সঙ্গে। প্রাপ্তির আনন্দে বুঁদ হয়ে পড়ে থাকা ছেলেটির পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না শিক্ষার সুউচ্চ সম্মান।
গল্পের শেষে বলা যাচ্ছে না দৌলতদিয়ার মেয়েটি নিজের জীবনে সফল নাকি ব্যর্থ। স্বাভাবিক জীবনে গিয়ে ওর ছেলেটি মানুষের মতো মানুষ হবে এই ছিল একমাত্র চাওয়া। সফলতা আর চাওয়া-পাওয়ার হিসাবটা এড়িয়ে যেতে পারলে নির্দ্বিধায় বলা যায় মেয়েটি ছিল একজন মা, একজন পার্থিব নারীর একমাত্র অপার্থিব পরিচয়।

Maa by Bilekasaa

মুজিবের ছড়া মুক্তির ছড়া – আবেদীন জনী

Highlights:

‘মুজিবের ছড়া মুক্তির ছড়া’ গ্রন্থটি আবেদীন জনী’র রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত ছড়া-কবিতাগুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। এক কথায়, এটি বঙ্গবন্ধুর অনবদ্য কীর্তিগাথা। আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়, ও বাংলাদেশের কথা লিখতে লিখতে লেখক ছড়া-কবিতাগুলোতে বার বার প্রবলভাবে বঙ্গবন্ধুর কথাই উচ্চারণ করেছেন। কোমলমতি সন্তানেরা গ্রন্থটি পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

ছোটোদের উপযোগী সাহিত্য রচনা করতে হয় প্রাঞ্জল ভাষায়। নরম মনের স্বপ্নসাঁকো শাব্দিক ঝড়-ঝাপটায় যেন নড়ে না ওঠে। ওদের মনস্তাত্ত্বিক পরিমণ্ডলে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে। বিকাশমান সৃষ্টিশীল চেতনার পথগুলো যেন রুদ্ধ না হয়। মগজের কোষে যেন বিরুদ্ধ বাতাস আঘাত করতে না পারে। তবে হ্যাঁ, যে সমাজে শিশু-কিশোররা বেড়ে উঠছে, সেই সমাজের কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে, স্বপ্নখেকো অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ফিরিয়ে আনতে ওদের মানসজগতে মৃদু শাব্দিক টোকা দেওয়া বা জাগরণের মৃদু স্পন্দন তোলা যায়। তবে সেটাও করতে হবে অত্যন্ত সচেতনভাবে। নিখাদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশ্লেষণের মাধ্যমে। কাঁচা মস্তিষ্কের কতটুকু ধারণক্ষমতা এবং হাসতে হাসতে, খেলতে খেলতে, নাচতে নাচতে কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে- সেসব বিষয়ে সুচারু মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সচেতনভাবে ‘মুজিবের ছড়া মুক্তির ছড়া’ গ্রন্থের ছড়া-কবিতাগুলো রচনা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি লেখার মধ্যে ছোটোদের মনোবিকাশের জন্য কোনো না কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উপাদান রয়েছে, যা নির্মল আনন্দের মধ্য দিয়ে শিশুকে নিয়ে যাবে আলোর জগতে। লেখাগুলো পাঠ করতে বড়োদেরও ভালো লাগবে।

Mujiber Chora Muktir Chora by Abedin Jony

টুনটুনি ভূত – রফিকুজ্জামান রনি

Highlights:

– খাবার দিলেই ভালবাসা প্রকাশ পায় না রে বোকা। স্বাধীনতা বলে একটা বিষয় থাকে। বন্দিজীবন কে চায় বল?
কথা বলতে বলতে রাত প্রায় মধ্যপ্রহরে ঠেকলো। দুজনের কারও চোখে ঘুম নামলো না। মিতুর চোখে বারবার টুনিপাখির কথা বলার দৃশ্যটা ভেসে উঠলো। আবিরের বুকে জেগে উঠলো পাখিটি নিজের করে না পাওয়ার আক্ষেপ। রাত গড়াতে থাকে, ভাই-বোনের কথা শেষ হয় না। কথার ট্রেন চলছে তো চলছেই।
বিষয়টি নিয়ে দুজনের খুঁনসুটি চলছে। হঠাৎ শব্দ করে জানালার পাল্লা সরে গেলো। চমকে উঠলো তারা। এতরাতে কী হলো হঠাৎ? কিছু বুঝে উঠার আগেই টুনটুনি পাখিটি উড়ে এসে ঘরে ঢুকে পড়লো। মাথায় সেই আম! প্রথমে দুজনে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। গভীর রাতে এমন ঘটনায় ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক? পরমুহূর্তে আবার কেটে গেলো সে ভয়।
মিতু বললো, সেকি বন্ধু, তুমি! এখনও উপোস করে পড়ে আছো? ওটা খাওনি?
টুনটুনি বললো, এ আম তো আমার একার জিনিস নয় আপু। তুমি পেয়েছো, এটা যে তোমার। আমি জানি, আমটি পেয়ে ছোট-ভাইকে নিয়ে খাওয়ার জন্যে অনেক শখ করেছিলে তুমি। কিন্তু আমাকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে নিজের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছো। এবার তুমিই বলো, এটা কি আমি একা খেতে পারি?
– কিন্তু এটা তো তোমাকে খুশি হয়ে দিয়েছি। তাহলে খেতে দোষ কোথায়?
– সত্যি বলতে কী, আমি মোটেও ক্ষুধার্ত ছিলাম না। আমি তোমাকে পরীক্ষা করতে মিথ্যে অভিনয় করেছি মাত্র। বলতে পারো তোমাকে ধোঁকা দিয়েছি।
– মানে?
– মানে হল, আমি আসলে টুনটুনি পাখি না। আমি একটা ভূত। টুনটুনির রূপ নিয়ে তোমাকে পরীক্ষা করতে চেয়েছি। তুমি পরীক্ষায় পাস করেছো। আমটা চাওয়ার পর, যদি না দিতে, রাগের মাথায় তোমাকে হয়তো খুনই করে ফেলতাম। কিন্তু ক্ষুধার্ত জীবের প্রতি তোমার দরদ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। নিজের মুখের খাবার অনাহারির মুখে তুলে দেওয়ার মতো বড় ব্যক্তি পৃথিবীতে আর কে হতে পারে?

Tuntuni Vut by Rafiquzzaman Roni

কম্বুরেখপদাবলি – অহ নওরোজ

Highlights:

স¤প্রতি অহ নওরোজের কবিতার এক অনন্য নির্মিতি গড়ে উঠেছে, যা বিষয়কেও করেছে প্রবলভাবে প্রভাবিত; পুনরাবিষ্কারের মধ্য দিয়েই তাই এই কবি ও কবিতার মর্মে আমাদের পৌঁছাতে হবে।

ছন্দ সচেতন এই কবি আধুনিক কবিতার সমস্ত শৈলী নিজের মতো ব্যবহার করেছেন, ফলে কাঠামোগত দিক থেকে তিনি ক্ল্যাসিকও।

অহ নিজেকে ক্রমাগত খুঁড়ে চলেছেন, যদিও সেই লক্ষ্যমুখ আমাদের অজ্ঞাত, কিন্তু টের পাই কোথাও নিভৃতে গড়ে উঠেছে মাতৃভ‚মি ও পরবাসের মেটাফরজনিত দ্বৈরথ। তিনি জানেন কবির ফেরা বলে কিছু নেই, বৃত্তাকার পৃথিবীর পৃষ্ঠই তার দিশা ও বিদিশার পান্থশালা। ফলে তার চৈতন্য সৌন্দর্য ও শূন্যতায় ভরপুর।

কিন্তু এই কবিতা ঠিক কবিতা নয়, কবিতারও অধিক কিছু; যা অনতি তরুণদের কাছে হবে অননুকরণীয় আর পুরোনো আধেয়র জন্য হবে গ্রহণে অক্ষম।

-জাহিদ সোহাগ, কবি

Komburekhpadabali (Verses of Helix) by Aho Nouroz

একটি মৃত্যু এবং – ডালিয়া চৌধুরী

Highlights:

বৃত্তের বাইরে কিছুই হলো না,
অতীত বিচ্ছুরিত রশ্মি
বিগত পাণ্ডুলিপির উন্মোচনে
বর্ণমালা পুড়ে আগুন আয়োজনে
বিষাদ লেগে থাকে চোখে।

দূরের কিছু মেঘ ঝলকে উঠে
বলে, রোদ আছে অদূরে
অনেক শূন্যতা আকাশ হয়ে
ছড়িয়ে পড়ে  বুকের পাঁজরে।

বৃত্তের বাইরে হাত বাড়াই
বিষাদ লেগে থাকে নখে।

Ekti Mrittu Ebong by Dalia Chowdhury

1 2 3 46 47
Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping