Anupranan

Anupranan

(Showing 109 – 120 products of 563 products)

Show:
Filter

এখন তো সময় ভালোবাসার – নাঈম হাসান

Highlights:

কিটস্ বলেছেন, যে ভালোবাসা পেল না, যে কাউকে ভালোবাসতে পারল না, সংসারে তার মতো হতভাগা কেউ নেই।
আমাদের অত্যন্ত স্বল্প এই জীবনে প্রায় সবাই ভালোবাসতে চায়, ভালোবাসা পেতে চায়। আবার কেউ সারাজীবন প্রিয়তমার ভালোবাসা না পেয়েও একতরফা ভালোবেসে যায়। কেউ বা হারিয়ে ফেলা  মানুষটাকেই ফিরে পেতে চায়।
পারিবারিকভাবে বিয়ের আলাপ ধার্য হওয়া যুবক-যুবতী হুট করেই প্রেমে পড়ে যেতে চায়! যান্ত্রিক জীবনে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকা স্বামীর স্ত্রী চায়, তার স্বামী ফুল নিয়ে ঘরে ফিরুক।
নব বিবাহিত দম্পতি চায় তারা নতুক করে প্রেমে পড়তে। বেকারত্বের কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রিয়তমাকে অতীত ভুলে ভালোবাসতে চায় প্রতিষ্ঠিত সেই যুবক।

এমনই ভালোবাসাবাসির আকাঙ্ক্ষা নিয়েই ভিন্ন স্বাদের ভালোবাসার মোট এগারোটি গল্প নিয়ে সুলেখক নাঈম হাসানের পঞ্চম একক গল্প সঙ্কলন–এখন তো সময় ভালোবাসার।

বইটি পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হবে, সেই আশা আমরা করতেই পারি।

Ekhon To Somoy Valobasar - এখন তো সময় ভালোবাসার

ঘুমের যদি হতো ছুটি – জ্যোৎস্নালিপি

Highlights:

মা ঘুমপাড়ানি গান শোনায়। মাসিপিসির ছড়া শোনায়। দৈত্যদানবের গল্প শোনায়। তবুও ঘুম আসে না মিতুর। ঘুমোতে একটুও ভালো লাগে না তার। শুধু খেলাতে ইচ্ছে করে। হঠাৎ একদিন কী যেন হয়। খুব ঘুম পায় তার। চোখের পাতা মেলতেই পারে না। ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে সে। কত কথা হয় ঘুমের সাথে ওর। মিতু বলে, তুমি এতোদিন আসোনি কেন? ঘুম বলে, আমি তো তুমি চাইলেই আসতে পারি। তোমার মনের ভেতরেই আমি থাকি। আমার বোনের নাম স্বপ্ন। সে তোমার কথা বলে আমায় চুপি চুপি। তারপর আমি তোমার কছে চলে আসি। স্বপ্ন? সে কোথায়? এই তো তোমার কাছেই। দেখতে পাচ্ছো না তুমি? মিতু এবার ঘুম আর স্বপ্নের সঙ্গে উড়ে উড়ে মেঘপরিদের দেশে যায়। তারপর! তারপর তো অনেক অনেক মজা। আরো অনেক মজা আছে। নিসর্গ ও কুনোব্যাঙ কী বন্ধু হতে পেরেছিল? মেঘের ভেলায় চড়ে সেদিন কে এসেছিল? পুষি টুসি দুবোন কাশবনে কী শুধুই মজা করছিল? কু ঝু কেমন করে লোভী সাপকে শিক্ষা দিল? সন্টিমন্টি কীভাবে ভিনদেশি একটি দোয়েল পাখির বন্ধু হলো? কবুতর ছানা পারি কীভাবে বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা পেল? আর ভূতের রেলগাড়ি! খুব ভয়ের ব্যপার! গা ছমছম করবে! ছোট্ট বন্ধুরা, সবকিছু জানতে হলে তো মজার মজার গল্পগুলো পড়তে হবে!

ঘুমের যদি হতো ছুটি - Ghumer Zodi Hoto Chuti

মুখোশ বদলে গেলে- জারিফ আলম

5 ★
5 ★
1 Rating
5 ★
1
4 ★
0
3 ★
0
2 ★
0
1 ★
0
(1)
Highlights:

জারিফ আলমের কবিতায় একধরনের মুগ্ধতা আছে। এ মুগ্ধতা কবিতার বিষয় নির্বাচন, শব্দচয়ন এবং উপস্থাপনার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে যা পাঠের মধ্য দিয়েই পাঠকমনকে আলোড়িত করে। এই কাব্যে যাপিত জীবনের নানা অনুষঙ্গ কবির ব্যক্তি জীবনেরই যেন ছবি। প্রকৃতি ও প্রেমের অপূর্ব সমন্বয় আছে বলেই কাব্যের মধ্যে ভাবনা ও আবেগের ভারসাম্য লক্ষ করা য়ায়। এই কাব্যে তীব্র বেদনাবোধ যেমন আছে আনন্দেরও বার্তা আছে। ছন্দকে মেখে খেয়ে যে রসায়ন তিনি তৈরি করেন তাতেই তার কবিতাকে চিহ্নিত করা যায়। সেই চিত্রই অমার দেখি বর্তমান কাব্যে।
-মাহমুদ কামাল।

মুখোশ বদলে গেলে - Mukhosh Bodle Gele

চেতনায় একাত্তর হৃদয়ে বাংলাদেশ – রুদ্র সাহাদাৎ

Highlights:

রুদ্র সাহাদাৎ কবিতাপাড়ার পরিচিতস্বর, পরিচিত মুখ।নিরলস সাধনায় তার সহজ কবিমন সর্বক্ষণ যেন তাকিয়ে আছে পৃথিবীর প্রতিটি মুহূর্তের দিকে। বর্ণনা করা যায় না, এমন কিছু অপার্থিব সুন্দর তাকে চঞ্চল করে রাখে জীবনের পথে পথে। বেদনা ও কষ্টের মানবিকতা তাঁর সত্তাকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে পরিশুদ্ধির উত্তাপে। প্রেমপূর্ণ ও প্রকৃতিমগ্ন এই কবি অন্ধকার ও অন্ধতার সকল দুয়ার ভেঙে আলোয় ভুবন রাঙাতে বদ্ধপরিকর। তাঁর কবিতার শব্দচয়ন ও চলনের গতি সংবেদী পাঠককে সেই বার্তা দিচ্ছে বারবার। শ্রেণীবিন্যস্ত সমাজের সীমাবদ্ধতা ও কলুষতা তাকে পীড়িত ও ন্যুব্জ করে। কবিতার ব্রক্ষ্মাস্ত্রে তিনি তাই প্রতিবাদী। হতাশা ও পরিব্যাপ্ত অপাপ্তির ক্ষোভ তাকে প্রকৃত সংবেদনের কাছে নতজানু করেছে,যা কখনো বা নিয়তি বা ললাটলিখনের নামান্তর। পৃথিবীর বহু যুগন্ধর কবি শিল্পীই এই নিয়তির তটে তাদের চেতনার রুধিরাক্ত অর্ঘ্য অর্পন করে গেছেন সজল নয়নে। একালের মানুষও কি তা থেকে মুক্তি পেয়েছে খুব বেশি? কবির একটি উচ্চারণ সেদিক ইঙ্গিত করছে যেন বড় মর্মান্তিকভাবে — বারবার কেন যে জিততে জিততে হেরে যাই প্রভু সব জানে, সব দেখে – চার ছক্কার চক্করে মইহীন পা…… রুদ্র সাহাদাৎ সাচ্চা প্রেমিক ও ভৈরব। কবি ও কবিতা এই কুঞ্জ ও রুদ্রের অভিঘাতেই বেঁচে থাকে নিরন্তর।

হাফিজ রশিদ খান
কবি, প্রাবন্ধিক

 

চেতনায় একাত্তর হৃদয়ে বাংলাদেশ - Chetonay Ekattor Hridoye Bangladesh

বৃষ্টিরা একা আসেনা – জিয়াউল হক সরকার

Highlights:

“আমি যেন শূন্যের মাঝে পূণ্য দেখি
কাব্যের মালা গলে পরে চিবুক খুঁজি
তন্ত্র-মন্ত্র সব যজ্ঞের কোলে হীন হয়
বোধিবৃক্ষরা বারামখানায় লীন রয়
স্বতন্ত্র এক পুবের হাওয়া মনে বয়
ভাঙতির নামে সকল আশা ক্ষীণ হয়।

এই নোটটা এখন তবে আয়নার মতো
জীবন নামের প্রেমের পরে কবিতা যতো
নোটটার কিন্তু কোনো মূল্যমান নেই
প্রেমের ধামে জুয়াড়ী যে হারাবে খেই।

আমাকে একটু ভাঙতি করে
একটুখানি খুচরো দাও
একবিন্দু ভালোবেসে
প্রেমের নায়ে শূন্যে যাও।”

বৃষ্টিরা একা আসেনা - Brisstira Eka Asey Na

মৃৎচক্রের দিনগুলি – স্বপঞ্জয় চৌধুরী

Highlights:

স্বপঞ্জয় চৌধুরী মূলত কবি হলেও কথাসাহিত্যে তার হাত বেশ পরিপক্ক। শুধু পরিপক্ক বললে ভুল হবে, আধুনিক ছোটগল্পের সকল বৈশিষ্ট্যই তার লেখায় বিদ্যমান। চিন্তাকে ভেঙেচুড়ে সে নতুন ফরম্যাট দাঁড় করতে সিদ্ধহস্ত। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলোর সাথে আমি বেশ পরিচিত। তার লেখায় রয়েছে মা, মাটি, প্রকৃতি, জাতীয় চেতনা ও নিম্নবর্গীয় মানুষের আর্তি। তিনি গল্প লেখেন জীবন ও বাস্তবতার অভিধায়। কল্পনার উচ্চস্তরে তিনি খুঁজে বেড়ান মানুষের না বলা নিগূঢ় কথার ধ্বনি। ‘মৃৎচক্রের দিনগুলি’ নাম ভূমিকার গল্পটি মূলত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা। আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্যকে তিনি এইগল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই গ্রন্থে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ষোলটি গল্প রয়েছে যা আমার মতো আপনাদেরও তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ^াস।

গৌতম তালুকদার
কবি ও গল্পকার
কোলকাতা, ভারত।

মৃতচক্রের দিনগুলো - Mritachakrer Dinguli

ধূলিমাখা রোদের ভেতর – রায়হান শরীফ

Highlights:

একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে টেকনোলজির মামদোবাজির এই সময়ে মানুষের সহজাত অনুভূতির ফল্গুধারা স্তিমিত না রহিত? এই প্রশ্নটির চাবুকের নিচে পড়বার  সময় ও সুযোগই কারো যখন নেই,  সেই তখনও কবিতা নাজিল হয় পৃথিবীর বুকে। আসলে বাক্যের প্রচল, চেনাজানা বুনটের মধ্যে দিয়ে তির্যক আলো ফেলে ফেলে ভিন্নতর, অকেজো অথচ জরুরী  অভিনিবিশের  আস্কারাই কবিতা । কবিতা  ঠিক ততদিন জীয়মান বলে মনে হয় যতদিন ভাষা জীয়মান।

কবিতা আসলে শিশুর কান্নার মত। কবিতার যে স্পিকার বা পোয়েটিক পার্সোনা সে-ই যেন শিশুর মত আর্তি জানাচ্ছে পৃথিবীর আলোয় নিজেকে মেলে ধরতে। যেন বা শিশু তার মায়ের জন্য কাঁদছে।

খুব ছোট শিশু যেমন স্পষ্ট করে কিছু বলে না, কিন্ত মা ঠিকই বুঝতে পারে,ঠিক তেমন শিশুর মত অস্পষ্ট-স্পষ্ট কিছু বলতে চান কবি। এখানে পাঠককে আমি মা বলতে চাইছি না, মা হতে পারে অর্থবোধকতার বা অনুভবের সম্ভাবনা।

এই কবিতা আবার চৌদ্দ রকম হয়। সহস্র রকম হলেও কবিতাকে এক ভাবে না এক ভাবে হয়ে উঠতে হয়,  ফুটে উঠতে হয়, ঢুকে যেতে হয় আলগোছে,  অনবধানে– পাঠকের মনে!

রায়হান শরীফ - Raihan Sharif

আধখোলা জানালার আলাপ – নুরুন্নাহার মুন্নি

Highlights:

আজকাল কবিতা চর্চার অনেক মাধ্যম আছে। ফেসবুক, ব্লগ, অনলাইন পত্রিকা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমেই কবিতা চর্চা হয়। কিন্তু নীরবে কাব্যচর্চায় তেমন কেউ নিমগ্ন হয় না। কবি নুরুন্নাহার মুন্নির এই বইয়ের কবিতাগুলো পড়ে মনে হয়েছে, তিনি নীরবে-নিভৃতে কবিতাচর্চা করেন এবং তা করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর দশজন তরুণ কবির মতো বই প্রকাশের জন্য তেমন কোনও তাড়াহুড়ো না করে কবিতা লিখে চলেছেন দশকের পর দশক। তাই তো কবি খ্যাতি পাওয়ার লোভ সংবরণ করে এতদিন পর এসে প্রথম কাব্য প্রকাশে আগ্রহী হয়েছেন। দীর্ঘদিন সাধনা ও চর্চার পর তার কবিতার ভাষা যে পরিণত হয়েছে তার আভাস পাওয়া যায়। তার কবিতায় মস্তিষ্কের সঙ্গে অন্তর্জগৎ, হৃদয়-আত্মা, মনের ব্যাকুলতা, বুদ্ধি, আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি, মানবতাবোধ, স্মৃতিগত-সংস্কার, শ্বাশত আবেগের অনন্য উপলব্ধি ও সমাজজীবনের বহুরূপী চিত্রকল্প অনুভূত হয়। তিনি শব্দচয়ন, উপমা প্রয়োগ ও চিত্রকল্পের ব্যবহারে বেশ সচেতন আর তাতেই তার কবিতায় ভিন্নস্বর ও সতন্ত্র কাব্যভাষ্য পরিলক্ষিত হয়। প্রথম বই হলেও কবিতাগুলোতে আছে পরিণত কবিদের কবিতার মতো গভীরতা।

আধখোলা জানালার আলাপ - Adhkhola Janalar Alap

উলঙ্গ সময় – জাহাঙ্গীর হোসাইন

Highlights:

তরুণ লেখক জাহাঙ্গীর হোসাইন-এর ‘উলঙ্গ সময়’ উপন্যাসটি পড়ার পর উপলব্ধি করতে পারলাম, এক নারীর আত্মন্মোচনের বেদনাবাষ্পে ধূসর হয়ে পড়বে আমাদের চেনা পৃথিবীটাও। কথিকা মাধুবীলতা চৌধুরানি। তাঁরই অনÍর্যামী জাহাঙ্গীর হোসাইন হয়তো বা বসত করে সেই অপ্রত্যাশিত নারীর ভাবগর্ভে। পরিবার পরিজনে ঘেরা গ্লানির কয়েদখানা থেকে সুপ্রিয় পাঠককে সম্বোধন করে লেখা উপাখ্যানে কুড়িটি পর্বে লেখকের অন্তর্বয়নে অক্ষরগুলো যতœ করে জ্বলে ওঠে স্মৃতির বারুদে। জীবনকে আস্বাদনের তৃষ্ণায় অন্তরতমা মাধুবীলতা চৌধুরানির কাছে সমুর ব্যাকুল আর্তি- মাধু, ‘আমার ভিতরটা পুড়ে যাচ্ছেÑ আমাকে একটু ঠাণ্ডা জল দিবে?’ কেবলই অপ্রাপ্তির বেদনায় সমুর মনে গুমরে গুমরে “সুখের লাগিয়া এঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল” আক্ষেপ আর আত্মগ্লানির পীড়ায় জ্বলতে জ্বলতে সমুর করুণ অনুনাদ ‘মাধু, তোমার ঘরে বিষ আছে? আমাকে একটু বিষ দাও।’ পাখি, পুঁথির মা, সমু, অলক চৌধুরী সকলই মাধুবীলতা চৌধুরানির জীবনের জানালার গরাদ। সেই গরাদ ধরে সমুর ভালোবাসার জন্য অনন্ত অপেক্ষার পর উলঙ্গ সময়ের কাছে তাঁর মৃদু অনুযোগ ‘নরকে থাকার চেয়ে আত্ম হননের পথ শ্রেয়’ এই হতভাগিনীর উপাখ্যানে সময়ও কেঁদে ওঠে, হয়তো বা জ্বরে পুড়তে থাকে। যেভাবে পুড়েছে মালতি থেকে কাবুলিওয়লার বাঙালি বউটা।
ড. মেঘনাদ ঘোষাল

উলঙ্গ সময় - Ulongo Samoy

আলোর খোলস – ঝুমকি বসু

Highlights:

গল্পের কি শেষ আছে? যতদিন প্রাণ থাকবে, ততদিন গল্পেরও জন্ম হবে। এটা নিরন্তর ঘটে চলা চিরন্তন প্রক্রিয়া। বইয়ের প্রতিটি গল্পেই অবিরত চলেছে যাপিত জীবনের অলিগলির অনুসন্ধান। গভীর অন্ধকারের ভেতরেও যেমন আলোর স্ফুলিঙ্গ থাকে, তেমনই সেই আলোরও খোলস থাকে। গল্পের ভেতরে পাঠক আপাত দেখতে পাবেন খোলসের আবরণ। সেই আড়াল সরিয়ে নিলেই মিলবে আলো, বেঁচে থাকার স্বাদ। প্রকৃতপক্ষে মানুষের জীবনের টুকিটাকি অনুষঙ্গই এই বইয়ের বিষয়বস্তু। প্রিয় পাঠক, বইটির কয়েকটি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখুন তো, আপনার জীবনের কিংবা চেনাজানা যাপনের কারো সঙ্গে কিছু মিলে যায় কি না?

আলোর খোলস - Alor Kholosh

পাগলের জবানবন্দি – মিজান আকন্দ

Highlights:

পূর্বপুরুষ কেউ একজন পাগল ছিল। নিলয় সবসময়  সেই পাগলামিটা তার নিজের মধ্যে অনুভব করে। মাঝেমধ্যে অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখে, অদ্ভুত অদ্ভুত চিন্তা মাথায় চেপে বসে; অদ্ভুত কিছু কান্ড করেও বসে। একদিন রাতের বেলা কবরস্থানে গিয়ে একা বসে থাকে! কোরবানির ঈদে চারিদিকে যখন খুশির জোয়ার, তার কাছে সেই ঈদ হয়ে ওঠে বিষাদময়! শতবছর আগে মরে যাওয়া তার বড় দাদার ( দাদার দাদা) সাথে দেখা হয়! স্ত্রী তার সকল পাগলামি মেনে নিলেও সহকর্মীর সাথে সখ্যতা কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না। অভিমানে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়, সহকর্মীর সাথে প্রেমের ভাঙন ধরে। অফিসের অনিয়ম আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হতে হয়। তার নিজেকে একজন ব্যর্থ মানুষ মনে হয়! এই অবস্থায় তার কাছে এই শহর, শহরের মানুষ, অলি গলি রাজপথ সবকিছু খুব নোংরা মনে হয়। এই নষ্ট নরক ছেড়ে সে চলে যায় তার ছেলেবেলার সেই গ্রামে। কিন্তু ছেলেবেলার সেই গ্রামটি আগের মতো  আর খুঁজে পায় না। পরিবর্তিত গ্রামটিকেও একসময় তার কাছে নষ্ট মনে হয়। গ্রাম ছেড়ে সে অজানার পথে বেরিয়ে পড়ে। এক বাউলের সাথে দেখা হলে সে বাউল হতে চায়। কিছুদিন পর বাউল জীবন ছেড়ে সে পথে পথে ঘুরতে থাকে। এক মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ বয়সের করুণ অবস্থা দেখে তার কষ্ট হয়। এক বিকেলে  নীড়ে ফেরা পাখি দেখে সে তার পৈত্রিক ভিটায় গ্রামে ফিরে আসে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে শুরু করে। এ-সময়ও তার দাদার দাদা তাকে দেখা দেন। বড় দাদার সাথে কথা বলার জন্য সে ব্যাকুল হয়ে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাপন সে কিভাবে করবে? পুর্বপুরুষের সেই পাগলামি যে তার অস্তিত্বে মিশে আছে!

পাগলের জবানবন্দি - Pagoler Jobanbondi

1 2 8 9 10 11 12 46 47
Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping