বাসার তাসাউফ

বাসার তাসাউফ
জন্ম: ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ।
জন্মস্থান: কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে।
শৈশব- কৈশোর কেটেছে এই গ্রামে। এখনো এখানেই বসবাস করছেন।
লেখাপড়া: এমএসএস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ)
পেশা: টিউশনির মাধ্যমে প্রথম কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত।
লেখালেখি: শৈশব-কৈশোর থেকেই বই পড়ার প্রতি দুর্মর নেশা ও আগ্রহ তার। প্রাথমিকের গ-ি পেরানোর আগেই নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, শরৎ, বঙ্কিম, সুনীল, সমরেশ, বুদ্ধদেব, সুকান্ত, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদের বই পড়া শুরু করেছিলেন। কলেজের চৌকাঠ মাড়ানোর আগেই পড়ে ফেলেছেন মিল্টন, মার্কেজ, কাফকা, মির্চা এ্যালিয়াদ, রিল্কে, গুন্টার গ্রাসের মতো বিশ্ব বরণ্য সাহিত্যকদের লেখা। পড়তে পড়তে তিনি লিখতে শুরু করেছেন।
প্রথম গল্প ছাপা হয় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। সেই থেকে দেশের প্রায় সব দৈনিক, মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ কর্তৃক ‘জীবিত অথবা মৃত’ গল্পের জন্য সেরা তরুণ লেখক নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: সূর্যঘড়ি (উপন্যাস, ২০২১, বায়ান্ন৫২) স্বর্গগ্রামের মানুষ (মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস, ২০১৯, বেহুলাবাংলা) পিতৃশোক ও দীর্ঘশ্বাসের গল্প (ছোটগল্প, ২০১৯, শুদ্ধপ্রকাশ) স্বরচিত নির্বাসন (উপন্যাস, ২০১৮, বেহুলাবাংলা) স্কুল থেকে পালিয়ে (কিশোর উপন্যাস, ২০১৭, দা রয়েল পাবলিশার্স) মা সেজে পরি এসেছিল (শিশুতোষ গল্প, ২০২০, টাপুরটুপুর)
শখ: বেড়ানো।
নেশা: বই পড়া ও বই কেনা।
ভালো লাগে: গান শোনা ও ক্রিকেট খেলা।
প্রিয় লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রিয় বই: কথাসাহিত্যিক রাজিয়া খানের উপন্যাস ‘চিত্রকাব্য’ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ।’
প্রিয় উক্তি: ‘যা কিছু অইতে চাস, হবি। সবার আগে মানুষ হবি, সৎ মানুষ। মনে রাখবি, সত্যের মইধ্যে থাকলে তরে জীবনে কেউ কুনুদিন ঠকাইতে পারব না।’
আমার আব্বা প্রায় এই কথাগুলো বলতেন আমাকে।
যোগাযোগ: kobibasar@yahoo.com, basartasauf2@gmail.com

বাসার তাসাউফ

Showing the single result

Show:
Filter

সব মেঘে বৃষ্টি হয় না

Highlights:

‘সব মেঘে বৃষ্টি হয় না’ একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এটি কথাসাহিত্যিক বাসার তাসাউফের একাধারে জীবনচরিত ও নব্বইয়ের দশকের সোনালি সময়ের স্মৃতিচারণ। পরিমার্জিত ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি পুরনো সেই সব দিনের কথা ও সেই সব সময়ের মানুষের জীবন-যাপন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার বর্ণনা করেছেন।
বাসার তাসাউফের জন্ম ও বেড়ে ওঠা অনন্তপুর নামের সবুজ বৃক্ষের ছায়া ছায়া মায়াময় নিভৃত এক গ্রামে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সেই গ্রামের মানুষ, গাছপালা, পশু-পাখি, নদ-নদী তাকে লেখালেখিতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে তার কিষান পিতা তার জীবনজুড়ে এতটাই মিশে আছেন যে, এই উপন্যাসের সব পাতা ভরেও তিনি উপস্থিত আছেন। পিতা ছিলেন তার বেঁচে থাকার, স্বপ্ন দেখার একমাত্র উপাদান। কিন্তু আকস্মিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতার মৃত্যুতে তিনি ভীষণ মুষড়ে পড়েন। তাই নিজের জবানে বলা নিজের জীবনকাহিনি লেখা শুরু করেছেন পিতার মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে। এরপর মানবজীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের কথা, বিশেষ করেÑ দরিদ্র কিষান পিতার পাতায় ছাওয়া লতায় ঘেরা ছোট কুটিরে জন্ম নিয়ে তিনি যে অপূর্ণতার হাহাকারে জীবন ভর দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন তা এমন ভাবে বর্ণনা করেছেন মনে হয়, যেন সেই দীর্ঘশ^াসের উষ্ণ আঁচ এসে আমাদের হৃদয়ও উত্তপ্ত করে তোলে। তার মায়ের দিনের পর দিন না খেয়ে থাকার বর্ণনা হৃদয়ের গহিনে এমনভাবে আঘাত করে যে, রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। বৃষ্টির জল আর পোকামাকড় খসে পড়া ছনের ছাউনির তলে একডজন মানুষের বসবাস আর খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার কথাগুলো এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়।
বাসার তাসাউফ বইয়ের ভূমিকা অংশে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একজন অসফল মানুষ। আমার আব্বা একজন দরিদ্র কিষান ছিলেন। ফলে অনেক নিগূঢ়তা ও নিষ্ঠুরতা অতিক্রম করে জীবন চলার পথে আমাকে চলতে হয়েছে, পার হতে হয়েছে অসর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ অনেক পথ। কিন্তু গন্তব্য আজো রয়ে গেছে অচিনপুরে। সব পথেরই নির্র্দিষ্ট একটা সীমানা থাকে। কিন্তু আমার জীবন চলার পথের যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমি চলেছি তো চলেছি, না পেরিয়েছি সীমানা, না পেয়েছি গন্তব্য। জীবন চলার পথ অতিক্রম করে গন্তব্য পৌঁছাতে পারলে মানুষ অমরত্ব লাভ করে। অমরত্বে আমার লোভ ছিল না কোনোদিন। তাই হয়তো জীবনপথের দুর্গম সীমানা আমি আজো পার হতে পারিনি…।’
বলাবাহুল্য, একজন লেখক নিজের জীবনের গল্প নিজের জবানে বলার পর এর যে নিগূঢ় তাৎপর্য পাওয়া যায়, কাল্পনিক গল্পে তা পাওয়া যায় না। বাসার তাসাউফের এই বইয়ের গল্পে রূপকথার বয়ান নেই, আছে দরিদ্র এক কিষান পিতার ঘাম-জল সিঞ্চনের গল্প। নিতান্তই একজন ব্যর্থ মানুষের অপূর্ণতার গল্প। ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়েও বাঁক বদল করে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার গল্প।

যে মেঘে বৃষ্টি য় না

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping