Additional information
Weight | 0.230 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.59 $ 2.12
আমার এই গল্পে বাংলাদেশকে চেনার সুযোগ থাকবে পাঠকের। পরিজন ছাড়া যেমন পরিবার হয় না। অধিবাসী ছাড়া তেমন দেশ হয় না। আমার ছোটগল্পগুলো জীবনকে বোঝার গল্প। সমগ্র জীবন আমরা ছুটে বেড়াই প্রাপ্তির আশায়। ভাঙাগড়ার এই খেলায় মানুষ সবসময়ই হারে। এই হারার অনুভূতি কখনো মানব-মানবীর কাছে হার হয়ে ধরা দেয়, কখনো জয় হয়ে। বইটির নাম দিতে চেয়েছিলাম সমগ্র বাংলা। পরে ভাবলাম বইটি পড়ে পাঠকই বুঝে নিক এই গল্পের নামের সার্থকতা।
—রিয়াদুল হক
Weight | 0.230 kg |
---|---|
Published Year |
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ই এপ্রিল। টাঙ্গাইলের মীরের বেতুকা গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। করটিয়ার সা’দত কলেজ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। সহকারী সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও দৈনিক সংবাদ Ñএ। ১৯৭৮-৮০ সালে ছিলেন গণচীনের রেডিও পেইচিং এর ভাষা বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৪-২০০৪ সালে ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষসহ গ্রন্থের সংখ্যা ৭০ এর বেশি।
গল্প সংগ্রহ
শাশ্বত নিপ্পন। জন্ম: মেহেরপুর, মে ১৮, ১৯৭০। পেশা: শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা। এবং সংস্কৃতিকর্মী ও নাট্যকর্মী। তার আরো দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছেÑ অনতিক্রম (২০১৩), পুনরুত্থান (২০১৪)।
অশনির ছন্দ
জুলিয়ান সিদ্দিকী। জন্মÑ ১৯৬৮, পাকশী, পাবনা। বর্তমান আবাসস্থলÑ সৌদি আরব, পেশাÑ চাকুরী। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থÑ উত্তাপ কিংবা উষ্ণতা, কম্পেন্ডার, ছায়াম্লান দিন, ভালবাসার যাতনা যত প্রভৃতি। বাংলা লাইভ ডট কম সেরা গল্প পুরস্কার পেয়েছেন।
বিশ্বাসের দহন ও অন্যান্য গল্প
শামীম সাঈদ, কবি ও গল্পকার। জন্মÑ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৯। কলসনগর, লালপুর নাটোর। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থÑ এই কথা বৃষ্টিবাচক, এভাবে খুলবে না আঁচলের খুঁট, সদা ভাগতেছে ভববান।
কুঁড়িকাল ও যুগযাপনের গল্প
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
হাসান মাহবুব। জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকায়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তিনি বুঝেছিলেন এ জায়গা তার জন্য নয়। চলে আসেন
আনন্দভ্রম
অনিন্দ্য আসিফ। জন্ম- ২৩ মে, ১৯৮১। কতিয়াচর, কিশোরগঞ্জ। পিতা- মোঃ আব্দুল হাই, মা- হাওয়া আক্তার।
শাদা অথবা শূন্য
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
ফজিলা ইসলাম ফৌজি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ১৯৭২ সালের ৮ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস মেহেরপুর জেলার কোলা গ্রামের বাবু পাড়ায়। পিতার নাম মোঃ হাফিজ উদ্দিন মাতার নাম মোছাঃ রাকিবা বেগম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (অনার্স মাষ্টার্স) শেষ করে ১৯৯৯ সালে রাজশাহীর ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
মানচিত্রে রক্তক্ষরণ
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
হাসান অরিন্দম। বাংলাদেশের একজন প্রাবন্ধিক ও গল্পকাররূপে পরিচিত। কথাসাহিত্যই তার সৃষ্টি ও আগ্রহের প্রধান ক্ষেত্র। জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৭২। শিক্ষাজীবনÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলার লোকজীবন ও আবু ইসহাকের কথাসাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় অধ্যাপক। ‘একজন মানুষের সম্ভাবনা’, ‘বিদ্যাছায়াবিদ্যা ও অন্যান্য গল্প’, ‘দুরবিনে দেখা কতিপয় দৃশ্য’সহ আরো অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের দৃষ্টিসীমায় কোন বাতিঘর ছিলো না
ভূমিকা
অনেকগুলি গল্প কবিতা ও দু’একটি উপন্যাস লিখে ফেলার পর হঠাৎ মনে হলোÑ ছোটদের জন্য তো কিছু লেখা হয়নি! তখন মনে পড়লো আমার ছোটবেলায় গ্রামীণ আবহে শোনা গল্পগুলির কথা। যার ফলশ্রুতিতে এ বইটির সৃষ্টি। ‘সোনার নাও পবনের বৈঠা’ বইখানি যদি ছোটদের একটু আনন্দ দিতে পারে তবে নিজেও আনন্দিত হবো। এ গ্রন্থ সৃষ্টি হওয়ার মূলে যে গল্পগুলি তার জন্য যাঁদের কাছে আমি ঋণী তাঁদের নাম করতে গেলে প্রথমেই আমার মেজো’পা (মিলা’পা), কাজিন সেতন আপা ও বিন্দুবাসিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক বীথি আপার নাম করতে হয়। তাদের কাছে শোনা গল্পগুলি আমার মনন গঠনে সাহায্য করেছে।
এ বইয়ের পা-ুলিপি তৈরীতে যিনি সর্বোতভাবে সাহায্য করেছেন তিনি আমার প্রেরণাগুরু প্রয়াত সাংবাদিক জনাব ফরহাদ খাঁ। তাঁর ইচ্ছা ছিল পা-ুলিপিখানির সর্বশেষ ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন, পরিমার্জন ও সম্পাদনা করবেন। কিন্তু ঘাতকের নিষ্ঠুরতায় তাঁকে অসময়ে চলে যেতে হলো বলে সে আশা পূর্ণ হলো না। তাই শেষ কাজটুকু আমার ছোট ছেলে অর্ণব হাসনাতকে দিয়ে করাতে হলো। আমার এ বইটি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার বড় ছেলে সুবর্ণ আহসান আমাকে সর্বপ্রকারে উদ্দীপনা জুগিয়েছে এবং সাহায্য সহযোগিতা করেছে। সাংবাদিক ফরহাদ খাঁর পর যে দুই ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করতে হয় তার একজন হলেন চাকরিক্ষেত্রে আমার একসময়ের বস জনাব শামসূয জাহান নূর ও অন্যজন সাংবাদিক ভাই ও বন্ধু কাজী সালাহ উদ্দীন আহমেদ। এ ছাড়া আমার লেখকবন্ধু মহিউদ্দীন আকবর এ বইয়ের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছেপে ও বিভিন্নভাবে আমাকে উৎসাহ উদ্দীপনা জুগিয়েছেন।
উপরোল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। গল্পগ্রন্থটির ভুলত্রুটি ও ভালমন্দ পাঠক সুধীজন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে মন্তব্য জানালে বাধিত হবো।
লেখক।
সোনার নাও পবনের বৈঠা
গাঢ় প্রগাঢ়–
তোমার গলার স্বর বেজে ওঠে কালিক ভাষায়
আমি ঊর্ধ্বাকাশে তাকালে ঝরে পড়ে
নিষ্ঠ পেন্ডুলামের নির্মোহ দোল।
নস্টালজিক বিভাস
কবিতার পোস্টকার্ড
ফিনিক্স পাখির ডানা
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
সত্তর দশকের কবি সৈয়দ আবদুস সাদিক। এক প্রত্যাশিত সন্ধিক্ষণে বাংলা কবিতার মঞ্চে হাজির হয়েছেন গ্রহণ পূর্ণিমার ছায়াচারী হিসেবে। তাঁর কবিতার শরীর শব্দ সম্পদে ভরপুর। উপমা, শিল্প-সৌন্দর্যবোধ ও মিথ মিলে কাব্যমাঠ যেমন উর্বর, গড়ন-কৌশলেও ভাষা হয়ে ওঠেছে তেমনি অনন্যমাত্রার। তাঁর কবিতায় মন-ময়ূখজুড়ে সমাজ ও স্বদেশ প্রেমের ক্যানভাস আবার বিষয়বস্তুর নিরীখটা জুড়ে যেনো প্রেমই প্রধান। প্রেমই প্রকৃতি এই আকুতি, এই উচ্চারণ সর্বোপরি রসমগ্নতাও গভীরভাবে বিম্বিত। কোথাও বিশুদ্ধ নৈয়ায়িক দুর্বোদ্ধতা থাকলেও, পাঠস্বাদে তা প্রতীকী কাব্যানুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তিনি এ কাব্য’র এ মাঠে রোপন করেছেন বিভিন্ন স্বাদের ফ্রয়েডীয়, পরাবাস্তব কবিতা সহ সনেট, রুবাই এবং গজল। তবে, নিশ্চয় পাঠক কবির এই কারিশমায় দ্রবীভূত হলেও দ্রোহ আর প্রেমের নানান সমাসবদ্ধ শব্দের উতরোলে, বিরহের ব্যঞ্জনধ্বনিতে, এইসব কবিতার বাহারি রূপ, রস, গন্ধ কবিতাঞ্চলকে করে তুলেছে মন্ময় ও তন্ময়। “তুমি শ্রমণ, আমি ভিক্ষু’ গ্রন্থের ভিন্ন স্বাদ, বিভিন্ন বোধ ও বিচিত্রতা তাকে দিয়েছে বিশিষ্টতা। পাঠ করা গেলে সহজেই সে আবহাওয়া অনুধাবন করা যায়। গ্রন্থটির ‘অনাথ অন্ধকার’ কবিতায় কবি শব্দ, স্বর ও ধ্বনিকে ভিন্ন মাত্রার সুরে প্রকাশ করেছেন এভাবে :
‘এতোকাল কুহকের ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে
জেনে গেলাম গন্ধ-বর্ণময় সময়ের ভেতর
অনাথ অন্ধকার খেলা করে;’…
লিটন আব্বাস
তুমি শ্রমণ আমি ভিক্ষু
ভূমিকা
লোকমান তাজ রচিত লাশপুরীর লাশের গল্প কিশোর উপযোগী রহস্যময় উপন্যাস। সমকালীন অনেক লেখক এ জাতীয় রচনা সৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সাইন্স ফিকশন, রম্য কথা, ভৌতিক থ্রিলিং ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রচুর লেখালেখি অব্যাহত রয়েছে। কারো কারো বেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লক্ষণীয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব লেখা অনির্দেশ্য বায়বীয় ভাব ভাবনায় সমর্পিত।
সঠিক কোনো জীবনবোধ বা আদর্শ অন্বেষার বালাই নেই। দিকভ্রান্ত কাহিনী চরিত্রের মোহমুগ্ধ ঘনঘটা একটা আবেশ ছাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থায় লোকমান তাজ এর লাশপুরীর লাশের গল্প নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গাছতলা গ্রামের সবিস্তার কাহিনী সাব্বির, মাহি ও মেহেক চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু শাখা কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। যেখানে মীরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীনিবাসের এক মর্মান্তিক কাহিনী এখানে বর্ণিত হয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র সাব্বিরই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
লাশপুরীর লাশের গল্পে সত্যিকার অর্থেই গল্পের একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে অপরিসীম আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সম্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এর কাহিনী চরিত্রে বরাবরই একটা আদর্শবোধ ব্যাপ্ত আছে। এ সুবাদে সেখানে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন মীরা কেন্দ্রিক সারিনা জামান এর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মেয়েটির আত্মহত্যা ও এর আনুপূর্বিক ঘটনা যে কাউকে ছুঁয়ে যেতে সক্ষম। সংসারের অভাব-অনটন, বন্ধুবান্ধবীদের নিগ্রহ-নিপীড়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবজ্ঞা, অবহেলা-সবমিলিয়ে মেয়েটির জীবন বিষিয়ে তোলে। এছাড়া সাব্বিরের দাদিবাড়ি গাছতলা গ্রামের নানাবিধ ঘটনা এ গল্পের আড়ম্বরের সাথে বনিত হয়েছে। যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব। আমি লাশপুরীর লাশের গল্প ও এর লেখক লোকমান তাজ এর পর্যায়ক্রমিক সমুন্নতি কামনা করছি।
-ড. মুহাম্মদ জমির হোসেন
লাশপুরীর লাশের গল্প
আশরাফ উদ্দীন আহ্মদের গল্প রচনার দক্ষতা স্বীকৃত। সমাজের পিছিয়ে পড়া সামান্য মানুষদের অসামান্য করে উপস্থাপন করা তাঁর গল্পগুলো পাঠককে গভীরভাবে জাগ্রত করবে। নি¤œবিত্ত এবং নি¤œমধ্যবিত্ত বা বিত্ত ছাড়া মানুষকে নিয়েই তাঁর গল্পের আঙ্গিক গল্পের বিষয়, গল্পের অস্থি-মজ্জা। ভাষায় সরলতা এবং তাঁর গল্পের চরিত্রেরা চেনা-জানা মানুষের মুখ। তবে প্রতি গল্পই স্বতন্ত্র কাহিনী সূত্রে গাঁথা। কখনো হয়তো মনে হবে, গল্পের ভাষায় কাব্যিকতায় ঠাসা, কিন্তু পরক্ষণে মনে হবে, আমারই মনের কথাগুলো সাজিয়ে তুলেছেন এখানে। জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন গল্পের বিষয়ে। তাঁর প্রতিটি গল্পই জীবন-জগতের অর্থাৎ মানুষেরই কথা বলে এবং সে মানুষগুলো হয়ে ওঠে গল্পের একেকটা পাত্র-পাত্রী এবং সেখানেও আশরাফ নিজেকে মিলিয়ে ফেলেন গল্পের চরিত্রে। প্রকৃত কথাশিল্পী হিসেবে তাঁকে এখানে খুঁজে পাওয়া যায়, তিনি হয়ে যান জীবনশিল্পী। মৃত্তিকা সংলগ্ন যে সমস্ত মানুষ, যারা গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে দিনগুজরান করেন, জীবনে যাদের কোনো আশা নেই, ভাষা নেই, স্বপ্ন নেই, আমাদের চারপাশে তাদের অবাধ বিচরণ, কিন্তু আমরা তাদের চিনেও চিনি না, দেখেও দেখি না, কতো সামান্য মানুষ তারা, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আশরাফ প্রতিনিধিত্ব করেন গল্পের মাধ্যমে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
তারপর অন্ধকার, দুঃসময়
ফেরদৌস নাহার, কবিতা ও গদ্য শ্রমিক। জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কানাডায় বসবাস। কবিতার পাশাপাশি আঁকছেন ছবি, লিখছেন গদ্য ও গান। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘মাইলস’-এর সংগীত রচয়িতা। প্রিয় বিষয়Ñ মানুষ এবং প্রকৃতি। আকাশের ঠিকানা:
ferdousnahar@gmail.com
প্রকাশিত হয়েছে ১৩টি কবিতা ও ৩টি প্রবন্ধের বইÑ
কবিতা: ছিঁড়ে যাই বিংশতি বন্ধন (চর্যাপদ ১৯৮৬) সময় ভেঙ্গেছে সংশয় (নিখিল ১৯৮৭)
উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম (নসাস ১৯৮৮) দেহঘর রক্তপাখি (চর্যাপদ ১৯৯৩)
রূপান্তরের ঘোড়া
‘সব মেঘে বৃষ্টি হয় না’ একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এটি কথাসাহিত্যিক বাসার তাসাউফের একাধারে জীবনচরিত ও নব্বইয়ের দশকের সোনালি সময়ের স্মৃতিচারণ। পরিমার্জিত ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি পুরনো সেই সব দিনের কথা ও সেই সব সময়ের মানুষের জীবন-যাপন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার বর্ণনা করেছেন।
বাসার তাসাউফের জন্ম ও বেড়ে ওঠা অনন্তপুর নামের সবুজ বৃক্ষের ছায়া ছায়া মায়াময় নিভৃত এক গ্রামে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সেই গ্রামের মানুষ, গাছপালা, পশু-পাখি, নদ-নদী তাকে লেখালেখিতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে তার কিষান পিতা তার জীবনজুড়ে এতটাই মিশে আছেন যে, এই উপন্যাসের সব পাতা ভরেও তিনি উপস্থিত আছেন। পিতা ছিলেন তার বেঁচে থাকার, স্বপ্ন দেখার একমাত্র উপাদান। কিন্তু আকস্মিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতার মৃত্যুতে তিনি ভীষণ মুষড়ে পড়েন। তাই নিজের জবানে বলা নিজের জীবনকাহিনি লেখা শুরু করেছেন পিতার মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে। এরপর মানবজীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের কথা, বিশেষ করেÑ দরিদ্র কিষান পিতার পাতায় ছাওয়া লতায় ঘেরা ছোট কুটিরে জন্ম নিয়ে তিনি যে অপূর্ণতার হাহাকারে জীবন ভর দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন তা এমন ভাবে বর্ণনা করেছেন মনে হয়, যেন সেই দীর্ঘশ^াসের উষ্ণ আঁচ এসে আমাদের হৃদয়ও উত্তপ্ত করে তোলে। তার মায়ের দিনের পর দিন না খেয়ে থাকার বর্ণনা হৃদয়ের গহিনে এমনভাবে আঘাত করে যে, রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। বৃষ্টির জল আর পোকামাকড় খসে পড়া ছনের ছাউনির তলে একডজন মানুষের বসবাস আর খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার কথাগুলো এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়।
বাসার তাসাউফ বইয়ের ভূমিকা অংশে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একজন অসফল মানুষ। আমার আব্বা একজন দরিদ্র কিষান ছিলেন। ফলে অনেক নিগূঢ়তা ও নিষ্ঠুরতা অতিক্রম করে জীবন চলার পথে আমাকে চলতে হয়েছে, পার হতে হয়েছে অসর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ অনেক পথ। কিন্তু গন্তব্য আজো রয়ে গেছে অচিনপুরে। সব পথেরই নির্র্দিষ্ট একটা সীমানা থাকে। কিন্তু আমার জীবন চলার পথের যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমি চলেছি তো চলেছি, না পেরিয়েছি সীমানা, না পেয়েছি গন্তব্য। জীবন চলার পথ অতিক্রম করে গন্তব্য পৌঁছাতে পারলে মানুষ অমরত্ব লাভ করে। অমরত্বে আমার লোভ ছিল না কোনোদিন। তাই হয়তো জীবনপথের দুর্গম সীমানা আমি আজো পার হতে পারিনি…।’
বলাবাহুল্য, একজন লেখক নিজের জীবনের গল্প নিজের জবানে বলার পর এর যে নিগূঢ় তাৎপর্য পাওয়া যায়, কাল্পনিক গল্পে তা পাওয়া যায় না। বাসার তাসাউফের এই বইয়ের গল্পে রূপকথার বয়ান নেই, আছে দরিদ্র এক কিষান পিতার ঘাম-জল সিঞ্চনের গল্প। নিতান্তই একজন ব্যর্থ মানুষের অপূর্ণতার গল্প। ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়েও বাঁক বদল করে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার গল্প।
যে মেঘে বৃষ্টি য় না
বঙ্গ রাখাল
জন্ম : ১২ জুন, ঝিনাইদহ।
শিক্ষা : ঝিনাইদহের বসন্তপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রী কলেজ (ঝিনাইদহ) থেকে এইচ.এস.সি। সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা স্কুল অফ ইকনোমিকস থেকে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইকোনমিকস ডিগ্রী। গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র থেকে গণহত্যার উপর পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী অর্জন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সদস্য।
কর্মজীবন : লক্ষীপুর, ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বাংলার প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও বর্তমানে তিনি সমাজসেবামূলক একটা বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থ :
১. সংস্কৃতির দিকে ফেরা (প্রবন্ধ, ২০১৫)
২. লোক মানুষের গান ও আত্ম অন্বেষণ (গবেষণা, ২০১৬)
৩. মানবতাবাদী লালন জীবন অন্বেষণ (প্রবন্ধ, ২০১৭)
৪. হাওয়াই ডাঙ্গার ট্রেন (কবিতা, ২০১৮)
৫. মনীষা বীক্ষণ ও অন্যান্য (প্রবন্ধ, ২০১৮)
৬. অগ্রন্থিত রফিক আজাদ (সম্পাদনা, ২০১৯)
৭. পাগলা কানাই ও তাঁর তত্ত্ব দর্শন (সম্পাদনা, ২০১৯)
৮. লণ্ঠনের গ্রাম (কবিতা-২০১৯)
৯. ছোটবোয়ালিয়া-জয়ন্তীনগর-বসন্তপুর গণহত্যা (অভিসন্দর্ভ)
সম্পাদিত ছোট কাগজ : নিহারণ, বঙ্গস্বর, শঙ্খধ্বনি, শব্দকুঠি ।
ই-মেইল : bangorakhal.bd@gmail.com
কবিতার করতলে
স্বপ্নময় একজন চিত্রশিল্পী। তার নান্দনিক এবং শৈল্পিক ইচ্ছেগুলো রঙ-তুলিতে ফুটিয়ে তোলার স্বপ্নে সে বিভোর থাকে। কিন্তু বহতা জীবন নদীর নানা বন্দরে নোঙ্গর ফেলে স্বপ্নময় দেখেছে চারপাশের মানুষজন এমন কি আপনজনও কেউ তার দেখা স্বপ্নকে লালন করে না। সবাই ক্ষুদ্র লোভ-লালসা-স্বার্থ-বিদ্বেষ নিয়ে জৈবিক জীবন যাপন করে। এই মহার্ঘ্য জীবন নিয়ে কারোরই কোন শৈল্পিক ইচ্ছে নেই, মহাজীবনের আকাক্সক্ষা নেই। ফলে তারা পদে পদে অপমৃত্যু বরণ করে। দেখে দেখে স্বপ্নময় বিষাদাক্রান্ত হয়- অনুপম সুন্দর এই অনন্ত জীবন তুচ্ছতার লোভে নিম্নগামী হতে পারে না। বরং প্রতিদিন তাকে কঠোর সাধনার মধ্য দিয়ে মোহনার দিকে নিয়ে যেতে হয়। যেতে যেতে জীবন হয়ে ওঠে অপার সুন্দর, মধুময়, গভীর। তার তপঃক্লান্তি মুছিয়ে দিতে পাশে এসে দাঁড়ায় চৈতালী। অতঃপর তাদের যুগল চলা কি মোহনায় গিয়ে পৌঁছতে পারবে!
মোহনায় যেতে যেতে
শফিক হাসান-
জন্ম : ০২ জানুয়ারি, ১৯৮৩- তিতাহাজরা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। বেড়ে ওঠা পাহাড়তলী, চট্টগ্রামে। লেখাজোখার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। প্রথম লেখা ছাপা হয় মাসিক রহস্যপত্রিকায়। ২০০০ সালের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখিতে দুর্মর মনোযোগী হন। লিখতে থাকেন দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিকসহ অজস্র পত্রপত্রিকায়। সমানতালে লিখেছেন লিটল ম্যাগাজিনেও। পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় লিটল ম্যাগাজিন ‘প্রকাশ’। গল্প লিখতে এবং গল্পকার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য ধাঁচের রচনায়ও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা, লেখালেখি এবং সাংবাদিকতাকে। বর্তমানে একটি জাতীয় দৈনিকে সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।
খোলস
একটা বিড়াল ছানা
কিভাবে সবার মন জয় করে একটা পরিবারের সদস্য হিসাবে নিজেকে মানিয়ে নেয় তাই প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই গল্পে।
ক্লাস সিক্স পড়ুয়া নীলার বাবা বাদামী রংয়ের ঠোঙায় করে কদম ফুলের মত একমুঠ পরিমান বিড়ালছানা নিয়ে এলেন। সেই সুন্দর বিড়ালছানার মজার মজার সব কান্ডকারখানা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। বিড়ালের নামকরণ বিশ্লেষণ, মেহমান মুদ্রাদোষ বশতঃ পা নাড়লেই পাক্কা শিকারীর মত বিড়ালছানার সেই পা জাপটে ধরা, বিড়ালের উলের বল নিয়ে খেলা, ক্যালকুলেটর টিপে ভিতরের সংখ্যাগুলোর নড়াচড়া অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখা ইত্যাদি খুটিনাটি কিছুই বাদ পড়ে নি লেখিকার চোখ থেকে। একজন শিশুর চোখেই তিনি পুরো বিষয়টা দেখেছেন।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সুদীর্ঘ কাল চাকরি করার সুবাদে মজার মজার অভিজ্ঞতা তিনি প্রায়ই শেয়ার করেন। লেখিকা বাচ্চাদের চাইল্ড সাইকোলজি বেশ ভালো ভাবেই বুঝেন। গল্প লিখতে গেলে একজন শিশুর চোখেই বিষয়টা দেখার চেষ্টা করেন।
বিড়াল ছানা স্ন্যাফার
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.