Additional information
Weight | 0.285 kg |
---|---|
Published Year |
$ 2.29 $ 3.06
সফিকুল আলম জীবনকে আঁকেন নির্মোহ বয়ানে। তাঁর সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষা পাঠকের মনোযোগকে আটকে রাখে নিরবচ্ছিন্নভাবে। ‘আজব চশমা’ গ্রন্থে মোট ৩২টি গল্প রয়েছে। প্রতিটি গল্পের বিষয় ও অনুষঙ্গ একটি থেকে ভিন্ন। এক একটি গল্প পাঠ করতে গিয়ে পাঠক অতিবাস্তবতা, বাস্তবতার পথ পেরিয়ে পরাবাস্তবতার জগতে প্রবেশ করবেন। মানব মনের বিচিত্র অর্ন্তদ্বন্ধকে কেন্দ্র করে সমাজে বিরাজমান প্রহসন, ব্যক্তিজীবনের যন্ত্রণা, শহুরে জীবনের কৃত্রিমতা, গ্রামীণ জীবনের হাতছানি তাঁর গল্পের পরতে পরতে মিশে আছে। আসুন, আমরা নিবিড়ভাবে সফিকুল আলমকে পাঠ করি।
Weight | 0.285 kg |
---|---|
Published Year |
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
হাসান অরিন্দম। বাংলাদেশের একজন প্রাবন্ধিক ও গল্পকাররূপে পরিচিত। কথাসাহিত্যই তার সৃষ্টি ও আগ্রহের প্রধান ক্ষেত্র। জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৭২। শিক্ষাজীবনÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলার লোকজীবন ও আবু ইসহাকের কথাসাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় অধ্যাপক। ‘একজন মানুষের সম্ভাবনা’, ‘বিদ্যাছায়াবিদ্যা ও অন্যান্য গল্প’, ‘দুরবিনে দেখা কতিপয় দৃশ্য’সহ আরো অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের দৃষ্টিসীমায় কোন বাতিঘর ছিলো না
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ই এপ্রিল। টাঙ্গাইলের মীরের বেতুকা গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। করটিয়ার সা’দত কলেজ ও স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। সহকারী সম্পাদক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও দৈনিক সংবাদ Ñএ। ১৯৭৮-৮০ সালে ছিলেন গণচীনের রেডিও পেইচিং এর ভাষা বিশেষজ্ঞ। ১৯৯৪-২০০৪ সালে ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষসহ গ্রন্থের সংখ্যা ৭০ এর বেশি।
গল্প সংগ্রহ
রুমা মোদক, মাতা: দীপ্তি রানী মোদক, পিতা: প্রিয়তোষ মোদক, জন্ম: হবিগঞ্জ। জেলা শহর থেকে প্রকাশিত সংকলনগুলোতে লেখালেখির মাধ্যমেই হাতেখড়ি। শুরুটা আরো অনেকের মতোই কবিতা দিয়ে। ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ ‘নির্বিশঙ্ক অভিলাষ’। এরপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন মঞ্চনাটকে। রচনা করেন কমলাবতীর পালা, বিভাজন, জ্যোতি সংহিতা ইত্যাদি মঞ্চসফল নাটক। অভিনয়ও করেন। মঞ্চে নাটক রচনার পাশাপাশি নিরব অন্তঃসলিলা স্রোতের মতো বহমান থেকেছে গল্প লেখার ধারাটি। জীবন ও জগতকে দেখা ও দেখানোর বহুস্তরা এবং বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতার উৎসারণ ঘটেছে ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন ‘ব্যবচ্ছেদের গল্পগুলি’তে। ‘প্রসঙ্গটি বিব্রতকর’ গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলোতে সে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে উঠেছে আরও নির্মোহ, একবগগা, খরখরে কিন্তু অতলস্পর্শী ও মমতাস্নিগ্ধ।
গল্প লেখার স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে পেয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের পক্ষ থেকে সেরা গল্পকারের পুরস্কার, ফেয়ার এন্ড লাভলী সেরা ভালোবাসার গল্প পুরস্কার। ২০১৪ সালে মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘তনুশ্রী পদক’।
বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের পত্র-পত্রিকা, লিটলম্যাগ এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রকাশিত অন্তর্জাল সাহিত্য পোর্টালে লেখালেখিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ সম্পন্ন করে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী অনিরুদ্ধ কুমার ধর ও যমজ সন্তান অদ্বিতীয়া অভীপ্সা পদ্য ও অদ্বৈত অভিপ্রায় কাব্যকে নিয়ে হবিগঞ্জে বসবাস করছেন।
সিদ্দিকী হারুন
সাহিত্য ও সংবাদকর্মী
প্রসঙ্গটি বিব্রতকর
মুখর জীবনগদ্য
আবু সাঈদ আহমেদের জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নের সময়েই জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সন্দ্বীপে প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে লেখক জীবনে প্রবেশ। কলেজ জীবন হতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু লেখাকে কখনোই গুরুত্বের সাথে নেন নাই। তিনিই বাংলা ব্লগের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার ‘হরবোলা’। অনলাইনে নির্মোহ রাজনৈতিক প্রবন্ধ, তীক্ষ্ম স্যাটায়ার, কবিতা আর অণুগল্প তাকে এনে দিয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। আমমানুষের পক্ষের একজন লেখক ও এক্টিভিস্ট হিসেবে একাধিকবার শারীরিক হামলার স্বীকার হয়েছেন, কিন্তু নীরব হন নাই।
লংকা কিন্তু জ্বলছে না
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ: মুই তোরে কোচ পাং (২০০৯), সম্পাদনাÑ পঞ্চায়ুথ। সম্পাদিত পত্রিকাÑ রুদ্র, গল্প।
বাংলা সাহিত্যের সেরা গল্প
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
সোলায়মান সুমন। জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য।
ভগ্ন সময়ের কোলাজ
শাশ্বত নিপ্পন। জন্ম: মেহেরপুর, মে ১৮, ১৯৭০। পেশা: শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা। এবং সংস্কৃতিকর্মী ও নাট্যকর্মী। তার আরো দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছেÑ অনতিক্রম (২০১৩), পুনরুত্থান (২০১৪)।
অশনির ছন্দ
লেখক পরিচিতি :
নিখিল নওশাদ। জন্মসন: ১৯৮৯ইং। বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ। ‘বিরোধ, ‘নিওর’ ও ‘নীড়’ পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এছাড়া ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
এটি একটি চিৎকার
লেখক পরিচিতি :
নাম: সৈয়দ রায়হান বিন ওয়ালী। লেখক নাম: সৈয়দ ওয়ালী। জন্ম: ১৭ জানুয়ারি ১৯৬৭, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা। জন্মের পর শৈশবের বেশ ক’বছর কেটেছে পুরনো ঢাকার বংশালে। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পারিবারিক কারণে পিতার নানা বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর জমিদার বাড়ির গ্রামীণ পরিবেশে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের আরো ক’টা বছর (১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬)। যার সুবাদে গ্রামকে ভেতর থেকে নিবিড় করে দেখার যে এক অলঙ্ঘনীয় দৃষ্টি ও বোধ সেই ছোটকাল থেকেই গড়ে উঠেছিল তা আজও তেমন বেধক রকম ক্রিয়াশীল। কালিয়াকৈর জমিদার বাড়িতে বেশ ক’বছর কাটাবার পর ১৯৭৬ সালের পর সেই যে মোহাম্মদপুরে শুরু হয়েছিল জীবনের চাকা এখনো সেখানেই চলছে সে তার মতো করে পার্থক্য এটাই যে আগে বাড়ির কর্তা ছিলেন বাবা আর গত এক যুগের অধিক কাল ধরে সেই চরিত্রে লেখককে অভিনয় করে যেতে হচ্ছে।
বিনত খসড়া
মঞ্জু সরকার, বাংলাদেশের অন্যতম কথা সাহিত্যিক। জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩, রংপুর। ছোটগল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর গ্রন্থ মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ অর্ধশতাধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, যৌথ একাকিত্ব, তমস, নগ্ন আগন্তুক, ছোট্ট এক বীরপুরুষ ইত্যাদি। বাংলা একাডেমি, ফিলিপস, ব্যাংক সাহিত্যসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
রূপান্তরের গল্পগাথা
পাঠ প্রতিক্রিয়া বা মতামত
দশকধারণার বাহিরে প্রায় অনাবিষ্কৃত শক্তিমান কবি সৈয়দ ওয়ালী’র ছাইরঙা নথির বয়ানে এক শব্দ-জাদুকর।ভাবনায়-বিশ্বাসে-কর্মে দশকের গণ্ডিতে আটকে না যাওয়া একজন পুরোদস্তুর কবি; আর হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর চর্যাপদ আবিষ্কারের জের ধরলে একজন চির-আধুনিক বাঙালী কবি। তাঁর আসন্ন কাব্যগ্রন্থ ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’এর পাণ্ডুলিপি পড়তে বসে প্রথমেই লক্ষ্য করি (এই কবির)নিজস্বতা বজায় রেখে বিভিন্ন আঙ্গিকে কবিতা লিখতে পারার পারদর্শীতায়।বইটি চার সর্গে বিভক্ত; সর্গেই তাঁর কবিতারা বলিষ্ঠ। অনবদ্য সব বোধের খেলায় মেতে ওঠার সোনালি মুহূরতগুলির প্রাণান্ত ফসল এই বইটি;যা তাঁর শিল্পরসের নান্দনিক স্বাক্ষর ধারণ করে আছে।বইটি যে কাব্যপিপাসু পাঠকের কাছে একটি সমকালীন মাণিক্য হয়ে ধরা দেবে এই আশাটুকু অমূলক নয়।
–কবি সাজ্জাদ সাঈফ
পাণ্ডুলিপিটি আমি দু’বার পড়েছি- দিনের আলোর কোলাহলে, মধ্যরাতের নির্জনতায়। অভিজ্ঞতাকে দ্বিখণ্ডিত করে যেভাবে পৃথিবী আমাদের উপলদ্ধি করে, কবিতাকে উপলদ্ধি করতে হয় সেভাবেই। একজন দক্ষ কারিগরের হাতের কাজের প্রতিটি বাঁকে থাকে শেখার উপাদান, সেখানে মুখ্য বিষয় সৃজনশীলতা কতটা উপভোগ্য। সেখানে আঙুল নত হতে শেখে। ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’ আনাড়ির ছাপে তৈরি নয়। কবিতার প্রতি কবির ভালোবাসা, সাধনা, আর পরিশ্রমটা ঠিক বুঝা যায়। তাই শব্দে, উপমায়, ছন্দে আমাদের চারপাশটাকে মথিত করে ভালোলাগার মানদণ্ডে ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’ উতরে যায় অনায়াসেই। আর রেশ থেকে যায়Í সৃষ্টিশীল মানুষের শেষ ইচ্ছে তো এই। কবি তাঁর নিজস্ব চিহ্ন রেখে যাক, রেখে যাক রেশ- এই শুভকামনা।
–কবি ও গল্পকার প্রজ্ঞা মৌসুমি
“আলাদা বেহালার কবিতা থেকে জল-মশালের ভাষার শেষ কবিতা একটি বহুমাত্রিক জার্নি…; যেখানে বিভিন্ন রং মিলে গেছে এক মহাকাব্যিক কোলাজ ক্যানভাসে ওভারল্যাপহীন; যাতে পর্যায়ক্রমিক এক অদ্ভূত ছন্দ আছে, যে ছন্দের জাদুতে মনে হয় পথটি ভীষণ চেনা; আবার এই চেনা পথের নানা বাঁকে আছে নানা অচেনা রহস্যও; যা চেনা- অচেনার মেল-বন্ধনের-এক-গভীর-ঘোরে পাঠককে ধরে রাখে। আমি পাণ্ডুলিপিটি টানা পড়েছি; আমার বিশ্বাস, পাঠক এই বইটির মাঝের বিভিন্ন পর্বগুলো একই গতিতে পড়তে পারবেন। একবার পড়ার পর যেমন অনেক বই দ্বিতীয় পাঠ দাবিই করে না, এ বইটি তার ব্যতিক্রম। আর এটা বারবার বললেও কম বলা হয় যে, আমি কখনও ‘সৈয়দ ওয়ালী’র কবিতার বোধ ও বাঁধনের কাছে, কখনও সংকেত ও সংযমের কাছে, প্রকৃতে তার কবিতার আত্মার সীমাহীন ঘোরের কাছে পূর্বের ন্যায় এবারও নত হলাম’।
– কবি নীলাদ্রি দেব
“অনুচ্চস্বর ধারণ করেও যে শক্ত এবং যথার্থ কথাটা শৈল্পিকভাবে ব্যক্ত করা যায়, তার উদাহরণ কবি সৈয়দ ওয়ালী। আরও স্পষ্ট করে বললেÍ কবিতা লেখাই যদি কবির কাজ হয়, তবে নিজের ঢঙে তিনি সেই কাজটুকু করে যাচ্ছেন। কবিতায় তিনি উচ্চকণ্ঠধারী নন কিন্তু বলিষ্ঠ। নিজের সময়কে ধারণ করাই প্রকৃত কবির কাজ, তবে সেটা অতীত বিচ্ছিন্ন, উন্মুল হয়ে নয়। সৈয়দ ওয়ালীর কবিতার ভেতর প্রোথিত রয়েছে তার বিশ্বাস, রাজনৈতিক চিন্তা, প্রকৃতিবাদ, সমাজ, সময় এবং মানুষ। তিনি প্রত্নতাত্ত্বিকের মত অনুসন্ধিৎসু, বিশ্বের তাবৎ কিছু নিয়ে তার কবিতার কারবার; আবার একই সাথে তিনি আপন মাটির খুব সংলগ্ন। কৃষকের মতো মাটিতে কান পেতে তিনি শুনতে পান বীজের স্ফুটনের শব্দ। যাকে নিজের ভাষায় আমি বলি, প্রত্ন-আধুনিক। ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’ এর পরতে পরতে রয়েছে এসবেরই প্রত্যায়িত স্বাক্ষর।
– কবি শামশাম তাজিল
“কোনো যন্ত্রী যখন সঙ্গীত পরিবেশন করেন, আমরা দেখি তার আগে তিনি যন্ত্রটিকে সালাম বা প্রণাম করছেন। সঙ্গীত, নৃত্যকলাসহ অপরাপর মাধ্যমে এই ধরনের রেওয়াজ মূলত আর কিছু নয় ওই শিল্পমাধ্যমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ ও নিবেদনের অভিব্যক্তি। সাহিত্যও এর বাইরে নয়। কবিতাকে মানুষের মহৎ সৃজন মনে করেন সৈয়দ ওয়ালী। ফলে তিনি যখন কবিতার কাছে যান, যান সেই শ্রদ্ধাবোধ থেকেই। কবিতার শরীর নির্মাণ, প্রকরণ, ছন্দ ও সুরসিদ্ধিতে তার কঠোর অধ্যবসায় আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এরই গুণে তার লেখায় প্রথাগত ছন্দের বাইরে আরো এক ছন্দ ও সুরের প্রবাহ আমাদের নজরে পড়ে। এ ছন্দ আঁটসাঁট বাঁধনও নয়, আবার নিতান্তই ছন্দহীনতার স্বেচ্ছাচারও নয়, বরং দুইয়ের মধ্যবর্তী ভারসাম্য। প্রথার উজানে যাত্রা না করে আপাত সাদামাটা বিষয়বস্তুর পাথরখণ্ডকেই ভাষ্কর্যরুপী কবিতা নির্মাণের জন্য বেছে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমে সেই পাথরখণ্ডেই প্রবাহিত করেন স্বেদ ও দীর্ঘশ্বাস। ধীরে ধীরে পাথরটির গায়ে ফুটে ওঠে ইতিহাস ও রাজনীতি চেতনা, বিষাদ আর স্মৃতিকাতরতা”।
– কবি হিজল জোবায়ের
Chaironga Nathir Boyan
সন্দেহপ্রবণ সন্ধ্যা
তুমি হরিণীর মতো অরণ্যে ঢুকে গেলে
কোন এক সন্দেহপ্রবণ সন্ধ্যায়-
আর আমি বৃষ্টিমুখর সারারাত
শিবরঞ্জনী রাগ শুনে শুনে ভোর করে দিলাম
সন্দেহপ্রবণ সন্ধ্যা
লেখক পরিচিতি :
কবির য়াহমদ। জন্ম: ৩০শে ডিসেম্বর। চন্দরপুর, আলীনগর, বিয়ানীবাজার, সিলেট। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ’ ‘আমাদের ঈশ্বরের এ্যাপয়েনমেন্ট দরকার’ ও ‘নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ’। গদ্য: ‘জাগরণের পূর্বাপর’। এটি লেখকের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ।
আগুনজলে ভূকম্প
জন্ম ২৬ মার্চ ১৯৭৮, ভুরুলিয়া, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। একাডেমিক লেখাপড়াÑ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশাÑ শিক্ষকতা। এছাড়াও তার আরো ৭টি গ্রন্থ রয়েছে।
বাংলা কবিতার ঐতিহ্য ও অন্যান্য অনুষঙ্গ
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
সোনারতরী কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার যে রূপ-সৌন্দর্যের কথা বলেছেন, তা তো সত্যিই বিস্ময়কর, জীবনানন্দ-বিষ্ণু দে-অমিয় চক্রবর্তী-বুদ্ধদেব বসু-সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-জসীমউদদীন থেকে শামসুর রাহমান, তারপর এতোটা পথ, আছে আল মাহমুদ-শহীদ কাদেরী-ওমর আলী-জয় গোস্বামী, বাংলা কবিতা শাখাটিকে করেছেন সমৃদ্ধ, সেখানে দাঁড়িয়ে আর কি নতুন লেখার আছে, তারপরও কেন জানি মনে হয়, ভালোবাসা তো বিভিন্নজনের বিভিন্নভাবে আসে, আমি কেন নতুনভাবে ভাবতে পারবো না, আমারও তো একটা মন আছে, সে মনটা না হয় অন্যভাবে প্রকৃতি-মাটি-মানুষকে অনুধাবন করবে, ভালোবাসবে শীতের কোমল সকালের ঘাসে পড়া শিশিরকণার মতো, আমি কেন নদী হতে পারবো না, কেন আকাশ হবো না, কেন মেঘমল্লা বা বৃষ্টিমেয়ে, আমারও তো ইচ্ছে করে প্রজাপতির ডানায় আবির হয়ে ছড়িয়ে যাই সর্বত্র, দিগন্তে আমার সমস্ত ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে নীড়ে ফেরা গোধূলি সন্ধ্যের পাখি হয়ে কবিতার দেশে হারিয়ে যায়।
কেন আমি নীলনদের মতো ভালোবাসা বুকে নিয়ে পিরামিডের বুক ছুঁতে পারবো না, আমি তো বিন্দু-বিন্দু রক্ত দিয়ে পৃথিবীটাকে জয় করে ভালোবাসার মন্ত্রে দীক্ষিত হতে চাই, আর হতে চাই রাজহংসী, হতে চাই ধান শালিকের দেশের বনটিয়া, সত্যিই কি আমি আর আমিতে আছি, আমার মধ্যে বসত করে নদীর দেশের ভাটিয়ালী-জারি আর সারিগান, আর সে গানে নিজেকে তোলপাড় করে ভালোবাসতে চাই বাংলাদেশকে, বাংলার মাটি মানুষ আর মাকে, যার ভেতর দিয়ে আমি একটু-একটু করে প্রবহমান নদীর মতো বড় হয়েছি, বিকশিত হয়েছি আর বাংলার রঙ-ঘ্রাণ আর মানুষের সান্নিধ্যে নিজেকে রজনীগন্ধার মতো ফুটিয়ে তুলেছি, জানি না আমি কি আর আমাতে আছি।
খোশবু জান্নাত
বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
তারুণ্যের জয়গান
সাতটি গল্প দিয়ে সাজানো গল্পগ্রন্থ ‘পাপ’। চারপাশের
মানষের মুখ, মুখোশ আর বয়ে চলা জীবনের কথকতা ‘পাপ’।
ভালোবাসা, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, ঈর্ষা, অপরাধ আর বহমান
জীবনের গল্প।
কখনো নারীর চিরাচরিত বন্দী-জীবন এবং বন্ধনহীনতার গল্প।
কখনো প্রতিবাদী, কখনো নিয়তির কাছে পরাজিত আমাদের
খব চেনা চরিত্রগুলো জীবন ছেনে যত্নে তুলে আনা হয়েছে
‘পাপ’ গল্পগ্রন্থে। পাঠকের ভাবনায় খব ছোট্ট করে হলেও
আলোড়ন তলবে ‘পাপ’।
পাপ
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.