Books

Books

(Showing 385 – 396 products of 552 products)

Show:
Filter

অলীক জোছনা

Highlights:

কবি কবির মুকুল প্রদীপ, এক তরুণ কবির নাম
কবির মুকুল প্রদীপে’র প্রথম কাব্য প্রকাশকালে সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, তাঁকে পাঠকবৃন্দের কাছে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ্য কতকটা অতিরিক্ত প্রয়াস, কারণ কবি কবির মুকুল প্রদীপ তার নিজগুণে ও ধ্যানে ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে নিজেকে গ্রহণীয় করে তুলতে পেরেছেন এবং নতুন এক রুচিধারা প্রবতর্নের চেষ্টায় যুক্ত রয়েছেন। আমি ফ্লাপে যে মন্তব্য লিখছি তা একজন অগ্রজের মুগ্ধতারই অভিব্যক্তি এবং সংশামুখরতা। তার কবিতা সমাজলগ্ন এবং সুস্থ সমাজচেতনা গড়ায় প্রত্যয়ী। আর তাই তিনি অনায়াশে বলেন ‘স্বৈরাচারী চেয়ার নিয়ে আবারও কয়েকযুগ নিশ্চিন্ত হয়।’ এই নিশ্চিন্ত হওয়ার পেছনের কারিগর হচ্ছে অশ্লীল রাজনীতি, যা জনগণকে ক্রমাগত চেতনাহীন নির্জীব প্রাণীকুলে পরিণত করে রেখেছে। আর তারা দেখে সমুদ্রের জলে পা দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সমুদ্রে মিলিয়ে যাওয়া, দেখে সামান্য বিষয় নিয়ে মানুষগুলোর ‘অমানুষ’ আচরণে ডুবে যাওয়া এবং এসব ঘটে বাস্তবজীবনের অঙ্কগুলো সঠিক চেতনায় জারিত করে উপলব্ধি হীনতার কারণে।
কবির মুকুল প্রদীপ প্রথাকে ভাঙতে চান নতুন সমৃদ্ধি আনার জন্য, এবং পুরানো প্রথাবদ্ধতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নির্মাণচেষ্ট কবিতার নতুন শরীর। কিন্তু প্রথাকে তিনি উপলব্ধি না করে ছুঁড়ে দিতে চান না। তার ক্রিয়া নতুন প্রথা নির্মাণের মধ্যদিয়ে কবিতাকে নতুন সময়ের উপযোগী করা। যাতে পরিবর্তিত সময়ের অভ্যেস রুচি ও চেতনা কাঠামোর নবরূপায়ন সম্ভব হয়। কবির মুকুল প্রদীপ বলেন ‘মৃত্যু-মুহূর্ত পর্যন্ত যে ঘুণে খাওয়া চৌকিটিতে বাবা শুয়ে থাকতেন/আজ ভাঙতে গিয়ে—-পায়া-তক্তার মতো দেখি/ আমিও ঝুরঝুর করে খুলেÑ বর্জের স্তুপে পরিণত হয়ে যাচ্ছি’ মুকুল এ ভাবেই পুরানোকে ভাঙতে গিয়ে তার প্রতি যে মোহ তাকে উসকে দিয়ে নিজ কর্তব্যকে নির্ধারণ করেন ভাঙার প্রত্যয়ে। তিনি নানাভাবে কবিতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার একটা মানসিকতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলছেন যা আমরা গত কতকটা সময় ধরে দেখছি। তিনি লিখছেন ভাষার নতুন অর্থযোজনার প্রয়াস নিয়ে।
যেমন তিনি বলেন ‘কোথা থেকে এক বিমূর্ত করুণ সুর ভেসে আসেÑ মনে হয়/ইটের নিচে চাপা পড়ে গোঙ্াচ্ছে বাদামি ঘাস/সর্বভূক কংক্রিট-ড্রাগন আর ধর্মের শৃগাল গিলে খাচ্ছে বনবাঁদাড়, খাল-বিল-মেধা’ তখন তো স্পষ্টই হয় কবি তার বিষয়কে কীভাবে নির্বাচিত করেন, কেন নির্বাচন করেন, কেন তিনি তাঁর আঁকুতিকে নিছক কল্পনা বিলাসে ভাসিয়ে না দিয়ে গড়ে নিচ্ছেন চেতনার শব্দবলীর মেলবন্ধন; আর শিল্পীর সামাজিক দায়িত্বকে কীভাবে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে সক্রিয় হয়েছেন বর্তমানের কবিতায়।
মুকুলের এটা প্রস্তুতি পর্ব, তার উত্থান পর্বে আমরা আরো সংহত শক্তপোক্ত কবিতা পাবো, পাবো নতুন ভাষা নির্মাণের পঙক্তিমালা, যা দৃশ্যমান অর্থ থেকে নানা অর্থকে দ্যোতিত করবে, কাব্যসুন্দরকে প্রজ্ঞাপূর্ণ করবে। আমি খুবই আশাবাদী এই তরুণ কবির কাব্যক্ষমতার বর্তমান প্রকাশে। তার জয় হোক।

-মতিন বৈরাগী

অলীক জোছনা

বাতিল বেশ্যার ডায়েরি

Highlights:

সিদ্দিক প্রামাণিকের কবিতায় টুকরো আখ্যান আর নাট্যমুহূর্তের ব্যবহার অভিনব। রহস্য আর রূপকের দক্ষ আড়ালে তিনি বলে যান নিজের সময়, জনপদ আর মানুষের বিচিত্র গল্প। পাঠক বিস্ময়ের অভিঘাতে থমকে যান, কখনো শোকে আর্দ্র, কখনো ক্রোধান্ধ হয়ে পড়েন। সবশেষে কবিতা-ই তার সারসত্য নিয়ে জেগে থাকে।

বাংলা কবিতায় সিদ্দিক পরিব্রাজকের মতো আসেননি, এখানে থাকতে এবং রাজত্ব করতেই এসেছেন। আতশবাজির খেলা নয়, বারুদের বিস্ফোরক ক্ষমতা-ই তাঁর পছন্দ। সহজেই বোঝা যায় এই কবির জামার আস্তিনে আরো অনেক জাদু উন্মোচনের অপেক্ষায়।

কবি ও কবিতার জয় হোক।

সরদার ফারুক

বাতিল বেশ্যার ডায়েরি

খ্যাংড়া ঠ্যাঙা চিমশে ঢ্যাঙা

Highlights:

ননসেন্স সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ সম্ভবত শৈশব থেকে। ১৯৭০-এর দশকে সুকুমার রায়ের সাথে সম্যক পরিচয়ের পর তা বিশেষ আকর্ষণে পরিণত হয়। ৯০-এর দশকের প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে লিমেরিকের সাথে জানাশোনা অল্পই ছিল। ফিরলাম এডওয়ার্ড লিয়ারের লিমেরিক এবং আরও অন্য অনেক ‘ননসেন্স’ পদ্য হাতে করে। পরে শুরু হয় তার থেকে অনুবাদের চেষ্টা। লিয়ারের লিমেরিক ছাড়া অন্য লিমেরিকও হাতে আসে। তার থেকেও চলে বঙ্গানুবাদ।
বঙ্গানুবাদের পাশাপাশি নিজের লিমেরিক লেখাও চলতে থাকে। তার থেকে কিছু লিমেরিক এখানে ছাপা হল। সুখ ও স্বাস্থ্যের জন্য হাসি বা আনন্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই লিমেরিকগুলি যদি পাঠকের জন্য কিছু হাসি বা আনন্দের জোগান দিতে পারে তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব।
-হোসাইন রিদওয়ান আল খান
১ জুলাই, ২০১৮

খ্যাংড়া ঠ্যাঙা চিমশে ঢ্যাঙা

একটি স্বেচ্ছামৃত্যু ও কিছু রসিকতা

Highlights:

মৃত্যু সংবাদ এমনই একটা বিষয় মুহূর্তে পৃথিবীর গতি স্তব্ধ করে দেয়। পরিচিত বা কাছের জনের মৃত্যু হলে তা আরও ভারী বোধহয়। মনে হয় যেন নিজেরই একটা অংশ মরে গেছে। এত সুন্দর মায়াময় প্রভাতটা নিমেষের মধ্যে অর্থহীন, শ্রীহীন হয়ে যায়।

একটি স্বেচ্ছামৃত্যু ও কিছু রসিকতা

রাজহাঁস ও অন্যান্য অণূগল্প

Highlights:

ইয়াকুব খান শিশির যতটা না অণুগল্পকার তারচেয়েও বেশি একজন অণুগল্পসমঝদার; বিজ্ঞ আলোচক। অণুগল্পকে অণুগল্প হিসেবে বুঝতে পারার মধ্যেও এক ধরণের মেধার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় অণুগল্পসংশ্লিষ্ট জ্ঞান বা বোধ। এই জ্ঞান বা অণুগল্পবোধটির অভাব থাকলে অণুগল্পের মূল মূরতি দেখা পাওয়া সম্ভব হয় না। ইয়াকুব খান শিশির এমনি একজন পাঠক যার ভেতরে অণুগল্পবোধটি সবসময় জাগ্রত থেকেছে। অণুগল্পের ভেতর-বাহিরের জ্ঞান অর্জন করেছেন। সেই জ্ঞান দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে অণুগল্পের প্রচার প্রসার এবং বাংলা সাহিত্যের একটি নবতর শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।

রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্পের সফলতা কামনা করছি।

-বিলাল হোসেন

রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্প

নির্বাচিত ভিনদেশী গল্প

Highlights:

“ছোট প্রাণ ছোট ব্যথা, ছোট দুঃখ ছোট কথা… অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হয়ে হইল না শেষ।।” -কথাগুলো ছোট গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রবিন্দ্রনাথ তাঁর ‘বর্ষাযাপন’ কবিতায় বলেছিলেন।

ইংরেজি সাহিত্য অধ্যায়নের শুরুর দিকে পড়া জেমস জয়েসের অনবদ্য ছোট গল্প ‘এরাবি’। রবিন্দ্রনাথের কথার মতই গল্পের ছোট ছোট ব্যথাগুলো ছোট করে গভীর দাগ কেটে গিয়েছিল মনে। তখনও ভাবিনি কোনদিন এমন গল্প অনুবাদ করার সাহস করতে পারব। বেশ কয়েক বছর পর ছোট গল্পের প্রতি তীব্র টান আর অদ্ভুত এক তাড়নায় গল্প অনুবাদ শুরু করলাম প্রিয় গল্প ‘এরাবি’ দিয়ে। অতঃপর একে একে আরও অনেক বিদেশী ছোট গল্প যোগ হতে লাগল প্রিয় গল্পের তালিকায়। এর মধ্যে বিশ্ব বিখ্যাত ছোট গল্পকার মান্টো, প্যাট্রিক ওয়াডিংটন, কেইট শোপেন, শার্লি জ্যাকশন আর গারশিনের মত লেখকের কিছু গল্প মাতৃভাষায় রূপান্তরের লোভ সামলানো গেল না। চমৎকার ১১ টি গল্পের অনুবাদ নিয়েই তৈরি এই নির্বাচিত ভিনদেশী গল্প গ্রন্থ।

নির্বাচিত ভিনদেশী গল্প

দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা

Highlights:

প্রকাশকের কথা-

বাংলা উপন্যাসে এক নতুন সংযোজন : বাংলা উপন্যাস এমনকি বিদেশি কোনো উপন্যাস এরকম কোনো উপ-কাহিনি দিয়ে শুরু এবং পৌরাণিক কাহিনি দিয়ে শেষ হয় বলে জানা নেই আমার। শরীফ শামিল এর উপন্যাস ‘দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা’ পড়ে সেরকমই মনে হলো আমার। গত তিন চার বছরে আমার সাহিত্য পত্রিকা ‘অনুপ্রাণন’-এ তাঁর বেশ কয়েকটি গল্প ছেপেছিলাম, ওই গল্পগুলো পড়েই শরীফ শামিলকে মনে হয়েছিল একজন স্বতন্ত্র ধারার লেখক।

তাঁর উপন্যাসে স্বপ্ন আশা-আকাঙ্খা, হতাশা প্রেম কাম, নীরব বিরহ গ্রাম্য আচার-সংস্কার-কুসংস্কার, শোষক শোষিতের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ, লোভ হিংসা, সর্বোপরি মানুষের মনুষ্যত্ব মনস্তত্ত্বকে তিনি অল্প কথায় যেভাবে প্রকাশ করেছেন, তা অসাধারণ বলা যায়। একটি দু’টি বাক্যের মাধ্যমে তিনি একেকটা পরিচ্ছদকে তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে; তাঁর এই উপস্থাপন কৌশলটি এবং কৌতুক ও ব্যঙ্গাত্মক শব্দ প্রয়োগগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর চরিত্রদের কিছু সযাং ভাষা ও আঞ্চলিক ভাষা, মেয়েলি গীত, কাহিনি ও জাউলি গীত উপন্যাসটিকে বিশ্বাসযোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। উক্ত উপন্যাসে ঐক্যের বিজয় দেখানো হয়েছে সেটা খ-কালিন বিজয়; চিরকালিন নয়- এটাই উপন্যাসের আরেক সার্থকতা বলে মনে হয়েছে আমার। তাছাড়া উপন্যাসের ভাষা-পরিভাষা অলংকার উৎপ্রেক্ষা উপমা অনুপাস-এর ব্যবহারও মুগ্ধ করার মতো। অতিবাস্তবতা ও যাদুবাস্তবতাকেও সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি এই উপন্যাসে।

শরীফ শামিল-এর ‘দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা’ উপন্যাসটি পাঠান্তে সকল শ্রেণির পাঠক মুগ্ধ হবেন বলেই আমার বিশ্বাস। তবে পাঠকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

দীর্ঘ রাত্রির বিরুদ্ধে জেগে থাকা

হারাধনের ঝোলা

Highlights:

আমাদের অণুগল্প দুনিয়ায় একজন অসামান্য অণুগল্পকার আছেন। তার অণুগল্পের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল- বিষয় নির্বাচন। এই অণুগল্পকার মনে করেন অণুগল্প অণুগল্প হয়ে উঠল কি না সেটা প্রাথমিকভাবে নির্ভর করে গল্পটির বিষয়বস্তু কি- সেটার ওপর। তারপর অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে। এইসব ভাবনা থেকেই হয়ত তার গল্পের মধ্যে বিচিত্র বিষয় এসে ধরা দেয় ভিন্নরূপে।

যার সম্পর্কে কথা বলছি তিনি- শাহেদ সেলিম। শাহেদ সেলিম অণুগল্পভাবুক।

অনেক বিষয় নিয়ে তার অণুগল্পচর্চা, কিন্তু একটি বিশেষ বিষয়ে তার দক্ষতা অপ্রতিরোধ্য।

সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প হিসেবে শাহেদ সেলিম এর তুলনা নেই। নজরকাড়া উন্নতমানের সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তার ভেতরে একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক বাস করে। ‘বিজ্ঞান এবং কল্পনা’ -এই দুইয়ের যথাযথ সংকরায়নে তৈরি হয় যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, শাহেদ সেদিক থেকে পরিপূর্ণ। সে ইচ্ছে করলেই লিখতে পারে সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প -এ বিশ্বাস আমার ছিল অনেক আগে থেকেই।

বর্তমান গ্রন্থটি সায়ন্স ফিকশন ছাড়াও অন্যান্য অণুগল্পের মিশেলে অসামান্য একটি প্রকাশনা।

-বিলাল হোসেন

হারাধনের ঝোলা

কফিন কাঠের ঘুম

Highlights:

সালু আলমগীর কবিতার রূপদক্ষ কারিগর। সহজ ও গভীর উচ্চারণে তিনি আবেগ ও বৌদ্ধিক উপলব্ধিকে একই তারে বেঁধে রাখতে সক্ষম। তিনি ভিড়ের মুখ নন, নিজস্ব স্বরের অধিকারী এক ধ্যানী ঋষি।

তিনি যেমন মানবমনের গূঢ় সংবেদনের কবি, একইসঙ্গে সমাজ-রাষ্ট্রের ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে এক দ্রোহের প্রতীক। নিরীক্ষার নামে তিনি শেকড়বাকড়হীন কবিতার জন্ম দেননি বরং জীবন থেকেই রূপ-রস নিঙড়ে নিয়ে তৈরি করেছেন এক রহস্যের পৃথিবী।

কবির কবিতাপাঠে পাঠকের আনন্দস্নান হোক। মহাকাল দূর থেকে দেখুক।

-সরদার ফারুক

কফিন কাঠের ঘুম

পকেট সেলাই করি ছেঁড়া জামার

Highlights:

ভূমিকা-

কবিতার ভিতর দিয়ে বহুবিধ বহুকালের অমীমাংসিত জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজে চলা কবির নাম সালাহউদ্দিন সালমান, কবি যেন কলমের ডানায় আর খাতার বাতিঘরে লুকিয়ে রাখে বেঁচে থাকার মৌলতম রসদ, তার কবিতায় পাঠক খুঁজে পায় অনন্য স্থির নির্ভেজাল ধনাত্মক-ঋণাত্মক ডান বাম, ভালো মন্দ সুখ দুঃখ, অনুভূতি চিন্তা ভাবনা বোধের শৈল্পিক নিরপেক্ষতা। মানুষের সাধ্যাতীতের বিপরীতে কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলে নরম জীবনের কারুকাজ, কবি তার কবিতায় দ্রোহের রক্ত নিয়ে আলো খুঁজে অসম্ভব অনিশ্চয়তার নিঃসীম অন্ধকারে, তার একেকটি কবিতা মূর্তিমান জীবনের একেকটি দীর্ঘশ্বাস, সমাজ সংস্করণে এই জীবনমুখী কবির কবিতা যেন প্রয়োজনীয় বিদ্রোহের প্রতীক। কবির প্রেমময় কবিতাগুলো যেনও প্রেমিক প্রেমিকার বুকপকেটে ভরে রাখা কখনো কালো মেঘের আহাজারী, কখনো শূন্যতার নিঠুর মহামারী, আবার কখনো কখনো চালচুলোহীন স্বপ্নাতুর লালিত সঞ্চয়ের সমুদ্রখচিত বিশাল আকাশ। কবির একটি কবিতা পড়েছিলাম পোড়ামাটি নামক- শুইয়ে থাকা নীরব জ্যোৎস্না কে ছুঁতেই /নিজের ছায়া ছুটে চলে অন্ধকারের দিকে/ মেঘঘন আকাশের ফিকে বিছানায়/অগণিত জোনাকিদের সদ্য ঘুম মুখে/আঙুল রাখতেই খলবলিয়ে উঠে নিস্তরঙ্গ নদী/ ভাঙি দ্রোহ আর আকাক্সক্ষার জড়ানো ইমারত/ অনিবার্য পিপাসা ফুরায় অন্তর্গত অভিবাসী জলে/ অবাধ্য হাতের অকুতোভয় আঙুলগুলো বোটা ছুঁতেই/ অঝোর আষাঢ় আসে থই থই লুণ্ঠিত হয় ঘরবাড়ি/ ঘাম শুকায় ঘামে কাঁচা দেহ হয় পোড়ামাটি/ -সশরীরে দেখে মনেই হবে না সালাহউদ্দিন সালমান এমন অসংখ্য কবিতার কবি, কবির নিজের একটি উক্তি আছে কবিতাকে নিয়ে কবি প্রায় বলেন-কবিতা সত্য সুন্দর স্বপ্নিল জীবনের সাথে চলে আমরা কবিতার সাথে চলি। বিশ্বব্যাপী কবিতার মিছিলে কবি সালাহউদ্দিন সালমান এর উজ্জ্বল পদচারণ তারই দৃপ্ত প্রমাণ।

পকেট সেলাই করি ছেঁড়া জামার

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ১৬ দিন

Highlights:

লেখকের কথা-

পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের ঐতিহাসিক মূল্য অনেক। এর দ্বারা একটি সময়ে সংঘটিত নানান ঘটনার বিশ্লেষণ করা যায়। তাই, মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক ও বহুমুখী দিকগুলো অনুধাবন ও বিশ্লেষণ করতে সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকার রিপোর্টগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

২০১৬’র নভেম্বরে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক আশফাক ভাই একদিন বললেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ ১৭ দিনে (ডিসেম্বর ০১ – ডিসেম্বর ১৭) আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রিপোর্টগুলোর অনুবাদ নিয়ে একটি ধারাবাহিক সিরিজ করে দেয়ার জন্য। শুনেই আমি রাজি হয়ে যাই। দৈনিক ইত্তেফাকে ২০১৬’এর ০১ ডিসেম্বর হতে ১৫ ডিসেম্বর (১৪ ডিসেম্বর বাদে) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ১৪টি রিপোর্টের অনুবাদ প্রকাশ হয়েছিল।

এই বইতে সেই ১৪টি রিপোর্টের অনুবাদ সহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মোট ২০টি রিপোর্টের অনুবাদ রয়েছে। ডিসেম্বর ০১-১৭ এর ১৮টি রিপোর্ট ও মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় মার্চের ০২ টি রিপোর্টের অনুবাদ সংযুক্ত হলো।

অনুবাদগুলো ভাবানুবাদ এবং পত্রিকার রিপোর্টগুলো মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ ট্রাস্টের সংগ্রহশালা হতে সংগ্রহীত।

এই অনুবাদ রিপোর্টগুলো বই আকারে প্রকাশের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন সহযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ ট্রাস্টের সভাপতি শান্তা আনোয়ার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ১৬ দিন

1 2 31 32 33 34 35 45 46
Scroll To Top
Close
Close
Shop
Filters
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping